LightBlog
West Bengal Class 9 Bengali Suggestion 2023 | নবম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন ২০২৩ | ইলিয়াস | লিও তলস্তয়
Type Here to Get Search Results !

West Bengal Class 9 Bengali Suggestion 2023 | নবম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন ২০২৩ | ইলিয়াস | লিও তলস্তয়

ইলিয়াস
লিও তলস্তয়

West Bengal Class 9 Bengali Suggestion 2023 | নবম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন ২০২৩ | ইলিয়াস | লিও তলস্তয়
West Bengal Class 9 Bengali Suggestion 2023 | নবম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন ২০২৩ | ইলিয়াস | লিও তলস্তয়

(১) বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :


প্রশ্নঃ 'ইলিয়াস নামে একজন বাসকির বাস করত'-ইলিয়াস বাস করত -

(ক) ব্রিটেনে

(খ) উফা প্রদেশ

(গ) রাশিয়ায়

(ঘ) মস্কোয়

উত্তর: (খ) উফা প্রদেশ


প্রশ্নঃ 'এইতার যা কিছুই বিষয়-সম্পত্তি'-কার কথা বলা হয়েছে?

(ক) অতিথি

(খ) মহম্মদ শা

(গ) শামশেমাগি

(ঘ) ইলিয়াস

উত্তর: (ঘ) ইলিয়াস


প্রশ্নঃ 'পঁয়ত্রিশ বছর পরিশ্রম করে সে প্রচুর সম্পত্তি করে ফেলল'-ইলিয়াসের সম্পত্তি ছিল-

(ক) সাতটা ঘোটকী দুটো গরু আর কুড়িটা ভেড়া

(খ) চারটি ঘোটকী, পাঁচটা গরু, হাজারটা ভেড়া।

(গ) দুশো ঘোড়া, দেড়শ গরু মোষ, আর বারোশো ভেড়া

(ঘ) তিন ঘোড়া, একশো মোষ, পনেরশো ভেড়া

উত্তর: (গ) দুশো ঘোড়া, দেড়শ গরু মোষ, আর বারোশো ভেড়া

 

 প্রশ্নঃ 'পাশের পাশের সকলেই তাকে ঈর্ষা করে' - ঈর্ষা করার কারণ

(ক) ইলিয়াসের নাম যশ প্রচুর

(খ) ইলিয়াসের তখন খুব বোলবোলাও

(গ) ইলিয়াস ভাগ্যবান পুরুষ

(ঘ) ইলিয়াস প্রচুর সম্পত্তির মালিক

উত্তর: (খ) ইলিয়াসের তখন খুব বোলবোলাও


প্রশ্নঃ 'ইলিয়াসের বাড়ি থেকে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হলো' - তাদের তাড়িয়ে দেওয়ার কারণ -

(ক) ছোট ছেলে ঝগড়াটে বউ বিয়ে করে বাপের আদেশ অমান্য করেছিল

(খ) গরু মোষ অনেক মারা গিয়েছিল

(গ) ছোট ছেলে মারামারি  করছিল

(ঘ) ভেড়ার পালে মড়ক লেগেছিল

উত্তর: (ক) ছোট ছেলে ঝগড়াটে বউ বিয়ে করে বাপের আদেশ অমান্য করেছিল।


প্রশ্নঃ 'ইলিয়াস, তুমি আমার বাড়ি এসে আমার সঙ্গে থাকো' - একথা বলেছিল -

(ক) মোল্লা

(খ) শামশেমাগি

(গ) মহম্মদ শা

(ঘ) অতিথিরা

উত্তর: (গ) মহম্মদ শা


প্রশ্নঃ 'কিন্তু বড়লোক হওয়ার পরে তারা আয়োশ হয়ে উঠল' - আয়েশী হয়ে উঠেছিল -

(ক) ইলিয়াসের ছেলেমেয়েরা

(খ) মহম্মদ শা ও তার স্ত্রী

(গ) ইলিয়াস ও তার স্ত্রী

(ঘ) অতিথিরা

উত্তর: (ক) ইলিয়াসের ছেলেমেয়েরা


প্রশ্নঃ 'বুড়ো বুড়ি কে রেখে মহম্মদ শার লাভ হল' - কারণ -

(ক) সব কাজই তারা ভালোভাবে করতে পারত

(খ) নিজেরা একদিন মনিব ছিল

(গ) তারা সাধ্যমত কাজকর্ম করত

(ঘ) তারা অলস নয়

উত্তর: (ক) সব কাজই তারা ভালোভাবে করতে পারত


প্রশ্নঃ 'একদল আত্মীয় অনেক দূর থেকে এসে তার বাড়িতে অতিথি হলে।' - আত্মীয় এসেছিল -

(ক) ইলিয়াসের কাছে

(খ) মোল্লার কাছে

(গ) ইলিয়াসের মেয়ের কাছে

(ঘ) মহম্মদ শার কাছে

উত্তর: (ঘ) মহম্মদ শার কাছে


প্রশ্নঃ "এই সম্পন্ন মানুষ দুটির দূরবস্থা দেখে মহম্মদ শার দুঃখ হতো" - সম্পন্ন মানুষ দুটি হল -

(ক) ইলিয়াসের দুই ছেলে

(খ) ইলিয়াস ও তার স্ত্রী

(গ) মোল্লা ও তার স্ত্রী

(ঘ) মোহাম্মদ শা ও তার স্ত্রী

উত্তর:(খ) ইলিয়াস ও তার স্ত্রী


প্রশ্নঃ তাকে দেখেতে পেয়ে মহম্মদ শাহ অতিথিদের বলল -

(ক) আমি তাকে দেখিনি। কিন্তু ওর মধ্যে বিশেষ করে দেখবেন কিছুই আছে নাকি?

