Higher Secondary Geography Suggestion 2023
১৬. নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের জীবনচক্র লেখো। (২০১৯) +৫
উত্তরঃ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের
কোনো অংশে নিম্ন চাপের সৃষ্টি হলে মেরু অঞ্চল থেকে ঠাণ্ডা ও শুষ্কবায়ু এবং উপ ক্রান্তীয়
অঞ্চল থেকে উষ্ণ ও আডড়ো বায়ু ঐ অঞ্চলে ছুটে আসে। পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে ৩০-৩৫
ডিগ্রী অক্ষাংশের মধ্যে এই ঘূর্ণবাত তৈরি হয়।
১৯১৮ সালে আবহবিজ্ঞানী বাড়কনেস নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণ বাতের ৬টি পর্যায়ের কথা উল্লেখ
করেন। যথা –
১.
প্রাথমিক পর্যায়ঃ এই পর্যায়ে
উষ্ণ ও শীতল বায়ু পাশাপাশি বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়।
২.
সদ্যজাত পর্যায়ঃ এই পর্যায়ে
শীতল বায়ু প্রাচীর বরাবর উষ্ণ বায়ু শীতল বায়ুর মধ্যে ও উষ্ণ বায়ু প্রাচীর বরাবর শীতল
বায়ু উষ্ণ বায়ুর মধ্যে প্রবেশ করে। এর ফলে তরঙ্গের
সাথে ঘূর্ণ বাতের সৃষ্টি হয়।
৩.
প্রাথমিক পূর্ণতা প্রাপ্তি পর্যায়ঃ এই পর্যায়ে উষ্ণ বায়ূ পুঞ্জের কিছু অংশ শীতল বায়ু পুঞ্জের মধ্যে ঢুকে
পড়ে , ফলে ঘূর্ণ বাতটি পরিণত পর্যায়ে পৌছায়।
৪.
সম্পূর্ণ পূর্ণতা প্রাপ্তি পর্যায়ঃ উষ্ণ বায়ু
শীতল বায়ু পুঞ্জে এসে ধাক্কা মারলে উষ্ণ ও আডড়ো বায়ু মেরু অঞ্চলের দিকে অ ভি ক্ষি পত্ব
হয়। এই উষ্ণ ও আডড়ো বায়ু শীতল বায়ু দ্বারা
পরিবেষ্টিত থাকে।
৫. বার্ধক্য পর্যায়ঃ এই পর্যায়ে উষ্ণ ও আদরও বায়ু হালকা
ও ভারী হয়ে শুষ্ক শীতল বায়ুর উপর তির্যক ভাবে উঠে পরে, তখন বৃষ্টি
হয়।
৬. অন্তিম পর্যায়ঃ শেষে দুই বায়ু পুঞ্জের উষ্ণতা প্রায় সমান হয়ে যায়। কয়েকটি শীতল আবর্তিত বায়ু স্রোত অবস্থান করে। সর্ব শেষে ঘূর্ণ বাতটি অদৃশ্য হয়ে যায়।
Good
উত্তরমুছুনHhhhhhhhh
উত্তরমুছুনThat’s good.I am satisfied
উত্তরমুছুন