LightBlog
ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History
Type Here to Get Search Results !

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ

পঞ্চম অধ্যায়

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস

WB Class 8 History


ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা ও বিদ্রোহ | পঞ্চম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

(১) নিচের বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

প্রশ্নঃ বিদ্যাসাগর বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছিলেন - বেথুন সাহেবকে
প্রশ্নঃ মুসলমান সমাজের আধুনিকীকরণের অভিযান শুরু হয় - সৈয়দ আহমেদের সময়
প্রশ্নঃ নীলদর্পণ নাটকটি লেখেন - দীনবন্ধু মিত্র
প্রশ্নঃ বাঁশের কেল্লা গড়ে তোলা হয়েছিল - বারাসাত বিদ্রোহে
প্রশ্নঃ এনফিল্ড হল এক ধরনের - রাইফেল
প্রশ্নঃ ফরাজি আন্দোলন দেখা যায় - ফরিদপুরে
প্রশ্নঃ স্বামী বিবেকানন্দ শিকাগো ধর্মর্সম্মেলনে যোগদান করেন - ১৮৯৩ খ্রি.
প্রশ্নঃ পণ্ডিতা রমাবাঈ যুক্ত ছিলেন - নারীশিক্ষার উন্নতিতে
প্রশ্নঃ সতীদাহ রদ আইন পাস করেন - উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক
প্রশ্নঃ নীলদর্পণ নাটকটি লেখেন - দীনবন্ধু মিত্র
প্রশ্নঃ ব্রিটিশ প্রশাসন কোন্ উপজাতিদের স্বার্থে সাঁওতাল পরগনা গড়ে তোলে? - সাঁওতালদের
প্রশ্নঃ নীলবিদ্রোহের একজন নেতা ছিলেন - দিগম্বর বিশ্বাস
প্রশ্নঃ এনফিল্ড হল এক ধরনের - রাইফেল
প্রশ্নঃ বাঁশের কেল্লা গড়ে তোলা হয়েছিল - বারাসাত বিদ্রোহে
প্রশ্নঃ ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ সংবাদপত্রের সম্পাদক ছিলেন - হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
প্রশ্নঃ বাংলার নীলবিদ্রোহের প্রতি কোন সংবাদপত্র সহমর্মী অবস্থান নিয়েছিল? - হিন্দু প্যাট্রিয়ট
প্রশ্নঃ ১৮৫৭-এর বিদ্রোহে গ্রামে খবর দেওয়া-নেওয়ার মাধ্যম ছিল - রুটি
প্রশ্নঃ সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম শহিদ হয় - মঙ্গল পান্ডে
প্রশ্নঃ নীলবিদ্রোহের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন - রেভারেন্ড জেমস লঙ
প্রশ্নঃ বিদ্যাসাগর বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছিলেন - বেথুন সাহেবকে
প্রশ্নঃ সতীদাহপ্রথা পাস হয় - ১৮২৯ খ্রি
প্রশ্নঃ ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন লোপ পেয়েছিল - ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ আর্য সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয় - পাঞ্জাবে
প্রশ্নঃ হিন্দু কলেজের শিক্ষক ছিলেন - ডিরোজিও
প্রশ্নঃ বৈয়বধর্মের জনপ্রিয় ঐতিহ্য ও ব্রাহ্ম ধারণার মধ্যে সংযোগ তৈরি করেছিলেন - বিজয়কৃয় গোস্বামী
প্রশ্নঃ আলিগড় অ্যাংলো-ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কত খ্রিস্টাব্দে? - ১৮৭৫
প্রশ্নঃ হিন্দু কলেজের শিক্ষক ছিলেন - ডিরোজিও
প্রশ্নঃ কার ছাত্রদের ‘নব্যবঙ্গ’ বা ‘ইয়ং বেঙ্গল’ বলা হত? - ডিরোজিওর
প্রশ্নঃ মহামেডান লিটেরারি সোসাইটি স্থাপিত হয় - ১৮৬৩ খ্রি

