মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৪ – হারিয়ে যাওয়া কলি কলম (প্রবন্ধ) নিখিল সরকার
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম
শ্রীপান্থ
(১) বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ "সবাই এখানে লেখক"। - 'এখানে' বলতে কোন স্থানের কথা বোঝানো হয়েছে?
(ক) বিদ্যালয়কে
(খ) পুস্তকালয়কে
(গ) সংবাদপত্রের আপিসকে
(ঘ) লেখকের বাড়িকে
উত্তর : (গ) সংবাদপত্রের আপিসকে
১.২ "কিন্তু আমি ছাড়া কারও হাতে কলম নেই"। - এখানে 'আমি' কে?
(ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
(খ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) শ্রীপান্থ
উত্তর : (ঘ) শ্রীপান্থ
১.৩ "আমরা কলম তৈরি করতাম" লেখক - কি দিয়ে কলম তৈরি করতেন?
(ক) রোগা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে
(খ) শর দিয়ে
(গ) মোটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে
(ঘ) কলম তৈরি করার যন্ত্র দিয়ে
উত্তর : (ক) রোগা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে
১.৪ "বাইরে ফেললে গরু খেয়ে নিলে অমঙ্গল"। - এখানে কিসের কথা বলা হয়েছে?
(ক) হোম টাস্ক করা শালপাতার
(খ) পুজোর প্রসাদের
(গ) হোম টাস্ক করা কলাপাতার
(ঘ) পুজোর ফুলের
উত্তর : (গ) হোম টাস্ক করা কলাপাতার
১.৫ "তিন ত্রিফলা সিমুল ছালা"। - এখানে 'ত্রিফলা' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
(ক) তিনটি ফলা
(খ) আমলকী, হরীতকী ও বয়ড়া
(গ) আম, জাম ও কাঁঠাল
(ঘ) তিন রকমের ফল
উত্তর : (খ) আমলকী, হরীতকী ও বয়ড়া
১.৬ "আমরা এত কিছু আয়োজন কোথায় পাব"। - কোন্ বিষয়ের জন্য এত আয়োজন এর কথা বলা হয়েছে?
(ক) পড়াশোনার
(খ) পিকনিকের
(গ) কালি তৈরির
(ঘ) পূজো আর্চার
উত্তর : (গ) কালি তৈরির
১.৭ "এত বছর পরে সেই কলম যখন হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম তখন মনে কষ্ট হয় বইকী"! - এখানে কোন্ কলম হাত ছাড়ার কথা বলা হয়েছে?
(ক) খাগের কলম
(খ) বাঁশের কঞ্চির কলম
(গ) ঝরনা কলম
(ঘ) পার্কার কলম
উত্তর : (খ) বাঁশের কঞ্চির কলম
১.৮ "আমি যদি রোম সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হতাম", - এখানে লাইনের সঙ্গে কোন প্রসঙ্গটি মেলে?
(ক) আব্রাহাম লিঙ্কন
(খ) জুলিয়াস সিজার
(গ) বিসমার্ক
(ঘ) নেপোলিয়ন
উত্তর : (খ) জুলিয়াস সিজার
১.৯ "তার ইংরেজি নাম 'কুইল'।" - এখানে কার ইংরেজি নাম কুইল?
(ক) পালকের কলমের
(খ) খাগের কলমের
(গ) হাড়ের কলমের
(ঘ) নলখাগড়ার কলমের
উত্তর : (ক) পালকের কলমের
১.১০ "উইলিয়াম জোন্স কিংবা কেরী সাহেবের স-মুনশি ছবিতে দেখা যায় যার সামনে ..." - কি দেখা যায়?
(ক) দামি কলমদানি
(খ) তাদের নেশার সামগ্রী
(গ) নলখাগড়ার কলম
(ঘ) তাদের দোয়াতে গোঁজা পালকের কলম
উত্তর : (ঘ) আদির দোয়াতে গোঁজা পালকের কলম
১.১১ কলমের দুনিয়ায় সত্তিকারের বিপ্লব ঘটাই -
(ক) ফাউন্টেন পেন
(খ) ডট পেন
(গ) পালকের কলম
(ঘ) খাগের কলম
উত্তর : (ক) ফাউন্টেন পেন
১.১২ ফাউন্টেন পেন আবিষ্কার করেন -
(ক) জন হেনরি
(খ) লুইস এডসন ওয়াটারম্যান
(গ) জন ওয়াটারম্যান
(ঘ) জুলিয়াস সিজার
উত্তর :(খ) লুইস এডসন ওয়াটারম্যান
১.১৩ "আমি সেদিন সেই জাদু পাইলট নিয়েই ঘরে ফিরে ছিলাম"। - 'জাদু পাইলট' কি?
