কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টিমুকুন্দরাম চক্রবর্তী
(১) বহু বিকল্পীয় প্রশ্ন :
প্রশ্নঃ মেঘ কোথায় উচ্চনাদে ডাকে -
(ক) অট্টালিকা পরে
(খ) কলিঙ্গে
(গ) গুজরাটে
(ঘ) গগন মন্ডলে
উত্তর: (ঘ) গগন মন্ডলে।
প্রশ্নঃ কোন মাসে তাল পড়ে -
(ক) বৈশাখ মাসে
(খ) আষাঢ় মাসে
(গ) আশ্বিন মাসে
(ঘ) ভাদ্র মাসে
উত্তর: (ঘ) ভাদ্র মাসে।
প্রশ্নঃ কি উলটিয়ে পড়ে?
(ক) শস্য
(খ) পাথরের মূর্তি
(গ) গাছপালা
(ঘ) ঘরবাড়ি
উত্তর: (ক) শস্য
প্রশ্নঃ মঠ অট্টালিকা খানখান করে কে ভেঙে দিল?
(ক) চন্ডী
(খ) গজরাজ
(গ) প্রবল ঝড়
(ঘ) হনুমান
উত্তর: (ঘ) হনুমান
প্রশ্নঃ কেন অন্ধকার হয়েছে?
(ক) গ্রহণ লেগেছে
(খ) সূর্য ডুবে গেছে
(গ) মেঘ ঢেকে গেছে বলে
(ঘ) রাত্রি হয়েছে
উত্তর : (গ) মেঘে ঢেকে গেছে বলে।
প্রশ্নঃ কলিঙ্গদেশে কতদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছিল?
(ক) দুইদিন
(খ) সাত দিন
(গ) চার দিন
(ঘ) দশ দিন
উত্তর: (খ) সাত দিন
প্রশ্নঃ চণ্ডীর আদেশ কে পেয়েছিল?
(ক) কলিঙ্গ বাসীরা
(খ) গুজরাট বাসীরা
(গ) বীর হনুমান
(ঘ) জৈমিনি
উত্তর: (গ) বীর হনুমান
প্রশ্নঃ 'সঘনে চিকুর পরে'- "চিকুর" শব্দের অর্থ কি?
(ক) নারকেল
(খ) তাল
(গ) বাজ
(ঘ) বিদ্যুৎ
উত্তর : (ঘ) বিদ্যুৎ
প্রশ্নঃ 'ঈশানে উড়িলো মেঘ সঘনে'-
(ক) বরিষণ
(খ) জলদ
(গ) মেঘ
(ঘ) চিকুর
উত্তর: (ঘ) চিকুর
প্রশ্নঃ চাল বিদরিয়া কি পরছে?
(ক) তাল
(খ) ডাব
(গ) বরফ
(ঘ) শিলা
উত্তর: (ঘ) শিলা
প্রশ্নঃ অম্বিকা মঙ্গল গান কে গেয়েছেন?
(ক) নদ-নদী
(খ) বীর হনুমান
(গ) চন্ডী
(ঘ) শ্রীকবিকঙ্কণ
উত্তর: (ঘ) শ্রীকবিকঙ্কণ
প্রশ্নঃ চারি মেঘে বরিষে মুষলধারে জল। - এখানে যে ভাবনাটি প্রকাশ পেয়েছে, তা হল-
(ক) চার রকমের মেঘ মুষলধারে জল বর্ষণ করছে
(খ) চারিদিক থেকে মেঘ জল বর্ষণ করছে
(গ) চারি মেঘে নামক মুষলধারে জল বর্ষণ করছে
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর: (ক) চার রকমের মেঘ মুষলধারে জল বর্ষণ করছে।
প্রশ্নঃ "না পাই দেখিতে কেহ রবির কিরণ।" এখানে যে ভাবনাটি প্রকাশ পেয়েছে, তা হল-
(ক) সূর্য ডুবে যাওয়ায় কেউ আর রবির কিরণ দেখতে পায় না।
(খ) ঘন মেঘ আকাশ ঢেকে যাওয়ায় সূর্যের আলো কেউ দেখতে পায়না।
(গ) সূর্য গ্রহণ হওয়ার ফলে রবির কিরণ দেখা যায় না।
(ঘ) কোন টি নয়
উত্তর: (খ) ঘন মেঘ আকাশ ঢেকে যাওয়ায় সূর্যের আলো কেউদেখতে পায়না।
প্রশ্নঃ "দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার" - এখানে যে ভাবনাটি প্রকাশ পেয়েছে, তা হল-
(ক) মেঘ করার জন্য চারিদিক অন্ধকার হওয়ায় কেউ কারোর অঙ্গ দেখতে পায়না।
(খ) সূর্য ডুবে যাওয়ার জন্য কেউ কারোর অঙ্গ দেখতে পায় না।
(গ) সন্ধ্যে হয়ে যাবার জন্য কেউ কারোর অঙ্গ দেখতে পায় না।
(ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তর: (ক) মেঘ করার জন্য চারিদিক অন্ধকার হওয়াই কেউ কারো অঙ্গ দেখতে পায় না।
(২) অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন :
প্রশ্ন : 'কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি' কার লেখা?
