পৃথিবীর অন্দরমহল
প্রথম অধ্যায়
অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল
WB Class 8 Geography
পৃথিবীর অন্দরমহল
অনুশীলনী
প্রশ্ন: পৃথিবীর যে শক্ত পিঠটার অপরাধী তার নিচে কি আছে?
উত্তর: পৃথিবীর কেন্দ্রমুখী আকর্ষণের জন্য অপেক্ষাকৃত ভারী পর্দা গুলি যেমন-লোহা, নিকেল প্রভৃতি ঘন পদার্থ কেন্দ্রমন্ডলের এবং লোহা, নিকেল, সিলিকা, ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম গুরুমন্ডলে থাকে।
প্রশ্ন: কেউ কি কখনো দেখেছো পৃথিবীর ভেতর টা কেমন?
উত্তর: পৃথিবীর ভেতরটা পেঁয়াজের খোসা ছাড়ালে যেরকম স্তরবিন্যাস দেখা যায় সেরকম বিভিন্ন ঘনত্বের ও বৈশিষ্ট্যের স্তরে বিভক্ত।
প্রশ্ন: পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত দেখতে গেলে কত গভীর গর্ত খুঁড়তে হবে?
উত্তর: পৃথিবীর ব্যাসার্ধ ৬৩৭০ কিমি। তাই পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত দেখতে গেলে সমপরিমাণ গর্ত খুঁড়তে হবে।
প্রশ্ন: পৃথিবীর ভেতরটা কেমন তা কতটা জানা সম্ভব হয়েছে?
উত্তর: ভূমিকম্পের ফলে যে তরঙ্গের সৃষ্টি হয় সেই তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য, তীব্রতা প্রভৃতি দেখে ভূবিজ্ঞানী রা পৃথিবীর ভেতর সম্পর্কে ধারণা পোষণ করেন। তাই বিভিন্ন তথ্য অনেকটা অনুমানের উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন: পৃথিবীর ভেতর টা সম্পর্কে মানুষ যতটা জেনেছে, সেটুকু জানলো কিভাবে?
উত্তর: পৃথিবীর ভেতর টা সম্পর্কে জানতে মানুষকে খননকার্য পড়তে হয়েছে তাছাড়া পৃথিবী পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা, গড় ঘনত্ব ও ভূমিকম্পের কম্পনের তীব্রতা । সময় বিচার করে বিজ্ঞানীরা তথ্য জানতে পারেন।
প্রশ্ন: কেন আমরা পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে পারি না?
উত্তর: পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত আমরা যেতে পারি না কারণ প্রচন্ড উত্তাপ ও প্রবল চাপের প্রভাবে এই অংশের সমস্ত পদার্থ স্থিতিস্থাপক অবস্থায় রয়েছে।
প্রশ্ন: কেন আমরা পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে সরাসরি কোনো তথ্য পাই না?
উত্তর: ভূমিকম্পের তরঙ্গের গতিবিধি লক্ষ্য করে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন। পদার্থ গুলির মধ্যে ভূকম্পন প্রবাহিত হওয়ার সময় দীর্ঘ, ক্ষুদ্র, দ্রুত ওয়্যব ধীরগতি সম্পন্ন হয়। ভূমিকম্পের তরঙ্গ কঠিন। তরঙ্গ যে কোন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যেতে পারে কিন্তু তরঙ্গ তরল বা অর্ধতরল মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যেতে পারে না ফলে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ হয় না।
প্রশ্ন: পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে থাকা পদার্থগুলোর ঘনত্ব বেশি হয় কেন?
উত্তর: পৃথিবীর জন্মের সময় খুব গরমও বেশি ঘন পদার্থ মাধ্যাকর্ষণ এর তারে কেন্দ্রের দিকে চলে যায় আর হালকা পদার্থ উপরে ভেসে ওঠে। কারণ ভূপৃষ্ঠের গড় ঘনত্বের তুলনায় কেন্দ্রের কাছে পদার্থের গড় ঘনত্ব অনেক বেশি।
প্রশ্ন: আপেলের কোন অংশ গুরুমন্ডল এর সঙ্গে তুলনীয়?
উত্তর: আপেলের খোসা গোটা আপেলের তুলনায় পাতলা। তা ঠিক নিচের সার্চ গুরুমন্ডল এর সঙ্গে তুলনীয়।
প্রশ্ন: আপেলের কোন অংশটা কেন্দ্রমন্ডলের মত বলো তো?
উত্তর: আপেলের বীজটা হলো কেন্দ্রমন্ডলের মত।
প্রশ্ন: গুরুমন্ডল ও কেন্দ্রমন্ডলের প্রায় একইরকম পুরু। কিন্তু পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ৮৪ শতাংশ দখল করে আছে গুরুমন্ডল। এটা কিভাবে বা কেন হয়?
উত্তর: পৃথিবীর অভ্যন্তরে যত যাওয়া যায় তত পদার্থের চাপ বাড়ে। বেশি ঘনত্ব যুক্ত পদার্থের চাপ বেশী এবং ওই পদার্থ গুলি কেন্দ্রমন্ডলের অবস্থান করে কিন্তু বেশি ঘন পদার্থের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম ঘন পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকায় এই গুরুমন্ডলের অনেকটাই পৃথিবীর অভ্যন্তরে থাকে। প্রায় ২৯০০ কিমি পর্যন্ত ঘনত্ব যুক্ত স্তরই গুরুমন্ডল।
প্রশ্ন: পৃথিবীর অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে ঘনত্বের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় কেন?
উত্তর: পৃথিবীর অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে ঘনত্বের পার্থক্য দেখা যায়। অপেক্ষাকৃত ভারী পদার্থ পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে জমা হয়। তুলনায় কম ভারী পদার্থ কেন্দ্রের উপরিভাগে দেখা যায়।
প্রশ্ন: ম্যাগমা ও লাভার মধ্যে পার্থক্য লেখ।
উত্তর: প্রথমত, মেঘনা হল ভূগর্ভের খনিজ পদার্থের তরল মিশ্রণ। অথবা লাভা হল খনিজ পদার্থের কঠিন ও তরল মিশ্রণ।
দ্বিতীয়ত, মেঘনা থেকে লাভার সৃষ্টি। অথবা লাভা থেকে মেঘ সৃষ্টি হয় না।
Nice apps
উত্তরমুছুনAshutosh Ruidas
উত্তরমুছুনNice app
উত্তরমুছুন