(ক) জাপানি ফাউন্টেন পেন
(খ) জাদুকর পাইলট
(গ) একটি ঘড়ির নাম
(ঘ) পাইলটের জাদু দেখানো
উত্তর : (ক) জাপানি ফাউন্টেন পেন
১.১৪ "এই নেশা পেয়েছি আমি শরৎদার কাছ থেকে"। - লেখক শরৎদার থেকে কিসের নেশা পেয়েছিলেন?
(ক) পার্কার পেন সংগ্রহের নেশা
(খ) ধূমপানের নেশা
(গ) ফাউন্টেন পেন সংগ্রহের নেশা
(ঘ) মদ্যপানের নেশা
উত্তর : (গ) ফাউন্টেন পেন সংগ্রহের নেশা
১.১৫ "সেসব গরুর শিং নয়তো কচ্ছপের খোল কেটে তৈরি"। - সেসব কি?
(ক) কলমের শিস
(খ) কলমের ঢাকনা
(গ) কলমের নিব
(ঘ) কলমের কালি
উত্তর : (গ) কলমের নিব
১.১৬ "কম্পিউটার তাদের জাদুঘরে পাঠাবে বলে যেন প্রতিজ্ঞা করেছে"। - 'তাদের' বলতে এখানে কাদের বোঝানো হয়েছে?
(ক) হাতের লেখার খাতা গুলিকে
(খ) ছাপানো বইগুলিকে
(গ) কাঠের পেন্সিল গুলিকে
(ঘ) কলম গুলিকে
উত্তর : (ঘ) কলম গুলিকে
১.১৭ 'ক্যালিগ্রাফিস্ট' - এর বাংলা হলো -
(ক) চিত্রকার
(খ) লেখক
(গ) দক্ষ খেলোয়াড়
(ঘ) লিপি কুশলী
উত্তর : (ঘ) লিপি কুশলী
১.১৮ "বারো আনায় বত্রিশ হাজার অক্ষর লেখানো যেত"। - কোন্ সময়ে এটি হতো?
(ক) সতেরো শতকে
(খ) আঠারো শতকে
(গ) উনিশ শতকে
(ঘ) বিশ শতকে
উত্তর : (গ) উনিশ শতকে
(২) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
২.১ "প্রতিটি বোতামে ছাপা রয়েছে একটি করে হরফ"। - এখানে কিসের বোতামের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : কম্পিউটার কিবোর্ড এর কথা বলা হয়েছে।
২.২ "তাই কেটে কাগজের মত সাইজ করে নিয়ে আমরা তাতে 'হোম টাস্ক' করতাম"। - হোম টাস্ক করার জন্য কি ব্যবহার করা হতো?
উত্তর : সাইজ মতো কলাপাতা কেটে।
২.৩ 'ক' অক্ষর গোমাংস বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : অক্ষরজ্ঞানহীনতাকে বোঝানো হয়েছে।
২.৪ "লাউপাতা দিয়ে তা ঘষে তুলে একটা পাথরের বাটিতে রাখা জলে তা গুলে নিতে হতো"। - এখানে 'তা' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : উনানে রান্না করা হাঁড়ির কালিকে বোঝানো হয়েছে।
২.৫ সরস্বতী পুজোর সময় কোন্ কলম ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : খাগের কলম।
২.৬ "কিন্তু সে সব ফাঁকি মাত্র"। - লেখক কোন্ বিষয়টিকে ইঙ্গিত করেছেন?
উত্তর : কোন কোন অফিসের টেবিলের ওপর সাজানো দোয়াত-কলম আসলে ছদ্মবেশী বলপেন।
২.৭ "জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন"। - ফাউন্টেন পেন কিভাবে জন্ম হয়েছিল তা উল্লেখ করো।
উত্তর : একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে ওয়াটারম্যান যখন চুক্তিপত্রে সই করছিলেন, তখন তার দোয়াত উল্টে গিয়ে চুক্তিপত্র বাতিল হয়ে যায়। এরপর ওয়াটারম্যান দোয়াত কলমের বিকল্প হিসাবে ফাউন্টেন পেনের উদ্ভাবন করেন।
২.৮ 'দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের বেশ কয়েক বছর পরের ঘটনা"। - ঘটনাটি কি ছিল?
উত্তর : কলকাতার কলেজস্ট্রিট থেকে একটি নামী দোকান থেকে ফাউন্টেন পেনের অভিজ্ঞতার কথা এখানে বলা হয়েছে।
২.৯ "ফাউন্টেন পেনের এক বিপদ.."। - 'বিপদ' টি কী?
উত্তর : ফাউন্টেন পেনের লেখার সৌন্দর্যের নেশাগ্রস্ত হওয়ার বিপদ সেখানে বলা হয়েছে।
২.১০ "তবু যদি আমাকে হত্যা করতে চাও, আচ্ছা, তবে তা-ই হোক"। - লেখকের এরকম বলার কারণ কি?