(খ) যে বুড়ো মানুষটি চলে গেল তাকে আপনারা লক্ষ্য করেছেন কি?

(গ) লোকটিকে কখনও চোখে দেখিনি

(ঘ) একসময় সে এই তল্লাটের সবচেয়ে ধনী ছিল

উত্তর: (খ) যে বুড়ো মানুষটি চলে গেল তাকে আপনারা লক্ষ্য করেছেন কি?


প্রশ্নঃ 'আমাদের সঙ্গে একটু কুমিস পান করবে' - একথা বলেছিল

(ক) মহম্মদ শা ইলিয়াসকে

(খ) মহম্মদ শা অতিথিকে

(গ) মহম্মদ শা মোল্লাকে

(ঘ)মহম্মদ শা শামশেমাগি

উত্তর: (ক) মহম্মদ শা ইলিয়াসকে


প্রশ্নঃ 'এই হল আমার মনের কথা'-মনের কথাটি কি?

(ক) যখন আমরা ভাড়াটে মানুষের মতন বেঁচে আছি, তখন আমরা পেয়েছি সত্যি কারের সুখ

(খ) বুড়ো বা আমার এক মুহূর্তের জন্যও শান্তি ছিল না

(গ) ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করব সময় নেই

(ঘ) একটা দুশ্চিন্তা পেরোতেই আর একটা এসে মাথায় চাড়া দিত

উত্তর: (ক) যখন আমরা ভারতে মানুষের মতন বেঁচে আছি, তখন আমরা পেয়েছি সত্যি কারের সুখ


প্রশ্নঃ 'তখন মোল্লা বললেন'-মোল্লা বলেছিলেন -

(ক) সুখী জীবন কাকে বলে কোনদিন বুঝিনি

(খ) ঈশ্বর আমাদের কাছের সত্যকে উন্মুক্ত করেছেন

(গ) ইলিয়াস যা বলল সবই সত্য এবং পবিত্র গ্রন্থে লেখা আছে

(ঘ) যা বললাম তা ফুর্তির জন্য নয়, আপনাদের কল্যাণের জন্য

উত্তর: (গ) ইলিয়াস যা বলল সবই সত্য এবং পবিত্র গ্রন্থে লেখা আছে


প্রশ্নঃ 'অতিথিরা বিহ্মিত'-অতিথিদের বিহ্মিত হবার কারন -

(ক) ইলিয়াস ও তার স্ত্রী সর্বহারা হয়েও সুখে আছে

(খ) তাদের কল্যাণের জন্য এ কথা বলেছে তারা

(গ) অর্ধশতাব্দী ধরে তারা সুখ খুঁজেছে

(ঘ) আজ তারা সুখের সন্ধান পেয়েছে

উত্তর: (ক) ইলিয়াস ও তার স্ত্রী সর্বহারা হয়েও সুখে আছে


প্রশ্নঃ 'যখন তার বাবা মারা গেল সে না ধনী, না দরিদ্র'-কার কথা বলা হয়েছে -

(ক)অতিথিরা

(খ) শামশেমাগি

(গ) মোল্লা

(ঘ) ইলিয়াস

উত্তর: (ঘ) ইলিয়াস


প্রশ্নঃ 'ইলিয়াস প্রতিবেশীকে ধন্যবাদ দিল'-ইলিয়াসের প্রতিবেশী ছিল -

(ক) মোল্লা

(খ) মহম্মদ শা

(গ) অতিথিরা

(ঘ) শামশেমাগি

উত্তর:(খ) মহম্মদ শা


প্রশ্নঃ 'তার সবচাইতে ভালো ঘোড়াগুলো চুরি করে নিয়ে গেল' - ঘোড়াগুলি চুরি করেছিল -

(ক) কিরবিজরা

(খ) ইলিয়াসের বিতাড়িত পুত্র

(গ) ইলিয়াস

(ঘ) অতিথিরা

উত্তর:(ক) কিরবিজরা


প্রশ্নঃ 'সম্বলের মধ্যে রইল শুধু কাঁধে একটা বোঁচকা  '- বোঁচকায় ছিল -

(ক) কম্বল, ঘোড়ার জিন, তাবু

(খ) লোমের তৈরি কোর্ট, জুতো, আর বুট

(গ) চা, কুমিস, মাংস, শরবত

(ঘ) অনেক মূল্যবান জিনিস

উত্তর: (খ) লোমের তৈরি কোর্ট, জুতো, আর বোট


প্রশ্নঃ 'সে একেবারে সর্বহারা হয়ে পড়ল' - সর্বহারা হয়েছিল

(ক) মেয়েটি মারা যাওয়ার পর

(খ) আসল অবস্থা বুঝে উঠবার আগেই

(গ) শরীরের জোর কমে গেলে

(ঘ) বড় ছেলে মারা যাওয়ার পর

উত্তর: (খ) আসল অবস্থা বুঝে উঠবার আগেই


প্রশ্ন : "এছাড়াও যদি কখনো কিছু লাগে, বলবে তাও দেবে" - কথাটি কে বলেছিল?

