LightBlog
জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History
Type Here to Get Search Results !

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ

ষষ্ঠ অধ্যায়

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস

WB Class 8 History


জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ | ষষ্ঠ অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

(১) নিচের বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

প্রশ্নঃ মহারাষ্ট্রে শিবাজি উৎসব প্রচলিত হয় – বালগঙ্গাধর তিলকের নেতৃত্বে
প্রশ্নঃ বাংলা বিভাগের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন – লর্ড কার্জন
প্রশ্নঃ মলে-মিন্টো সংস্কার আইন পাস হয় – ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ ইন্ডিয়ান লিগ (১৮৭৫ খ্রি.)-এর প্রতিষ্ঠাতা – শিশির কুমার ঘোষ
প্রশ্নঃ বাংলা থেকে স্বতন্ত্র অঞ্চল হিসেবে আসামকে আলাদা করা হয় – ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ জাতীয় শিক্ষার প্রসারের সঙ্গে যুক্ত ছিল - বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজ
প্রশ্নঃ কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে বেশিরভাগ প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন – বোম্বাই থেকে
প্রশ্নঃ বড়লাট লর্ড ডাফরিন ‘সংখ্যালঘিষ্ঠদের প্রতিনিধি’ বলে বিদ্রুপ করেন - জাতীয় কংগ্রেসকে
প্রশ্নঃ দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইনটি তুলে দেন - লর্ড রিপন
প্রশ্নঃ ‘কংগ্রেস কোনো ব্রিটিশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের মঞ্চ নয়’-এ কথা বলেন - উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রশ্নঃ ভারতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম রাজনৈতিক সমিতিটির নাম হল – জমিদার সভা
প্রশ্নঃ চরমপন্থার প্রবক্তা ছিলেন না - গোপালকৃষ্ণ গোখলে
প্রশ্নঃ বাংলা বিভাগের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন – লর্ড কার্জন
প্রশ্নঃ ভারতসভার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন – সুরেন্দ্রনাথ
প্রশ্নঃ ইলবার্ট বিল (১৮৮৩ খ্রি.) উত্থাপনের সময় ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর-জেনারেল ছিলেন – লর্ড রিপন
প্রশ্নঃ বড়লাট লর্ড ডাফরিন ‘সংখ্যালঘিষ্ঠদের প্রতিনিধি’ বলে বিদ্রুপ করেন - জাতীয় কংগ্রেসকে
প্রশ্নঃ বাংলা থেকে স্বতন্ত্র অঞ্চল হিসেবে আসামকে আলাদা করা হয় – ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে বেশিরভাগ প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন – বোম্বাই থেকে
প্রশ্নঃ ভারতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম রাজনৈতিক সমিতিটির নাম হল – জমিদার সভা
প্রশ্নঃ মলে-মিন্টো সংস্কার আইন পাস হয় – ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ অরবিন্দ ঘোষ, বিপিনচন্দ্র পাল এবং ব্ৰহ্মবান্ধব উপাধ্যায়ের মধ্যে বিরোধ বেঁধেছিল - বন্দে মাতরম পত্রিকাকে কেন্দ্র করে

