Higher Secondary Philosophy Suggestion 2023
মিলের ব্যতিরেকি পদ্ধতিটি আলোচনা করো।
সংজ্ঞা, আকার, দৃষ্টান্ত, সুবিধা (২টি), অসুবিধা (২টি)
উত্তরঃ সাধারণ মানুষতো বটেই এমনকি বৈজ্ঞানিকরা কার্যকারণ নীতিতে বিশ্বাসী। অর্থাৎ প্রতিটি কাজের কারণ আছে। এ প্রসঙ্গে মিল এবং বেন বহুকারণবাদ একথা বলেন। তারা বলেন একটি কার্যের অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। মিল এবং বেনের এই মতবাদকে বলা হয় বহুকারণ -বাদ। এখন প্রশ্ন হল কোন কাজের সঙ্গে কোন কারণ সম্পর্কিত, এ প্রসঙ্গে মিল পাঁচটি পদ্ধতির কথা বলেন যার সাহায্যে আমরা কারো নির্ধারণ করতে পারি। আর এই পাঁচটি পদ্ধতির মধ্যে অন্যতম পদ্ধতি হলো ব্যতিরেকী পদ্ধতি।
মিল ব্যতিরেকী পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেছেন
- যদি আলোচ্য ঘটনাটি একটি মাত্র দৃষ্টান্ত উপস্থিত থাকে এবং অপর একটি দৃষ্টান্ত অনুপস্থিত থাকে, এরূপ দুটি দৃষ্টান্ত যদি একটি মাত্র ঘটনা ছাড়া আর সব বিষয়ে মিল থাকে আর যে ঘটনাটিতে মিল নেই সেটি যদি শুধুমাত্র প্রথম দৃষ্টান্ত উপস্থিত থাকে তাহলে যে ঘটনাটি জন্য দুটি দৃষ্টান্তের মধ্যে পার্থক্য ঘটেছে সেটি হবে আলোচ্য ঘটনার কার্যকারণ বা কারণের অনিবার্য অংশ।
বাস্তব উদাহরণঃ ব্যতিরেকী পদ্ধতির বাস্তব উদাহরণ হিসেবে বলা যায় –
রৌদ্রতে ঘোরার পরেই ছেলেটির জ্বর হলো। সুতরাং রৌদে ঘোরায় জ্বর হওয়ার কারণ।
সাংকেতিক উদাহরণঃ নিচে সাংকেতিক উদাহরণটি দিয়ে ব্যতিরেকী পদ্ধতিকে ব্যাখ্যা করা যায় -
কারণ |
কার্য |
ABC |
a ঘটেছে |
BC |
a ঘটেনি |
অতএব, A হল a এরে কারণ বা কারণের অনিবার্য অংশ।
ব্যতিরেকী পদ্ধতির সুবিধাঃ
ব্যতিরেকী পদ্ধতির প্রধান দুটি সুবিধা নিচে আলোচনা করা হলো -
প্রথমত, মিলের অন্বয়ী পদ্ধতির প্রয়োগ করেই কারণ নির্ণয় করে ব্যতিরেকী পদ্ধতির সাহায্যে আমরা সেটাকে যাচাই করতে পারি।
দ্বিতীয়ত, ব্যতিরেকী পদ্ধতি পরীক্ষণ পদ্ধতি আর সেজন্যই ব্যতিরেকী পদ্ধতি সুনিশ্চিতভাবে কার্যকারণ সম্বন্ধ প্রমাণ করতে সক্ষম।
ব্যতিরেকী পদ্ধতির অসুবিধাঃ
প্রথমত, ব্যতিরেকী পদ্ধতি পরীক্ষণমূলক হওয়ায় সকল ক্ষেত্রে পরীক্ষা করা সহজ হয় না।
দ্বিতীয়ত, কোন কোন ক্ষেত্রে সদর্থক দৃষ্টান্ত পাওয়া গেলেও নঞর্থক দৃষ্টান্ত পাওয়া সম্ভব হয়না। যেমন - মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অনুপস্থিতি পাওয়া সম্ভব নয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