অর্থনীতির বিভিন্ন দিক
পঞ্চম অধ্যায়
একাদশ শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন ২০২৩
WB Class 11 History Suggestion 2023
(১) নীচের বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
১.১ ক্রীতদাসদের হাতে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো তাদের - পালানো আটকাতে
১.২ কোন রোমান দাস তার প্রভুর প্রাণ রক্ষা করলে - ক্রীতদাসটি দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে পারত
১.৩ রোমের ক্রীতদাস প্রথার অন্যতম ফল ছিল - সেখানকার সামরিক দক্ষতা হ্রাস
১.৪ কার বিবরণ থেকে জানা যায় যে প্রাচীন ভারতে কোন ক্রীতদাস ছিল না? - মেগাস্থিনিস
১.৫ প্রাচীন ভারতে তৃতীয় নগরায়ন কবে শুরু হয়? - খ্রিস্টীয় দশম শতকে
১.৬ হরপ্পা সভ্যতার যুগের সামুদ্রিক বন্দরটি আবিষ্কৃত হয় - লোথালে
১.৭ কোন দেশের রাজতন্ত্রকে দিল্লির সুলতানের অনুসরণ করা উচিত বলে বরণী মনে করতেন? - পারস্যের
১.৮ সামন্ততান্ত্রিক ইউরোপে কৃষকদের টাইথ করটি ছিল - ধর্মকর
১.৯ মধ্যযুগের ম্যানার ব্যবস্থায় - ম্যানার অঞ্চল ছিল সামন্ততন্ত্রের উৎপাদন ব্যবস্থার ভিত্তি
১.১০ সামন্ততন্ত্রকে সমর্থন করেছেন - বোলাঁভিয়ের
১.১১ সামন্ততান্ত্রিক পিরামিড কাঠামোর সর্বোচ্চ স্তরে অবস্থান করতো - রাজা
১.১২ ইউরোপে সামন্ত প্রভু দের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল - জমি জমার
১.১৩ কাকে সামন্ততন্ত্রের পুষ্প বলা হত - শিভালরিকে
১.১৪ ভারতে একটা প্রথার প্রবর্তন করেন - ইলতুৎমিস
১.১৫ বৈদিক যুগের অনার্য ব্যবসায়ীরা কি নামে পরিচিত ছিল - পণি
See More : WB Class 11 History Full Suggestion 2023 WBCHSE
(২) নীচের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
২.১ ভর্নি কাদের বলা হত?
উত্তর : ক্রীতদাসদের যেসব সন্তান জন্মসূত্রে ক্রীতদাসে পরিণত হতো তারা ভার্নি নামে পরিচিত ছিল।
২.২ গ্ল্যাডিওডোর কাদের বলা হত?
উত্তর : প্রাচীন রোমে কোন ক্রীতদাসকে হিংস্র পশুর সঙ্গে লড়াই করে নাগরিকদের আনন্দ দিতে হতো। গ্লাডিয়েটর নামে পরিচিত ছিল।
২.৩ দাস অর্থনীতি কাকে বলে?
উত্তর : প্রাচীন রোমান, মিশরীয় ও ভারতীয় সভ্যতায় ক্রীতদাস প্রথা একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো লাভ করেছিল। এই সমস্ত অর্থনীতিতে ক্রীতদাস প্রথা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ক্রীতদাসদের শ্রমের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা এই অর্থনীতি দাস অর্থনীতি নামে পরিচিত।
২.৪ ফিফ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : ইউরোপের সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থাই একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে নিম্ন সামন্ত, উর্ধ্বপাতন সামন্ত প্রভুর প্রতি আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করত এবং বিনিময়ে উর্ধ্বপাতন সামন্ত প্রভু তার অধীনস্থ নিম্ন সামন্তকে জমি দান করত। এই জমি দানকে ফিফ বলা হত।
২.৫ করবি কি ছিল?
উত্তর : দরিদ্র কৃষক সপ্তাহে কয়েকদিন ভূস স্বামীর জমিতে বিনা পরিশ্রমকে বেকার খাটতে বাধ্য হত। এই শ্রমকে করবি বলা হত।
২.৬ ডুয়েল কি?
উত্তর : অবসর বিনোদনের অঙ্গ হিসেবে দুজন সামন্তপুর মধ্যে যে কৃত্রিম তলোয়ার যুদ্ধ হতো তাকে ডুয়েল বলা হত।
২.৭ ম্যানর হাউস কি?
উত্তর : সামন্ত প্রভুর বসবাসের জন্য ম্যানরে দুর্গ পরিবেষ্টিত সুরক্ষিত একটি প্রাসাদোপম সুবিশাল বাড়ি থাকতো। একে ম্যানার হাউস বলা হত।
২.৮ মধ্যযুগের ইউরোপে কাদের নাইট বলা হত?