(২) নিচের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশণগুলির উত্তর দাওঃ

প্রশ্নঃ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কত খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ 1885 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তরঃ উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রশ্নঃ ভারতের প্রথম জাতীয়তাবাদী সংগঠন কোনটি?
উত্তরঃ বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ প্রকাশিকা সভা প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ 1836 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ ভারতের প্রথম রাজনৈতিক সংগঠন কোনটি?
উত্তরঃ জমিদার সভা
প্রশ্নঃ কোন সময়কালকে সভা সমিতির যুগ বলে অভিহিত করা হয়?
উত্তরঃ 1857 থেকে 1885 খ্রিস্টাব্দ সময়কালকে
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিয়ান লিগ প্রতিস্থিত হয়?
উত্তরঃ 1875 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ কার উদ্যোগে ইন্ডিয়ান লীগ প্রতিষ্ঠা হয়?
উত্তরঃ শিশির কুমার ঘোষের
প্রশ্নঃ কর্নাল অলকট ও মাদাম ব্লাভাটস্কির কোন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়?
উত্তরঃ থিওসফিক্যাল সোসাইটির
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে ভারত সভা গঠিত হয়?
উত্তরঃ 1876 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ ভারত সভা অপর কি নামে পরিচিত?
উত্তরঃ কলকাতায়
প্রশ্নঃ ভারত সভার উদ্যোগে সর্বভারতীয় সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ রামতনু লাহিড়ী
প্রশ্নঃ সি পি ইলবার্ট কে ছিলেন?
উত্তরঃ গর্ভনর জেনারেল লর্ড রিপনের আইনসভার সদস্য
প্রশ্নঃ অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউমের জীবনীকার কে?
উত্তরঃ উইলিয়াম ওয়েডারবার্ন
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে উইলিয়ম ওয়েডারবার্ন হিউমের জীবনী গ্রন্থ লেখেন?
উত্তরঃ 1913 খ্রিস্টাব্দের
প্রশ্নঃ জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার সময়ে ভারতের বড়োলোক কে ছিলেন?
উত্তরঃ লর্ড ডাফরিন
প্রশ্নঃ হিউম -ডাফরিন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব কে প্রকাশ করেন?
উত্তরঃ উইলিয়াম ওয়েডারবার্ন
প্রশ্নঃ কংগ্রেসকে ‘সংখ্যালঘিষ্ঠদের প্রতিনিধি বলে ব্যঙ্গ করেছেন?  
উত্তরঃ লর্ড ডাফরিন
প্রশ্নঃ জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে যোগদান কারী প্রতিনিধির সংখ্যা কত ছিল?
উত্তরঃ ৭২ জন
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন জারি হয়?
উত্তরঃ 1876 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ কে নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন জারি করেন?
উত্তরঃ লর্ড নর্থব্রুক
প্রশ্নঃ দেশীয় মুদ্রণ আইন জারি করেন?
উত্তরঃ লর্ড লিটন
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে দেশীয় মুদ্রণ আইন বাতিল করা হয়?
উত্তরঃ 1881 খিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ কে ‘দেশীয় মুদ্রণ আইন বাতিল করেন?
উত্তরঃ লর্ড রিপন
প্রশ্নঃ অস্ত্র আইন কে জারি করেন?
উত্তরঃ লর্ড লিটন
প্রশ্নঃ প্রতিষ্ঠার প্রথম দু-দশকের কার্যকলাপের নিরিখে বিচার করলে কংগ্রেসের আদিপর্বের কী বলা হয়?
উত্তরঃ নরমপন্থী
প্রশ্নঃ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার বয়স কত করতে হবে বলে নরমপন্থীরা দাবি করেন?
উত্তরঃ ২৩ বছর
প্রশ্নঃ ভারতের আর্থিক দুরবস্থায় ব্রিটিশ শাসনের ভূমিকা নিয়ে নরমপন্থীরা প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন, এই প্রক্রিয়া কী নামে পরিচিত?
উত্তরঃ অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ
প্রশ্নঃ একজন অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদীর নাম লেখো।
উত্তরঃ দাদাভাই নৌরোজি / রমেশচন্দ্র দত্ত
প্রশ্নঃ কারা অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন?
উত্তরঃ নরমপন্থীরা
প্রশ্নঃ কোন্ পদ্ধতিকে রাজনৈতিক ভিক্ষাবৃত্তি বলে ব্যঙ্গ করা হত?
উত্তরঃ নরমপন্থীদের আবেদন-নিবেদন পদ্ধতিকে
প্রশ্নঃ কংগ্রেসের অভ্যন্তরে চরমপন্থার সমর্থকরা কী নামে পরিচিত?
উত্তরঃ চরমপন্থী
প্রশ্নঃ বাংলায় অন্যতম চরমপন্থী নেতা কে ছিলেন?
উত্তরঃ বিপিনচন্দ্র পাল
প্রশ্নঃ মহারাষ্ট্রের অন্যতম চরমপন্থী নেতা কে ছিলেন?
উত্তরঃ বাল গঙ্গাধর তিলক
প্রশ্নঃ পুনা সার্বজনিক সভার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নরমপন্থী গোখলের সঙ্গে কার দ্বন্দ্ব বেধেছিল?
উত্তরঃ বাল গঙ্গাধর তিলকের
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে আইন করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়?
উত্তরঃ 19০8 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপর নজরদারি আরও কঠোর করা হয়েছিল?
উত্তরঃ 1908 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ আদর্শগতভাবে চরমপন্থীদের লক্ষ্য কী ছিল?
উত্তরঃ স্বরাজ অর্জন করা
প্রশ্নঃ বিপিনচন্দ্র পাল স্বরাজ বলতে কী মনে করতেন?
উত্তরঃ চূড়ান্ত স্বাধীনতা
প্রশ্নঃ কোন চরমপন্থী নেতা এলাহাবাদ অধিবেশন আহ্বান করেন?
উত্তরঃ সুরাট অধিবেশনের
প্রশ্নঃ কোন্ অধিবেশনে স্বরাজ, স্বদেশি, বয়কট ও জাতীয় শিক্ষা এই চারটি প্রস্তাব গৃহীত হয়?
উত্তরঃ কলকাতা অধিবেশনে 1906 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে আসামকে পৃথক অঞ্চল হিসেবে বাংলা থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়?
উত্তরঃ 1874 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ কবে সরকারিভাবে বাংলা বিভাজনের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়?
উত্তরঃ 1905 খ্রিস্টাব্দে 19 জুলাই
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে বঙ্গলক্ষ্মী কটন মিলস চালু হয়?
উত্তরঃ 1906 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কস কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ আচার্য প্রফুল্ল রায়
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দ নাগাদ স্বদেশি আন্দোলন সামাজিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল?
উত্তরঃ 1905 খ্রিস্টাব্দে নাগাদ
প্রশ্নঃ বাসুদেও বলবন্ত ফাদকে কে ছিলেন?
উত্তরঃ মহারাষ্ট্রের একজন বিপ্লবী
প্রশ্নঃ ‘অনুশীলন সমিতি’কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ সতীশ চন্দ্র বসু
প্রশ্নঃ ‘ঢাকা অনুশীলন সমিতি’কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ পুলিনবিহারী দাস
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে ‘ঢাকা অনুশীলন সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ 1906 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি কিংসফোর্ডকে মারার উদ্যোগ নেন?
উত্তরঃ 1925 খ্রিস্টাব্দে 30 এপ্রিল
প্রশ্নঃ কিংসফোর্ড কে ছিলেন?
উত্তরঃ বাংলা প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট
প্রশ্নঃ আর্ল অফ মিন্টো কে ছিলেন?
উত্তরঃ ভারতের বড়লাট
প্রশ্নঃ জন মর্লে কে ছিলেন?
উত্তরঃ ভারতসচিব
প্রশ্নঃ কোন্ সংস্কার আইনে মুসলিমদের পৃথকভাবে সদস্য নির্বাচনের অধিকার প্রদান করা হয়?
উত্তরঃ র্মলো মিন্টো সংস্কার আইন 1909 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়?
উত্তরঃ 1911 খ্রিস্টাব্দে
প্রশ্নঃ উত্তর ভারতে কোন্ দলের উদ্যোগে বিপ্লবী কার্যকলাপ চলতে থাকে?
উত্তরঃ গদর দল
প্রশ্নঃ বাঘা যতীন’ নামে কে পরিচিত?
উত্তরঃ যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়

