Higher Secondary Geography Suggestion 2023
জলনির্গম প্রণালী
১০. বিভিন্ন প্রকারে জল নির্গম প্রণালী এর আলোচনা কর। (২০১৬) +৫
উত্তরঃ শিলার গঠন,প্রবেশ্যতা, ক্ষয় প্রতিরোধ দক্ষতা প্রভৃতি দ্বারা নিয়ন্ত্ররিত হয় ও নদী উপনদী শাখানদী এর
মাধ্যামে নানা রকমের নদীর নকশা সৃষ্টি করে, তখন তাকে জল নির্গম
প্রণালী বা নদী নকশা
বলে।
জল নির্গম প্রণালী বিভিন্ন রকমের হয়। যেমন- বৃক্ষ রুপী জল নির্গম প্রণালী,
সামন্তরল জল নির্গম প্রণালী, জাফরি রূপী জল নির্গম প্রণালী,
আয়তকার জল নির্গম প্রণালী, অঙ্গুরীয় জল নির্গম
প্রণালী, কেন্দ্রবিমুখ জল নির্গম প্রণালী, কেন্দ্রমুখি জল নির্গম প্রণালী, প্রভৃতি।
বৃক্ষ রুপী জল নির্গম প্রণালীঃ যে জল নির্গম প্রণালীতে
উপনদী গুলি গাছের মত শাখা প্রশাখার মত থাকে, তখন তাকে বৃক্ষ রুপী জল নির্গম প্রণালী বলে।
বৈশিষ্টঃ (ক) এখানে
উপনদীগুলি বৃক্ষের মত থাকে।
(খ) আববাহিকার স্থানের মাঝে মাঝে ছোট ছোট খাত দেখা যায়।
উদাহরণ – ছোটোনাগপুরের মালভূমি।
সামন্ত্ররাল জল নির্গম প্রণালীঃ ভূপৃষ্ঠে
নদীগুলো সাধারণত পাশাপাশি নালার মত প্রবাহিত হলে, তাকে সামন্ত্ররাল
জল নির্গম প্রণালী।
বৈশিষ্টঃ (ক) নদীগুলি পরস্পর
সামন্তরাল ভাবে প্রবাহিত
হয়।
(খ) নদীগুলি প্রায় ঢালু ভূপৃষ্ঠে প্রবাহিত হয়।
উদাহরণ - বিন্ধ্য
অঞ্চলে এরা কম নদী প্রণালী দেখতে পাওয়া যায়।
কেন্দ্রমুখি জল নির্গম প্রণালীঃ কোনো অঞ্চলের চারিদিকে যদি উচ্চ ভূমি থাকে,
তবে সেখানে নদী গুলি উচ্চ ভূমি থেকে সারাসরি কেন্দ্রের মধ্যে এসে পরে
তখন তাকে কেন্দ্রমুখি জল নির্গম প্রণালী।
বৈশিষ্টঃ সাধারনত অবনত ভুমিভাগে এটি দখতে পাওয়া যায়।
উদাহরণঃ লোকটাক
হ্রদ
কেন্দ্রবিমুখ জল নির্গম প্রণালীঃ কোনো উচ্চভূমি
থেকে নদী যদি ভূমির অনুসারে নিম্ন চারিদিকে প্রবাহিত হয়, তখন তাকে কেন্দ্রবিমুখ জল নির্গম প্রণালী বলে।
বৈশিষ্টঃ (ক) উচ্চভূমি থেকে নদী নিম্নে প্রবাহিত হয়।
(খ) সাধারণত
উঁচু গম্বুজ, আগ্নেয়গিরি, পাহাড়ীয় অঞ্চলে
এটি গঠিত হয়।
উদাহরণঃ পরেশনাথ পাহাড়ের জল নির্গম প্রণালী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