(ক) ইলিয়াস

(খ) মোল্লা

(গ) মহম্মদ শা

(ঘ) অতিথি

উত্তর : (গ) মহম্মদ শা


প্রশ্ন : "আগেকার সুখ আর এখনকার দুঃখ সম্পর্কে তোমার মনের কথা বলতো।" - একথা বলেছে -

শামশেমাগি

অতিথি

মহম্মদ শা

ইলিয়াস

উত্তর : অতিথি


প্রশ্ন : "কখনো সুখ পাইনি" - সুখ পায়নি কখন?

(ক) যখন দুশ্চিন্তা করেছেন

(খ) যখন ধনী ছিলেন

(গ) শীতকালে

(ঘ) যখন সম্পত্তি হারিয়েছিলেন

উত্তর : (খ) যখন ধনী ছিলেন


প্রশ্ন : "এখনকার দুরাবস্থার কথা ভাবে কি খুব কষ্ট হচ্ছে?" - এ কথা কে বলেছিলেন?

(ক) মোল্লা অতিথিদের

(খ) ইলিয়াস বড় ছেলেকে

(গ) মহম্মদ শা ইলিয়াসকে

(ঘ) অতিথি ইলিয়াসের স্ত্রীকে

উত্তর : (ঘ) অতিথি ইলিয়াসের স্ত্রীকে


প্রশ্ন : "দুর্দশার একেবারে চরমে নেমে গেল" - দুর্দশা চরমে নেমে গেল -

(ক) যখন ঘরের আত্মীয় সমাগম হলো

(খ) যখন গ্রীষ্মকাল

(গ) ইলিয়াসের 70 বছর বয়সে

(ঘ) অতিথির কোথায়

উত্তর : (গ) ইলিয়াসের 70 বছর বয়সে


প্রশ্ন : "লোকটিকে কখনো চোখে দেখেনি, কিন্তু তার সুনাম ছড়িয়ে ছিল বহুদূর" - উক্তিটি কার -

(ক) গৃহস্বামীর

(খ) শামশেমাগির

(গ) অতিথির

(ঘ) ইলিয়াসের

উত্তর : (গ) অতিথির


প্রশ্ন : "সুখ খুঁজে খুঁজে এতদিনে পেয়েছি" - সুখ খুঁজেছেন -

(ক) অর্ধশতাব্দী ধরে

(খ) কুড়ি বছর আগে

(গ) 50 বছর ধরে

(ঘ) কল্যাণের জন্য

উত্তর : (গ) 50 বছর ধরে


প্রশ্ন : "এ বিষয়ে তিনিই পুরো সত্য বলতে পারবেন" - সত্যটি বলেছিলেন -

(ক) মহম্মদ শা

(খ) ইলিয়াস

(গ) অতিথি

(ঘ) শামশেমাগি

উত্তর : (ঘ) শামশেমাগি


প্রশ্ন : "বন্ধুগণ হাসবেন না" - বন্ধুদের না হাসার কারণ -

(ক) কথাগুলি সব পবিত্র গ্রন্থে লেখা আছে

(খ) কথাগুলি সবই সত্য

(গ) এটা তামাশা নয়। এটাই মানুষের জীবন

(ঘ) অতিথিদের ভাবনা

উত্তর : (গ) এটা তামাশা নয়। এটাই মানুষের জীবন


প্রশ্ন : "ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবার সময় নেই" ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা সময় নেই কারণ -

(ক) মুহূর্তের জন্যও শান্তি ছিল না

(খ) তারা জাগতিক সুখ দুঃখ নিয়েই ব্যস্ত

(গ) 50 বছর ধরে সুখ খুঁজেছে

(ঘ) মনে দুশ্চিন্তা ছিল তাই

উত্তর : (খ) তারা জাগতিক সুখ দুঃখ নিয়েই ব্যস্ত


(২) নিচের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :


প্রশ্ন : ইলিয়াসের দুরবস্থা কখন চরমে উঠেছিল?

উত্তর : 70 বছর বয়সী ইলিয়াসের অবস্থা খারাপের সঙ্গে সঙ্গে তার শরীরের শক্তি কমে যায়। তখন সে তার পশমের কোর্ট, কম্বল, ঘোড়ার জিন, তাবু এবং সবশেষে গৃহপালিত পশু গুলো বিক্রি করে দিয়ে দুর্দশার একেবারে শেষ অবস্থায় পৌঁছায়।


প্রশ্ন : ইলিয়াসের বাসস্থান কোথায় ছিল?

উত্তর : উফা প্রদেশে


প্রশ্ন : ইলিয়াসের অবস্থা খারাপ হয়েছিল কেন?

উত্তর : ছোট ছেলেকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর থেকেই ইলিয়াসের অবস্থা খুব খারাপ হয়েছিল। ছেলেকে একটা বাড়ি, কিছু গরু ঘোড়া দিয়ে দেবার পরে তার ভেড়ার পালে মোড়ক লাগে। ওরে বছর দুর্ভিক্ষে কিছু গরু ও মোষ মারা যায়। টিভিস না তার সবচেয়ে ভালো ঘোড়াগুলি চুরি করে নিয়ে যায়। এভাবেই ইলিয়াসের অবস্থা খারাপ হয়েছিল।


প্রশ্ন : ইলিয়াসের বাবা কখন মারা গিয়েছিলেন?

উত্তর : ইলিয়াসের বিয়ের মাত্র এক বছর পর তার বাবা মারা গিয়েছিলেন।


প্রশ্ন : "কিন্তু বড়লোক হওয়ার পড়ে তারা আয়েশি হয়ে উঠল" - কারা, কেন আয়েশী হয়ে উঠলো?