উত্তর: মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর লেখা।
প্রশ্ন : কোথায় অন্ধকার হয়ে এলো?
উত্তর: কলিঙ্গের আকাশ অন্ধকার হয়ে এলো।
প্রশ্ন : মুষলধারে কে বর্ষণ করছে?
উত্তর: মুষলধারে চারিমেঘ জল বর্ষণ করছে।
প্রশ্ন :চণ্ডীর আদেশে হনুমান কি করছিল?
উত্তর: চণ্ডীর আদেশে হনুমান মঠ অট্টালিকা ভেঙ্গে খানখান করছিল।
প্রশ্ন : 'উলটিয়া পড়ে শস্য'-শস্য উলটিয়ে কেন পরে?
উত্তর: প্রবল বর্ষণে এবং প্রবল বায়ু প্রবাহের ফলে খেতের ফসল নুয়ে পড়ে অর্থাৎ উল্টে পড়ে।
প্রশ্ন : কবি বেঙ্গ তড়কা বাজ পড়ার কথা বলেছেন কেন?
উত্তর: কলিঙ্গদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে সাতদিন ধরে টানা বর্ষণ হয়। তখন বারবার বাজ পড়তে থাকে। তাই কবি একে বেঙ্গল তড়কা বাজ বলেছেন।
প্রশ্ন : জৈমিনি কে কারা স্মরণ করে?
উত্তর: জৈমিনি কে কলিঙ্গের সকল লোক স্মরণ করে।
প্রশ্ন : 'দেখিতে না পায় কেহ'-কেন দেখতে পাই না?
উত্তর: আকাশ মেঘে ঢেকে যাওয়াই চারিদিক অন্ধকার হয়ে আসে, তাই কেউ নিজের অঙ্গ দেখতে পায়না।
প্রশ্ন : 'চারিমেঘ'বলতে কোন মেঘকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:'চারিমেঘ'বলতে সম্বর্ত, আবর্ত, পুষ্কর ও দ্রোণ-চার প্রকারের কে বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন : 'প্রজা দিল রড়'-'রড়' শব্দের অর্থ কি?
উত্তর: দৌড়ানো বা ছুটে যাওয়া।
প্রশ্ন : 'বেঙ্গ তরকা বাজ'কি?
উত্তর:ব্যাঙের মতন তড়কা করে লাফিয়ে লাফিয়ে যে বাজ পড়ে তাকে বেঙ্গল তড়কা বাজ বলে।
প্রশ্ন : 'উঠে-পড়ে ঘরগুলো করে দলমল'-ঘরগুলো দলমল করার কারণ কি?
উত্তর: সাত দিনের বর্ষণে কলিঙ্গ শহরে প্রবল বন্যা হয়। পর্বত সমান ঢেউ হয়ে বন্যার জল আসে পড়ে ঘরগুলোতে। তাই সেখানকার ঘরগুলো দলমল করছিল।
প্রশ্ন : জৈমিনি কে কখন তারা স্মরণ করে?
উত্তর: কলিঙ্গ দেশে যখন প্রবল ঝড় বৃষ্টি শুরু হয় তখন বারবার বাজ করতে থাকে। সেই সময় ভীত জৈমিনি কে স্মরণ করে।
প্রশ্ন : 'না পারে দেখিতে কেহ রবির কিরণ'-রবির কিরণ দেখতে না পাওয়ার কারণ কি?