(৩) নিচের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

প্রশ্নঃ লর্ড লিটন ও দমনমূলক আইন সম্পর্কে কী জানা যায়? 
উত্তরঃ ব্রিটিশ শাসনের বেশ কয়েকটি দমনমূলক আইনের কথা জানা যায়। ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে লর্ড নর্থব্রুক নাট্যভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন জারি করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল জাতীয়তাবাদী ভাবধারার নাটকগুলির প্রচার বন্ধ করা। লর্ডলিটন ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ভারতের সংবাদপত্রগুলি এই পদক্ষেপ নিয়ে ভীষণভাবে সমালোচনা করেছিলেন। ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে লর্ড লিটন দেশীয় মুদ্রণ আইন জারি করেন। ওই আইনে বলা হয়, দেশীয় ভাষায় প্রকাশিত সংবাদপত্রগুলি কোন সরকার বিরোধী বক্তব্য প্রচার করতে পারবে না। এর যদি অন্যথা হয় তবে সরকার ওই সংবাদপত্র ছাপাখানা বাজেয়াপ্ত করবে। ওই আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রবল আন্দোলন শুরু হলে ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড রিপন ওই আইনটি বাতিল করেন। লর্ড লিটন ভারতীয়দের ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য অস্ত্রআইনও জারি করেছিলেন।