উত্তর : ইলিয়াসের ছেলেরা বড়লোক হওয়ার পর আয়েশি হয়ে উঠেছিল।


প্রশ্ন : কত বছর পরিশ্রম করে ইলিয়াস প্রচুর সম্পত্তি করেছিল?

উত্তর : পঁয়ত্রিশ বছর


প্রশ্ন : ইলিয়াসের কয়টি সন্তান ছিল?

উত্তর : দুই ছেলে এবং একটি মেয়ে ছিল।


প্রশ্ন : "তাদের কাজ করে খেতে হতো" - কাদের, কেন কাজ করে খেতে হতো?

উত্তর : ইলিয়াস ও তার স্ত্রীর অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যাওয়ায় তাদের নিজেদেরই কাজ করে খেতে হতো।


প্রশ্ন : "শুনে অতিথিরা ভাবতে বসলো" - অতিথিরা কার কথা শুনে ভাবতে বসলো?

উত্তর : ইলিয়াস ও তার স্ত্রীর কথায় প্রথমে অতিথিরা ভেসে উঠেছিল। কিন্তু পরে যখন মোল্লা তাদেরকে বললেন ইলিয়াসের কথা গুলি সবই খুব সত্য এবং পবিত্র গ্রন্থে লেখা আছে তখন অতিথিরা ভাবতে বসে ছিল।


প্রশ্ন : ইলিয়াসের কাঁধের বোঁচকায় কি কি ছিল?

উত্তর : লোমে তৈরি কোর্ট, টুপি, জুতো এবং বুট।


প্রশ্ন : "অতিথিরা হেসে উঠলো" অতিথিরা হেসে উঠল কেন?

উত্তর : ইলিয়াস ও তার স্ত্রী কোথায় অতিথিরা ভেসে উঠেছিল। কারণ তারা বলেছিল এখন আর তাদের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। যতদিন ধন-সম্পদ ছিল ততদিন মনে দুশ্চিন্তা ছিল। এই কথাটি শুনে অতিথিরা হেসে উঠেছিল।


প্রশ্ন : "তুমি আমার বাড়ি এসে আমার সঙ্গে থাকো" - কে, কাকে একথা বলেছেন?

উত্তর : মহম্মদ শা ইলিয়াসকে একথা বলেছিল।


প্রশ্ন : "এই হল আমার মনের কথা" - উক্তিটি কার? তার মানের কথাটি কী?

উত্তর : উক্তিটির বক্তা ইলিয়াসের স্ত্রী শামশেমাগি।

50 বছর ধরে ইলিয়াস ও তার স্ত্রী একত্রে বসবাস করেছে। কিন্তু প্রকৃত সুখের খোঁজে তারা সারা জীবন পায়নি। আজ যখন তারা সর্বহারা নিঃস্ব তখনই সত্তিকারের সুখের সন্ধান পেয়েছে।


প্রশ্ন : মহম্মদ শা ইলিয়াসকে কি বলেছিল?

উত্তর : ইলিয়াস ও তার স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে এসে থাকতে বলেছিল।


প্রশ্ন : "বরং আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করুন" - কার স্ত্রীকে কে এবং কি জিজ্ঞাসা করবেন?

উত্তর : বৃদ্ধ ইলিয়াসের স্ত্রীর শামশেমাগিকে অতিথি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "সর্বহারা হয়ে, নিঃস্ব রিক্ত হয়ে পরের বাড়ীতে কাজ করে জীবনধারণে তারা সুখী হয়েছেন কি!"


(৩) নিচের ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ


প্রশ্নঃ "ইলিয়াসের তখন খুব বোলবোলাও"—'বোলবোলাও' শব্দের অর্থ উল্লেখ করে উধৃতাংশটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত 'ইলিয়াস' গল্পে ব্যবহৃত উধৃতাংশে ‘বোলবোলাও শব্দের অর্থ হল নামডাক বা খ্যাতি।

     দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছরের কঠোর পরিশ্রম এবং সুব্যবস্থাপনায় ইলিয়াস বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠে। দুশো ঘোড়া, দেড়শো গোরু-মোষ এবং বারোশো ভেড়া-সহ ভাড়াটে মজুর-মজুরনির মনিবে পরিণত হয় ইলিয়াস। ক্রমশ তার খ্যাতি এবং পরিচিতি দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এই কারণেই, আশেপাশের সকলেই তাকে হিংসা করতে থাকে।


প্রশ্নঃ "এ বিষয়ে তিনিই পুরো সত্য বলতে পারবেন।" - 'তিনি' বলতে কার কথা বলা হয়েছে? তিনি সত্য বলতে পারবেন কেন?

উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত 'ইলিয়াস' গল্পে ব্যবহৃত উদ্ধৃতাংশে তিনি বলতে ইলিয়াসের স্ত্রী শাম-শেমাগির কথা বোঝানো হয়েছে।

     মহম্মদ শার বাড়িতে আগত অতিথিরা ইলিয়াসের কাছে জানতে চান যে অতীতের সুখসমৃদ্ধির কথা স্মরণ করে বর্তমান দুঃসময়ের জীবন তাকে কষ্ট দেয় কি না। উত্তরে ইলিয়াস বলে যে, এ বিষয়ে তার স্ত্রী শাম-শেমাগিই ভালো বলতে পারবে। একজন মহিলা হওয়ার কারণেই তার মুখের কথায় মনের প্রকৃত ইচ্ছাই প্রকাশ পাবে।


প্রশ্নঃ "সুখী জীবন কাকে বলে কোনোদিন বুঝিনি।" - প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য লেখো।

উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত 'ইলিয়াস' গল্পে মহম্মদ শার বাড়িতে আগত একজন অতিথির প্রশ্নের উত্তরে শাম-শেমাগি তার এবং ইলিয়াসের দাম্পত্যজীবন সম্পর্কে এ কথা বলেছে। জীবন সম্পর্কে উপলব্ধির কথা বলতে গিয়ে সে জানায়, একসময় ধনী জীবনে তারা কখনও সুখের সন্ধান পায়নি। তাদের জীবনে মনের কথা ভাববার কিংবা বলবার, ভগবানের কাছে প্রার্থনা করার সুযোগ ছিল না। শুধু এক দুশ্চিন্তা থেকে আর-এক দুশ্চিন্তায় তাদের জীবন কেটে গেছে। সুখকে খুঁজে ফিরলেও সুখ তাদের কাছে ধরা দেয়নি কখনও।


প্রশ্নঃ "পাশেপাশের সকলেই তাকে ঈর্ষা করে।" - 'তাকে' বলতে যার কথা বলা হয়েছে? সেই ব্যক্তিকে ঈর্ষার কারণ কী?

উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত 'ইলিয়াস' গল্প থেকে উদ্ধৃতাংশে ‘তাকে বলতে কাহিনির প্রধান চরিত্র বাকির জনগোষ্ঠীভুক্ত ইলিয়াসকে বোঝানো হয়েছে।

     পঁয়ত্রিশ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ইলিয়াস বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে। ওঠে দুলো ঘোড়া, দেড়শো গোরু-মোষ, বারোশো ভেড়া ও ভাড়াটে মজুরদের মনিব হয়ে ওঠে ইলিয়াস। তার এই সমৃদ্ধি এবং প্রচুর ধনসম্পত্তি দেখেই প্রতিবেশীরা সকলে তাকে হিংসা করতে শুরু করে।


প্রশ্নঃ "বৃদ্ধ দম্পতিকে সাহায্য করবার তখন কেউ নেই!" - যে বৃদ্ধ দম্পতির কথা বলা হয়েছে তাদের সাহায্য করার কেউ নেই কেন?

উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত 'ইলিয়াস' গল্পে বৃদ্ধ দম্পতি বলতে ইলিয়াস ও তার স্ত্রী শাম-শেমাগিকে বোঝানো হয়েছে।

     একদা বিপুল সম্পত্তির মালিক ইলিয়াস যখন মড়ক, দুর্ভিক্ষ, চুরি ইত্যাদির ফলে সর্বহারা হয়ে পড়ে তখন তার বিতাড়িত ছোটো পুত্রও অনেক দূরদেশে বসবাস করত। তাদের একমাত্র মেয়েটিও মারা গিয়েছিল। ফলে বৃদ্ধ ইলিয়াস ও তার স্ত্রীর রম দুর্দশায় তাদের সাহায্য করার মতো নিজের কেউ ছিল না।


প্রশ্নঃ "ইলিয়াসের অতিথিবৃত্বেলতার কথা স্মরণ করে তার খুব দুঃখ হলো।" - যার দুঃখের কথা বলা হয়েছে সে দুঃখ নিবারণের জন্য কী করল?

উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত 'ইলিয়াস' গল্পে ইলিয়াসের প্রতিবেশী মহম্মদ শার খুব দুঃখ হল।

     ইলিয়াস যেভাবে অতিথিদের আদর যত্ন করত, সেকথা মনে করে মহম্মদ শা বৃদ্ধ ইলিয়াস ও তার স্ত্রীকে তার বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দিল। সে ইলিয়াসকে তার সাধ্য অনুযায়ী গ্রীষ্মকালে তার তরমুজের খেতে কাজ করতে এবং শীতকালে গোরু-ঘোড়াগুলি দেখাশোনা করতে, আর তার স্ত্রীকে দুধ দোয়া এবং কুমিস তৈরির কাজ করার প্রস্তাব দেয়। এর বিনিময়ে তাদের থাকা ও খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে। এরপরেও অতিরিক্ত কিছু লাগলে মহম্মদ শা তা-ও দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।


প্রশ্নঃ "প্রতি বছরই তার অবস্থার উন্নতি হতে লাগল।" - কার অবস্থার, কীভাবে উন্নতি হতে লাগল?

উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস' গল্পে ব্যবহূত উদ্ধৃতাংশে ইলিয়াসের অবস্থার উন্নতির কথা বোঝানো হয়েছে।

     ইলিয়াসের বাবা যখন মারা যান, তখন তিনি সম্পত্তি বলতে সাতটা ঘোটকী, দুটি গোরু এবং কুড়িটা ভেড়া রেখে গেছিলেন। কিন্তু ইলিয়াসের বুদ্ধি ও পরিশ্রমে সেই সম্পত্তি ক্রমশ বাড়তে থাকে। ইলিয়াস এবং তার স্ত্রী সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করত। এর ফলেই প্রতি বছর তীদের অবস্থার ক্রমশ উন্নতি হতে থাকে।


প্রশ্নঃ "সে একেবারে সর্বহারা হয়ে পড়ল।" - এখানে যার কথা বলা হয়েছে? সে কীভাবে সর্বহারা হয়ে পড়ল?

উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত 'ইলিয়াস' গল্পে 'সে' বলতে ইলিয়াসকে বোঝানো হয়েছে।

     একদা বিপুল সম্পত্তির মালিক ইলিয়াস তার অবাধ্য এবং বিতাড়িত ছোটো ছেলেকে একটা বাড়ি এবং কিছু সংখ্যক গোরু-ঘোড়া দিয়ে দেওয়ার ফলে তার সম্পত্তিতে টান পড়ে। এরপরে মড়ক এবং দুর্ভিক্ষের কারণে তার অনেকগুলি ভেড়া এবং গোরু-মোষ মারা গেলে আর কিরবিজরা তার ভালো ঘোড়াগুলি চুরি করে নিলে তার দুর্দশা চরমে ওঠে। সত্তর বছর বয়সে ইলিয়াস তার পশমের কোট, কম্বল, ঘোড়ার জিন, তাঁবু এবং সবশেষে গৃহপালিত পশুগুলি বিক্রি করে সর্বহারা হয়ে পড়ে।


প্রশ্নঃ "হলিয়াস প্রতিবেশীকে ধন্যবাদ দিল।" - কোন্ প্রতিবেশীর কথা বলা হয়েছে? তাকে ধন্যবাদ দেওয়ার কারণ কী?

উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত 'ইলিয়াস' গল্পে ব্যবহৃত উদ্ধৃতাংশে প্রতিবেশী বলতে মহম্মদ শার কথা বলা হয়েছে।

     সমস্ত সম্পত্তি হারিয়ে ইলিয়াস নিঃস্ব হয়ে পড়েছিল তার তাড়িয়ে দেওয়া। পুত্রও অনেক দূরদেশে থাকত, মেয়েও মারা গিয়েছিল। চূড়ান্ত দুদশীর অসহায় ইলিয়াসকে দয়ালু প্রতিবেশী মহম্মদ শা সাধ্য অনুযায়ী কাজের বিনিময়ে নিজের বাড়িতে থাকা ও খাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তাদের এই রিম বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় প্রতিবেশী মুহম্মদ শা-কে ইলিয়াস ধন্যবাদ দিয়েছিল।


প্রশ্নঃ "এই তার যা কিছু বিষয়-সম্পত্তি।" - কার, কোন্ বিষয়সম্পত্তির কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত 'ইলিয়াস' গল্পে ব্যবহৃত উদ্ধৃতাংশে ‘তার' বলতে রাশিয়ার উফা প্রদেশে বসবাসকারী বাকির জনগোষ্ঠীভুক্ত ইলিয়াসের কথা বোঝানো হয়েছে।

 ইলিয়াসের বাবা মারা যাওয়ার সময় ইলিয়াসের জন্য খুব বেশি সম্পত্তি রেখে যেতে পারেননি। মৃত্যুর সময় তিনি ইলিয়াসের জন্য যে সম্পত্তি রেখে গেছিলেন, তা হল সাতটা ঘোটকী, দুটি গোরু এবং কুড়িটা ভেড়া। এই বিষয়সম্পত্তির কথাই প্রশ্নোবৃত অংশে বলা হয়েছে।


প্রশ্নঃ "ইলিয়াসের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ল।" - ইলিয়াসের অবস্থা কীভাবে খারাপ হয়ে পড়ল? 

উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত 'ইলিয়াস' গল্পে নিজের বিতাড়িত পুত্রকে একটা বাড়ি, কিছু গোরু-ঘোড়া দেওয়ায় ইলিয়াসের সম্পত্তিতে কিছুটা টান পড়ে। এর পরপরই ভেড়ার পালে মড়ক লেগে তার অনেকগুলি ভেড়া মারা যায়। তার পরের বছর দুর্ভিক্ষে খড়ের অভাবে শীতকালে অনেক গোরু-মোষ না খেতে পেয়ে মারা যায়। এর ওপর আবার কিরবিজরা ইলিয়াসের ভালো ঘোড়াগুলি চুরি করে নিলে ইলিয়াসের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে।


প্রশ্নঃ "ক্রমে ক্রমে সব সয়ে গেল।" - সয়ে যাওয়া শব্দের অর্থ উল্লেখ করে উধৃতাংশটির তাৎপর্য লেখো।

উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত 'ইলিয়াস' গল্প থেকে উদ্ধৃতাংশে ‘সয়ে যাওয়া বলতে সহ্য হয়ে যাওয়া বা মানিয়ে নেওয়া বোঝানো হয়েছে।

     বৃদ্ধ ইলিয়াস ও তার স্ত্রী শাম-শেমাগি বিপুল সম্পত্তি হারিয়ে সর্বহারা হয়ে প্রতিবেশী মহম্মদ শার বাড়িতে আশ্রয় পেয়েছিল। এর বিনিময়ে ইলিয়াসকে গ্রীষ্মকালে মহম্মদ শার তরমুজ খেতে কাজ করতে হত এবং শীতকালে গোরু-ঘোড়াদের খাওয়াতে হত। তার স্ত্রী শাম-শোবির কাজ ছিল ঘোটকীর দুধ দোয়া এবং কুমিস তৈরি করা। প্রথমদিকে ভাড়াটে মজুরের মতো কাজ করে খেতে কষ্ট হলেও মনের জোরে ধীরে ধীরে তাদের সব সয়ে গেল।


প্রশ্নঃ "ইলিয়াসের বাড়ি থেকে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হলো।" - কাদের, কেন, কীভাবে তাড়িয়ে দেওয়া হল?

উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত 'ইলিয়াস' গল্পে ইলিয়াস তার ছোটো ছেলে এবং বউমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। ইলিয়াসের ছোটো ছেলের স্ত্রী ছিল অত্যন্ত ঝগড়াটে। তাই বিয়ের পর থেকেই তারা ইলিয়াসের আদেশ অমান্য করতে শুরু করেছিল। সেই কারণেই ক্ষুব্ধ ইলিয়াস তাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেছিল। তবে ধর্মপরায়ণ ইলিয়াস তাদের নিজের সম্পত্তি থেকে একেবারে বঞ্চিত করেনি। সে একটা বাড়ি এবং কিছু গোরু-ঘোড়া তাদের দিয়েছিল।


প্রশ্নঃ "অতিথিরা বিস্মিত।" - অতিথিরা বিস্মিত হলেন কেন?

উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত 'ইলিয়াস' গল্পে অতীতজীবনের সুখ এবং বর্তমান জীবনের দুঃখের দিক থেকে জীবন সম্পর্কে ইলিয়াস দম্পতির উপলব্ধির কথা জানতে চেয়েছিলেন মহম্মদ শার বাড়িতে আগত একজন অতিথি। এর উত্তরে ইলিয়াসের স্ত্রী শাম-শেমাগি তাঁদের জানায় যে পঞ্চাশ বছরের দাম্পত্যজীবনে প্রচুর ধনসম্পদের অধিকারী হয়েও তারা সুখ খুঁজে পায়নি৷ কিন্তু সর্বহারা হয়ে ভাড়াটে মজুরের জীবন কাটানোয় তারা প্রকৃত সুখের সন্ধান পেয়েছে। এই কথা শুনে অতিথিরা বিস্মিত হন।


প্রশ্নঃ "দূর দূরান্তর থেকে অতিথিরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসে।" - অতিথিরা যার সঙ্গে দেখা করতে আসত সে অতিথিদের কীভাবে সেবা করত?

উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত 'ইলিয়াস’ গল্পে দূরদূরান্ত থেকে খ্যাতনামা ব্যক্তিরা ইলিয়াসের সঙ্গে দেখা করতে আসত। অতিথিপরায়ণ ইলিয়াস অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে সকলকেই অত্যন্ত খাতির করত। তার বাড়িতে আগত অতিথির সংখ্যা অনুযায়ী একাধিক ভেড়া কিংবা ঘোটকী মারা হত! কুমিস, চা, শরবত, মাংস ইত্যাদি উৎকৃষ্ট খাদ্য আর পানীয় দিয়ে ইলিয়াস অতিথিদের সেবা করত।

(৪) নিচের রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ


প্রশ্নঃ ইলিয়াস চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো। 

উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত 'ইলিয়াস' গল্পটির অন্যতম প্রধান চরিত্র ইলিয়াস। নীচে ইলিয়াসের কতগুলি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হল -

(১) পরিচয়ঃ উফা প্রদেশে বসবাসকারী বাকির জনগোষ্ঠীভুক্ত ইলিয়াসের দুই পুত্র ও এক কন্যা ছিল। স্ত্রীর নাম ছিল শাম-শেমাসি। জীবনের প্রথম দিকে আর্থিক সচ্ছলতা না থাকলেও পরবর্তীকালে অক্লান্ত পরিশ্রমে ইলিয়াস ধনী হয়ে ওঠে। আবার ভাগ্যদোষে জীবনের শেষপর্যায়ে সে সমস্ত সম্পত্তি হারিয়ে ভাড়াটে মজুরের জীবন কাটাতে শুরু করে।

(২) কঠোর পরিশ্রমী এবং কর্মনিষ্ঠঃ পঁয়ত্রিশ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও কর্মের প্রতি নিষ্ঠা থেকেই ইলিয়াস দুশো ঘোড়া, দেড়শো গোরু-মোষ, বারোশো ভেড়া এবং বহু ভাড়াটে মজুরের মালিকে পরিণত হয়। শেষজীবনে মজুরের কাজ করার সময়েও সে কঠোর পরিশ্রম করে মনিবকে তুষ্ট রাখত।

(৩) অতিথিপরায়ণঃ ইলিয়াস ছিল অতিথিবৎসল। কুমিস, চা, শরবত, মাংস দিয়ে অতিথিদের যথাযথ আপ্যায়ন করত ইলিয়াস। তার অতিথিপরায়ণতার কথা স্মরণ করেই মহম্মদ শা তাকে শেষজীবনে আশ্রয় দিয়েছিল।

(৪) কঠোর অথচ কর্তব্যপরায়ণঃ ইলিয়াস অত্যন্ত কঠোর ছিল বলেই ছোটো পুত্র ও তার ঝগড়াটে স্ত্রী তার আদেশ অমান্য করায় তাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেছিল। কিন্তু সেই বিতাড়িত পুত্রকেই একটি বাড়ি এবং কিছু গৃহপালিত পশু দান করে সে তার কর্তব্যজ্ঞানেরও পরিচয় দিয়েছে।

(৫) সত্যদৃষ্টিঃ জীবনের শেষ পর্যায়ে সমস্ত সম্পত্তি ও সঞ্চয় হারিয়ে সর্বহারা হয়েও ইলিয়াস যেভাবে প্রকৃত সত্য ও সুখ উপলব্ধির কথা বলেছে, তা সকলের কাছে দৃষ্টান্তস্বরূপ ও শিক্ষণীয়।


প্রশ্নঃ "ইলিয়াস তো ভাগ্যবান পুরুষ" - কারা, কেন ইলিয়াসকে ভাগ্যবান পুরুষ বলতে চায়? এই উক্তি তুমি সমর্থন কর কি না যুক্তি-সহ লেখো।