উত্তর : বর্তমানে বাঁশের পেন এবং নিব পেন ছেড়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও লেখককে বল-পেনের সামনে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে। লেখক এই প্রসঙ্গেই উক্তিটি করেছিলেন।
(৩) রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
প্রশ্নঃ 'আমার মনে পড়ে প্রথম ফাউন্টেন কেনার কথা।' - 'আমার' বলতে কার কথা বোঝানো হয়েছে? তাঁর ফাউন্টেন কেনার ঘটনাটি সংক্ষেপে বিবৃত করো।
উত্তরঃ শ্রীপাস্থের 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধে 'আমার' বলতে এখানে স্বয়ং লেখককে বোঝানো হয়েছে।
লেখকের প্রথম ফাউন্টেন কেনার অভিজ্ঞতাটি তাঁর মনে রয়ে গেছে। সময়টা ছিল দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের কয়েক বছর পর। লেখক কলেজ স্ট্রিটের এক নামি দোকানে ফাউন্টেন পেন কিনবেন বলে গিয়েছিলেন। কী পেন কিনবেন দোকানি এ কথা জানতে চাওয়ায় লেখক কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান। তারপর দোকানি তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে পার্কার, শেফার্ড, ওয়াটারম্যান, সোয়ান, পাইলট প্রভৃতি পেনের দামসহ নামগুলি মুখস্থ বলতে লাগলেন। ইতিমধ্যে দোকানদার তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে পকেটের অবস্থা আন্দাজ করে সস্তার এক পাইলট নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। জাপানি পাইলট কতটা টেকসই তা বোঝানোর জন্য দোকানি খাপ খুলে সার্কাসের ছুরির খেলা দেখানোর আদলে একটা কার্ডবোর্ডের ওপর সেটি ছুঁড়ে মারেন। তারপর পেনটি কার্ডবোর্ড থেকে খুলে লেখককে নিরটি যে অক্ষত আছে তা দেখালেন। এইভাবে সেদিন লেখক জাপানি পাইলটে মুগ্ধ হয়েছিলেন। দিনের শেষে একখানি জাদু পাইলট নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। নামিদামি ফাউন্টেনের ভিড়ে সেই জাপানি পাইলটকে লেখক অনেক দিন অবধি বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।
প্রশ্নঃ 'কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য' – কলম কাদের কাছে অস্পৃশ্য? প্রবন্ধ অনুসারে অস্পৃশ্য হওয়ার কারণ লেখো।
উত্তরঃ শ্রীপান্থর 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধ অনুসারে এখন পকেটমারেরাও আর কলম নিয়ে হাতসাফাইয়ের কলম যাদের কাছে অস্পৃশ্য খেলা দেখায় না। সস্তা কলম আজ তাদের কাছেও নিতান্তই অস্পৃশ্য।
লেখক পাঠ্য রচনায় কলমের সর্বজনীন হয়ে ওঠার বিবরণ দিয়েছেন। কঙি, খাগ কিংবা পালকের কলমকে সরিয়ে ক্রমে ফাউন্টেন পেন সকলের মন জয় করে নেয়। এরপর ডট–পেন কিংবা বল–পেন আসার পরে দেখা দেয় কলমের বিস্ফোরণ। একসময় বলা হত, কলমে কায়স্থ চিনি, গোঁফেতে রাজপুত। কিন্তু বর্তমানে কলম বা গোঁফ কোনোটাই আর বিশেষ কারও নয়। এক বিদেশি সাংবাদিকের মতে চৌরঙ্গি অঞ্চলের প্রতি তিনজন ফেরিওয়ালার একজনের পেশা কলম বিক্রি। ফলে সবাই সাক্ষর না হলেও প্রত্যেকের পকেটে এখন কলম। অতিআধুনিক ছেলেদের কলম আবার বুক পকেটে নয়; কাঁধের ছোট্ট পকেটে শোভা পায়। কেউ কেউ আবার তা চুলেও ধারণ করেন। ট্রামে বাসে ভিড়ের পরিণামে মহিলাযাত্রীর খোঁপাতেও কলম আটকে যায়। অর্থাৎ কলম আজ অত্যন্ত সস্তা, সহজলভ্য এবং সর্বজনভোগ্য। তাই কলমের কোনো মূল্য বা দাম না থাকায় পকেটমারেরাও আর কলমকে নিয়ে হাতসাফাইয়ের খেলা দেখায় না। কলমের অস্পৃশ্য হয়ে ওঠার এই কারণের কথাই লেখক বলেছেন।
