ফণীমনসা ও বনের পরি
বীরু চট্টোপাধ্যায়
পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
WB Class 5 Bengali
হাতে কলমে
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখোঃ
১.১ ফনীমনসা তুমি দেখছ? কোথায় দেখেছ?
উত্তরঃ ফণীমনসা আমি দেখেছি। তুলসীমঞ্চের কাছে আমি ফণীমনসা দেখেছি।
১.২ আর কোন্ কোন্ গাছ তুমি দেখেছ যাদের কাঁটা আছে?
উত্তরঃ গোলাপ গাছ, লেবুগাছ, ক্যাকটাসে কাঁটা আছে।
১.৩ গাছের কাঁটা কীভাবে তাকে বাঁচায়?
উত্তরঃ গাছের কাঁটা গাছগুলির আত্মরক্ষা করে তাকে বাঁচায়।
১.৪ পরির গল্প তুমি কোথায় পড়েছ?
উত্তরঃ রূপকথার গল্পে পরির গল্প পড়েছি।
১.৫ সোনার মতো দামি আর কোন্ ধাতুর কথা তুমি জান?
উত্তরঃ সোনার মতো দামি প্ল্যাটিনাম ধাতুর কথা আমি জানি।
১৯. একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ
১৯.১ ছোট্ট ফণীমনসা গাছের মনে শান্তি ছিল না কেন?
উত্তরঃ ফণীমনসা গাছটি আশেপাশে গাছগুলি সুন্দর পাতা দেখে, ফণীমনসা গাছটির মনে শান্তি ছিল না। কারণ, তার নিজের পাতা ছিল বিচ্ছিরি আর ছুঁচালো।
১৯.২ ফণীমনসা গাছের আশেপাশের গাছগুলোর পাতা কেমন ছিল?
উত্তরঃ ফণীমনসা গাছের আশেপাশে গাছগুলোর পাতা ছিল সুন্দর সুন্দর।
১৯.৩ ফণীমনসা বারে বারে পাতাগুলো পালটে দেওয়ার আবেদন কার কাছে করছিল?
উত্তরঃ ফণীমনসা বারে বারে পাতাগুলো পালটে দেওয়ার আবেদন বনের পরির করছিল।
১৯.৪ প্রথমবারের আবেদনে ফণীমনসার গাছ জুড়ে কেমন পাতা হয়েছিল?
উত্তরঃ প্রথমবারের আবেদনে ফণীমনসা গাছ জুড়ে অনেক ঝলমল করা সোনার পাতা গজিয়ে উঠেছিল।
১৯.৫ সে সব পাতা ফণীমনসা হারাল কী করে?
উত্তরঃ ফণীমনসার সোনার পাতা গজানোর পর সেখানে এসে উপস্থিত হয় একদল ডাকাত। তাদের নজর পড়ে ওই সোনার পাতায় ভরা ফণীমনসা গাছের দিকে। আর তখনই ডাকাতেরা সোনার পাতা ছিঁড়ে গাছটিকে একদম ন্যাড়া করে দিলে সব পাতা হারিয়ে বসে ফণীমনসা।
১৯.৬ ডাকাতদলকে দেখতে কেমন?
উত্তরঃ ডাকাতদলের কানে জবাফুল গোঁজা ছিল। তারা ছিল জোয়ান।
১৯.৭ ঝড় এলে ফণীমনসা গাছের কাচের পাতার কী অবস্থা হল?
উত্তরঃ ঝড় এলে ফণীমনসা গাছের কাচের সমস্ত পাতা ধাক্কা খেয়ে খেয়ে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল।
১৯.৮ ছোট্ট ফণীমনসা গাছের দেমাকে মাটিতে পা পড়ছিল না কেন?
উত্তরঃ পরিকে অনুরোধ করায় ছোট্ট ফণীমনসা গাছটির পালং-এর মতো কচি নরম সবুজ পাতা হয়। যা দেখলেও চোখ জুড়িয়ে যায়। শাস্তি আসে। আর সেই দেমাকে মাটিতে পা পড়ে না ছোট্ট গাছটির।
১৯.৯ সেই দেমাক তার ভেঙে কীভাবে?
উত্তরঃ একদিন ছাগল এসে কচি কচি মিষ্টি সবুজ পালং পাতাগুলি কচ কচ করে খেয়ে ফেললে সেই দেমাক তার ভেঙে যায়।
১৯.১০ শেষ পর্যন্ত ফণীমনসা কেমন পাতা চাইল নিজের জন্য?
উত্তরঃ শেষ পর্যন্ত ফণীমনসা তার নিজের জন্য কাঁটাভরা ছুঁচোলো পাতাই চাইল।
২০. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ
২০.১ 'বাচ্চা গাছটি তো মহা খুশি। আনন্দে ডগমগ।' - এত আনন্দ কখন হল বাচ্চা গাছের?
উত্তরঃ বনের পরিকে ফণীমনসা কেঁদে কেটে অনুরোধ জানায় যাতে তার বিচ্ছিরি পাতার বদলে খুব সুন্দর পাতা হয়। তখন পরি জানতে চায়। কীরকম পাতা সে চায়? তখন ফণীমনসা জানায় সে সোনার পাতা চায়। বনের পরি তথাস্তু বলে অদৃশ্য হলে সেই মুহুর্তেই বাচ্চা ফণীমনসা গাছের কাঁটাভরা পাতা মিলিয়ে গিয়ে গজায় অজস্র ঝলমলে সোনার পাতা। তখনই বাচ্চা গাছটির মহা আনন্দ হয়।
২০.২ ফণীমনসা গাছ কাচের পাতায় ভরে ওঠাবার পরে তার চেহারাটি কেমন হয়েছিল?
উত্তরঃ ফণীমনসা গাছ কাচের পাতায় ভরে ওঠার পরে সেই কাচের পাতার উপর সূর্যের আলো পড়ে রামধনু রং ঝিকিমিকি খেতে শুরু করল। মৃদুমন্দ বাতাসের দোলা লেগে সুন্দর টুং-টাং শব্দ হতে লাগল। ফণীমনসা গাছ কাচের পাতায় ভরে ওঠাবার পরে তার চেহারাটি এমনই হয়েছিল।
২০.৩ মৃদু বাতাসে মনের আনন্দে দুলছে ফণীমনসা, এমন সময় ছাগল এসে উপস্থিত হওয়ায় কী ঘটল?
উত্তরঃ মৃদু বাতাসে মনের আনন্দে দুলছে ফণীমনসা, এমন সময় ছাগল এসে উপস্থিত হয়ে নিমেষের মধ্যেই কচি কচি পালংপাতা কচকচ করে খেয়ে ফেলে চলে গেল।
২০.৪ ছোট্ট গাছটি সত্যিই কি খুব শিক্ষা পেল বলে মনে হচ্ছে তোমার? কেমন সে শিক্ষা?
উত্তরঃ আমার মনে হয় ছোট্ট গাছটি খুব শিক্ষা পেল। কারণ সে তার নিজের রূপ-চেহারায় খুশি ছিল না। নিজের স্বাভাবিক চেহারাকে সে অপছন্দ করত তাই সে বারবার পরিকে অনুরোধ করে সুন্দর পাতা-র জন্য। পরি কথামতো তাকে তাই-ই দেয়। কিন্তু সে ডাকাতদল, ছাগল, প্রচন্ড ঝড়ের থেকে উচিত শিক্ষা পায় এবং নিজের চেহারাতেই ফিরে আসতে চায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