উত্তর: কলিঙ্গ দেশে সাতদিন ধরে প্রবল ঝড় বৃষ্টি হয়, কালো মেঘে সমস্ত আকাশ ঢেকে থাকে। তাই কলিঙ্গ বাসি রবির কিরণ দেখতে পারেনি।
প্রশ্ন : শ্রীকবিকঙ্কণ কোন গান গেয়েছেন
উত্তর:শ্রীকবিকঙ্কণ অম্বিকা মঙ্গল গান গেয়েছেন।
(৩) নিচের ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
প্রশ্নঃ "দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার।" - কারোর অঙ্গ দেখতে না পাওয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি' কবিতায় কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উল্লেখ করা হয়েছে। হঠাৎই কলিঙ্গদেশে ভয়ংকর প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দেয়। আকাশ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায়। ফলে সমগ্র কলিঙ্গদেশ অন্ধকারে ঢেকে যায়। কালো মেঘের বুক চিরে ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। অন্ধকার এতটাই ঘন হয়ে ওঠে যে, তা ভেদ করে প্রজাদের নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখার উপায় থাকে না।
প্রশ্নঃ "ঈশানে উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর।" - উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি' কবিতায় আকস্মিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় শুরু হয়। তৈরি হয় বন্যার আশঙ্কা প্রবল। ঝড়বৃষ্টি কলিঙ্গদেশে সর্বনাশ ডেকে আনে। উদ্ধৃতাংশটিতে সেই ভয়াবহ বিপর্যয়ের বর্ণনা করা হয়েছে। কলিঙ্গদেশে আকাশের উত্তর-পূর্ব অর্থাৎ ঈশান কোণে মেঘের ঘনঘটায় চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। প্রজারা সেই অন্ধকারে নিজেদেরকেও দেখতে পাচ্ছে না। মেঘের বুক চিরে অবিরাম বিদ্যুতের ঝিলিক পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তোলে।
প্রশ্নঃ "প্রলয় গগিয়া প্ৰজা ভাবয়ে বিষাদ।" - প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রজাদের বিষাদের কারণ আলোচনা করো।
উত্তর: কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি' কাব্যাংশ থেকে নেওয়া উধৃতিটিতে কলিঙ্গলাদেশের প্রজাদের কথা বলা হয়েছে।
কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎ প্রচুর মেঘ জমাট বাঁধে। ঈশান কোণে জমাটবাঁধা মেঘ সারা আকাশ ঢেকে ফেললে সর্বত্র অন্ধকার নেমে আসে। উত্তরের প্রবল বাতাসে দূর থেকে মেঘের গম্ভীর আওয়াজ ভেসে আসে। মেঘের প্রবল গর্জন ও ঘনঘন বিদ্যুৎচমকের সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টিপাত। মহাপ্লাবনের আশঙ্কায় প্রজারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
প্রশ্নঃ "বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়।'" - 'রড়' শব্দের অর্থ কী? কোথাকার প্রজারা কী কারণে বিপাকে পড়েছিল?
উত্তরঃ 'কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি' কাব্যাংশ থেকে নেওয়া উধৃতাংশে উল্লিখিত ‘রড়' শব্দের অর্থ ‘পালিয়ে যাওয়া।
দেবী চণ্ডীর ইচ্ছা অনুযায়ী কলিঙ্গদেশে প্রবল ঝড়বৃষ্টি বিপর্যয় ডেকে আনে। আকাশ ঘন মেঘে ঢেকে যায়| ঘন অন্ধকারে প্রজাদের নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখার উপায় থাকে না। প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে মেঘের গম্ভীর গর্জন ও ঝড়ের তাণ্ডবে সেখানকার প্রজারা বিপদের আশঙ্কায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
প্রশ্নঃ "পরিচ্ছিন্ন নাহি সন্ধ্যা দিবস রজনী।" - 'পরিচ্ছিন্ন' শব্দের অর্থ কী? কবি এরকম বলেছেন কেন?