প্রশ্নঃ 'জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন।' - ফাউন্টেন পেনের স্রষ্টা কে? বাংলায় কে এই পেনের নামকরণ করেছিলেন? ফাউন্টেন পেনের জন্মবৃত্তান্তটি সংক্ষেপে লেখো।
উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটি লেখক শ্রীপান্থের 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' নামক প্রবন্ধ থেকে গৃহীত।
প্রবন্ধে ফাউন্টেন পেনের স্রষ্টা বলা হয়েছে লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যানকে। বাংলায় এই পেনের নামকরণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি এই পেনের নাম দেন ঝরনা কলম।
পৃথিবীর প্রতিটি আবিষ্কারের পিছনেই থাকে নানান গল্প বা ঘটনা। তবে গল্প বা ঘটনা যাই থাক না কেন প্রয়োজনের তাগিদেই যে আবিষ্কার একথা সকলেই মানতে বাধ্য। লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যানের ফাউন্টেন পেন আবিষ্কারের পিছনেও এমনই একটি বৃত্তান্ত রয়েছে। তিনি ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। সেকালের অন্য ব্যবসায়ীদের মতো তিনিও দোয়াত–কলম নিয়ে কাজে বের হতেন। একবার তিনি এক ব্যবসায়ীর ফাউন্টেন পেনের সঙ্গে চুক্তিপত্র সই করতে গিয়েছিলেন। দলিল জন্মবৃত্তান্ত কিছুটা লেখা হয়েছে এমন সময় দোয়াত হঠাৎ উপুড় হয়ে পড়ে গেল কাগজে। আবার তিনি ছুটলেন কালির সন্ধানে। ফিরে এসে তিনি শোনেন, ইতিমধ্যে আর একজন ব্যবসায়ী সইসাবুদ করে চুক্তি পাকা করে ফেলেছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিমর্ষ ওয়াটারম্যান প্রতিজ্ঞা করেন যে, এর একটা বিহিত তাঁকে করতেই হবে। এরপরেই তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন।
প্রশ্নঃ 'আমি ছিলাম কালি কলমের ভক্ত।' - উদ্ধৃতিটির অর্থ বুঝিয়ে দাও। ফাউন্টেন পেনের নানা ধরনের নিবের বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থ নিজের উদ্ধৃতিটির অর্থ ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ করেছেন। তিনি 'কালি–কলম' ভক্ত বলতে বোঝাতে চেয়েছেন দোয়াত ও নিবের কলমকে। একে তিনি 'কালি–খেকো কলম' বলে রসিকতাও করেছেন।
ফাউন্টেন পেনের শৌখিনতা ও আভিজাত্য ছিল উল্লেখযোগ্য। তাদের জন্য ছিল বিদেশি কালি। নিব এবং হ্যান্ডেলও ছিল নানা ধরনের। যেমন ছিল ছুঁচোলো মুখের নিব, তেমনই চওড়া মুখের ফাউন্টেনের নানা নিবও ছিল। বিদেশে গোরুর শিং বা কচ্ছপের খোল ধরনের নিব কেটে টেকসই ও উন্নতমানের নিব তৈরি হত। কখনো কখনো শিংয়ের নিবের মুখে বসানো হত হিরে। প্ল্যাটিনাম, সোনা ইত্যাদিতে মুড়ে তাকে আরও দামি আর মজবুত করা হত। পালকের কলম তাড়াতাড়ি ভোঁতা হয়ে যায় বলে ফাউন্টেন পেনের নিবকে মজবুত করতে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হত। এই প্রসঙ্গ আলোচনাকালে 'কালি–থেকো কলম'–এর প্রতি লেখকের ব্যক্তিগত ভালোবাসা ও দুর্বলতাটিও স্পষ্টরূপে ফুটে ওঠে। বিশেষত কলমপ্রিয় এক লেখকের বিভিন্ন ধরনের কলমের শৈল্পিক বিশেষত্ব ও সুষমার প্রতি আগ্রহ–আকর্ষণের দিকটিও এখানে প্রচ্ছন্ন থাকে না। কলমের সঙ্গে তার ভক্তের যে পরমমমতার সম্পর্ক, পাঠক যেন তার চিরকালীন সাক্ষী হয়ে ওঠে।
প্রশ্নঃ 'সবই আজ অবলুপ্তির পথে।' - কোন্ জিনিস আজ অবলপ্তির পথে? এই অবলুপ্তির কারণ কী? এ বিষয়ে লেখকের মতামত কী?
