অস্থিত পৃথিবী
দ্বিতীয় অধ্যায়
অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল
WB Class 8 Geography
অস্থিত পৃথিবী
অনুশীলনী
প্রশ্ন: পাতাগুলো কিভাবে সঞ্চারিত হয় আর তার ফলে কি হয়?
উত্তর: ভূ-ত্বকীয় পাতাগুলো ভাসতে-ভাসতে পরস্পরের দিকে, পরস্পরের থেকে দূরে অথবা পাশাপাশি অগ্রসর হয়। ফলে পাতের উপর থাকা মহাদেশ, মহাসাগর গুলোর সঞ্চারন হয়। দুটো মহাসাগরীয় পাত ক্রমশঃ পরস্পরের থেকে দূরে সরে গেলে, মাঝের ফাটল বরাবর ভূ-অভ্যন্তর থেকে উত্তপ্ত গলিত পদার্থ উঠে আসে। পরে শীতল ও কঠিন হয়ে নতুন মহাসাগরীয় টক আর মধ্য সামুদ্রিক শৈলশিরা তৈরি করে। আবার পাতগুলো পরস্পরের দিকে অগ্রসর হওয়ার ফলে ভারী মহাসাগরীয় পাদ মহাদেশীয় পাত এর নিচে ডুবে গিয়ে গভীর সামুদ্রিক খাত তৈরি করে।
প্রশ্ন:'নবীন ভঙ্গিল পর্বত'কে নবীন বলা হয় কেন?
উত্তর: পৃথিবীর অধিকাংশ ভঙ্গিল পর্বত মহাদেশীয় পাতের সংঘর্ষে ফলে সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে কিছু পর্বত 40 লক্ষ বছর আগে সৃষ্টি আবার কিছু পর্বত 3-4 কোটি বছর আগে সৃষ্টি। পরিশিষ্ট এই ভঙ্গিল পর্বত গুলি কে 'নবীন ভঙ্গিল পর্বত' বলে।
প্রশ্ন: অগ্ন্যুদগম কিভাবে হয়?
উত্তর: পৃথিবীর অভ্যন্তর অত্যন্ত উত্তপ্ত। পুরুমন্ডলের উপরে কোনও কোনও অংশে শিলা আংশিক গলে, পিচ্ছিল হয় প্লাস্টিকের মতন আকার নেই আবার কিছু অংশে সম্পূর্ণ গলে যায়। এই গলিত ম্যাগমার ঘনত্ব কম ফলে আশেপাশের অর্ধ গলিত শিলার তুলনায় হালকা বলে উপরের দিকে উঠে আসে। জলীয় বাষ্প, গ্যাস মিশ্রিত ম্যাগমা প্রবল চাপে ভূপৃষ্ঠের দুর্বল ফাটল দিয়ে বেরিয়ে আসে।
প্রশ্ন: অগ্ন্যুদগমের সঙ্গে পাত সীমানার কি কোন সম্পর্ক আছে?
উত্তর:অগ্ন্যুদগমের সঙ্গে পাত সীমানার সম্পর্ক আছে। অভিসারী সংঘর্ষ সীমানা বরাবর নিমজ্জিত মহাসাগরীয় পায়ের কিছু অংশ গলে গিয়ে ফাটল দিয়ে অগ্ন্যুদমনের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসে।
প্রশ্ন: সব ধরনের পাত সীমানায় কি অগ্ন্যুদগম হয়?
উত্তর: প্রশান্ত মহাসাগরের দুই দিকের উপকূলের অভিসারী পাত সীমানা বরাবর পৃথিবীর অধিকাংশ স্থানে অগ্ন্যুদগম হয় আবার অপসারী পাত সীমানায় মধ্য সামুদ্রিক শৈলশিরা জুড়ে সমুদ্রের নিচে অবিরত অগ্ন্যুদগম হয়। স্থলভাগে এইরকম পাত সীমানায় অনেকাংশে অগ্ন্যুদগম হয়।
প্রশ্ন: ভূ-কম্পন তরঙ্গ গুলো ভূপৃষ্ঠের কিভাবে প্রবাহিত হয়?
উত্তর: সবথেকে দ্রুত প্রাথমিক তরঙ্গ ভূপৃষ্ঠে প্রথম এসে পৌঁছায়। কঠিন, তরল, গ্যাসীয় পদার্থের মধ্যে দিয়ে ক্রমসংকোচন ও প্রসারণ প্রক্রিয়ায় এই তরঙ্গ প্রবাহিত হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের তরঙ্গ এরপর এই ভূপৃষ্ঠের পৌঁছায়। বস্তুকণার ওপর-নিচ ওঠানামার মাধ্যমে প্রবাহিত এই তরঙ্গ শুধুমাত্র তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র থেকে ভূপৃষ্ঠ বরাবর সৃষ্ট তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে। এই তরঙ্গ লাভ তরঙ্গে ও রালে তরঙ্গ ভুলের কারণেই বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়।
প্রশ্ন: শ্রেণিকক্ষে এই পাঁচটা ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করো। ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রে মিলিয়ে দেখো-কোন অঞ্চলে কোন কোন বড় শহর বিখ্যাত স্থান রয়েছে?
উত্তর:
১) হিমালয় পর্বত অঞ্চল - জম্মু-কাশ্মীর, অসম।
২) সিন্ধু গঙ্গা সমভূমি- কলকাতা, দিল্লি
৩) উপদ্বীপ অঞ্চল- লাট্টুর জিলা।
৪) পশ্চিম উপকূল অঞ্চল- গুজরাট।
প্রশ্ন: মনে করো এই মুহূর্তে হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলো। এরকম পরিস্থিতিতে তুমি প্রথমে কি করবে?
উত্তর: বাড়ির সব দরজা, জানালা বন্ধ করে ঘরের ভেতর থাকা উচিত। ঘরের মধ্যে কোন খাট বা টেবিলের তলায় ঢুকে পড়া দরকার। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কুল থেকে বেরিয়ে কোনও খোলা স্থানে থাকা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