অষ্টম শ্রেণী
ইতিহাস
দ্বিতীয় পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য
পঞ্চম অধ্যায়
উপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া : সহযোগিতা এবং বিদ্রোহ
পূর্নমান : সময় :
১। নিচের বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ মুন্ডা বিদ্রোহের নেতা ছিলেন -
ক বিরসা মুন্ডা
খ হরসা মন্ডল
১.২ প্রথম ভাইসরয় ছিলেন -
ক লর্ড বেন্টিং
খ লর্ড ক্যানিং
১.৩ মালাবার অঞ্চলে বিদ্রোহ হয় -
ক মোপলা বিদ্রোহ
খ সাঁওতাল বিদ্রোহ
১.৪ জ্যোতিরাও ফুলে প্রতিষ্ঠা করেন -
ক সত্যশোধক সমাজ
খ নিত্যবোধক সমাজ
১.৫ শেষ মুঘল সম্রাট ছিলেন -
ক বাহাদুর শাহ জাফর
খ ঔরঙ্গজেব
২। নিচের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
২.১ কত সালে কে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করেন?
২.২ কত খ্রিস্টাব্দে আত্মীয় সভা থেকে ব্রাহ্মসমাজে গড়ে ওঠে?
২.৩ কত সালে কে আলিগড় অ্যাংলো অরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন?
২.৪ হিন্দু প্যাট্রিয়্টের সম্পাদকের নাম কে?
২.৫ কে আইন করে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করেন?
৩। শূন্যস্থান পূরণ কর :
৩.১ জাতীয় মেলা পরে ____ নামে পরিচিত হয়।
৩.২ _____ বিদ্রোহকে হুল বলে।
৩.৩ _____ স্কুলে মেয়েদের পড়ার ব্যবস্থা করেন বিদ্যাসাগর।
৩.৪ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে জাতীয়তাবাদীরা ____ বলে ব্যাখ্যা করতে থাকেন।
৩.৫ _____ খ্রিস্টাব্দে নীল বিদ্রোহ শেষ হয়।
৪। সত্য অথবা মিথ্যা নির্বাচন কর :
৪.১ সিপাহী বিদ্রোহ হয়েছিল ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে।
৪.২ সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম হলো সিধু ও কানু।
৪.৩ স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে শিকাগো ধর্ম সম্মেলনে যোগদান করেন।
৪.৪ ভারতে ওহাবী আন্দোলনের পরিচালনা করেন সৈয়দ আহমেদ।
৪.৫ নীলদর্পণ নাটক দীনবন্ধু মিত্র রচনা করেন।
৫। নিজের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৫.১ স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের সংস্কার গুলির প্রধান উদ্দেশ্য কি ছিল?
৫.২ সাঁওতাল বিদ্রোহের প্রধান কারণ কি ছিল?
৫.৩ মঙ্গল পান্ডে কে ছিলেন? তিনি কেন বিদ্রোহ ঘোষণা করেন?
৫.৪ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার কারণ কি ছিল?
৫.৫ সিপাহী বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলা হয় কেন?
৬। নিচের রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৬.১ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রের কারণ ও ফলাফল লেখ।
৬.২ বিদ্যাসাগরের শিক্ষা সংস্কার বিষয়ক অবদান উল্লেখ কর।
Answer
১|
১.১)মুন্ডা বিদ্রোহের নেতা ছিল- ক) বিরসা মুন্ডা।
১.২) প্রথম ভাইসরয় ছিলেন- খ) ক্যানিং
১.৩) মালাবার অঞ্চলে বিদ্রোহ হয়- ক) মোপাল বিদ্রোহ
১.৪) জ্যোতিরাও ফুলের প্রতিষ্ঠা করেন - ক) সত্যশোধক সমাজ।
১.৫) শেষ মুঘল সম্রাট ছিলেন- ক) বাহাদুর সাহাজ জাফর।
২|
২.১) ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ হয়।
২.২) ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে আত্মীয় সভা থেকে ব্রাহ্মণ সমাজ গড়ে ওঠে।
২.৩) স্যার সয়দ্য আহমদ খান ১৮৭৬
সালে আলিনগর অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
২.৪) হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় হিন্দু পেট্রিয়্টের সম্পাদক।
২.৫) রাজা রামমোহন রায় আইন করে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করে।