উত্তরঃ 'হারিয়ে যাওয়া কলম' রচনায় লেখক শ্রীপান্থ, আধুনিকতার কালপ্রবাহে ক্রমশ অবলুপ্ত হতে চলা কলমের কথা উপরিউক্ত উদ্ধৃতাংশে বলতে চেয়েছেন।
নবীন বল পেন দোয়াত, কালি, নিবের কলমের স্থান দখল করেছে অনেক আগেই। বিজ্ঞানের ক্রমোন্নতির সোপান ধরে কম্পিউটারের কল্যাণে নবীন বল–পেনও তার মহিমা হারাতে বসেছে। অবলুপ্তির কারণ এযুগের নবীন লেখকেরা গোড়া থেকেই কম্পিউটারে লিখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কালপ্রবাহে কলমের অবলুপ্তিতে লেখক বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, আশ্চর্য হয়েছেন। কলম ছাড়া লেখালেখির কথা কিছুকাল আগেও মানুষ ভাবতে পারেনি। কলম আর লেখকের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য, আলাদা করার কথা মানুষের মনেও আসত না। কম্পিউটারের কল্যাণে লেখকের মতামত কলমের অবলুপ্তিতে লেখক বিপন্ন বোধ করছেন। তিনি মনে করছেন, কম্পিউটার যেন তাদের জাদুঘরে পাঠাবে বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে। বাঁশের কলম, খাগের কলম ছেড়ে বল পেনে আত্মসমর্পণ করেও লেখক আজ বিপন্ন বোধ করেছেন। 'যদি হাতের লেখা মুছে যায় চিরকালের জন্য' - এই হতাশাব্যঞ্জক চিন্তায় তিনি বিচলিত হয়ে উঠেছেন। কম্পিউটারের বিশ্বব্যাপী প্রভাবে সর্বপ্রকার কলমের অবলুপ্তির কথা ভেবেই লেখক একইসঙ্গে আশ্চর্য ও আতঙ্কিত হয়েছেন।
প্রশ্নঃ 'দোয়াত যে কত রকমের হতে পারে, না দেখলে বিশ্বাস করা অসম্ভব।' - 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধে লেখক শ্রীপান্থ কালির দোয়াতের যে বৈচিত্র্যোর কথা লিখেছেন, তা আলোচনা করো।
উত্তরঃ 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ কালির দোয়াতের নানা বৈচিত্র্যের কথা জানিয়েছেন। দোয়াত নানারকমের হয় কাচের, কাটগ্লাসের, পোর্সেলিনের শ্বেতপাথরের, জেডের, পিতলের, ব্রোঞ্ঝের, ভেড়ার শিংয়ের, এমনকি সোনারও। একসময়ে মেধাবী ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় ভালোভাবে পাস করলে, গুরুজনরা 'সোনার দোয়াত কলম হোক' বলে আশীর্বাদ করতেন। সোনার দোয়াত–কলম যে সত্যিই হত, প্রাবন্ধিক তা প্রত্যক্ষ করেছিলেন স্বনামধন্য সুভো ঠাকুরের ব্যক্তিগত দোয়াত সংগ্রহ দেখতে গিয়ে। তাঁর সংগ্রহের কোনো কোনো দোয়াতের সঙ্গে সাহিত্য ও ইতিহাসের নানা চরিত্রের যোগ পর্যন্ত ছিল। এই সমস্ত দোয়াত দেখে বিস্মিত প্রাবন্ধিকের মনে হয়েছিল শেকসপিয়র, দাস্তে, মিলটন, কালিদাস, ভবভূতি, কাশীরাম দাস, কৃত্তিবাস, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র প্রমুখ দিপাল ব্যক্তি তাঁদের অমর সৃষ্টি রচনা করেছেন এমনই কোনো না কোনো দোয়াতের কালি দিয়ে। পৃথিবীর বিখ্যাত সমস্ত কাব্য নাটকের জন্ম এহেন সব দোয়াতের কালি থেকে ভেবে প্রাবন্ধিক রোমান্বিত হয়েছেন।
প্রশ্নঃ 'ফলে আমার মতো আরও কেউ কেউ নিশ্চয় বিপন্ন বোধ করছেন।' - 'আমার মতো আরও কেউ কেউ' বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? তাঁরা বিপন্ন বোধ করছেন কেন?
উত্তরঃ 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধের রচয়িতা শ্রীপান্থ 'আমার মতো আরও কেউ কেউ' বলতে তাঁর মতো কলমপ্রিয় মানুষের কথা বোঝাতে চেয়েছেন। বিশেষত সেইসব লেখক, যাঁরা কালি–কলমের বিশেষ ভক্ত, তাঁদের কাছে কম্পিউটারের রমরমা এক দুঃসংবাদ। কারণ এতে কালি–কলমের ব্যবহার ক্রমশ কমতে কমতে একসময় সম্পূর্ণ লুপ্ত হবে।
কম্পিউটারের আবিষ্কার মানুষকে বেগ দিলেও তার আবেগ কেড়ে নিয়েছে। হাতের লেখার মধ্যে যে মর্মস্পর্শিতা থাকে, তা যান্ত্রিক হরফে খুঁজে পাওয়া যায় না। মানুষের দীর্ঘদিনের লেখার সাথি কালি কলমকে ধীরে ধীরে অবলুপ্তির পথে ঠেলে দিচ্ছে এই কম্পিউটার। ফলে যেসব মানুষজন আজও কম্পিউটারের কি বোর্ডের তুলনায় কালি–কলমকেই বেশি আপন মনে করেন, শ্রীপান্থের মতো সেইসব লোকজন বিপন্ন বোধ করছেন। এই বিপন্নতা কলমের সঙ্গে তার ভক্তের সম্পর্কচ্ছেদের বিপন্নতা। কলমের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক বহু পুরোনো। প্রাচীনকাল থেকে কলমের নানা বিবর্তনের সাক্ষী থেকেছে মানুষ। তার ভাব প্রকাশের হাতিয়ারের অবলুপ্তির আশঙ্কায় সন্দিহান প্রাবন্ধিক আন্তরিক বেদনাবোধ থেকে এমন মন্তব্য করেছেন।
প্রশ্নঃ 'ভাবি, আচ্ছা, আমি যদি জিশু খ্রিস্টের আগে জন্মাতাম!' - জিশুখ্রিস্ট কে? লেখক তাঁর আগে জন্মালে কী হত?
