মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্টের পর উচ্চশিক্ষার জন্য 4 টি স্কলারশিপ
বাংলার শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর। দু:স্থ মেধাবী পড়ুয়া যারা পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা না থাকার জন্য তাদের উচ্চশিক্ষা এগিয়ে নিয়ে যেতে অপারগ তাদের জন্য নিয়মিত সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্কলারশিপের খোঁজ দিয়ে থাকি আমরা। তেমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ বৃত্তি হলো স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ। এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত সবচেয়ে বড়ো স্কলারশিপ। নির্দিষ্ট যোগ্যতা সম্পন্ন বিদ্যার্থীদের প্রতিবছর এই বৃত্তি প্রদান করে থাকে রাজ্য সরকার। সদ্য শেষ হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার একে একে সমস্ত স্কলারশিপে আবেদন প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই শুরু হয়ে যাবে। আজ আলোচনা করবো স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে কোন ক্লাসে কত টাকা পাবেন পড়ুয়ারা?
বাংলার ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য ফি বছর এই স্কলারশিপ দিয়ে থাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মাধ্যমিক পাস থেকে শুরু করে রিসার্চ লেবেল পর্যন্ত যোগ্য শিক্ষার্থীরা শর্তানুযায়ী নির্দিষ্ট কোর্সে সম্পূর্ণ বছরগুলোতে এই বৃত্তি পেয়ে থাকেন। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা পড়ুয়া, যেসকল পড়ুয়া মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ৬০ শতাংশ বা তারও বেশি নম্বর পেয়েছেন এবং যাদের বার্ষিক পারিবারিক আয় আড়াই লাখ টাকার নিচে কেবল তারাই এই স্কলারশিপে আবেদনের যোগ্য। নিয়মমতো এই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠরত হলে তবেই এই বৃত্তি পাওয়া গেলেও ক্ষেত্রবিশেষে গবেষণা স্তরে এই রাজ্যের পড়ুয়ারা বাইরের রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে থাকলেও স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের জন্য আবেদনের যোগ্য।
এই স্কলারশিপের অধীনে ছাত্র ছাত্রীদের ভালো পরিমাণ টাকা বৃত্তি দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। একাদশ শ্রেণি থেকে গবেষণা স্তর পর্যন্ত কোর্স অনুযায়ী বছরে সর্বনিম্ন ১২ হাজার টাকা থেকে ৯৬ হাজার টাকা পর্যন্ত স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন শিক্ষার্থীরা। চলুন দেখে নেওয়া যাক, Swami Vivekananda Scholarship এ কোন ক্লাসে কত টাকা পাবেন?
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে এবছর কবে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে? যারা আগে স্কলারশিপ পেয়েছেন তারা কিভাবে রিন্যুয়াল করবেন? স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের স্ট্যাটাস কিভাবে চেক করবেন ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে নীচে দেওয়া লিঙ্ক ক্লিক করে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হন।
পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিক পাশ ছাত্রছাত্রীদের জন্য আজকে আমরা ৩ টি গুরত্বপূর্ণ স্কলারশিপ (Madhyamik Pass Scholarship for West Bengal Students) নিয়ে আলোচনা করব।
সদ্য বেরিয়েছে মাধ্যমিকের রেজাল্ট। এবার একাদশে ভর্তির জন্য অনেক পড়ুয়ারই আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন, বিশেষত যারা পরবর্তীতে সায়েন্স নিয়ে পড়তে চায়। এমন অনেকেই আছে যারা মাধ্যমিক পরীক্ষা সাফল্যের সাথে পাশ করেছে, কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ার জন্য উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
এই প্রতিবেদনটি সেই সব ছাত্র ছাত্রীদের জন্য। এখানে তিনটি আকর্ষণীয় স্কলারশিপের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে, যা পড়ুয়াদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা দেবে। যেকোনো একটিতে আবেদন করলেই নির্ধারিত অঙ্কের টাকা পাওয়া যাবে। জেনে নিন বিস্তারিত।
(১) স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ :
শর্তাবলী :-