(২) নিচের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

প্রশ্নঃ ব্রিটিশ কোম্পানির আমলে কোন ভাষা শিখলে ভারতীয়রা মনে করতেন তাদের সন্তানদের ভবিষ্যং তৈরি হবে এবং চাকুরি পেতে সুবিধা হবে?
উত্তরঃ ইংরেজি
প্রশ্নঃ আর্থিক সচ্ছলতার ক্ষেত্রে যারা মাঝামাঝি স্তরে থাকতেন, তাদের সাধারণভাবে কী বলা হত?
উত্তরঃ মধ্যবিত্ত
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে জেমস অগাস্টাস হিকি বেঙ্গল গেজেট প্রকাশ করেন?
উত্তরঃ 1780 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ বাংলা ভাষার প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকার নাম কী?
উত্তরঃ দিগদর্শন
প্রশ্নঃ বিদ্যাসাগর কোন্ কলেজে অধ্যাপনা করতেন?
উত্তরঃ সংস্কৃত কলেজে
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে বিয়ুশাস্ত্রী পণ্ডিতের নেতৃত্বে বিধবা বিবাহের পক্ষে একটি সভা গঠিত হয়?
উত্তরঃ 1866 খ্রিস্টাব্দের
প্রশ্নঃ প্রার্থনা সমাজ কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ বোম্বাই
প্রশ্নঃ মহাদেব গোবিন্দ রানাডে কোন সমাজ সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উত্তরঃ প্রার্থনা সমাজের
প্রশ্নঃ কোন বিষয়ে শিক্ষালাভের জন্য রমাবাঈ ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ডাক্তারি
প্রশ্নঃ মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে কে বিধবাবিবাহ আন্দোলন শুরু করেন?
উত্তরঃ  বীরেশলিঙ্গম পান্তুলু
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ 1815 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ কে আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ রাজা রামমোহন রায়
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে আত্মীয় সভা থেকে ব্রাক্মসমাজ গড়ে ওঠে?
উত্তরঃ 1828 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ বৈষ্ণব ধর্মের জনপ্রিয় ঐতিহ্য এবং ব্রাত্য ধারণার মধ্যে কে সংযোগ তৈরি করেছিলেন?
উত্তরঃ বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী
প্রশ্নঃ জ্যোতিরাও ফুলে কোথায় সমাজসংস্কার আন্দো -লন শুরু করেন?
উত্তরঃ মহারাষ্ট্রে
প্রশ্নঃ কে ‘আর্য সমাজ’-এর প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ দয়া নন্দ সরস্বতী
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে আর্য সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ 1875 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ কে জাতীয় গৌরব সম্পাদনী সভা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তরঃ রাজনারায়ণ বসু
প্রশ্নঃ কৈ ‘জাতীয় মেলা’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তরঃ নবগোপাল মিত্র
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে স্বামী বিবেকানন্দ ‘ শিকাগো ধর্ম সম্মেলন’-এ যোগদান করেন?
উত্তরঃ 1893 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ ‘মহামেডান লিটেরারি সোসাইটি কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ কলকাতায়
প্রশ্নঃ মুসলমান সংস্কারকদের মধ্যে কে সবথেকে অগ্রগণ্য ছিলেন?
উত্তরঃ স্যার সৈয়দ আহমদ খান
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে ‘আলিগড় অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ 1875 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ কে আলিগড় অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ স্যার সৈয়দ আহমদ খান