উত্তরঃ জিশুখ্রিস্ট হলেন খ্রিস্টধর্মের অনুসারীদের উপাস্য ঈশ্বরপুত্র, যিনি প্রেম ও প্রশান্তির সপক্ষে দাঁড়িয়ে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন। জিশু খ্রিস্টের জন্মের সময় থেকে ইংরেজি সাল বা খ্রিস্টাব্দের হিসাব করা হয়। শ্রীপান্থ ছদ্মনামের আড়ালে লেখক নিখিল সরকার কল্পনা করেছেন যে, জিশু খ্রিস্টের আগে জন্মালে তিনি হয়তো ভারতে নয়, জন্ম নিতেন প্রাচীন মিশরে। বাঙালি না হয়ে হতেন প্রাচীন সুমেরিয়ান বা ফিনিসিয়ান। হয়তো নীলনদের তীর থেকে নলখাগড়া ভেঙে লেখকের পূর্বে এনে তাকে ভোঁতা করে তুলি বানিয়ে লিখতেন। কিংবা ছুঁচোলো করে কলম তৈরি করতেন। ফিনিসীয় হলে হয়তো বন থেকে হাড়ের টুকরো কুড়িয়ে নিয়ে কলম বানাতেন। যদি তিনি রোমের অধীশ্বর স্বয়ং জুলিয়াস সিজার হতেন, তবে হয়তো স্টাইলাস নামক ব্রোঞ্জের শলাকাই হত তাঁর কলম। প্রাবন্দির এভাবেই কখনও সুমেরীয় বা ফিনিসীয়, আবার কখনও রোমান হিসেবে নিজেকে কল্পনা করে কলমের ঐতিহাসিক পূর্বসুরিদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়েছেন। এর ফলে তিনি সুকৌশলে হাজার হাজার বছর ধরে। কলমের যাত্রাপথটিকে পাঠকের চোখের সামনে অনায়াসে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন।
প্রশ্নঃ 'আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই।' - কালি তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে যা জান লেখো।
উত্তরঃ কালি–কলমের অতীত সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে লেখক শ্রীপান্থ বাঁশের কঞ্চির কলম তৈরির কথা বলেছেন। একইসঙ্গে সেই কঞ্চির কলম যে কালিতে ডুবিয়ে লেখা হত সেই কালি কীভাবে তৈরি করা হত তাও বলেছেন। লেখকরা নিজেরাই এই কালি তৈরি করলেও মা, পিসিদের সাহায্যও নিতেন। প্রবন্ধে লেখক কালি তৈরির যে দুরকম পদ্ধতির কথা বলেছেন, তার মধ্যে প্রথমটি আয়োজন–নির্ভর; সেইসব উপকরণ লেখকদের পক্ষে সংগ্রহ করা কঠিন ছিল। প্রাচীন এই পদ্ধতিতে তিল, ত্রিফলা লোহার পাত্রে ছাগলের দুধে ভিজিয়ে রাখতে হত। তারপর একটি লোহার দণ্ড দিয়ে সেটি ভালো করে ঘষে নিতে হত। এই কালি এতটাই টেকসই হত যে, লেখার পাতা ছিঁড়লেও কালি উঠত না।
লেখকদের কালি তৈরির পদ্ধতিটি ছিল বেশ সহজ। বাড়িতে কাঠের উনুনে যে কড়াইয়ে রান্না হত তার তলায় কালি জমত; সেই কালি লাউপাতা দিয়ে ঘষে তুলে নিয়ে পাথরের বাটিতে রাখা জলে লেখকরা কালি তৈরি গুলে নেওয়া হত। কেউ কেউ এর মধ্যে হরীতকী যেভাবে করতেন ঘষতেন ও পোড়া আতপচাল গুঁড়িয়ে মেশাতেন। সবশেষে খুন্তিকে লাল করে পুড়িয়ে সেই জলে ডোবালে জল ফুটে উঠত। ঠান্ডা হলে ন্যাকড়ায় হেঁকে দোয়াতে ভরে নেওয়া হত ঘরে তৈরি এই কালি।
প্রশ্নঃ 'মোগল দরবারে একদিন তাঁদের কত না খাতির, কত না সম্মান' - 'তাদের বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? তাঁদের খাতির ও সম্মানের পরিচয় দাও।
