LightBlog
“বনগতা গুহা” গল্পের বিষয়বস্তু আলোচনা কর । HS Sanskrit Suggestion 2023 WBCHSE
Type Here to Get Search Results !

“বনগতা গুহা” গল্পের বিষয়বস্তু আলোচনা কর । HS Sanskrit Suggestion 2023 WBCHSE

Higher Secondary Sanskrit Suggestion 2023

HS Sanskrit Suggestion WBCHSE

উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত গদ্য

বনগতা গুহা

প্রশ্ন:- বনগতা গুহা গল্পের বিষয়বস্তু আলোচনা কর।

উত্তর:- বিশ্বসাহিত্য ভাণ্ডারের অন্যতম একটি রত্ন হল "সহস্র এক আরব্য রজনী",যার একটি চিরস্মরণীয় গল্প হল "আলিবাবা ও চল্লিশ চোর।"এই গল্পের সংস্কৃত অনুবাদক হলেন শ্রী গোবিন্দকৃষ্টি মোদক যিনি গল্পটি "বনগতা গুহা" নামে অনুবাদ করেন।গল্পটি তার "চোরচত্বারিংশীকথা" গ্রন্থের অন্তর্গত।

     পুরাকালীন সমায়ে পারস্যদেশে অলিপর্বা ও কশ্যপ নামে দুই সহোদর বাস করত।আর্থিক স্বচ্ছলতা তেমন ছিলনা,ছিলনা ততটা সংগতিপন্ন।তাদের পিতা মৃত্যুকালে সম্পত্তি সমান দুইভাগে ভাগ করে দিয়ে যান।কিন্তু একটি ঘটনায় কশ্যপের সৌভাগ্য খু্লে যায়।সে জনৈক মহাধনশালী ব্যক্তির কণ্যাকে বিবাহ করে প্রচুর ধনসম্পদের অধিকারী হয়ে নগরের শ্রেষ্ঠ বণিকের মত বিত্তশালী হয়ে উঠল এবং বিলাসব্যসনে কাল অতিবাহিত করতে লাগল।পক্ষান্তরে অলিপর্বা নিজেও দরিদ্র ও তার শ্বশুর মহাশয়ও তেমন।বনে কাঠ কেটে বিক্রি করে যা উপার্জন করত তাতেই সে অতিকষ্টে পর্ণকুটিরে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কায়ক্লেশে সংসার করতে লাগল।

     এরপর একদিন অলিপর্বা রোজকার মত বনে কাঠ কাঠতে গেল।সে লক্ষ্য করল,ধূলিকণায় সারা আকাশ যেন ছেয়ে গেছে।সে একদল অশ্বারোহীর কে দেখতে পেল যারা ত্বরিতে ঘোড়া ছুটিয়ে সেদিকেই আসছিল।স্বাভাবিকভাবে এসব বনাঞ্চলে রাজপুরুষদের আগমন ঘটেনা,সুতরাং এরা যে দস্যু তা সে অনায়াসেই বুঝতে পারলো।তাই সে তার গাধাগুলোকে আড়ালে রেখে ও আত্মরক্ষা হেতু একটা বৃক্ষে আরোহন করল যা প্রচুর শাখাপ্রশাখা যুক্ত ও ঘনপল্লবময়।তার বৃক্ষ থেকে সামান্য দূরে উঁচু চূড়াময় পর্বতটির কাছে এসে তারা থামল।গুনে দেখল তারা দলে চল্লিশ জন।তাদের দলপতি মন্ত্রপাঠ দ্বারা পর্বতে অবস্থিত একটি গুহার দ্বার উন্মোচিত হয়ে গেল।তারা সকলে হাতে থলি ভর্তি জিনিসপত্র নিয়ে অভ্যন্তরে প্রবেশ করার পর দ্বার বন্ধ হয়ে গেল।কিছুক্ষণ পর সকলে বাইরে বেরিয়ে এলে দলপতি আবার অন্য একটি মন্ত্র বলে গুহার দ্বার বন্ধ করে দিল।অলিপর্বা অবশ্য আড়াল থেকে সবই দেখেছে এবং মন্ত্র দুটিও তার মুখস্থ হয়ে গেছে।

     ওরা প্রস্থান করার কিছু সময় পর সে বৃক্ষ থেকে নেমে এসে গুহার সম্মুখে দাঁড়িয়ে গুহার দ্বার খোলা মন্ত্রটি বলতেই দ্বার খুলে গেল।ভিতরে প্রবেশ করেই সে কিংকর্তব্যবিমূঢ় ও হতবাক হয়ে গেল।সেখানে স্তূপীকৃত করা আছে খাদ্যদ্রব্য,সোনা,রূপো,দামী চীনা বস্ত্র।সেসব মৃগচর্মের থলিতে বোঝাই করে সে বাইরে চলে এল।তার তিনটি গাধাট পিঠে রেখে সেগুলির ওপর কাঠ দিয়ে আচ্ছাদিত করে ফেলল।তারপর দ্বার বন্ধ করার মন্ত্র উচ্চারণ করে দ্বার বন্ধ করে দ্রুত নগরের পথে রওনা দিল।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close