প্রশ্নঃ সাঁওতালরা তাদের এলাকায় বহিরাগত মহাজন জমিদারদের কি নামে অভিহিত করতো?
উত্তরঃ দিকু
প্রশ্নঃ হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
উত্তরঃ হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
প্রশ্নঃ মোপালা বিদ্রোহ কোথায় হয়েছিল?
উত্তরঃ দক্ষিণ ভারতের মালাবার অঞ্চল
প্রশ্নঃ কার নেতৃত্বে ওয়াহাবি আন্দোলনের সূচনা হয়?
উত্তরঃ আব্দুল ওয়াহাব
প্রশ্নঃ ভারতে ওয়াহাবি আন্দোলনের পরিচালক কে ছিলেন?
উত্তরঃ সৌয়দ আহমাদ
প্রশ্নঃ তিতুমিরের আসল নাম কি?
উত্তরঃ মির নিসার আলী
প্রশ্নঃ বারাসাত বিদ্রোহের সময় কে ‘বাদশাহ’ উপাধি নিয়েছিলেন?
উত্তরঃ তিতুমীর
প্রশ্নঃ বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের অপর নাম কি?
উত্তরঃ বারাসত বিদ্রোহ
প্রশ্নঃ বাংলায় কে ফরাজি আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন?
উঃ- হাজী শরীয়তউল্লা
প্রশ্নঃ ফরাজি আন্দোলন কতদিন পর্যন্ত চলেছিল?
উত্তরঃ উনবিংশ শতকের শেষ পর্যন্ত
প্রশ্নঃ কোন সময় কালের মধ্যে মুন্ডা বিদ্রোহ চলেছিল?
উত্তরঃ 1899 - 1900 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ বাংলায় কত খ্রিস্টাব্দে নীল বিদ্রোহ শুরু হয়?
উত্তরঃ 1859 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ নীলদর্পণ নাটকটি কে রচনা করেন?
উত্তরঃ দীনবন্ধু মিত্র
প্রশ্নঃ কোন কোন পত্রিকা নীল চাষীদের সমর্থন করেছিল?
উত্তরঃ হিন্দু প্যাট্রিয়ট ও সোমপ্রকাশ
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে নীল বিদ্রোহ শেষ হয়ে যায়?
উত্তরঃ 1863 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ কোন সময় থেকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে নানা সংস্কারকাজ হতে থাকে?
উত্তরঃ 1820 খ্রিস্টাব্দ থেকে
প্রশ্নঃ 1857 খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ প্রকৃত অর্থে কোথায় শুরু হয়েছিল?
উত্তরঃ মিরাটে
প্রশ্নঃ 1857 খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ কোথায় গণবিদ্রোহ আকার ধারণ করেছিল?
উত্তরঃ অযোধ্যায়
প্রশ্নঃ প্রধানত কোন আর্মির সেনারা বিদ্রোহ ঘোষণা করা হয়েছিল?
উত্তরঃ বেঙ্গল আর্মির
প্রশ্নঃ কোন কোন বাহিনীর সিপাহীরা বিদ্রোহ থেকে দূরে সরে ছিল?
উত্তরঃ মাদ্রাজ ও বোম্বাই
প্রশ্নঃ বেঙ্গল আর্মির বেশিরভাগ সিপাহি কোন অঞ্চলে বাসিন্দা ছিল?
উত্তরঃ অযোধ্যার
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ কোম্পানি ঘোষণা করে যে সিপাহীদের নিজের নিজের অঞ্চলে বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারবে?
উত্তরঃ 1856 খ্রিস্টাব্দের
প্রশ্নঃ সিপাহী বিদ্রোহের সময় এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে খবর আদান প্রদানের জন্য কি ব্যবহার করা হতো?
উত্তরঃ চাপাটি বা রুটি
প্রশ্নঃ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর কে কোথায় নির্বাসন দেওয়া হয়?
উত্তরঃ রেঙ্গুনে
প্রশ্নঃ কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন লোপ পেয়েছিল?
উত্তরঃ 1857 খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ
প্রশ্নঃ মহাবিদ্রোহের পরে র্গভনর জেনারেল পদের পরিবর্তে কোন পদ তৈরি করা হয়?
উত্তরঃ ভাইসরয়
প্রশ্নঃ ভারতের প্রথম ভাইসরয় কে ছিলেন?
উত্তরঃ লর্ড ক্যানিং
প্রশ্নঃ মহাবিদ্রোহের পরে ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির পরিবর্তে কারা শাসন  শুরু করে?
উত্তরঃ রানী ভিক্টোরিয়ার

