প্রাচীন লিপি এবং বাংলা লিপির উদ্ভব ও বিকাশ
বাংলা ভাষা সাহিত্যের ইতিহাস
(১) নিচের বহুবিকল্প ভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
১.১ বাণমুখ লিপির উদ্ভাবক জাতির নাম - সুমেরীয়
১.২ সন্ধিলগ্নের লিপি বলা হয় যে লিপিকে, তা হল - চিত্রপতীকলিপি
১.৩ রোমানীয় লিপি - ধ্বনিলিপি
১.৪ দেবনাগরী লিপি উদ্ভূত হয় - কাশ্মীরে
১.৫ ব্রাহ্মী লিপি থেকে চতুর্থ শতাব্দীতে উদ্ভুত হয় - গুপ্ত লিপি
১.৬ প্রাচীন ভারতে কোন্ লিপি দুটি প্রচলিত ছিল? - ব্রাহ্মী ও খরোষ্ঠী
১.৭ বাংলা লিপির জন্ম হয়েছে কোন্ লিপি থেকে - কুটিল লিপি
১.৮ বর্তমান সময়েও ঘটনার বর্ণনা দিয়ে চিতমালা অঙ্কের রীতি প্রচলিত আছে - রেড ইন্ডিয়ান ও অন্যান্য আদিম উপজাতিদের মধ্যে
১.৯ বাণমুখ লিপি হল - প্রাচীন সুমেরীয় জাতির লিপি
১.১০ বাণমুখ লিপিতে লেখা দুটি ভাষার নাম - ব্যাবিলনীয় এবং আসিরীয়
১.১১ প্রাথমিকভাবে মিশরীয় লিপি - মাত্র কয়েকটি রেখাচিত্রের সমন্বয় ছিল
১.১২ খরোষ্ঠী লিপির প্রাচীনতম নিদর্শন পাওয়া যায় - অশোকের মানসোহরা এবং শাহবাজগঢ়ী
১.১৩ বাংলা, ওড়িয়া ইত্যাদি লিপির জন্ম - ব্রাহ্মী লিপির উত্তর ভারতীয় ধারা থেকে
১.১৪ ভাষাকে স্থায়ী রূপদানের পদ্ধতিকে কী বলে? - লিপি পদ্ধতি
১.১৫ প্যালেস্টাইনে প্রাচীন কোন্ জাতির আদি নিবাস ছিল? - ফিনিশীয়
১.১৬ পবিত্র লিপি কোন্ চিত্রপ্রতীকলিপির অন্য নাম? - মিশরীয়
১.১৭ হিব্রু ও আরবি বর্ণমালা তৈরি হয়েছে কোন্ লিপি থেকে? - আরামীয়
১.১৮ হিয়েরোগ্লিফিক ছিল মূলত - চিত্রলিপি
১.১৯ সিদ্ধমাতৃকা লিপি থেকে জন্ম নিয়েছিল কোন্ লিপি? - কুটিল
১.২০ হ্যালহেডের বাংলা ব্যকরণের লিপির ছাঁচ তৈরি করেছিলেন মনোহর এবং - পঞ্চানন
(২) নিচের অতিসংক্ষপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
২.১ চিত্রলিপি কী?
উত্তরঃ কয়েকটি রেখার সাহায্যে কোনো বস্তু, বিষয় বা ঘটনার রূপকে প্রকাশ করা হয় যে লিপিপদ্ধতির মাধ্যমে, তাই-ই চিত্রলিপি।
২.২ গ্রন্থিলিপি বা কিপু কোথায় প্রচলিত ছিল?
উত্তরঃ গ্রন্থিলিপি বা কিপু পেরুতে প্রচলিত ছিল।
২.৩ সেনিমিক লিপি বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ যে লিপিপদ্ধতির প্রতিটি চিহ্ন একটি ধ্বনির প্রতীক হিসেবে যে-কোনো শব্দের গঠনগত উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তাই-ই সেনেমিক লিপিপদ্ধতি।
২.৪ এলম ও মায়া সভ্যতায় লিপির ব্যবহার করে থেকে শুরু হয়?
উত্তরঃ এলম সভ্যতায় ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এবং মায়া সভ্যতায় ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রথম লিপির ব্যবহার শুরু হয়।
২.৫ I P A কী?
উত্তরঃ I P A হল একটি অভিন্ন লিখন পদ্ধতি, যার মাধ্যমে পৃথিবীর যে-কোনো ভাষায় উচ্চারিত যাবতীয় ধ্বনিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
২.৬ আলেখ্য-চিত্রাঙ্কন পদ্ধতি কোন্ সময়ে প্রচলিত ছিল?
