LightBlog
ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা | বাংলা ভাষা সাহিত্যের ইতিহাস | একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন ২০২৩ | WB Class 11 Bengali Suggestion 2023 WBCHSE
Type Here to Get Search Results !

ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা | বাংলা ভাষা সাহিত্যের ইতিহাস | একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন ২০২৩ | WB Class 11 Bengali Suggestion 2023 WBCHSE

ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা

বাংলা ভাষা সাহিত্যের ইতিহাস

ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা | বাংলা ভাষা সাহিত্যের ইতিহাস | একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন ২০২৩ | WB Class 11 Bengali Suggestion 2023 WBCHSE
ভারতের ভাষাপরিবার ও বাংলা ভাষা | বাংলা ভাষা সাহিত্যের ইতিহাস | একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন ২০২৩ | WB Class 11 Bengali Suggestion 2023 WBCHSE


(১) নিচের বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

১.১ লাতিন ভাষা-উদ্ভুত ভাষা হল - ফরাসি

১.২ ফরাসি ভাষা সৃষ্ট হয় যে ভাষা থেকে, তা হল - পহ্লবী

১.৩ প্রাচ্যমধ্যা প্রাকৃত হল - অর্ধমাধবী প্রাকৃত

১.৪ কাশীদাসী মহাভারত-এর বাংলা - অন্ত্য-মধ্য বাংলা

১.৫ গুজরাট ও রাজস্থানে যে লিপি প্রচলিত ছিল, তা হল - নাগরী

১.৬ ভোট-চিনীয় ভাষাবংশের লোকেরা জাতিতে ছিল - মোঙ্গল

১.৭ প্রাকৃত ভাষা সৃষ্টি হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব - ষষ্ঠ শতাব্দীতে

১.৮ প্রাকৃতের দক্ষিণ-পশ্চিমা রূপ থেকে তৈরি হয় - শৌরসেনী প্রাকৃত

১.৯ মারাঠি ভাষা লেখা হয় - বালবোধ লিপিতে

১.১০ উর্দুভাষার উদ্ভব হয় - সপ্তদশ শতাব্দীতে

১.১১ পূর্বী হিন্দি ভাষাগুচ্ছের অপর নাম - কোশলি

১.১২ মণিপুরি ভাষার লিপি হল - বঙ্গলিপি

১.১৩ ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার উদ্ভব হয়েছিল - দক্ষিণ রাশিয়ার উরাল পর্বতের পাদদেশে

১.১৪ আর্য হল - প্রত্ন ইন্দো-ইউরোপীয় ভষার জনজাতি

১.১৫ নব্যভারতীয় আর্য ভাষার সূচনা - আনুমানিক ৯০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে

১.১৬ বিভিন্ন অপভ্রংশ ও অবহট্‌ঠ ভাষাগুলির জন্ম হয়েছিল - মধ্যভারতীয় আর্য ভাষার শেষ স্তরে

১.১৭ বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে - সংস্কৃত

১.১৮ ভারতের প্রাচীনতম অধিবাসী - সাঁওতাল, শবর, খাসি, মুন্ডা এবং হো

১.১৯ প্রাকৃত ভাষা পরিচিত ছিল - জনসাধারণের ভাষা হিসেবে

১.২০ অপভ্রংশের জন্ম হয়েছিল - সাহিত্যিক প্রাকৃতের কথ্যরূপগুলি থেকে

১.২১ মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষাকে কী আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে? - বৈদিক

১.২২ অষ্টাধ্যায়ী রচনা করেছিলেন কে? - পাণিনি

১.২৩ পশ্চিমা প্রাকৃত থেকে জন্ম নিয়েছিল কোন্‌ প্রাকৃত? - শৌরসেনী

১.২৪ আর্যজাতি ভারতে প্রবেশ করেছিল কত খ্রিস্টাব্দে? - ১৫০০ 

১.২৫ হিন্দুস্থানি ভাষা তৈরি হয়েছিল কোন্‌ আমলে? - পাঠান

১.২৬ কবিরের লেখা দোঁহাগুলি কোন্‌ ভাষায় রচিত? - ভোজপুরি

১.২৭ লুঙ্গি শব্দটি বাংলা ভাষায় এসেছে - বর্মি ভাষা থেকে

১.২৮ সাঁওতালি ভাষার লিপির নাম - অলচিকি

১.২৯ নেপালি ভাষার উদ্ভব ঘটেছে - শৌরসেনী প্রাকৃত-অপভ্রংশ থেকে

(২) নিচের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

২.১ দক্ষিণ ভারতের ভাষা কোন্‌ ভাষাবংশ থেকে উদ্ভুত?