প্রশ্নঃ অস্ত্র আইন কী?
উত্তরঃ ভারতের ভাইসরয় লর্ড লিটন ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে অস্ত্র আঁইন জারি করেন। এর ফলে অস্ত্র রাখার ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণ চালু হয়।
      অস্ত্র আইনে বলা হয় যে, কোনাো ভারতীয় আত্মরক্ষার জন্যও অস্ত্র রাখতে পারবে না। অন্যদিকে ইউরাোপীয়রা তাদের প্রয়াোজনে অস্ত্র রাখতে পারবে। অর্থাৎ অস্ত্র আইন ইউরাোপীয়দের ক্ষেত্রে প্রযাোজ্য হবে না। 

প্রশ্নঃ অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ কী? 
উত্তরঃ ভারতের আর্থিক দুরবস্থায় ব্রিটিশ শাসনের ভূমিকা নিয়ে নরমপন্থী নেতৃত্ব প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন। এই প্রক্রিয়াকে অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ বলা হয়। অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের মূল লক্ষ্য ছিল ভারতের দারিদ্র্য ও ব্রিটিশ শাসনের সম্পর্ক নির্ণয় করা । এই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন দাদাভাই নৌরজি, মহাদেব গোবিন্দ রানাডে ও রমেশচন্দ্র দত্ত। তাঁদের যুক্তি ছিল ভারত ব্রিটেনের কাঁচামাল আহরণের ভূমিতে পরিণত হয়েছে। ভারতের কৃষি ও শিল্প ধ্বংসের ফলে দেশের যাবতীয় সম্পদ বিদেশে চলে যায়। নরমপন্থীরা একে সম্পদ নির্গমণ বলেন। এর পাশাপাশি উঁচু হারে ভূমি - রাজস্ব চালু থাকায় কৃষক ও কারিগর সবাই নিঃস্ব হয়ে পড়ে। ব্রিটিশ পণ্যের সাথে অসম প্রতিযোগিতায় ভারতীয় পণ্য মার খায় কারণ ব্রিটিশ পণ্য আমদানিতে শুল্ক বসানো হতো না এবং ভারতের শিল্পায়ন ব্যাহত হতে থাকে। কৃষির ওপর চাপ বাড়ে ফলে কৃষির উপযুক্ত কাঠামো না থাকায় দেশের দারিদ্র্য আরও বেড়েছিল। এই নেতিবাচক বিষয়গুলির প্রতিকার করে একটি জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তোলার ভাবনা অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদকে পুষ্ট করেছিল।

প্রশ্নঃ কিংসফোর্ডকে হত্যার চেষ্টার বিবরণ দাও। 
উত্তরঃ বিচারক কিংসফোর্ডকে হত্যার ষড়যন্ত্র অনেক দিন ধরে বাংলার বিপ্লবীরা করছিলেন। ১৯০৮ সালের ৩০শে এপ্রিল মজফফরপুরে কিংসফোর্ডের গাড়িতে ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি বোমা মারেন। কিন্তু ওই গাড়িতে মিসেস কেনেডি ও তার কন্যা ছিলেন। কিংসফোর্ড ছিলেন না, পরদিন ক্ষুদিরাম ধরা পড়েন। বিচারে ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয়। প্রফুল্ল চাকি ধরা পড়ে নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। ক্ষুদিরামের স্মরণে গান লেখা হয় - “একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি।” 

প্রশ্নঃ জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পিছনে হিউমের ভূমিকা কী ছিল?
উত্তরঃ উইলিয়ম ওয়েডারবার্নের লেখা হিউমের জীবনী এবং জাতীয়কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার ইতিহাস থেকে কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হিউমের ভূমিকার কথা জানা যায়।
     অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রসচিব। প্রায় ৩০.০০০ সরকারি নথি দেখে তিনি ব্রিটিশদের বিপক্ষে ভারতীয়দের চরম ক্ষোভের পরিচয় পান। এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নিয়মতান্ত্রিক পথে পরিচালিত করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে রক্ষা করার জন্য তিনি শিক্ষিত ভারতবাসীদের নিয়ে একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন। এভাবে জাতীয় হগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠায় হিউমের ভূমিকাকে অনেকে ষড়যন্ত্র তত্ত আবার অনেকে নিরাপত্তা কপাটিকা তত্ত্ব নামে অভিহিত করেছেন।