উত্তরঃ কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা ‘কলিদেশে ঝড়বৃষ্টি কবিতায় পাওয়া ‘পরিচ্ছিন্ন' শব্দটির অর্থ হল ‘বিভেদ' বা পার্থক্য’।
দেবীচণ্ডীর ইচ্ছায় কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। সমগ্র আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। বিদ্যুৎ চমক আর মেঘগর্জনের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। প্রজারা ভয় পেয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। সবুজ শস্যের খেত ধুলোয় ঢেকে যায়। প্রবল বৃষ্টিতে জলে ডুবে যায় চারপাশ। জল-স্থল একাকার হয়ে পথ হারিয়ে যায়। মেঘের গর্জনে কেউ কারোর কথা শুনতে পায় না। অন্ধকার এতটাই নিবিড় হয়ে যায় যে দিন এবং রাত্রিকেও কেউ আলাদা করতে পারে না।
প্রশ্নঃ "চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ।" - উধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা 'কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি' কবিতায় দেবী চণ্ডীর নির্দেশে কলিঙ্গদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসে ঘন কালো মেঘে আকাশ ঢেকে যায়। প্রবল মেঘগর্জনে প্রজারা চিন্তিত হয়ে পড়ে। ঝড়ের তাণ্ডবে তারা ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। সবুজ শস্যের খেত ধুলোয় ঢেকে যায়। বৃষ্টি এতটাই তীব্র হয় যে কবি মনে করেন, আটটি দিকের পাহারাদার আটটি হাতি-ঐরাবত, পুণ্ডরীক, বামন, কুমুদ, অঞ্জন,পুষ্পদন্ত, সার্বভৌম এবং সুপ্রতীক যেন তাদের খুঁড়ের সাহায্যে চারমেঘে জল দিচ্ছে। আর তার ফলেই প্রবল বৃষ্টিপাতে চারপাশ জলে ডুবে গেছে।
প্রশ্নঃ "কলিঙ্গে সোঙরে সকল লোক যে জৈমিনি।" - জৈমিনি কে? কলিঙ্গবাসীর জৈমিনিকে স্মরণের কারণ কী?
উত্তরঃ 'কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি' কাব্যাংশে উল্লিখিত জৈমিনি হলেন এক বাক্সিদ্ধ ঋষি। এনার নাম স্মরণ করলে বজ্রপাত বন্ধ হয়ে যায় এই বিশ্বাসে বজ্রপাতের সময় মানুষ এঁর নামকীর্তন করে।
কলিঙাদেশের আকাশে হঠাৎ ঘন কালো মেঘ জমে ওঠে। আকাশভাঙা মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে মুশলধারায়। মেঘের গম্ভীর গর্জন, ঘনঘন বজ্রপাত, ঝড়ের প্রবল তাণ্ডবে ভীত কলিঙ্গাবাসী এই ভীষণ বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার আশায় ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে।
প্রশ্নঃ "না পায় দেখিতে কেহ রবির কিরণ।" - কারা, কেন রবির কিরণ দেখতে পায়নি?
উত্তরঃ 'কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি' কাব্যাংশ থেকে নেওয়া উধৃতাংশটিতে ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলিঙ্গবাসীর কথা বলা হয়েছে।
কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎই প্রচুর মেঘ জমাট বাঁধে, মেঘের ঘনঘটার। মাঝে বিদ্যুতের ঝলকে সমগ্র কলিঙ্গদেশ কেঁপে ওঠে, দূরদিগন্তে মেঘের। গম্ভীর আওয়াজের সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারায় বৃষ্টি। কালো মেঘে চারদিকঅন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ায় দিনরাত্রির পার্থক্যও বোঝা সম্ভব হয় না কলিঙ্গাবাসীর। সাত দিন একটানা প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে তারা সূর্যের। আলো দেখতে পায় না।
(৪) বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তরঃ
প্রশ্নঃ "প্রলয় গগিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ।" - কী দেখে প্রজাদের প্রলয় মনে হয়েছিল? এই প্রলয়ের ফলে কী হয়েছিল?