উত্তরঃ 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধে উদ্ধৃত অংশে 'তাঁদের' বলতে ওস্তাদ কলমবাজাদের বোঝানো হয়েছে। পারিভাষিক শব্দে এদের বলে 'ক্যালিগ্রাফিস্ট' বা তাদের পরিচয় 'লিপিকুশলী'।
যাঁরা ওস্তাদ কলমবাজ, তাঁদের স্থান ইতিহাসে পাকা। মোগল দরবারে তাঁদের প্রচুর খাতির ও সম্মান ছিল। শুধু মোগল দরবার নয়, পৃথিবীর সর্বত্রই তাঁদের কদর ছিল। এমনকি বাংলা দেশেও রাজা–জমিদাররা লিপিকুশলীদের গুণের কদর করতেন। তাঁদের ভরণ–পোষণের ব্যবস্থাও করা হত। সাধারণ গৃহস্থেরাও এই লিপিকরদের ডেকে পুথি নকল করাতেন। আজও সেসব পুথি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। সংস্কৃতে যাকে বলে 'সমানি সমশীর্ষাণি ঘনানি বিরলানি চ' অর্থাৎ সব অক্ষর সমান, প্রতিটি ছত্র সুশৃঙ্খল ও পরিচ্ছন্ন। এইসব লিপিকরদের হস্তাক্ষর ছিল মুক্তোর মতো। অথচ এঁদের রোজগার ছিল সামান্যই। অষ্টাদশ শতকে এক লিপিকুশলী চারখণ্ড রামায়ণ কপি করে নগদ সাত টাকা, কিছু কাপড় আর মিঠাই সাম্মানিক হিসেবে পেয়েছিলেন অর্থাৎ সেসময়ে এদের উপার্জন কম হলেও গুণের সমাদর ছিল।
প্রশ্নঃ 'কালগুণে বুঝিবা আজ আমরাও তাই।' - 'আমরা' কারা? বক্তব্যটির সাহায্যে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থের 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধে উদ্ধৃত 'আমরা' শব্দটি পাই কালি কলমে যাঁরা ছোটোবেলা থেকে লিখে এসেছেন। এখন তাঁরাই কম্পিউটারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। 'আমরা' বলতে সেইসব আত্মসমর্পণকারী অগণিত মানুষকে বোঝানো হয়েছে লেখক যা বলতে চেয়েছেন।
লেখক শ্রীপান্থ তাঁর প্রবন্ধ হারিয়ে যাওয়া কালি কলমে যা বলতে চেয়েছেন প্রবন্ধের নামকরণেই তা লুকিয়ে আছে। তিনি এই প্রবন্ধে কতগুলি প্রবাদের সাহায্যে বিষয়টিকে আলাদা একটা মাত্রা দিয়েছেন। লেখার জগতে যন্ত্র নির্ভরতা বেড়ে যাওয়ায় ক্রমশ বিদায় নিচ্ছে কালি কলম। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে 'কালি-কলম-মন লেখে তিনজন' অর্থাৎ এই তিনের সামঞ্জস্যই সুন্দর লেখার মূল। বর্তমানে মন থাকলেও কালি–কলম প্রায় লুপ্ত। লেখক সংবাদপত্রের অফিসে কর্মরত। সেখানে তিনি ছাড়া প্রায় সকলেই কম্পিউটারে লেখালেখির কাজটা করতেন। কোনো কারণে একদিন লেখক কলম না নিয়ে গেলে বিপদে পড়তেন। আর যদিও বা খুঁজে পেতে কলম একটা জুটত তবে তাতে তিনি লিখে সুখ পেতেন না। সেদিন সব কাজ তিনি দায়সারাভাবে সারতেন। এই বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে 'কালি নেই, কলম নেই, বলে আমি মুনশি' প্রবাদটি তুলে ধরেছেন। আমরাও যে সময়ের পরিবর্তনে সেই দিকেই এগোচ্ছি অর্থাৎ কালি–কলম না থেকেও আমি লেখক সে কথা বোঝাতেই উক্ত প্রসম্পটির অবতারণা করেছেন।
প্রশ্নঃ 'কলমকে বলা হয় তলোয়ারের চেয়েও শক্তিধর।' - বিষয়টি ব্যাখ্যা করো। এমন বলার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়?