(৩) নিচের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

প্রশ্নঃ ঔপনিবেশিক সমাজে কাদের মধ্যবিত্ত ভদ্রলাোক বলা?
উত্তরঃ মধ্যবিত্ত ঔপনিবেশিক শাসনকালে ভারতীয় সমাজে পরিবর্তন ঘটেছিল। তখন আর্থিক সচ্ছলতার ক্ষেত্রে যাদের অবস্থান ছিল মাঝামাঝি স্তরে, তাদের মধ্যবিত্ত’ বলা হত। 
ভদ্রলোকঃ আবার উচ্চবর্ণের হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত মধ্যবিত্তদের ভদ্রলাোক বলা হত।
মধ্যবিত্ত ভদ্রলাোকঃ ব্রিটিশ আমলে ভারতে আর্থিক দিক থেকে মাঝামাঝি স্তরের উচ্চবর্ণের হিন্দুদের মধ্যবিত্ত ভদ্রলাোক’ বলা হত। এই নবাোদিত মধ্যবিত্ত শ্রেণি ইংরেজ শাসনের উগ্র সমর্থক এবং পৃষ্ঠপাোষক ছিল।

প্রশ্নঃ নারী শিক্ষা ও পণ্ডিতা রমাবাঈ সম্পর্কে যা জানো লেখো। 
উত্তরঃ ঊনিশ শতকে মেয়েদের শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিতে বেশ কিছু মহিলাও অগ্রসর হয়েছিলেন। এদের মধ্যে পশ্চিম ভারতে পণ্ডিতা রমাবাঈ ছিলেন অগ্রগণ্য। ব্রাহ্ম পরিবারের মেয়ে হয়েও তিনি একজন শুদ্রকে বিয়ে করেছিলেন। পরে বিধবা অবস্থায় নিজের মেয়েকে নিয়ে ইংল্যান্ডে গিয়ে ডাক্তারি পড়েন। বিধবা মেয়েদের জন্য আশ্রম তৈরি করেন। তবে রক্ষণশীলদের অনেকেই রমাবাঈয়ের উদ্যে সমালোচনা করেছিলেন। এছাড়া মাদ্রাজে ভগিনী শুভলক্ষী ও বাংলায় বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বিশেষ উল্লেখযোগ্য। উনিশ শতকের দ্বিতীয়ভাগে মেয়েদের শিক্ষার আওতায় আনার জন্য ব্রিটিশ প্রশাসন বিভিন্ন অনুদান দেওয়ার উদ্যোগ নেন।

প্রশ্নঃ বিধবা বিবাহ প্রবর্তন বিষয়ে বিদ্যাসাগরের যুক্তি কী ছিল? 
উত্তরঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাঁর 'বিধবা বিবাহ' রচনাতে বলেন - বিধবা বিবাহ প্রচলিত না থাকাতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে - এটা সবাই বুঝতে পারছেন। অনেকে তাদের নিজের মেয়ে , বোন এদের বিবাহ দিতে রাজি। আছেন কিন্তু এগোতে সাহস করছেন না। কলিযুগে বিধবা বিবাহ যে সর্বপ্রকারেই কর্তব্য কর্ম, সে বিষয়ে আর কোন সংশয় অথবা আপত্তি হইতে পারে না। তিনি আরও বলেন যে, এই ব্যবহার প্রচলিত হওয়া একান্ত আবশ্যক।

প্রশ্নঃ মুন্ডা উলগুলান কী?
উত্তরঃ বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে মুন্ডা উলগুলান বা মুন্ডা বিদ্রোহ ছিল অন্যতম উপজাতীয় কৃষক বিদ্রোহ। এটি শুরু হয়, ( ১৮৯৯–১৯০০ খ্রিঃ )। মুন্ডাদের জমি ধীরে ধীরে বহিরাগত বা দিথুদের হাতে চলে যায়। এছাড়া জমিদার, মহাজন, খ্রিস্টান মিশনারি ও ঔপনিবেশিক সরকারের প্রতি মুন্ডা কৃষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। মুন্ডারা বিশ্বাস করত বিরসা নানা রকম অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী। তাই মুন্ডা উলগুলানের অন্যতম লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে বিরসার শাসন প্রতিষ্ঠা করা। ঔপনিবেশিক প্রশাসনের দমন পীড়নের ফলে মুন্ডা উলগুলান পরাস্ত হয়।

প্রশ্নঃ নব্যবঙ্গা বা ইয়ং বেঙ্গল কাদের বলা হয়?
উত্তরঃ অ্যাংলাো ইন্ডিয়ান হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরাোজিও ছিলেন কলকাতার হিন্দু কলেজের তরুণ শিক্ষক। যুক্তিবাদী এই শিক্ষকের অনুগামী ছাত্রদের নব্যবঙ্গ বা ইয়ং বেঙ্গল বলা লি ইয়ং বেঙ্গল গাোষ্ঠীর উল্লেখযাোগ্য সদস্যগণ হলেন প্যারিচাদ মিত্র, রাধানাথ শিকদার, রামতনু লাহিড়ী, দক্ষিণারঞ্জন মুখাোপাধ্যায় প্রমুখ।
কার্যকলাপঃ ইয়ং বেঙ্গল গাোষ্ঠী বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, জাতপাত প্রভৃতি সামাজিক কুপ্রথার বিরুদ্ধে সাোচ্চার হয়েছিলেন।