৩|
৩.১) জাতীয় মেলা পরে হিন্দু মেলা নামে পরিচিত হয়।
৩.২) সাঁওতাল বিদ্রোহকে হুল বিদ্রোহ বলে।
৩.৩) হিন্দু বালিকা স্কুলে মেয়েদের পড়ার ব্যবস্থা করেন বিদ্যাসাগর।
৩.৪) ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে জাতীয়তাবাদীরা জাতীয় বিদ্রোহ বলেছিল।
৩.৫) ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে নীল বিদ্রোহ শেষ হয়।
৪.১) সিপাহী বিদ্রোহ হয়েছিল 1857 খ্রিস্টাব্দে। [সত্য]
৪.২) সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম হল সিদু ও কানু।[সত্য]
৪.৩) স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের শিকাগো ধর্ম সম্মেলনে যোগদান করেন।[সত্য]
৪.৪) ভারতের ওহাবী আন্দোলনের পরিচালনা করেন সৈয়দ আহমেদ।[মিথ্যা]
৪.৫) নীলদর্পণ নাটক দীনবন্ধু মিত্র রচনা করেন।[সত্য]
৫|
৫.১) স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের সংস্কারগুলির প্রধান উদ্দেশ্য মুসলমানদের মনে নতুন চেতনার জন্ম দেওয়া।
৫.২) সাঁওতাল বিদ্রোহের প্রধান কারণ ছিল ব্রিটিশরা সাঁওতালদের থেকে কোন সাহায্য নাকরে তাদের কাছে কর নিচ্ছিল।
৫.৩) মঙ্গল পান্ডে ছিলেন ভারতের একজন সৈনিক। তিনি সিপাহী বিদ্রোহের ঘোষণা করেছিলেন।
৫.৪)
মহাবিদ্রোহ ব্যর্থের কারণ ছিল বিদ্রোহীদের মধ্যে নেতৃত্বে কুপরিকল্পনার অভাব ,বিচ্ছিন্নভাবে বিদ্রোহ সংগঠন ভারতীয় জনগণের ব্যাপক সমর্থনের অভাব, হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে স্থায়ী একাত্তের অভাব ছিল।
৫.৫) কারণ: শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে ব্রিটিশ কোম্পানি সেনাবাহিনী তৈরি করছিল সেই সময় থেকেই সেনাবাহিনীর নানারকম জাতি পরিচয় কে উসকে তৃতীয় ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। জানা যায় যে নতুন এনফিল্ড রাইফেল এ টোটা গুলিতে শুয়োর ও গরুর চর্বি ব্যবহার করা হয়। টোটাল ভরার আগে তার দিয়ে কেটে নিতে হতো। তার ফলে সিপাহীদের মনে বিশ্বাস তৈরি হয় যে কোম্পানি ষড়যন্ত্র করে তাদের যা ধর্ম নষ্ট করার চেষ্টা। যদিও এই গুজবটি খানিকটা ঠিক ছিল।
ফলাফল: এর ফলে দ্রুত সারা দেশের সেনা ছাউনিতে গুজবটা ছড়িয়ে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হয়ে ব্রিটিশ কোম্পানির ওই টোটা বানানো বন্ধ করে দেয় সিপাইরা নানারকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কোম্পানির শাসনের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসের শেষের দিকে ব্যারাকপুরে সেনা ছাউনিতে সিপাহী মঙ্গল পান্ডে এক ইউরোপীয় সেনা অধিকারী কে গুলি করেন। মঙ্গলের সহকর্মীরা কৃতপক্ষে আদেশ পেয়ে মঙ্গলকে গ্রেফতার করেনি।দ্রুতই তাদের সকলকেই গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন সেনা ছাউনিতে সিপাহীদের মধ্যে অসন্তোষ বেরতে থাকে। আম্বালা, লখনৌ, মীরাট প্রবৃত্তি অঞ্চল থেকে নানারকম গোলযোগের খবর পাওয়া যায় ।মে মাসের মাঝামাঝি মিরাটের সেনারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
****বন্ধুরা যদি তোমরা আগামী পরীক্ষার সঠিক প্রস্তুতি নিতে চাও তাহলে নীচে দেওয়া Facebook Group Join করে তোমাদের এই প্রশ্নগুলির উত্তর উত্তরপত্রের খাতাগুলি পাঠিয়ে দিতে পারো। আমাদের Group তোমাদের খাতাগুলি যথাযথ নাম্বারিং করে আমাদের এই ওয়েবপেজে পোস্ট করে দেবে। তবে যথাযথ(৯০%) নাম্বার পেলেই সেটা সম্ভব হবে।
Our Facebook Group For More Study With KDPublisher.in : JOIN
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