উত্তরঃ দক্ষিণ ভারতের ভাষা দ্রাবিড় ভাষাবংশ থেকে উদ্ভুত।

২.২ মেলানেশীয় ভাষাগোষ্ঠীর লোক কোথায় বাস করে?

উত্তরঃ মেলানেশীয় ভাষাগোষ্ঠীর লোক ফিজি দ্বীপে বাস করে।

২.৩ ধ্রুপদি সংস্কৃত ভাষায় ব্যবহৃত পাঁচটি দ্রাবিড় ভাষাজাত শব্দের নাম লেখো।

উত্তরঃ ধ্রুপদি সংস্কৃত ভাষার ব্যবহৃত পাঁচটি দ্রাবিড় ভাষাজাত শব্দ হল অণু, গণ, পুষ্প, পৃজা ও তন্ডুল।

২.৪ পাণিনির গ্রন্থের নাম অষ্টাধ্যায়ী কেন হয়েছিল?

উত্তরঃ পাণিনি অষ্ট অধ্যায় অর্থাৎ আটটি অধ্যায়ে বৈদিক ভাষার ব্যাকরণকে ব্যাখ্যা ও বিবৃতি করেছিলেন বলে তার গ্রন্থের নাম অষ্টাধ্যায়ী।

২.৫ দ্রাবিড় ভাষাবংশের উত্তরা শাখার ভাষাদুটির নাম লেখো।

উত্তরঃ দ্রাবিড় ভাষাবংশের উত্তরা শাখার ভাষা দুটি হল কুরুখ বা ওরাও এবং মালতো।

২.৬ তামিল ভাষা কীভাবে উদ্ভুত হয়েছে?

উত্তরঃ তামিল ভাষা তামিলনাড়ুতে এবং কেরালা ও মহীশূরের কিছু অংশে এবং উত্তর সিংহলে প্রচলিত।

২.৭ ঋগ্‌বেদ কোন্‌ ভাষার রচিত?

উত্তরঃ ঋগ্‌বেদ লেখ্য বৈদিক বা ছান্দস্‌ ভাষায় রচিত।

২.৮ পালি ভাষার লেখা উৎকৃষ্ট কবিতা-সংকলন গ্রন্থ দুটির নাম কী?

উত্তরঃ পালি ভাষার লেখা উৎকৃষ্ট কবিতা-সংকলন গ্রন্থ দুটির নাম হল সুত্তনিপাদ ও থেরগাথা।

২.৯ জৈন ধর্মসাহিত্য কোন্‌ ভাষায় রচিত হয়েছিল?

উত্তরঃ জৈন ধর্মসাহিত্য অর্ধমাগধী প্রাকৃতে রচিত হয়েছিল।

২.১০ রাজস্থানি ভাষার কয়েকটি আঞ্চলিক উপভাষার নাম লেখো।

উত্তরঃ রাজস্থানি ভাষার কয়েকটি আঞ্চলিক উপভাষার নাম হল মাড়োয়ারি, মেবারি, খান্দেশি, জয়পুর, মালবি ইত্যাদি।

২.১১ মৈথিলি ভাষা কোন্‌ অঞ্চলে প্রচলিত?

উত্তরঃ মৈথিলি ভাষা উত্তর বিহারের মজফফরপুর, দ্বারভাঙা, পূর্ব চম্পারণ, সমস্তিপুর ইত্যাদি অঞ্চলে অর্থাৎ প্রাচীন মিথিলায় প্রচলিত ছিল।

২.১২ ভোজপুরি ভাষা কোথায় কোথায় প্রচলিত?

উত্তরঃ ভোজপুরি ভাষা পশ্চিম বিহারে পূর্ণিয়া, ভাগলপুর, কাটিহার ও সাসারামে এবং উত্তরপ্রদেশের বেনারস, ভোজপুর, নাগপুর এবং রোহেতাস অঞ্চলে প্রচলিত।

See More : Full Class 11 Bengali Suggestion 2023

(৩) নিচের রচনাধর্মী প্রশণগুলির উত্তর দাওঃ

৩.১ প্রাকৃত ভাষার এইরূপ নামকরণের কারণ কী? এই ভাষার তিনটি আঞ্চলিকরূপের নাম লেখো।

উত্তরঃ ভাষাতাত্ত্বিকদের মতে, ভারতীয় আর্য ভাষার বিবর্তনের মধ্য দিয়েই বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া, অসমীয়া প্রভৃতি ভারতের আধুনিক ভাষাগুলির জন্ম হয়েছে। ভারতীয় আর্য ভাষার সাড়ে তিন হাজার বছরের ইতিহাসকে তিনটি যুগে বিভক্ত করা হয়। যথা -

     (১) প্রাচীন ভারতীয় আর্য (খ্রি:পূ:১৫০০- খ্রি:পূ: ৬০০)