উত্তরঃ আলেখ্য চিত্রাঙ্কন পদ্ধতি ৩০০০০ থেকে ১০০০০ খ্রিস্টাপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে প্রচলিত ছিল।
২.৭ কে, কোন্ লিপিকে, কেন ভ্রুণলিপি বলে অভিহিত করেছেন?
উত্তরঃ প্রথম যুগের আলেখ্য-চিত্রাঙ্কন এবং স্মারক-চিত্রাঙ্কন পদ্ধতি দুটিতে মানুষের মনোভাব প্রকাশিত হলেও তাতে ভাষার প্রকাশ ছিল না বলে ডেভিড ডিরিঞ্জার আদিম লিপিপদ্ধতিকে ভ্রুণলিপি বলে অভিহিত করেছেন।
২.৮ চিত্রপ্রতীকলিপি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে লিপিপদ্ধতিতে রেখাচিত্র বিষয়, বস্তু, ঘটনা অথবা ভাবকে না বুঝিয়ে বিষয়, বস্তু, ঘটনা প্রকাশকারী বা ভাব-প্রকাশকারী কোনো ধ্বনিগুচ্ছ বা শব্দকে প্রকাশ করে, তাকে বলে চিত্রপ্রতীকলিপি।
২.৯ কিউনিফর্ম কথাটি কীভাবে তৈরি হয়েছে?
উত্তরঃ লাতিন Cuneus শব্দের অর্থ কীলক এবং Forma শব্দের অর্থ আকৃতি বলে এ দুটি লাতিন শব্দ জুড়ে Cuneiform কথাটি তৈরি হয়েছে।
২.১০ হিয়েরোগ্লিফিক শব্দটি কীভাবে তৈরি হয়েছে?
উত্তরঃ লাতিন শব্দ হিয়েরাস এর অর্থ পবিত্র এবং গ্লিফেইন শব্দের অর্থ খোদাই করা বলে এদের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে পবিত্র লিপি হিয়েরোগ্লিফিক।
২.১১ হিয়েরোগ্লিফিক লিপির পাঠোদ্ধার করেন কে?
উত্তরঃ জাঁ ফ্রাঁসোয়া শাঁপলিয়ঁ নামক এক ফরাসি হিয়েরোগ্লিফিকের পাঠোদ্ধার করেন।
২.১২ সিন্ধুলিপির চিহ্নগুলির বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
উত্তরঃ সিন্ধুলিপিতে প্রায় ৪০০টি চিহ্ন ছিল এবং সেই চিহ্নগুলির মাথায় স্বরচিহ্নবোধক বিভিন্ন রেখাও ছিল।
২.১৩ খরোষ্ঠী কোন্ লিপি থেকে উদ্ভুত হয়েছে?
উত্তরঃ খরোষ্ঠী আরামীয় লিপি থেকে উদ্ভুত হয়েছে।
২.১৪ কোন্ লিপি থেকে কবে গুপ্ত লিপি উদ্ভুত হয়?
উত্তরঃ ব্রাহ্মী লিপি উদ্ভুত কুষাণ লিপি থেকে চতুর্থ শতাব্দীতে গুপ্ত লিপি উদ্ভুত হয়।
২.১৫ শারদা লিপি থেকে কোন্ কোন্ লিপি উদ্ভুত?
উত্তরঃ শারদা লিপি থেকে তিব্বতি লিপি এবং কাশ্মীরি ও গুরুমুখি লিপি উদ্ভুত।
২.১৬ ব্রাহ্মী লিপি ফিনিশীয় লিপি উদ্ভুত - এটা কাদের মত?