উত্তর : ইউরোপের সামন্ততান্ত্রিক অবস্থায় উচ্চ বংশীয় যোদ্ধাদের নিয়ে সামন্ত প্রভুর জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠিত হতো। এই যোদ্ধারা নাইট নামে পরিচিত ছিল।
২.৯ ট্রুবাদুর কাদের বলা হত?
উত্তর : মধ্যযুগের নাইটদের বীরত্ব, আদর্শ ও প্রেমের কাহিনী ইউরোপে একদল চারণ কবি গ্রাম ও শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে জমিদার ও কৃষকদের বাসস্থানে গিয়ে গিয়ে শোনাতেন। এই সকল চারণ কবিরা দক্ষিণ ফ্রান্সে ট্রুবাদুর নামে পরিচিত ছিল।
২.১০ ইক্তা শব্দের অর্থ কি?
উত্তর : ইক্তা শব্দের অর্থ হল এক অংশ।
২.১১ ওয়াতন জায়গির বলতে কি বোঝো?
উত্তর : ওয়াতন শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো বাস্তব ভিটা। যে মনসবদার তার নিজস্ব অঞ্চলের ভূমি অধিকারী হিসেবে জাহিগিরের মাধ্যমে বেতন পেতেন সেই জায়গিরকে বলা হতো ওয়াতন জায়গির।
২.১২ মূল্য বিপ্লব কি?
উত্তর : দ্বাদশ শতকের মধ্যভাগ থেকে চতুর্দশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত সময়ে ইউরোপে জিনিসপত্রের মূল্য যথেষ্ট বৃদ্ধি পায় যা সাধারণভাবে মূল্য বিপ্লব নিয়ে পরিচিত।
২.১৩ মধ্যযুগের ইউরোপে গিল্ড প্রথা কী ছিল?
উত্তর : মধ্যযুগের ইউরোপে ব্যবসায়ী ও কারিগরি শ্রেণি নিজেদের স্বার্থে আলাদা আলাদা সংগঠন গড়ে তুলত। এই সংগঠনগুলির নাম ছিল গিল্ড। সাধারনত বিভিন্ন বণিক ও কারিগরিরা একই বাণিজ্য বা শিল্পে নিযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে এক একটি গিল্ড গড়ে তুলত।
২.১৪ মৌর্য পরবর্তী যুগের ভারত রোম বাণিজ্যে যে কোন একটি প্রভাব উল্লেখ কর।
উত্তর : মৌর্য পরবর্তী থেকে ভারত রোম বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ছিল। এই বাণিজ্যের দ্বারা ভারতীয় মসলা, চাল, গম, সুগন্ধি দ্রব্য, দামি পাথর, দামি কাঠ, মসলিন রেশন প্রভৃতি রোমে রপ্তানি হত।
২.১৫ প্রাচীন ভারতে অগ্রাহার প্রথা বলতে কী বোঝো?
উত্তর : প্রাচীন ভারতে বিশেষ করে খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতকের পরবর্তীকালে কোন কোন রাজা ও অন্যান্য ধণী ব্যক্তি পূর্ণ অর্জনের উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণকে বা ধর্ম প্রতিষ্ঠানে নিষ্কর জমি দান করতেন। এই প্রথা অগ্রাহার বা ব্রহ্মদেও নামে পরিচিত।
See More : WB Class 11 History Full Suggestion 2023 WBCHSE
(৩) নিচের রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
প্রশ্নঃ প্রাচীন ভারতের গিল্ড বা সংঘগুলির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখো। গিল্ডের পতনের কারণ কি ছিল?