     (২) মধ্য ভারতীয় আর্য (খ্রি:পূ:৬০০- ৯০০খ্রি:)

     (৩) নব্য ভারতীয় আর্য (৯০০খ্রি:- বর্তমান)

     মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষার প্রধান কথ্যরূপটি হল প্রাকৃত ভাষা যা সংস্কৃত ব্যাকরণের অনুশাসন থেকে বেরিয়ে এসে সাধারণ জনগণের ভাষা হয়ে উঠেছিল। এই ভাষাটিকে প্রাকৃত ভাষা বলা হয় দুটি কারণে -

     ১) ব্যাকরণের আলোচনায় ‘প্রকৃতি’ শব্দের অর্থ হল মূল উপাদান। বৈদিক-সংস্কৃত ভাষার মূল উপাদান নিয়ে এই ভাষার জন্ম তাই একে বলা হয় প্রাকৃত ভাষা।

       ২) প্রাকৃত ভাষা বলতে প্রাকৃত জনের বা সাধারণ জনগণের মুখের ভাষাকেও বোঝায়। উল্লেখ্য যে, সংস্কৃত ছিল শিক্ষিত মানুষের ভাষা এবং ব্যাকরণের বেড়াজাল থাকায় সাধারণ মানুষের পক্ষে সংস্কৃত আয়ত্ত করা সম্ভব হত না। এইজন্য সাধারণ মানুষ সংস্কৃত ভাষার মূল উপাদান গ্রহণ করে যে ভাষায় কথাবার্তা বলত তাকেই প্রাকৃত ভাষা বলা হয়।

     প্রাকৃত ভাষার তিনটি আঞ্চলিক রূপ হল - 

(১) মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত (২) শৌরসেনী প্রাকৃত (৩) মাগধী প্রাকৃত।

৩.২ প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার সময়সীমা উল্লেখ করে দুটি ধ্বনিতাত্ত্বিক ও দুটি রূপতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তরঃ পণ্ডিতদের মতানুযায়ী ১৫০০ খ্রীঃ পূর্বাব্দ থেকে ৬০০ খ্রীঃ পূর্বাব্দ পর্যও সময়ে ব্যবহৃত আর্যদের ভাষাই হল প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা। এই ভাষার নিদর্শন হল বেদ। তবে চারটি বেদের মধ্যে একমাত্র ঋকবেদে প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার সর্বাধিক নিদর্শন মেলে) ভাষাতাত্ত্বিকেরা প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যর সন্ধান করেছেন। এ থেকে ভাষাটির স্বরূপ স্পষ্ট হয়।

প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার ধ্বনিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যঃ

(১) প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষায় ঋ, ৯, এ, ঐ, ও, ঔ – প্রভৃতি স্বরধ্বনিগুলি বর্তমান ছিল।

(২) এই সময়ের ভাষায় শ, ষ, স প্রভৃতি ব্যঞ্জনধ্বনিগুলি বর্তমান ছিল।

প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার রূপতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যঃ

(১) প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষায় বচন ছিল তিনটি একবচন, দ্বিবচন, বহুবচন।

(২) সচীন ভারতীয় আর্য ভাষায় পুরুষ ছিল তিনটি প্রথম পুরুষ। উত্তম পুরুষ, মধ্যম পুরুষ।

৩.৩ ভোটচিনা ভাষাবংশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উত্তরঃ আর্যদের আগমনের অনেক পূর্বেই মঙ্গোলয়েড জাতির মানুষ যে ভাষায় কথা বলত, সেই ভাষাকে ভোটচিনা বলে। ভোটচিনা ভাষাবংশের দু’টি শাখা যথা -

(১) তাইচিনা

(২) ভোটবর্মি

স্মরণীয় য়েনিসি শাখাটিকে এই ভাষাবংশের গোত্রে ফেলা হয়, যদিও এই শাখাটির সঙ্গে ভারতের কোনো সম্পর্ক নেই।

  তাইচিনা ভাষাবর্গের শ্যামীয় শাখার অন্তর্ভুক্ত খামতি ভাষা উত্তর–পূর্ব ভারতের আসাম ও অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে প্রচলিত। খ্রিস্টীয় ১৩০০ থেকে ১৮০০ শতক অবধি আসামে আহোম ভাষা প্রচলিত ছিল। আসাম শব্দের উৎপত্তি হয় আহোম থেকে। 