উত্তরঃ Jones এবং Kopler মনে করেন যে, ব্রাহ্মী ফিনিশীয় লিপি উদ্ভুত।
See More : Full Class 11 Bengali Suggestion 2023
(৩) নিচের রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
৩.১ কিউনিফর্ম বা কীলকলিপির নামকরণ কে করেছিলেন? এই লিপির সবচেয়ে প্রাচীন নমুনাটি কোথায় পাওয়া গেছে? এই লিপির সংক্ষিপ্ত পরিচিয় দাও।
উত্তরঃ লিপি বিশারদ টমাস হাইড কিউনিফর্ম বা কীলক লিপির নামকরণ করেন।
এই লিপির প্রাচীন নমুনাটি প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের পুরনো এবং এটি পাওয়া গেছে উরুক শহরে।
লিপি বিশারদ জোহানস ফ্রেডরিকের মতে, পৃথিবীর সাতটি প্রাচীন সভ্যতায় লিপির ব্যাবহার শুরু হয়েছিল। সেগুলির মধ্যে সুমেরু সভ্যতায় প্রচলিত কিউনিফর্ম লিপি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
পৃথিবীর প্রচীনতম লিপি হল কীলক লিপি বা কিউনিফর্ম। সুমেরু সভ্যতার মানুষেরা এই লিপি উদ্ভাবন করেন। কিউনিফর্ম কথাটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ কিউনিয়াস(পেরেক) আর ফরমা (আকৃতি) থেকে । নরম মাটির চাকতিতে লিখে সেটি আগুনে পুড়িয়ে শক্ত করা হত। শুকোনোর পর খোদিত লেখাটি পেরেকের মতো খোঁচা খোঁচা দেখাতো, যার জন্য এই লিপির নাম কিউনিফর্ম বা কীলক লিপি।
মেসোপটেমিয়ার মানুষ মনে করতেন ‘নেবো’ নামের দেবতাই এই লিপির আবিষ্কর্তা। আনুমানিক আড়াই হাজার বছর আগে এই লিপির ব্যাবহার বন্ধ হয়ে যায়। যাইহোক, কিউনিফর্ম লিপিতে খোদিত বিভিন্ন নমুনা থেকে প্রাচীন সুমেরীয় সভ্যতা সম্পর্কে বহু তথ্য আজ জানা সম্ভব হয়েছে।
৩.২ বাংলা লিপির উদ্ভব ও বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করো।
উত্তরঃ বাংলা লিপির উদ্ভব নিয়ে পণ্ডিতমহলে যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে। বিতর্কের বিষয় দুটি - বাংলা লিপি কোন লিপি থেকে এসেছে আর কোন সময়ে বাংলা লিপির উদ্ভব হয়েছে।
সিন্ধু লিপি ছাড়া প্রাচীন ভারতের প্রধান দুটি লিপি হল ব্রাহ্মী ও খরোষ্ঠী। সিন্ধু লিপির এখনো পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়নি তাই সিন্ধু লিপি থেকে বাংলা লিপির উদ্ভব হয়েছে একথা বলা যাবে না। খরোষ্ঠী লিপির সঙ্গে বাংলা লিপির কোনো সাদৃশ্য নেই। তাই একটা বিষয়ে পণ্ডিতগণ একমত যে বাংলা লিপি এসেছে ব্রাহ্মী লিপি থেকে। ব্রাহ্মী থেকে বাংলা লিপির উদ্ভবের ইতিহাসটি এইরকম -
খ্রীঃ পূঃ অষ্টম-সপ্তম শতকে ব্রাহ্মী লিপির উদ্ভব হয়েছিল। খ্রীঃ পূঃ দ্বিতীয়-প্রথম শতকে ব্রাহ্মী লিপির উত্তর ভারতীয় লিপিরূপ থেকে জন্ম নেয় কুষাণ লিপি। কুষাণ লিপি থেকে আসে গুপ্ত লিপি গুপ্তলিপির পুর্বী শাখার পুর্ব বিভাগ থেকে জন্ম নেয় সিদ্ধমাতৃকা লিপি। সপ্তম শতকে আসে কুটিল লিপি। আর কুটিল লিপি থেকেই বাংলা লিপির জন্ম হয়।
ঠিক কোন সময়ে বাংলা লিপির উদ্ভব হয়েছিল তা আজ আর জানা সম্ভব নয় তবে অষ্টম শতক থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যে কোনো এক সময়ে বাংলা লিপির জন্ম হয়েছিল বলে অধিকাংশ পণ্ডিত মত পোষণ করেছেন।