উত্তরঃ
প্রাচীন ভারতের গিল্ডের বৈশিষ্ট্য
প্রাচীন ভারতে বিভিন্ন বণিক ও বিভিন্ন পেশার কারিগর-শিল্পীরা গিল্ড বা সংঘ গড়ে তুলেছিল। নারদ স্মৃতি, বৃহস্পতি স্মৃতি ও অন্যান্য সূত্র থেকে গিল্ডের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আভাস পাওয়া যায়। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল -
(১) কার্যকারী সংবিধানঃ কার্যাবলি পরিচালনার জন্য প্রতিটি পেশায় গিল্ডের নিজস্ব সংবিধান ছিল। গিন্ডের সকল সদস্যকে এই সংবিধানের নিয়মকনুন ও আচার বিধি মেনে চলতে হত।
(২) নির্দিষ্ট পেশাগত ভিত্তিঃ বিভিন্ন পেশার সঙ্গে নিযুক্ত ব্যক্তিরা নিজের পৃথক পৃথক গিল্ড গড়ে তুলল। কামার, কুমোর, তাঁতি প্রভৃটি বিভিন্ন পেশার মানুষের পৃথক পৃথক সংঘ বা গিল্ড গড়ে উঠেছিল।
(৩) নিজস্বতা রক্ষাঃ নিজস্বতা বজায় রাখার জন্য প্রতিটি গিল্ডের পৃথক পতাকা, প্রতীক, সিলমোহর ও সৈন্যবাহিনী থাকত। এতে প্রতিটি গিল্ডের সদস্যদের সঙ্ঘ-শক্তির প্রতি আস্থা বেড়েছিল।
(৪) সদস্যদের সহায়তা দানঃ গিল্ডগুলি সদস্যদের বিপদের সময় সময় পাশে দাঁড়াত, তাদের পরামর্শ দিত, সদস্যদের পারিবারিক বিবাদের মীমাংসা করত, মৃত সদস্যদের পরিবারের ভারন-পোষণের দায়িত্ব নিত।
গিল্ডের পতনের কারণ
প্রাচীন ভারতে গিল্ডগুলি একসময়ে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করলেও সেগুলি কালের গর্ভে ধ্বংস হয়ে যায়। এই পতনের কারণগুলি হল -
(১) রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপঃ গিল্ডের কাজকর্মে ক্রমবর্ধমান রাষ্টীয় হস্তক্ষেপ গিল্ডগুলিকে দুর্বল করে দেয়।
(২) ব্যক্তিগত বানিজ্যঃ গিল্ডের সামগ্রিক বাণিজ্যের সমৃদ্ধির পরিবর্তে বহু সদস্য ব্যক্তিগত বাণিজ্যকে সমৃদ্ধ করার কাজে বেশি মনোযোগী হলে গিল্ডের বাণিজ্যিক ও আর্থিক সমৃদ্ধির হ্রাস হয়।
(৩) ব্যক্তিমালিকানাঃ পূর্বে জমিতে রাজার অধিকার বেশি ছিল। পরবর্তীকালে জমিতে ব্যক্তিগত মালিকানার প্রসার ঘটলে মানুষ ব্যক্তিগত কাজের দিকে বেশি নজর দেয় এবং গিল্ডের বাইরে স্বাধীন ও স্বচ্ছলভাবে জীবিকা নির্বাহের অধিকারী হয়।
(৪) জাতিভেদের প্রভাবঃ গিল্ডের কাজের ক্ষেত্রে জাতি বা বর্ণের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া শুরু হলে উচ্চবর্ণের বাইরে থাকা বৃহত্তর জনগোষ্ঠী গিল্ড থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিত।
এভাবেই গিল্ডগুলি ভেঙে পড়ে এবং এর সদস্যরা উৎপাদনের কাজে যুক্ত হয়ে পড়ে বা দূরের কোনো গ্রাম অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রশ্নঃ মধ্যযুগে পশ্চিম ইউরোপের সামন্ততন্ত্রের মুখ্য বৈশিষ্ট্যগুলি কি ছিল? ইউরোপীয় সামতন্ত্রের পতনের কারণগুলি আলোচনা করো।
উত্তরঃ
মধ্যযুগে পশ্চিম ইউরোপের সামন্ততন্ত্রের বৈশিষ্ট্য
(১) কেন্দ্রিয় শক্তির দুর্বলতাঃ কেন্দ্রিয় শক্তির দুর্বলতার সুযোগে সর্বত্র অসংখ্য সামন্তপ্রভুর শক্তি দেশের প্রধান শক্তি হয়ে উঠেছিল।
(২) যোদ্ধাশ্রেণির অস্তিত্বঃ সামন্ততান্ত্রিক সমাজে নাইট বা বীর যোদ্ধা নামে একটি শক্তিশালী যোদ্ধা শ্রেণি অবস্থান করত। এই নাইট যোদ্ধারা বীরত্বকেই আদর্শ মেনে চলত।
(৩) ম্যানর ব্যবস্থাঃ উৎপাদন ক্ষেত্রে গ্রামগুলিকে কেন্দ্র করে ম্যানর ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। ম্যানর প্রভুরা তার ম্যানর হাউসে অবস্থান করে কৃষকদের উৎপাদনের কাজে নিযুক্ত রাখতেন এবং কৃষক ও ভূমিদাসদের শোষণ করতেন।
(৪) কর ব্যবস্থাঃ সামন্তপ্রভুরা ভূমিকর, উৎপাদন কর, সম্পত্তিকর, গৃহকর, জলকর প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের কর সাধারন মানুষের কাছ থেকে আদায় করত।
ইউরোপীয় সামন্ততন্ত্রের পতনের কারণ
(১) ভূমিদাস বিদ্রোহঃ ভূমিদাসদের ওপর সামন্তপ্রভুদের সীমাহীন শোষণ ও নির্যাতনকে সামন্ততন্ত্রের পতনের অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়।
(২) কৃষক বিদ্রোহঃ সামন্তপ্রভুদের জমিতে বিনা পয়ারিশ্রমিক বা বেগার খেটে কৃষকদের জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল। এজন্য তারা মাঝেমধ্যেই সামন্তপ্রভুর বিরুদ্ধে বিদোহ করত।
(৩) জনসংখ্যা হ্রাসঃ ১৩৪৮ খ্রিঃ ইউরোপে প্লেগ বা ব্ল্যাক ডেথ নামে মহামারি ছড়িয়ে পড়লে কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপের প্রায় ৪০% মানুষ মারা যায়। ফলে কৃষক ও ভূমিদাসের স্বল্পতায় সামন্ততান্ত্রিকদের আয় অনেক কমে আসে।
(৪) বানিজ্যের প্রসারঃ ইউরোপে নগরসভ্যতা ও বাণিজ্যের প্রসারের ফলে ম্যানরগুলিতে নির্যাতিত বহু কৃষক ও ভূমিদাস মুক্ত জীবনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। ম্যানরের বহু ভূমিদাস শহরে পালিয়ে এসে শ্রমিকের কাজে যোগ দেয়। ফলে ধীরে ধীরে সামন্ততন্ত্রের পতন ঘটে।
প্রশ্নঃ ম্যানরের দুর্গের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব আলোচনা করো। ম্যানরের দুর্গের জীবন কেমন ছিল?