  ভোটবর্মি শাখার ভাষাগুলি হিমালয় অঞ্চলে প্রচলিত। ভোটিয়া ভাষা ভোটবর্মি শাখার ভাষা হলেও এই ভাষার রূপবৈচিত্র্য লক্ষ করা যায় কাশ্মীরের লাদাখ, হিমাচল প্রদেশের লাউল ও স্পিতি জেলায় পূর্ব হিমালয়ের সিকিমে ভোটিয়া, ভুটানি, শেরপা ও কাগতেরা যে ভাষায় কথা বলে , সেগুলিও ভোটবর্মি শাখার পর্যায়ভুক্ত। অরুণাচল প্রদেশ এবং আসামের পার্বত্য অঞ্চলে এই শাখার ২৪ টিরও বেশি ভাষা দেখা যায়। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আঁকা, আবর, দফলা, মিসমি, মিরি ইত্যাদি। 

  আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মণিপুরে ভোটবর্মি শাখার যে ভাষাগুলি দেখা যায়, সেগুলি ৪টি ভাগে বিভক্ত। এগুলি হলো বোরো বা বোবো, কুকুচিনি, নাগা এবং বর্মি । 

বোরো বা বোডোঃ এই শ্রেণির বাইশটি ভাষার মধ্যে কছারি , রাভা , কোচ , টিপরা , গারো , ও মেচদের ভাষা অন্যতম । 

নাগাঃ নাগা শাখার উল্লেখযোগ্য ভাষা আও, অঙ্গামি, সেমা, তঙ্গখুল, লোথা প্রভৃতি।

কুকিচিনিঃ মণিপুরের মেইতেই ভাষা, আসামের লুসাই, মিজোরামের মিজো ভাষা এই জাতীয় ভাষা।

বর্মিঃ বর্মি মূলত ব্রহ্মদেশের ভাষা, এছাড়া চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকায় মোঘ ও ভ্রু এই শাখার ভাষার উদাহরণ। 

৩.৪ সংস্কৃত ভাষা বাংলা ভাষার জননী - এই মত গ্রহণযোগ্য কিনা তা যুক্তিসহ আলোচনা করো।

উত্তরঃ অনেকে সংস্কৃত ভাষাকে বাংলা ভাষার 'জননী' বলে চিহ্নিত করেন। কারণ সাধারণের মতে, বাংলা তথা ভারতের অধিকাংশ ভাষা সংস্কৃত ভাষা থেকেই জন্ম হয়েছে। তবে এই ধারণাটি আদৌ ঠিক নয়। আসলে লেখ্য ভাষা হিসাবেই সংস্কৃতের প্রচলন ও ব্যবহার শুরু হয়। তাছাড়া এই ভাষা ব্যাকরণের জটিল নিয়মে আবন্ধ বলেই সংস্কৃত থেকে আলাদা ভাষার সৃষ্টি প্রায় অসম্ভব। কারণ পরিবর্তনের উপায় না থাকলে তার থেকে ভিন্ন ভাষা জন্ম নিতে পারে না।

   প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা বা বৈদিক ভাষাই ছিল একমাত্র জীবন্ত ভাষা। একে অন্য অর্থে বলা হয় প্রাকৃত ভাষা। মাগধী প্রাকৃত থেকে মাগধী অপভ্রংশ এবং অবহট্ঠ জন্ম নেয়। এরই পশ্চিমা শাখা থেকে মৈথিলি, ভোজপুরি এবং পূর্বী শাখা থেকে বাংলা ও অসমিয়া ভাষার সৃষ্টি হয়। সংস্কৃত বাংলা ভাষার জননী এই ভাবনার মধ্যে স্বদেশপ্রেম জড়িয়ে আছে। যদিও এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। 

  সংস্কৃত হলো বৈদিক ভাষার পরে একটি প্রচলিত ভাষা। জীবন্ত ভাষার মতো এই ভাষাতেও কোনো পরিবর্তন আসেনি। কারণ এই ভাষার কোনো বিবর্তন হয়নি। এর কারণ হিসাবে বলা যায় কোনো ভাষায় পরিবর্তনের সুযোগ না থাকলে সেই ভাষা থেকে নতুন ভাষা জন্ম নিতে পারে না। প্রাচীন ভারতীয় আর্য একটি ব্যতিক্রমী ভাষা। এটি মানুষের মুখে মুখে পরিবর্তনের কারণে নানা আধুনিক ভারতীয় ভাষার জন্ম দিয়েছে। পরিবর্তনের পথ ধরেই এসেছে বিভিন্ন নব্য ভারতীয় আর্য ভাষা। মাগধী প্রাকৃত থেকে মাগধী অপভ্রংশ, অবহট্ঠ -এর ৯০০ খ্রিস্টাব্দে এই ভাষা থেকেই বাংলা ভাষা জন্ম নেয়। তাই সংস্কৃত আদৌ বাংলা ভাবার জননী নয়, বাংলা ভাষার জননী হলো মাগধী অপভ্রংশ অবহট্ঠ ভাষা।

See More : Full Class 11 Bengali Suggestion 2023

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close