প্রশ্নঃ জ্যোডিরাও ফুলে সম্পর্কে যা জানো লেখো। 
উত্তরঃ মহারাষ্ট্রের সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে জ্যোতিরাও ফুলে ও তাঁর স্ত্রী সাবিত্রী বাঈ-এর অবদানও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ব্রাক্ষ্মণদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে নিম্নবর্গীয় মানুষদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁরা লড়াই করেন। ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে পুনায় তাঁরা নারীশিক্ষার প্রসারে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন। বিধবা বিবাহ প্রচলনে তাঁর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে তাঁর প্রতিষ্ঠিত 'সত্যশোধক সমাজ' নীচুতলার মানুষদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করত। তবে জ্যোতিরাও ফুলের উদ্যোগ সত্ত্বেও মহারাষ্ট্রে বিধবা বিবাহ আন্দোলন বিশেষ সফল হয়নি।

প্রশ্নঃ নব্যবঙ্গ গাোষ্ঠী কোন কোন প্রথার বিরাোধিতা করেছিল?
উত্তরঃকলকাতার হিন্দু কলেজের শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরাোজিও-র ছাত্রদের নব্যবঙ্গ বা ইয়ং বেঙ্গল বলা হত।
সামাজিক কুপ্রথার বিরাোধিতাঃ নব্যবঙ্গ গাোষ্ঠী সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন প্রথা ও রীতিনীতির বিরাোধিতা করেছিল। এগুলির মধ্যে উল্লেখযাোগ্য হল - জাতপাতের বিরাোধিতা, বাল্যবিবাহের বিরাোধিতা, বহুবিবাহের বিরাোধিতা। তাদের কার্যকলাপ গোঁড়া হিন্দুদের বিরক্ত করে। গঠনমূলক কাজে তারা যুক্ত ছিলেন না। এইজন্য তারা ব্যর্থ হন।

প্রশ্নঃ স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী ও আর্য সমাজের ভূমিকার কথা লেখো। 
উত্তরঃ ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী আর্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। সমস্ত ধর্মগ্রন্থের মধ্যে বেদকেই চূড়ান্ত বলে তিনি মনে করতেন। তাঁর মতে বেদের মধ্যে সমস্ত জ্ঞান ও বিজ্ঞানের কথা নিহিত রয়েছে। হিন্দুধর্মের আচার মূর্তিপুজো, পুরোহিতদের প্রাধান্য ও বাল্যবিবাহ প্রভৃতি বিষয়গুলির তিনি সমালোচনা করেন। তিনি বিধবা বিবাহ ও নারী শিক্ষারও সমর্থক ছিলেন। পাঞ্জাব ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে আর্য সমাজ জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু দয়ানন্দের মৃত্যুর পর আর্য সমাজ আন্দোলন উগ্র হিন্দুরূপ ধারণ করতে থাকে।

প্রশ্নঃ মালাবারের মোপালা বিদ্রোহের বিবরণ দাও।
উত্তরঃ দক্ষিণ ভারতের মালাবার অঞ্চলে কৃষকরা ঔপনিবেশিক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন সেগুলির মধ্যে অন্যতম হলো মোপালা বিদ্রোহ। মোপালাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন কৃষি শ্রমিক, ছোটো ব্যবসায়ী ও জেলে। ব্রিটিশরা মালাবার দখল করার পর তাদের উপর রাজস্বের বোঝা ও বেআইনি কর চাপান হয়, পাশাপাশি জমিতে কৃষকদের অধিকার অস্বীকার করা হয় ফলে মালাবার অঞ্চলে একের পর এক বিদ্রোহ শুরু হয়। এই বিদ্রোহগুলি দমন করার জন্য ব্রিটিশ প্রশাসন সশস্ত্র বাহিনী ব্যবহার করেছিল।