উত্তরঃ সামন্তপ্রভুরা নিজ নিজ অঞ্চল শাসন করার উদ্দেশ্যে সেখানে দুর্গের মতো করে নিজের সুরক্ষিত প্রাসাদটি নির্মান করত। নিচে এই দুর্গের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য আলচোনা করা হল -
অবস্থানঃ বহিরাগত শত্রুর ওপর নজর রাখার জন্য সামন্তপ্রভুরা বেশির ভাগ দুর্গ কোনো ক্ষুদ্র পাহাড়ের উপর তৈরি করত।
নির্মাণকৌশলঃ পাথর দিয়ে তৈরি এই দুর্গগুলির দেয়ালে ছোটো ছোটো গর্ত থাকতো যেগুলির মধ্যদিয়ে বহিরাগত শত্রুর উপর নজর রাখা এবং প্রয়োজনে শত্রুকে লক্ষ্য করে তির, বর্শা, বল্লম ইত্যাদি নিক্ষেপ করা যায়।
তোরণঃ দুর্গের প্রধান তোরণের পরিখার ওপর একটিমাত্র টানা সেতু থাকত যার মাধ্যমে দুর্গের ভারী লোহার দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করা যেত।
দুর্গের অভ্যন্তরের জীবনঃ দুর্গের ভেতরে ছোটো জায়গায় একসঙ্গে অনেকে বাস করতে হত। কোনো কোনো দুর্গের মধ্যে আমোদ-প্রমোদের ব্যবস্থা থাকত।
ম্যানরের গুরুত্ব
নিচে ম্যানরের কতগুলি গুরুত্ব আলোচনা করা হল -
(১) মধ্যযুগের দুর্গগুলি বহিরাগত দুর্ধর্ষ আক্রমণকারীদের হাত থেকে ইউরোপকে রক্ষা করেছিল।
(২) মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রে দুর্গগুলি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।
ম্যানরের দুর্গের জীবন
প্রতিটি ম্যানরে সামন্তপ্রভুর বাসস্থান ছিল একটি বিশেষ দুর্গ। নিচে এই দুর্গের জীবন সম্পর্কে আলোচনা করা হল -
ঘরের অব্যন্তরঃ প্রাসাদে আসবাবপত্র খুবই কম থাকত। তাছাড়াও দেয়ালে ঢাল, তরোয়াল, বর্শা, অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র প্রভৃতি রাখা হত।
খাবার ঘরঃ প্রাসাদের কেন্দ্রস্থলে থাকত বৃহদাকার খাবার ঘর, যেখানে মশাল ও মোমবাতি জ্বেলে ভোজসভার আয়োজন করা হত।
সুরক্ষাঃ ম্যানরের কক্ষগুলি অন্ধকার ও স্যাঁতসেঁতে, কারণ প্রাসাদে কোনো জানালা না রেখে দেয়ালে কতগুলি ছিদ্র রাখা হত যেগুলির মাধ্যমে আক্রমণকারীদের দিকে তীর বর্শা ইত্যাদি নিক্ষেপ করা যেত।
চিত্ত-বিনোদনঃ প্রভু ও অভিজাত সম্প্রদায়ের মানুষ অবসর বিনোদন, আমোদ-প্রমোদের জন্য প্রসাদ-দুর্গের অভ্যন্তরে ও বাইরে পাশা খেলা, নাচ-গান, শিকার, কৃত্রিম যুদ্ধ প্রভৃতিতে অংশ নিত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