(ক) এখানে আবেদন করার জন্য, পড়ুয়াদের মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করে থাকতে হবে। আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে মাধ্যমিকে বা উচ্চমাধ্যমিকে 60% নম্বর নিয়ে উত্তীর্ন হয়ে থাকতে হবে।
(খ) আবেদনকারীর পরিবারের মোট বার্ষিক আয় 2 লক্ষ 50 হাজার টাকার মধ্যে হতে হবে।
বৃত্তির পরিমাণ :-
এই স্কলারশিপে আবেদন করলে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে প্রতি মাসে ছাত্র ছাত্রীদের দেওয়া হয় 1,000 টাকা করে। অর্থাৎ বার্ষিক 12,000 টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হয় পড়ুয়াদের।
আবেদন পদ্ধতি :-
এখানে আবেদন করতে হয় অনলাইন মাধ্যমে। এর জন্য, https://svmcm.wbhed.gov.in/ এই ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজেদের রেজিস্টার করে নিয়ে ধাপে ধাপে নিজের যাবতীয় তথ্য দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে হবে।
বৃত্তির অঙ্ক :-
এই স্কলারশিপে আবেদন জানালে স্নাতক স্তরে প্রতি মাসে পাওয়া যাবে ১,০০০ টাকা করে। অর্থাৎ বছরে ১২,০০০ টাকা।
অফিশিয়াল ওয়েবসাইট বা আবেদনের লিংক- https://svmcm.wbhed.gov.in/
এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে এবং নথি আপলোড করতে হবে।
(২) নবান্ন স্কলারশিপ বা উত্তর কন্যা স্কলারশিপ :
শর্তাবলী :–
এই স্কলারশিপের মাধ্যমে রাজ্যের আর্থিক দিক থেকে দুর্বল মেধাবী পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষায় সাহায্য করতে রাজ্য সরকারের তরফে এই স্কলারশিপ শুরু করা হয়েছে। এখানে আবেদন করার জন্য,
(ক) মাধ্যমিক পাশ করে থাকতে হবে পড়ুয়াদের।
(খ) মাধ্যমিকে নূন্যতম 65% নম্বর নিয়ে উত্তীর্ন হলে এখানে আবেদন করা যাবে।
বৃত্তির পরিমাণ :–
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল অর্থাৎ, WBCMO থেকে এই স্কলারশিপের টাকার ফান্ডিং করা হয়ে থাকে। আবেদনকারী পড়ুয়াদের বার্ষিক মোট 10,000 টাকার বৃত্তি প্রদান করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে।
আবেদন পদ্ধতি :–
এখানে অফলাইন মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। আবেদন করার জন্য, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট বের করিয়ে নিতে হবে। তারপর সেটি নিজের যাবতীয় তথ্য দিয়ে সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে। এর সাথে সংযুক্ত করতে হবে প্রয়োজনীয় নথিপত্র। সবশেষে, একটি খামে ভরে, নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে হবে।
Nabanna Scholarship Form: Download
আবেদন পাঠানোর ঠিকানা :–
Department of CMRF Scholarship,
Chief Minister’s Office : ‘NABANNA’
325, Sarat Chatterjee Road
Howrah – 711102
(৩) ওয়েসিস স্কলারশিপ :
এই স্কলারশিপে আবেদন জানাতে গেলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। পাশাপাশি আবেদনকারীদের SC/ST/OBC ক্যাটাগরীর অন্তর্ভুক্ত হতো হবে।
বৃত্তির অঙ্ক :-
এই Scholarship After HS এ আবেদন জানালে পড়ুয়াদের বার্ষিক ৩ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
আবেদন পদ্ধতি :-
কেবলমাত্র অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন জানাতে হবে।
আবেদনের লিংক :- oasis.gov.in
এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে এবং নথিপত্র আপলোড করতে হবে।
(৪) সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপ :
এটি একটি বেসরকারি স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপে আবেদনকারী ছাত্রীরা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৫% নম্বর পেয়ে উত্তীর্ন হলে আবেদন জানাতে পারবেন। আবেদনকারী ছাত্র হলে তাকে কমপক্ষে ৭০% নম্বর পেয়ে উত্তীর্ন হতে হবে। আবেদনকারীর পারিবারিক আয় বার্ষিক ৪ লাখ টাকার কম হতে হবে (চাকরীজীবি পরিবারের হলে) এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে পারিবারিক আয় বার্ষিক ২.৫ লাখ টাকার কম হতে হবে।
বৃত্তির অঙ্ক :-
আবেদনকারীরা এই স্কলারশিপের মাধ্যমে মাসিক ৫০০ টাকা করে পাবেন।
আবেদন পদ্ধতি :-
আবেদন করার জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে সঠিকভাবে আবেদনপত্র পূরণ করে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠাতে হবে।
আবেদনের লিংক :- https://www.sitaramjindalfoundation.org/
স্কলারশিপ সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।
50%
উত্তরমুছুন