প্রশ্নঃ সভা সমিতির যুগ কাকে বলে?
উত্তরঃ ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসনে নতুন ভূমি বন্দোবস্ত, নতুন শিল্পবাণিজ্য ও পাশ্চাত্য শিক্ষা ভারতীয় সমাজে পুঁজিবাদী উচ্চবিত্ত শ্রেণি তাোলে। তারা শ্রেণিস্বার্থ রক্ষার জন্য বিভিন্ন সভাসমিতি প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সূচনা এবং ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সভাসমিতির যুগ শেষ হয়। এ যুগের উল্লেখযাোগ্য সমিতিগুলি ছিল ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান অ্যাসাোসিয়েশন, পুনা নার্বজনিক সভা, বাোম্বাই নেটিভ অ্যাসাোসিয়েশন, মাদ্রাজ মহাজন, কলকাতায় ইন্ডিয়ান লিগ ও ইন্ডিয়ান অ্যাসাোসিয়েশন। তারপর প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। ভারতের প্রত্যেকটি প্রেসিডেন্সি শহর ও অন্যান্য শহরে এই সময়ে (১৮৫৭-১৮৮৫ খ্রি) বহু রাজনৈতিক।

প্রশ্নঃ ইলবার্ট বিল বিতর্ক কী?
উত্তরঃ কোনো ভারতীয় বিচারকের ইউরোপীয় অপরাধীদের বিচার করার অধিকার ছিল না। এই অসাম্য দূর করার জন্য জেনারেল লর্ড রিপনের আইনসভার সদস্য সি পি ইলবার্ট বিচার বিভাগীয় ক্ষেত্রে এই অসাম্য দূর করতে একটি বিল আনেন, তাতে বলা হয় ভারতীয় বিচারকরা, ইউরোপীয় অপরাধীদের বিচার করতে পারবেন। এর প্রতিবাদে ইউরোপীয়রা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এর ফলে বিল যাতে প্রত্যাহার না করা হয় তারজন্য ভারতসভার উদ্যোগে ভারতীয়রা আন্দোলন শুরু করেন। উভয় পক্ষের এই আন্দোলন ও পাল্টা আন্দোলন বিতর্ককে ইলবার্ট বিল বিতর্ক বলা হয়। 

প্রশ্নঃ নরমপন্থী কাদের বলা হয়?
উত্তরঃ নৱমপন্থী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথমদিকের যারা ব্রিটিশ শাসনের প্রতি অনুগত থেকে আবেদন-নিবেদনের আন্দোলনে বিশ্বাস করতেন তাদের নরমপন্থী বলা হয়।
     কংগ্রেসের নরমপন্থী নেতাদের মধ্যে উল্লেখযাোগ্য উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, দাদাভাই নৌরজি প্রমুখ।

প্রশ্নঃ চরমপন্থীদের স্বরাজ ভাবনা কী ছিল? 
উত্তরঃ চরমপন্থীদের আদর্শগত লক্ষ্য ছিল স্বরাজ অর্জন করা। বিভিন্ন চরমপন্থী নেতারা স্বরাজ ধারণাটিকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। বিপিনচন্দ্র পাল মনে করতেন স্বরাজ মানে চূড়ান্ত স্বাধীনতা যা ব্রিটিশের অধীনে থেকে কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। এবিষয়ে অরবিন্দ ঘোষেরও একই মত ছিল। কিন্তু তিলক মনে করতেন প্রশাসনকে ভারতীয় নিয়ন্ত্রণে আনার মধ্য দিয়ে স্বরাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। বাস্তবে বেশিরভাগ চরমপন্থী নেতাই স্বরাজ বলতে ব্রিটিশ সাত জ্যের মধ্যেই স্বশাসনের অধিকারকে বুঝতেন। ফলে চরমপন্থী আন্দোলন আবেদন নিবেদেনের বদলে ঔপনিবেশক সরকারের চাপিয়ে দেওয়া অনায্য আইনগুলি অমান্য করে ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা করার ডাক দেন। পাশাপাশি ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান ও জিনিসপত্র বর্জনের কথা বলা হয়। এর বিকল্পরূপে দেশীয় শিল্প ও শিক্ষার উপরে চরমপন্থী নেতৃত্ব জোর দেন। 