উত্তরঃ শ্রীপান্থ লিখিত 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি একটি প্রবাদপ্রতিম বাক্য। প্রাবন্ধিক ঈষৎ ঠাট্টার হলে এটিকে আক্ষরিক অর্থে ব্যবহার করেছেন। তলোয়ারের চেয়ে বন্দুকের শক্তি বেশি। তাই ফাউন্টেন পেন যেন আভাসে–ইঙ্গিতে সে কথাই বলতে চায়। কারণ ফাউন্টেন পেনের বিভিন্ন অংশগুলিকে ব্যারেল, কার্টিজ ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। এই শব্দগুলির সঙ্গে গোলা–বন্দুকের যোগাযোগের কথা কে না জানে। তবে বারুদের সঙ্গে কলমের কোনো সম্পর্ক নেই। ইতিহাসে এমন অনেক লেখকের উল্লেখ পাওয়া যায়, যাঁদের লেখনীর ধার, তলোয়ারের চেয়েও বেশি। আর সেই ক্ষুরধার কলমকে হাতিয়ার করে তাঁরা অনেক কুর, মিথ্যেবাদী প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই চালিয়েছেন।
এখানে কলমের শক্তির অন্তর্নিহিত অর্থ হল, মানুষের লিখন–দক্ষতা বা লেখনীর ক্ষমতা। বন্দুক বা তলোয়ারের মতো অস্ত্র প্রয়োগ করে মানুষকে হত বা আহত করা যায়, কিন্তু মানুষের চিন্তাশক্তি তথা লেখনীর শক্তি শত সহস্র মানুষের ভাবনা, আদর্শ কিংবা দর্শনকে কেবল প্রভাবিতই করে না, সম্পূর্ণ বদলেও দিতে পারে। আর লেখার এই প্রভাব বা প্রতিক্রিয়া যুগযুগান্তরব্যাপী স্থায়ী হয়। তাই কলমকে তলোয়ারের চেয়েও শক্তিধর বলে বিবেচনা করা হয়। বরং এক্ষেত্রে বলা চলে, কলমই সর্বশ্রেষ্ঠ অস্ত্র।
Madhyamik Bengali Suggestion 2024
Madhyamik Bengali suggestion 2024 pdf. Madhyamik Bengali suggestion 2024 pdf download. Madhyamik Bengali question 2024. Madhyamik Bengali. Madhyamik Bengali meaning. Madhyamik Bengali syllabus 2024. Madhyamik Bengali syllabus 2024. Madhyamik Bengali syllabus. Madhyamik Bengali question 2024.
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম নিখিল সরকার মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধ. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধ pdf. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম এর ছবি. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম এর বড় প্রশ্ন উত্তর 2024. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ছোট প্রশ্ন. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রশ্ন উত্তর 2024. উনিশ শতকে বত্রিশ হাজার অক্ষর লেখানো যেতো.
Madhyamik Suggestion 2024 pdf Free download
মাধ্যমিক সাজেশন 2024 pdf. উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2024. মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2024 PDF. বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন. উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2024. মাধ্যমিক বাংলা কারক. মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন 2024. পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর ও শেষ মুহূর্তের সাজেশন ডাউনলোড. মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। মাধ্যমিক সাজেশন 2024 pdf. মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2024 pdf. মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2024 mcq. মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন 2024. মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর 2024. 2024 এর মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন বাংলা.
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম গল্পের প্রশ্ন উত্তর pdf
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধ pdf. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রশ্ন উত্তর 2024. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম এর ছবি. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম থেকে প্রশ্ন উত্তর. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ছোট প্রশ্ন. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রশ্ন উত্তর 2024. উনিশ শতকে বত্রিশ হাজার অক্ষর লেখানো যেতো. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম এর বড় প্রশ্ন উত্তর pdf.
মাধ্যমিক সাজেশন 2024 pdf
Madhyamik suggestion 2024 pdf. Madhyamik suggestion 2024 pdf download. Madhyamik suggestion 2024 pdf free download. ক্লাস 10 বাংলা প্রশ্ন উত্তর 2024. ক্লাস টেনের বাংলা সাজেশন. মাধ্যমিক সাজেশন 2024 pdf. মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2024 pdf. মাধ্যমিক পরীক্ষার সাজেশন 2024 বাংলা. উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2024. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024. মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2024 PDF. বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন.
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম গল্পের প্রশ্ন উত্তর 2024
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম থেকে প্রশ্ন উত্তর. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধ pdf. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ছোট প্রশ্ন. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম এর ছবি. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম এর বড় প্রশ্ন উত্তর pdf. উনিশ শতকে বত্রিশ হাজার অক্ষর লেখানো যেতো. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধে লেখক কার লেখা জ্যামিতি পড়েছিলেন. জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন.
WBBSE Madhyamik Bengali suggestion 2024
WBBSE Madhyamik Bengali suggestion 2024 pdf download. Madhyamik Question Paper Bengali. WBBSE Madhyamik Bengali suggestion 2024 pdf download in Bengali. WBBSE Madhyamik Bengali suggestion 2024 download pdf. West Bengal Madhyamik Bengali Suggestion 2024 Download. WBBSE Madhyamik Bengali short question suggestion 2024. Madhyamik Bengali Suggestion 2024 download. WB Madhyamik 2024 Bengali suggestion and important questions. Madhyamik Suggestion 2024 pdf.
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম বড় প্রশ্ন উত্তর
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম এর বড় প্রশ্ন উত্তর 2024. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধ pdf. জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম থেকে প্রশ্ন. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম এর বড় প্রশ্ন উত্তর pdf. আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই কারা কালি তৈরি করতেন তারা কিভাবে কালি তৈরি করতেন. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রশ্ন উত্তর 2024.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