LightBlog
প্রশ্নঃ ঔপনিবেশিক সমাজে জাতি সংক্রান্ত প্রশ্ন ও তার প্রভাব আলোচনা করো। HS History Suggestion WBCHSE
Type Here to Get Search Results !

প্রশ্নঃ ঔপনিবেশিক সমাজে জাতি সংক্রান্ত প্রশ্ন ও তার প্রভাব আলোচনা করো। HS History Suggestion WBCHSE

প্রশ্নঃ ঔপনিবেশিক সমাজে জাতি সংক্রান্ত প্রশ্ন ও তার প্রভাব আলোচনা করো। 

অথবা, 

জাতিবৈষম্য বলতে কী বোঝো? ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলিতে জাতিবৈষম্যের প্রভাবগুলি লেখো।

উত্তরঃ 

জাতিবৈষম্যের ধারণা : জাতি ও জাতিবৈষম্যের ধারণাটি মূলত পশ্চিমি উন্নত রাষ্ট্র থেকেই প্রকট হয়েছে। পশ্চিমি রাষ্ট্রগুলিতে জাতি, বংশ, ধর্ম, সম্প্রদায়, সামাজিক স্তরবিন্যাস ইত্যাদি বিষয়কে কেন্দ্র করে জাতিবৈষম্যের সূত্রপাত। প্রাচীন কাল থেকে বিশ্বের পিছিয়ে পড়া দেশগুলিতে ইউরোপের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলি নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করে। ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শাসনে শাসিত জাতিগুলি নানান ধরনের বঞ্চনার শিকার হয়। এই সকল শ্বেতাঙ্গ শক্তিশালী জাতিগুলি নিজেদের প্রয়োজনে জাতিগত বৈষম্যের সূত্রপাত করেছিল। 

ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলিতে জাতিগত ব্যবধানের প্রভাব : 

ইতিবাচক প্রভাব : 

(১) সাংস্কৃতিক অগ্রগতি : ইউরোপীয় শিক্ষা – সংস্কৃতির সংস্পর্শে এসে ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলিতে সংস্কৃতিতে বিশেষ করে শিল্প স্থাপত্য ও ভাস্কর্যে নবযুগের সূচনা হয় এবং সামাজিক কুসংস্কারের অবসান ঘটে।

(২) জ্ঞানবিজ্ঞানের অগ্রগতি : প্রাচ্যের সাথে পাশ্চাত্যের জ্ঞানবিজ্ঞানের সংমিশ্রণে জ্ঞানবিজ্ঞানের উন্নতির পথ সুপ্রশস্ত হয় । শুরু হয় ঔপনিবেশিক শক্তি কর্তৃক উপনিবেশের সভ্যতা, সংস্কৃতি ও জীবন সম্পর্কে চর্চা এবং গবেষণা। ফলে নৃতত্ত্ব বিজ্ঞানের গবেষণা বৃদ্ধি পায় এবং জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার আত্মপ্রকাশ ঘটে।

(৩) যুক্তিবাদের বিকাশ ও নবজাগরণের সূচনা : পাশ্চাত্যের দেশগুলি তাদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়ের সাথে সাথে উপনিবেশগুলিতে যুক্তিবাদের প্রসার ঘটায়। ভৌগোলিক আবিষ্কারের এবং সাম্রাজ্যবাদের মাধ্যমে প্রাচ্য – পাশ্চাত্যের মেলবন্ধন ঘটে যা যুক্তিবাদের বিকাশ ঘটিয়ে নবজাগরণের পটভূমি তৈরি করে। 

নেতিবাচক প্রভাব :

(১) শোষণ ও অত্যাচার : জাতিগত ব্যবধানের ফলে ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলিতে শুরু হয় সীমহীন শোষণ ও অত্যাচার, শ্বেতাঙ্গ শাসকরা কুয়াঙ্গ শাসিতের ওপর বিপুল পরিমাণ করের বোঝা চাপিয়ে দেয় নিজেদের আর্থিক মুনাফা লাভের আশায়। এতে দেশীয় শিল্প ও কৃষিব্যবস্থা ধ্বংসের পথে বা বাড়ায়, দেখা যায় বিপুল সংখ্যক বেকার।

(২) জাতিগত দ্বন্দু : ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলি ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রের মানুষদের ঘৃণা ও অবজ্ঞার চেখে দেখত। তারা নিজেদের শ্বেতাঙ্গ জাতিতে শ্রেষ্ঠ জাতি বলে মনে করত। এতে শুরু হয় শ্বেতাঙ্গ শাসক ও কৃষ্ণাঙ্গ শাসিতের মধ্যে যুক্তি সংগ্রামের পরিবেশ।

(৩) শ্রমিক রপ্তানি : জাতিগত বৈষম্যের অপর একটি বিভেদমূলক দিক ছিলঔপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলি থেকে শ্রমিকদের রপ্তানি, উপনিবেশগুলি থেকে ক্রীতদাসদের অন্যত্র রপ্তানি করা হতো। এরপর তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হতো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close