Higher Secondary Philosophy Suggestion 2023
(খ) বচন বলতে কি বোঝো? বচনের শ্রেণীবিভাগ করো। বচন ও বাক্যের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ
এক কথায়
ভাষায়
প্রকাশিত
মনের
অবধারন
হল বচন।
অর্থাৎ
যে বাক্যের
দ্বারা
দুটি
ধারনার
মধ্যবর্তী
সম্পর্ককে
প্রকাশ
করা
হয় তাকে
বচন
বলে।
(১) সাপেক্ষ বচনঃ
যে বচন
কোনো
শর্তের
উপর
নির্ভর
করে
তাকে
বলে
সাপেক্ষ
বচন।
যথা – যদি
বৃষ্টি
হয় তবে
ভালো
ফসল
হবে।
এই সাপেক্ষ
বচন
আবার
দুই
প্রকার,
(ক) প্রাকল্পিক বচনঃ
যে সাপেক্ষ
বচনে
একটি
প্রকল্প
থাকে, তাকে
প্রাকল্পিক
বচন
বলে।
যথা – যদি
সূর্য
ওঠে
তবে
আলো
হবে।
(খ) বৈকল্পিক বচনঃ
যে সাপেক্ষ
বচনে
দুটি
বিকল্প
থাকে, তাকে
বৈকল্পিক
বচন
বলে।
যথা – রাম
বাবু
শিক্ষক
কিংবা
লেখক।
(২) নিরপেক্ষ বচনঃ
যে বচন
কোনো
শর্তের
উপর
নির্ভর
করে
না তাকে, নিরপেক্ষ
বচন
বলে।
যথা – সকল
ফুল
হয় সুন্দর।
নিরপেক্ষ বচনকে
গুণের
দিক
থেকে
দুই
ভাগে
ভাগ
করা
যায়, সদর্থক
ও নঞর্থক
বচন।
আবার
পরিমানের
দিক
থেকে
নিরপেক্ষ
বচনকে
দুই
ভাগে
ভাগ
করা
যায়, সামান্য
ও বিশেষ
বচন।
গুণ ও পরিমান
সংযুক্ত
ভাবে
আবার
নিরপেক্ষ
বচনকে
চার
ভাগে
ভাগ
করা
যায়।
যথা –
সামান্য সদর্থকঃ সকল ফুল হয় সুন্দর। (A)
সামান্য নঞর্থকঃ কোনো ফুল নয় সবুজ। (E)
বিশেষ সদর্থকঃ কোনো কোনো ফুল হয় সাদা। (I)
বিশেষ নঞর্থকঃ কোনো কোনো ফুল নয় লাল। (O)
বচন ও বাক্যের
মধ্যে
প্রধান
পার্থক্যগুলি
হল –
প্রথমত, প্রত্যেক বাক্য
মাত্রই
বচন
হয় কিন্তু
সব বচন
বাক্য
নয়।
দ্বিতীয়ত, এক বা একাধিক
শব্দ
দিয়ে
বাক্য
তৈরি
হয় তবে
বচন
শুধুমাত্র
উদ্দেশ্য
ও বিধেয়
দিয়েই
তৈরি
হয়।
তৃতীয়ত, বচনে উদ্দেশ্য, বিধেয়
ও সংযোজক
স্পষ্টভাবে
উল্লেখ
করা
থাকে
কিন্তু, বাক্যে
এগুলির
উল্লেখ
থাকতেও
পারে
আবার
নাও
পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