উত্তরঃ লিও তলস্তয়ের 'ইলিয়াস' গল্পে ইলিয়াসের আশেপাশে থাকা লোকজন তার সম্পর্কে মন্তব্যটি করেছিল। ইলিয়াসের বিয়ের পরে যখন তার বাবা মারা গিয়েছিল তখন সে না ধনী, না দরিদ্র। সাতটা ঘোটকী, দুটো গোরু আর কুড়িটা ভেড়া ছিল তার সম্পত্তি। কিন্তু ইলিয়াসের সুপরিচালনা আর তার এবং তার স্ত্রীর কঠোর পরিশ্রমে প্রতি বছরই ইলিয়াসের অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। পঁয়ত্রিশ বছরের পরিশ্রমে ইলিয়াস দুশো ঘোড়া, দেড়শো গোরু-মহিষ আর বারোশো ভেড়ার মালিক হয়। ভাড়াটে মজুররা তার গোরু-ঘোড়ার দেখাশোনা করত। ভাড়াটে মজুরনিরা দুধ দুইত, কুমিস-মাখন-পনির তৈরি করত। ইলিয়াসের নামডাক তখন চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার আশেপাশের লোকেরা তখনই হিংসায় জ্বলে গিয়ে হয়ে উধৃত মন্তব্যটি করেছিল।

     ইলিয়াসের উন্নতি হয়েছিল ভাগ্যের জোরে নয়, তার পরিশ্রমের কারণে। মানুষের চেষ্টা, ইচ্ছাশক্তি আর লক্ষ্য যে তাকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, তার সার্থক উদাহরণ ইলিয়াস। তাই ভাগ্যকে তার সাফল্যের ভিত্তি বললে এই পরিশ্রমের সাফল্যকেই ছোটো করে দেখানো হয়।


প্রশ্নঃ "পশ বছর ধরে সুখ খুঁজে খুঁজে এতদিনে পেয়েছি।" – এই সুখের পরিচয় দাও।

উত্তরঃ লিও তলস্তয় রচিত 'ইলিয়াস' গল্পে বৃদ্ধ ইলিয়াস দম্পতি অবশেষে। 

    দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের দাম্পত্যজীবন পেরিয়ে সুখ খুঁজে পেয়েছে। দীর্ঘ পঞশ বছরের দাম্পত্য জীবনের বেশিরভাগ সময়ই তাদের কেটেছে প্রাচুর্যে। শাম-শেমাগি এ প্রসঙ্গে বলে, সেই জীবনে নিজেদের জন্য তাদের কোনো সময় ছিল না। এমনকি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করারও সময় ছিল না। কিন্তু বর্তমানে সর্বহারা হয়ে ভাড়াটে মজুরের কাজ করে তারা প্রকৃত সুখের সন্ধান পেয়েছে। মনিবের সেবা করার ফাঁকে নিজেদের মধ্যে সুখ-দুঃখের কথা আলোচনা করা কিংবা ভগবানের কাছে প্রার্থনা জানানোর জন্যও যথেষ্ট সময় আছে, অর্থের দুশ্চিন্তাও আর তাদের নেই।


প্রশ্নঃ "ইলিয়াসের অতিথিবৎসলতার কথা স্মরণ করে তার খুব দুঃখ হলো।" - কার কথা বলা হয়েছে? সে কী করেছিল? ইলিয়াসের জীবনে তার কী প্রভাব পড়েছিল?

উত্তর: 'ইলিয়াস' গল্পে উল্লিখিত অংশে ইলিয়াসের প্রতিবেশী মহম্মদ শার কথা বলা হয়েছে।

     মহম্মদ শা নিজে ধনী না হলেও তার অভাব ছিল না। সে ছিল খুব ভালো লোক। তাই ইলিয়াসের দুরবস্থায় তার খুব দুঃখ হয় এবং সে ইলিয়াস ও তার স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে এসে থাকতে বলে। এর বিনিময়ে ঠিক হয় ইলিয়াস তার ক্ষমতা অনুযায়ী গরমকালে তরমুজ খেতে কাজ করবে। আরশীতকালে গোরু-ঘোড়াদের খাওয়াবে। তার স্ত্রী শাম-শেমাগি ঘোটকীগুলোর দুধ দুইবে এবং কুমিস তৈরি করবে। মহম্মদ শা তাদের দুজনেরই খাওয়াপরার দায়িত্ব নেয়। এ ছাড়াও যদি কিছু লাগে তা দিতে প্রতিশ্রুত হয়।

     ইলিয়াস এই উদারতার জন্য মহম্মদ শা-কে ধন্যবাদ দিয়েছিল। ভাড়াটে মজুরের মতো কাজ করতে গিয়ে প্রথমদিকে তাদের খুবই কষ্ট হত, কিন্তু ক্ৰমে সবই সহ্য হয়ে গেল। যত পারত কাজ করত, আর মহম্মদ শার বাড়িতে থাকত। একদিন নিজেরা মনিব ছিল বলে তারা সব কাজই ভালোভাবে করতে পারত। কিন্তু তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে, অর্থ-সম্পত্তিই সুখের ভিত্তি নয়-তা ইলিয়াস ও তার স্ত্রী উপলব্ধি করে। কাজের বাইরে ফাঁকা সময়টা তারা গল্প করার বা ভাবার কাজে লাগাতে পারে। আগের থেকে অনেক দুশ্চিন্তামুক্ত এই জীবনেই তারা প্রকৃত সুখ খুঁজে পায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close