৩.৩ ব্রাহ্মীলিপি থেকে বাংলা লিপি বিবর্তনের বিভিন্ন পর্যায়গুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তরঃ ব্রাহ্মী লিপির প্রাচীনতম নিদর্শন অশোকের অনুশাসনে পাওয়া গেলেও পরবর্তীকালে সংস্কৃত, প্রাকৃত প্রভৃতি ভাষা এই লিপিতেই লিখিত হত। ২০০ খ্রিঃ পূঃ ব্রাহ্মীর দুটি আঞ্চলিক রূপ গড়ে ওঠে - উত্তর ভারতীয় রূপ এবং দক্ষিণ ও বহির্ভারতীয় রূপ। দ্বিতীয় রূপটি থেকেই পল্লব লিপি উদ্ভূত হয়, যা গ্রন্থি, মালয়ালম্, তামিল, তেলুগু-কন্নড় ও সিংহলি লিপি এবং ব্রহ্মদেশ-কম্বোজ-শ্যামদেশীয় লিপির জন্ম দিয়েছে। অন্যদিকে ব্রাহ্মী লিপির উত্তর-ভারতীয় রূপই হল কুষাণ লিপি। চতুর্থ শতাব্দীতে অর্থাৎ গুপ্তযুগের কুষাণ লিপি বিবর্তিত হয়ে গুপ্ত লিপি নাম নেয়। এই গুপ্ত লিপি ষষ্ঠ শতাব্দীতে 'সিদ্ধমাতৃকা' লিপির জন্ম হয়। এই সিদ্ধমাতৃকা লিপি থেকেই সপ্তম শতাব্দীতে কুটিল লিপি উদ্ভূত হয়।
অষ্টম শতাব্দীতে এই কুটিল ভারতীয় উপমহাদেশে পাঁচটি শাখায় বিভক্ত হয়ে যায়। কুটিল লিপির উত্তর-পশ্চিম ভারত শাখা অর্থাৎ শারদা লিপি থেকে তিব্বতি, কাশ্মীরি ও গুরুমুখি লিপি, 'উত্তর ও মধ্যভারত' শাখা থেকে দেবনাগরী, কায়থী ও গুজরাটি লিপি, 'মধ্য এশিয়া' শাখা থেকে খোটানি লিপি এবং 'যবদ্বীপ-বালদ্বীপ' শাখা থেকে যবদ্বীপীয় কুটিল লিপি উদ্ভূত হয়েছে।
কুটিল লিপির পঞ্চম শাখা অর্থাৎ 'পূর্ব-ভারত' শাখার লিপি হল প্রত্ন-বাংলা লিপি বা গৌড়ী লিপি। নবম শতাব্দীতে নারায়ণ পালের তাম্রশাসনে প্রত্ন-বাংলা লিপির প্রাচীনতম নিদর্শন পাওয়া যায়। এই প্রত্ন-বাংলা লিপি থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে নিম্নলিখিত চার প্রকার লিপি উদ্ভূত হয়েছে -
নেপালি - ওড়িয়া - মৈথিলি - বঙ্গলিপি
এইভাবে ব্রাহ্মী লিপি থেকে ক্রমে ক্রমে বঙ্গলিপি বা বাংলা লিপি উদ্ভূত হয়েছে।
৩.৪ সিন্ধুলিপি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তরঃ ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে সিন্ধু অববাহিকার হরপ্পা এবং মহেন-জো-দারোতে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার যে ভগ্নাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছিল, তার মধ্যে থাকা শিলমোহর ও শিলালিপি থেকে যে যুগের লিপির সন্ধান পাওয়া যায়। সেই সিন্ধুলিপি ছিল মূলত চিত্রালিপি, যে লিপিতে প্রায় ৪০০ বিভিন্ন চিহ্নের খোঁজ পাওয়া যায়। এ লিপির সম্পূর্ণ পাঠোদ্ধার এখনও সম্ভব হয়নি। তবে এই লিপির সঙ্গে সুমেরীয়, প্রোটো-এলমাইট, হিট্টাইট, মিশরীয়, ক্রিট-দেশীয়, চিনা এবং ব্রাহ্মী লিপির কিছু কিছু সাদৃশ্য আছে।
প্রাচীন ভারতের সিন্ধু সভ্যতায় ব্যবহৃত লিপি। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দের দিকে এই লিপি সিন্ধু সভ্যতার মানুষ ব্যবহার করতো। ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে আলাকজান্ডার কানিংহাম হরপ্পায় প্রাপ্ত কিছু প্রতীক প্রকাশ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে প্রায় ৪০০০ প্রতীক আবিষ্কার হয়েছে। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ইতাভাথাম মহাদেবান ৩,৭০০ সিল পরীক্ষা করে ৪১৭টি স্বতন্ত্র প্রতীক শনাক্ত করেন। তাঁর মতে হরপ্পা সভ্যতার মানুষ ডান থেকে বাম দিকে লিখতেন। কানিংহাম এফ রেমন্ড এ্যালিসিন, এবং অন্যান্য লিপিবিশারদদের মতে, এই লিপি থেকে ব্রাহ্মীলিপির উদ্ভব হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত এই লিপির পাঠ উদ্ধার করা যায় নাই।
See More : Full Class 11 Bengali Suggestion 2023
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