Madhyamik Bengali Rachana Suggestion / Paribeshdushon O tar Protikar / পরিবেশদূষণ ও তার প্রতিকার
Type Here to Get Search Results !

Madhyamik Bengali Rachana Suggestion / Paribeshdushon O tar Protikar / পরিবেশদূষণ ও তার প্রতিকার

 পরিবেশদূষণ ও তার প্রতিকার

পরিবেশদূষণ ও তার প্রতিকার
পরিবেশদূষণ ও তার প্রতিকার

     একটি প্রচলিত প্রবাদ রয়েছে - "God Made the Country and man made the town"। সৃষ্টির আদি লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ পৃথিবীর বুকে স্পন্দন জাগিয়েছে। ক্রমে মানুষ ও জীবজগতের সমাহারে জনপদ গড়ে উঠেছে। আজ একবিংশ শতকের প্রথম পর্বে এসে আমরা অনুভব করি, শহর বা নগর বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশের নির্মলতাকে ধুলো-ধোঁয়া-শব্দ ইত্যাদি কীভাবে গ্রাস করে নিয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই আজ প্রভৃতি নিধন, বিলাসবহুল জীবনযাপন ইত্যাদি নিজকৃত কুকর্মের জন্য প্রাণসংশয়ে ভুগছে। তাই দূষণ-সমস্যার আশু প্রতিকারের ব্যবস্থা না-করলে মানবসভ্যতা ধীরে ধীরে ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড়াবে।

দূষণের ভয়াবহতা : 

     ভাবলে অবাক হতে হয় যে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বাতাস কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ এক লক্ষ কোটি টন, যেখানে জাপানের বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড আছে ২২ হাজার কোটি টন। অন্য রাষ্ট্রদের পিছনে ফেলে ও  বঞ্চিত করে আমরা আরও সম্পদ সংগ্রহ করব, আরও সুখস্বাচ্ছন্দ্য ভোগ করব, দেশ-বিদেশ কলকারখানা গড়ে তুলব - এই সংকীর্ণ স্বার্থকে সামনে রেখেই উন্নত রাষ্ট্রগুলি আজ পৃথিবীর পরিবেশের ভারসাম্যকে ক্রমশ বিনষ্ট করছে।

দূষণের ফলে পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট : 

     মানুষ ও প্রাণীকুল ঘিরে যে-জগৎ রয়েছে, তাকেই আমরা বলি পরিবেশ। সেই পরিবেশ দূষিত বাতাস বেড়ে গেলে মানুষ ও প্রাণীদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে - এটাই স্বভাবিক। এক্ষেত্রে অরণ্য বা বৃক্ষ নীলকন্ঠের ভূমিকা পালন করে। পরিবেশে ঢালা বিষের অনেকেটাই শোষণ করে আমাদের পরিবেশকে অক্সিজেন সরবরাহ করে। আবার বিভিন্ন স্থান থেকে উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থসমূহ আমরা নদনদীতে ফেলে জলকে দূষিত করছি এবং আবার সেই ব্যবহার করে নানা রোগকেও আহ্বান করছি। ভূগর্ভের জল কৃষি ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করে ভূগর্ভস্থ জলভান্ডার নিঃশেষ করছি। এর ফলে মাটির জলীয় অংশ নষ্ট হচ্ছে, পানীয় জলে আর্সেনিক দূষণ ছড়াচ্ছে।

বিশ্বউষ্ণায়ন ও বর্তমান পৃথিবী : 

     অন্যদিকে, শব্দের নির্দিষ্ট সীমা ছাড়িয়ে মাইক্রোফোন কিংবা যানবাহনে ইত্যাদিতে ইচ্ছামতো হর্ণ বাজিয়ে শব্দদূষণ করা হচ্ছে। কৃষিক্ষেত্রে অবৈজ্ঞানিকভাবে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে, সেই বিষ নিজেরাই গ্রহণ করছি। কিন্তু এর ফলে সব থেকে ভয়াবহ বিপদ ঘটেছে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ উষ্ণতর হওয়ার জন্যে। বৃষ্টির অনিশ্চিয়তা ও মেরু অঞ্চলগুলি জমা বরফ গলে যাওয়ার জন্য সমুদ্রের কাছাকাছি নীচু অঞ্চলগুলি একসময় জলে ডুবে যেতে পারে। একটা সময় দেখা যাবে পৃথিবীও আর একটা প্রলয়ের সম্মুখীন হতে পারে।

দূষণের প্রতিকার : 

     এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল জাতীয় ও আন্তর্জাতিকস্তরে পরিবেশকেন্দ্রিক অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন গড়ে তোলা। দূষণের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে ও দূষণ প্রতিরোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আর্থিক ও অন্যান্য করণীয় বিষয়গুলির সিংহভাগ দায়িত্ব পালন করা জন্য ধনী দেশগুলিকে বাধ্য করাতে হবে। পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য। পেট্রোল-ডিজেলের বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যাতে, পরিবেশকে অনেকাংশে বাঁচানো যেতে পারে। পাশাপাশি, সমরাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্রগুলিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। বিদ্যালয় স্তর থেকেই পরিবেশবিদ্যার পাঠ নিয়ে বৃক্ষরোপণ করে, আমাদের পালয়িত্রী পৃথিবীকে বাঁচানোর ভাবনায় নতুন প্রজন্মকে আরও বেশি করে উদ্বুদ্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।

     পরিবেশদূষণের এই প্রবল সংকটময় আবহাওয়ায় সুস্থভাবে বাঁচার জন্য প্রয়োজন আনুপাতিক হারে অরণ্যসৃষ্টি করা। বিজ্ঞানকে বাদ দিয়ে আজকের পৃথিবী অচল। তাই, বিজ্ঞানের অগ্রগতির পাশাপাশি আমাদের সবুজায়নের দিকে দৃষ্টিপাত করতে হবে এবং নানাভাবে দূষিত হওয়ার হাত থেকে মুক্ত হতে চাওয়ার সৎ ইচ্ছাকে মনের মধ্যে জাগিয়ে তুলতে হবে। সর্বোপরি পরিবেশ বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে।

Download : পরিবেশদূষণ ও তার প্রতিকার PDF

*** দূষণ প্রতিরোধে ছাত্রসমাজের ভূমিকা/ পরিবেশ রক্ষায় ছাত্র সমাজের ভূমিকা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

LightBlog

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close