Higher Secondary Sanskrit Suggestion 2023
উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত পদ্য
শ্রীগঙ্গাস্তোত্রম্
প্রশ্ন:- "শ্রীগঙ্গাস্তোত্রম্" কবিতাটির বিষয়বস্তু আলোচনা কর।
উত্তর:-
সুপ্রসিদ্ধ বেদভাষ্যকার, পণ্ডিত ও দার্শনিক
কবি শ্রীশংকরাচার্য ছিলেন অদ্বৈত বেদান্তবাদের প্রবক্তা।
তার এই কবিতার সাহায্যে তিনি
গঙ্গার প্রতি অতি ভক্তি জ্ঞাপন পূর্বক শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। গম্ভীর লালিত্য ও অপূর্ব
পজ্ঝটিকা ছন্দের মূর্ছনায় তিনি দেবী গঙ্গার নিকট জগৎসংসারে কল্যাণ হেতু প্রার্থনা
করেছেন।
তিনি ভগবতী সুরেশ্বরী গঙ্গার
নিকট প্রার্থনা জানিয়ে বলেছেন যে, তাঁর ভক্তি
ও মতি যেন গঙ্গার শ্রীচরণে স্থানলাভ করে, তাহলে
অজ্ঞানতা থেকে মুক্তির পথ অন্বেষণ তাঁর পক্ষে সহজতর হবে। গঙ্গা হলেন ত্রিভুবনের
উদ্ধারকর্ত্রী, মহাদেবের মস্তকে বিহারকারীনী ও চপল
তরঙ্গ যুক্তা। গঙ্গা দেবতাদের ঈশ্বরী ও ষড়ৈশ্বর্যশালিনী। গঙ্গার মহিমা নিগম তথা
বেদাদি শাস্ত্রেও খ্যাত - "মাতস্তব জলমহিমা নিগমে খ্যাতঃ। "কিন্তু গঙ্গার
অসীম মহিমা না জানায় নিজেকে অজ্ঞ বলে অবিহিত করেছেন এবং প্রার্থনা জানিয়ে
বলেছেন - "নাহং জানে তব মহিমানং ত্রাহি কৃপাময়ি মামজ্ঞানম্।"
সকলের দুষ্কর্মের ভারকে দূর
করে এই ভবসাগর থেকে মুক্ত করে তিনি সকলের নিকট হয়ে উঠেছেন সুখদায়িনী।তাই কবি
বলেছেন - "ভাগীরথী সুখদায়িনী মাতঃ।"
তিনি গঙ্গার নিকট এই ভবসাগর
থেকে মুক্তি চেয়ে বলেছেন - "দূরীকুরু মম দুষ্কৃতিভারং কুরু কৃপয়া
ভাবসাগরপারম্"। তাঁর পবিত্রোদক পান করলে বিষ্ণুপদ লাভ করা যায়। যে মাতা গঙ্গার
প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করে, যমরাজের দৃষ্টি
তাকে স্পর্শ করতে পারে না। "পতিতোদ্ধারিনী জাহ্নবী গঙ্গে।" অর্থাৎ
পতিতোদ্ধারিনী গঙ্গা, তিনিগিরিরাজ
হিমালয়কে বিদীর্ণ করে নির্গত হয়েছে।
গঙ্গার মহিমা অপার, অসীম। গঙ্গায় নিত্য স্নানকারী পুনর্জন্মের বন্ধন থেকে মুক্তি
লাভ করে। গঙ্গাকে কবি ভীষ্ম জননী, মুনিবরের কন্যা, জাহ্নবী, ভাগীরথী ইত্যাদি
অভিধায় ভূষিত করেছেন। জনগণকে নরক থেকে উদ্ধার হেতু তিনি ত্রিভুবনে ধন্য। গঙ্গা
কল্পতরুর মত অভীষ্ট ফলদায়ী। তিনি গঙ্গার নিকট বারংবার শোক, পাপ, তাপ ও কুমতি থেকে
উদ্ধার প্রার্থনা করেছেন। তিনি স্বপ্রণোদিত ভাবে মায়ের উদ্দ্যেশ্যে ভক্তিসহকারে
বলেছেন - "ত্বমসি গতির্মম খলু সংসারে।"
মাতা গঙ্গার তীরে বসবাস করা বৈকুণ্ঠে বাসের সমতুল্য - "তব তট নিকটে
যস্য নিবাসঃ খলু বৈকুণ্ঠে তস্য নিবাসঃ।"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