প্রশ্নঃ নীলবিদ্রোহ ও হিন্দু প্যাট্রিয়ট সম্পর্কে যা জানো লেখো। 
উত্তরঃ বাংলার নীল বিদ্রোহের প্রতি হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা ও তার সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় নীলকরদের বিরুদ্ধে চাষিদের পক্ষ নিয়ে লেখা শুরু করেন। শিশিরকুমার ঘোষ ও মনমোহন ঘোষকে হরিশচন্দ্র নিয়োগ করেন খবরাখবর সংগ্রহের জন্য। ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে হরিশচন্দ্র লেখেন যে, বাংলায় নীলচায় একটি সংগঠিত জুয়াচুরি ও নিপীড়ন ব্যবস্থা মাত্র। তিনি লেখেন যে চাষি একবার নীলচায় করেছে তার থেকে বাঁচার তার আর কোনো উপায় নেই। নীলকর কোনো নীলচাষিকেই ন্যায্য দাম দেয় না। বস্তুত, হরিশচন্দ্রের উদ্যোগেই নীল বিদ্রোহের খবরাখবর বাংলায় শিক্ষিত জনগনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল।

প্রশ্নঃ ব্রিটিশ কোম্পানি কীভাবে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে দমন করেছিল? 
উত্তরঃ চূড়ান্ত দমন পীড়নের মধ্যে দিয়ে ব্রিটিশ কোম্পানি ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ দমন করতে থাকে। কোম্পানির সেনাবাহিনী ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের শেষে পুনরায় দিল্লি অধিকার করে নেয়। মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে বন্দি করে রেঙ্গুনে নির্বাসন দেওয়া হয়। বিদ্রোহীরা অসম যুদ্ধ চালাতে থাকেন, তাদের না ছিল যথেষ্ট সম্পদ না ছিল লোকবল। এছাড়া তাঁদের অস্ত্রশস্ত্র বা যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত ছিল না। কার্যত দিল্লি পুর্নদখল করে ব্রিটিশ কোম্পানি বিদ্রোহ অনেকটাই দমন করে ফেলেছিল। 

প্রশ্নঃ সিপাহি বিদ্রোহ না জাতীয় বিদ্রোহ তথ্য দিয়ে আলোচনা করো? 
উত্তরঃ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের চরিত্র নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক রয়েছে। এই বিদ্রোহ কি নিছকই সিপাহি বিদ্রোহ না জাতীয় বিদ্রোহ। বিদ্রোহের সময়ই একটি সংবাদপত্রের সাংবাদিক হিসেবে কার্ল মার্কস লিখেছিলেন যাকে সেনা বিদ্রোহ মনে করা হচ্ছে তা আদতে ‘জাতীয় বিদ্রোহ'। ধীরে ধীরে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয়তাবাদীরা “ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধ” বলে ব্যাখ্যা করতে থাকেন। যদিও তার মধ্যে কিছুটা অবজ্ঞা ছিল। তবে সিপাহিরা পুরানো মুঘল শাসনব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। ১৮৫৭-র বিদ্রোহীদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের কোনো ধারণা ছিল না। বিদ্রোহী নেতারা অনেকেই একে অন্যের বিরুদ্ধাচরণও করেন। তবে কেবল সিপাহি বিদ্রোহ। বললে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের সামগ্রিক রূপ ধরা পড়ে না।

প্রশ্নঃ তিতুমির কীভাবে তাঁর আন্দোলন সংগঠিত করেছিলেন? 
উত্তরঃ তিতুমির ওয়াহাবি মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বারাসাত নারকেলবেড়িয়া অঞ্চলে ওয়াহাবি আন্দোলন শুরু করেন। তিনি স্থানীয় জমিদার, নীলকর ও ব্রিটিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করেন। বারাসাত অঞ্চলে একটি বাঁশের কেল্লা বানিয়ে তিতুমির নিজে বাদশাহ উপাধি নেন এবং ঘোষণা করেন কোম্পানি সরকারের শাসন শেষ হয়ে আসছে। ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে বারাসাত বিদ্রোহ দমন করার জন্য ব্রিটিশ কাহিনী কামান দেগে বাঁশের কেল্লা ধ্বংস করে দেয়।