প্রশ্নঃ মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন কী?
উত্তরঃ উনিশ শতকের শেষভাগ থেকে ভারতীয়রা প্রতিনিধিমূলক স্বায়ত্ব শাসনের দাবী জানাতে থাকে। ধীরে ধীরে ইংরেজ সরকারের নানা সমস্যার উদ্ভব হয়। বিশেষ করে চরমপন্থী আন্দোলন যা সরকারের চিন্তার কারণ হয়েছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বাংলা ও মহারাষ্ট্রের বিপ্লবী আন্দোলন। এই অবস্থায় বড়োলাট আর্ল অভ মিন্টো এবং ভারত সচিব জন মর্লে ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অ্যাক্ট পাস করেন। এই আইনে বড়োলাটের কার্য নির্বাহক পরিষদে ও আইন পরিষদে সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়। এর মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার চরমপন্থীদের বিপরীতে নরমপন্থীদের কাছে টেনে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দুর্বল করতে চেয়েছিল। অন্যদিকে মুসলমানদের পৃথক নির্বাচনের অধিকার দিয়ে সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দেওয়া হয়েছিল।

প্রশ্নঃ স্বদেশি শিল্প কীভাবে শুরু হয়? 
উত্তরঃ বয়কট ও স্বদেশি আন্দোলনের ফলে অনেক দেশীয় শিল্প গড়ে উঠল। ছোটো ছোটো শিল্পের পাশাপাশি বড়ো শিল্পও গড়ে উঠেছিল। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে চালু হয়েছিল বঙ্গলক্ষ্মী কটন মিল্স। চিনামাটির পাত্র, সাবান, দেশলাই প্রভৃতির দেশীয় কলকারখানা গড়ে ওঠে। তবে মূলধনের অভাবে স্বদেশি শিল্পগুলি বিশেষ সাফল্য পায়নি। তবে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ছিল এর ব্যতিক্রম।

(৪) নিচের রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

প্রশ্নঃ আদিপর্বের কংগ্রেসি নেতারা সরাসরি ব্রিটিশদের বিরাোধিতা করতে পারেননি কেন?
উত্তরঃ ১৮৮৫ থেকে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালে জাতীয় কংগ্রেসের রাজনৈতিক পন্থা সরাসরি ব্রিটিশ সরকারের বিরাোধিতার লক্ষ্যে চলেনি। প্রথম অধিবেশনেই উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাোষণা করেন যে, কংগ্রেস কোনাো ব্রিটিশবিরাোধী ষড়যন্ত্রের ম নয়। মূলত তারা ব্রিটিশ শাসনের প্রতি সমর্থন জানান। কারণ -
উচ্চবর্গীয়দের উপস্থিতিঃ কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দের মধ্যে অধিকাংশই ছিল ইংরেজি শিক্ষিত উচ্চবর্গীয়। তারা ভারতে ব্রিটিশ শাসনকে ‘বিধির বিধান বলে মনে করতেন।
রাজনৈতিক চিন্তার অভাবঃ প্রতিষ্ঠা এবং তার পরবর্তী সময়ে জাতীয় কংগ্রেস কেবলমাত্র একটি সর্বভারতীয় সংগঠন ছিল, প্রকৃত অর্থে রাজনৈতিক দল বলতে যা বাোঝায়, তা ছিল না। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ সরকারের দোষ-ত্রুটিগুলি দেখিয়ে দেওয়া, বিরাোধিতা করা নয়।
জনসমর্থনের অভাবঃ আদিপর্বে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতি সেই অর্থে জনসমর্থনের অভাব ছিল। তাই তারা ব্রিটিশদের বিরাোধিতা করতে পারেননি।