উত্তরঃ মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা 'কলিঙ্গাদেশে ঝড়বৃষ্টি' নামক কাব্যাংশে কলিঙ্গদেশের আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। উত্তর-পূর্ব কোণে মেঘের সঙে দেখা দেয় বিদ্যুৎচমক চারদিকে মুশলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়। এইসব দেখেই প্রজাদের মনে প্রলয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়। কলিঙ্গের আকাশে ঈশান কোণে, মেঘ জমা হয়। ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। দূরদিগন্তে মেঘের গম্ভীর আওয়াজের সঙ্গে শুরু হয় মুশলধারায় বৃষ্টি। বিপদের আশঙ্কায় প্রজারা ঘর ছেড়ে দ্রুত পালাতে থাকে। ঝড়ের দাপটে শস্যখেত এবং সবুজ গাছপালা নষ্ট হয়ে যায়। আটটি দিকের আটটি হাতি যেন বৃষ্টিধারায় সব ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায়। প্রবল বৃষ্টিতে পথঘাট জলে ডুবে যায় ঘোর অন্ধকারে দিনরাত্রির পার্থক্য মুছে যায়। জলমগ্ন রাস্তায় সাপ ভেসে বেড়াতে থাকে। ভীত প্রজারা এই ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে। সাত দিন ধরে একটানা বৃষ্টির ফলে কৃষিকাজ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ঘরবাড়িও নষ্ট হয়ে যায়। ভাদ্র মাসের তালের মতো বড়ো আকারের শিল ঘরের চাল ভেদ করে পড়তে থাকে। দেবীর আদেশে সমস্ত নদ-নদী কলিঙ্গের দিকে ছুটে আসে দেবীর আদেশে। পর্বতের মতো উঁচু ঢেউয়ের আঘাতে বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। দেবী চণ্ডীর আদেশে সৃষ্ট এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অসহায়, ভীত প্রজারা বিপদের আশঙ্কায় অবশেষে কলিঙ ত্যাগ করে চলে যায়।
প্রশ্নঃ 'কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি' কবিতায় কলিঙ্গে যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছিল তা কীভাবে কলিঙ্গবাসীর জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছিল বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খণ্ডের অন্তর্গত ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি' কাব্যাংশে দেবী চণ্ডী তার কৃপাধন্য ব্যাধ কালকেতুর তৈরি গুজরাট নগরে বসতি প্রতিষ্ঠার জন্য কলিঙ্গদেশে প্লাবন ঘটান। কলিঙ্গের আকাশে ঈশান কোণে মেঘ জমা হয়। ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। দূরদিগন্তে মেঘের গম্ভীর ধ্বনির সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারায় বৃষ্টি। বিপদের আশঙ্কায় প্রজারা ঘর ছেড়ে দ্রুত পালাতে থাকে। ঝড়ের দাপটে শস্যখেত এবং সবুজ গাছপালা নষ্ট হয়ে যায়। আটটি দিকের আটটি হাতি যেন বৃষ্টিধারায় সব ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায়। প্রবল বর্ষণে পথঘাট জলে ডুবে যায়। ঘোর অন্ধকারে দিন রাত্রির পার্থক্য মুছে যায়। জলমগ্ন রাস্তায় সাপ ভেসে বেড়াতে থাকে। ভীত প্রজারা এই ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে নিস্তার পেতে ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে। সাত দিন ধরে অবিরাম বর্ষণের ফলে কৃষিকাজ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ঘরবাড়িও নষ্ট হয়ে যায়। ভাদ্র মাসের তালের মতো বড়ো আকারের শিল ঘরের চাল ভেদ করে পড়তে থাকে। দেবীর আদেশে সমস্ত নদনদী কলিঙ্গের দিকে ছুটে আসে দেবীর আদেশে পর্বতের মতো উঁচু ঢেউয়ের আঘাতে বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। দেবী চণ্ডীর আদেশে সৃষ্ট এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অসহায়, ভীত প্রজারা বিপদের আশঙ্কায়। শেষপর্যন্ত কলিঙ্গ ত্যাগ করে চলে যায়।
Man 2
উত্তরমুছুনBonay jolar dhau ki rup lav kora chilo
মুছুনAtp ki
উত্তরমুছুনbaltu hoyeche
উত্তরমুছুনvalo
উত্তরমুছুনfaltu
উত্তরমুছুনFaltu
মুছুনফালতু
উত্তরমুছুনPorasuno kore ki?? Laav sei to ekdin more jabo😂
উত্তরমুছুনআর 4 মার্ক্স এর প্রশ্ন পাওয়া যাবে না
উত্তরমুছুনকিংবা আর 3 মার্ক্স এর প্রশ্ন পাওয়া যাবে না
Bhar me gia parai barai
উত্তরমুছুনFaltu
উত্তরমুছুনPogakt
উত্তরমুছুনThanks
উত্তরমুছুনTnx
উত্তরমুছুনAj theke joto gulo porechi sotti bolte Ek to aseni🙂
উত্তরমুছুনAj theke Apner joto gulo question porechi all ready sob eseche ...😊🎉Thank you... 😍
উত্তরমুছুন