(৪) নিচের রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

প্রশ্নঃ শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা করো।
উত্তরঃ উনিশ শতকের বাংলায় প্রায় একক উদ্যোগে শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। শিক্ষা সংস্কারের ক্ষেত্রে তাঁর উদ্যোগেই ব্রাহ্মণ ও বৈদ্য পরিবারের পাশাপাশি কায়স্থ ছেলেরাও সংস্কৃত কলেজে পড়ার সুযোগ পায়। বিদ্যাসাগর অনুভব করেছিলেন যে সংস্কৃতের পাশাপাশি ইংরেজি শিক্ষারও প্রয়োজন। তিনি বুঝেছিলেন মাতৃভাষা ও ইংরেজির মধ্যে সংযোগসাধন জরুরি। পাশাপাশি পাঠ্যসূচিতে গণিত চর্চাও তিনি অন্তর্ভুক্ত করেন। ১৮৫০ - এর দশকে ছাত্রদের জন্য বিদ্যাসাগর অনেকগুলি বই লেখেন। সহকারি স্কুল পরিদর্শক হিসেবে বাংলার বিভিন্ন জেলায় বিদ্যাসাগর কয়েকটি মডেল স্কুল তৈরি করেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে প্রশাসনের তরফে যে সামান্য অর্থ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করা হয় তা দিয়ে সমস্ত মানুষকে শিক্ষার আওতায় আনা সম্ভব নয়। তাই শিক্ষা বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা উচিত বলে বিদ্যাসাগর মনে করতেন। নারীদের শিক্ষাবিস্তারের জন্য তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের খরচে অনেকগুলি মেয়েদের স্কুল তৈরি করেন। বেথুন স্কুলে যাতে মেয়েরা পড়তে যায় তার জন্যও তিনি চেষ্টা করেন। 

প্রশ্নঃ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ কীভাবে গণবিদ্রোহের রূপ নিয়েছিল? 
উত্তরঃ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের গোড়ার দিকে কলকাতার দমদম সেনা ছাউনিতে বন্দুকের টোটা নিয়ে এক গুজব ছড়ায়। বলা হয় যে নতুন এনফিল্ড রাইফেলের টোটায় গোরু ও শুকরের চর্বি মেশানো এবং তা দাঁত দিয়ে সিপাহিদের কেটে নিতে হতো। ফলে সিপাহিরা বিশ্বাস করতে থাকে যে তাদের জাত ও ধর্ম নষ্ট করার চেষ্টা করছে ব্রিটিশ কোম্পানি। সারা দেশের সেনা ছাউনিতে এই গুজব ছড়িয়ে পড়তেই সতর্ক হয়ে কোম্পানি ওই টোটা বানানো বন্ধ করে দেয়। কিন্তু কোম্পানির প্রতি অসন্তোষ বাড়তে থাকে। ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে মঙ্গল পান্ডে নামে এক সিপাহি এক ইউরোপীয় সেনা আধিকারিককে গুলি করেন। এরপর থেকেই আম্বালা, লখনৌ, মিরাটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কোম্পানির বিরুদ্ধে সিপাহিবাহিনীর বিদ্রোহ শুরু হয়। মিরাটের সিপাহিরা দিল্লি পৌঁছে মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে হিন্দুস্থানের সম্রাট ঘোষণা করে। ধীরে ধীরে উত্তর পশ্চিম প্রদেশ ও অযোধ্যার বিভিন্ন সেনা ছাউনিতে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে এবং এদের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় কিছু অভিজাত ও সাধারণ জনগণ। ফলে দ্রুত সিপাহিদের বিদ্রোহ গণবিদ্রোহের রূপ নেয়।

প্রশ্নঃ ধর্ম ও সমাজ সংস্কারকরূপে রাজা রামমোহনের অবদান কী ছিল? 
উত্তরঃ উনবিংশ শতকে বাংলার সমাজ সংস্কারকদের মধ্যে প্রধান ছিলেন রাজা রামমোহন। রায়। তিনি যুক্তিসম্মত বিচারের দ্বারা হিন্দুধর্মের সংস্কারের কথা বলেন। তিনি মূর্তিপূজা, পুরোহিততন্ত্র ও বহু ঈশ্বরবাদের নিন্দা করেন। সে সময় কলকাতা ও তার আশেপাশে সতীদাহ প্রথা বজায় ছিল। রামমোহন সতীদাহ প্রথা বন্ধের পক্ষে জোরালো আন্দোলন করেন। তাঁর চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে লর্ড বেন্টিক আইন করে এই নৃশংস ও অমানবিক সতীদাহ প্রথা বন্ধ করেন। সম্পত্তিতে নারীর আইনগত স্বীকৃতির ক্ষেত্রেও রামমোহন সওয়াল করেন। ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে রাজা রামমোহন রায় কলকাতায় আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করেন। ওই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল সামাজিক সংস্কার করা। ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে আত্মীয় সভা থেকে ব্রাহ্ম সমাজ গড়ে ওঠে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close