প্রশ্নঃ মহারাষ্ট্রে কীভাবে সমস্ত বিপ্লৰী কার্যকলাপ সংগঠিত হয়? 
উত্তরঃ ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনের অন্যতম ধাত্রীভূমি ছিল মহারাষ্ট্র। ১৮৭৬-৭৭ খ্রিস্টাব্দে মহারাষ্ট্রে বাসুদেও বলবস্তু ফাদকে সাধারণ মানুষদের নিয়ে একটি সংগঠন তৈরি করেন। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে অর্থের প্রয়োজনে ফাদকে তাঁর দলকে ডাকাতি করতে পাঠান। শেষ অবধি ফাদকে ধরা পড়েন ও তাঁর সশস্ত্র বিদ্রোহের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। এরপরও মহারাষ্ট্রে বিভিন্ন সমিতি ও আখড়ার মাধ্যমে বিপ্লবী কার্যকলাপ চলতে থাকে। বাল গঙ্গাধর তিলক প্রকাশ করেন ‘কেশরী’ ও ‘মারাঠা' পত্রিকা। গণপতি ও শিবাজি উৎসব দ্বারা মানুষ অনুপ্রাণিত হয়। 'আর্যবান্ধব সমাজ -এর মতো গুপ্ত সমিতি মহারাষ্ট্রের ছাত্র - যুবকদের মনে বিপ্লবী চেতনা গড়ে তোলে।

প্রশ্নঃ বাংলায় বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এর বিবরণ দাও। 
উত্তরঃ বাংলাতে শরীরচর্চার প্রতিষ্ঠানগুলিকে কেন্দ্র করে বিপ্লবী কার্যকলাপ সংগঠিত হতে শুরু করে। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় তিনটি ও মেদিনীপুরে একটি দল তৈরি হয়। এদের মধ্যে অন্যতম ছিল সতীশচন্দ্র বসু প্রতিষ্ঠিত ‘অনুশীলন সমিতি’। এই রিপ্লবী সমিতিগুলির কার্যকলাপ গোপনে চলত। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে পুলিনবিহারী দাসের নেতৃত্বে ঢাকা অনুশীলন সমিতি তৈরি হয় ‘যুগান্তর পত্রিকা’ হয়ে ওঠে বাংলায় বিপ্লবীদের মুখপত্র। অর্থ জোগাড় করতে স্বদেশি ডাকাতির পাশাপাশি বিপ্লবীরা বোমা বানাতে শুরু করেন। কলকাতার মানিকতলায় বোমা বানানোর কারখানা তৈরি হয়। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ৩০ এপ্রিল বাংলার অত্যাচারী প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে মারার উদ্যোগ নেন ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি। বাংলায় যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (বাঘা যতীন) জার্মানি থেকে অস্ত্র আনিয়ে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরিকল্পনা করেন। কিংসফোর্ডকে মারার উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর সরকার বিপ্লবী আন্দোলনের প্রতি চরম দমনপীড়ন চালাতে থাকেন। মানিকতলার বোমা কারখানাটির সন্ধান পান ব্রিটিশ প্রশাসন। বিভিন্ন বিপ্লবী নেতাকে গ্রেফতার করে মৃত্যুদণ্ড বা কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর ফলে বাংলায় বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বড়োসড়ো ধাক্কা খায়। 

প্রশ্নঃ লর্ড লিটন-এর দমনমূলক আইনগুলির পরিচয় দাও।
উত্তরঃ লর্ড লিটন প্রশাসনিক দিক থেকে রক্ষণশীল ও স্বৈরাচারী প্রকৃতির ছিলেন। তিনি কয়েকটি দমনমূলক আইন পাস করেন।
দেশীয় মুদ্রণ আইনঃ লর্ড লিটন রুশ প্রভাব প্রতিরাোধের জন্য আফগানিস্তানে সামরিক হস্তক্ষেপ করেন এবং সাম্রাজ্যবাদী কার্যকলাপে লিপ্ত হন। দেশীয় সংবাদপত্রগুলি এজন্য তার সমালাোচনা করে। সেজন্য তিনি ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে দেশীয় মুদ্রণ আইন পাস করেন। এতে বলা হয়, সরকারের সমালাোচনা করল মুদ্রণযন্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হবে।
অস্ত্র আইনঃ তিনি ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে অস্ত্র আইন পাস করেন। এই আইনে বলা হয়, ভারতীয়দের অস্ত্র রাখার ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি লাগবে। প্রতিক্রিয়াশীল লর্ড লিটন এইভাবে দমনমূলক আইনের সাহায্যে ভারতীয়দের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close