LightBlog
সামাজিক ঘটনা স্রোত | ষষ্ঠ অধ্যায় | একাদশ শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন ২০২৩ | WB Class 11 History Suggestion 2023
Type Here to Get Search Results !

সামাজিক ঘটনা স্রোত | ষষ্ঠ অধ্যায় | একাদশ শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন ২০২৩ | WB Class 11 History Suggestion 2023

সামাজিক ঘটনাস্রোত

ষষ্ঠ অধ্যায়

একাদশ শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন ২০২৩

WB Class 11 History Suggestion 2023

সামাজিক ঘটনা স্রোত | ষষ্ঠ অধ্যায় | একাদশ শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন ২০২৩
সামাজিক ঘটনা স্রোত | ষষ্ঠ অধ্যায় | একাদশ শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন ২০২৩


(১) নিচের বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ


১.১ স্পার্টার ক্রীতদাসদের বলা হতো - হেলট

১.২ এথেন্সে যে ধরনের শাসন প্রচলিত ছিল তা হল - গণতান্ত্রিক

১.৩ হেলটদের প্রধান কাজ ছিল - চাষাবাদ

১.৪ প্রাচীন গ্রিসের অধিকাংশ ক্রীতদাস আসতো - যুদ্ধবন্ধিদের মধ্য দিয়ে

১.৫ ভারতীয় উপমহাদেশে বর্ণ প্রথা সূচনা হয়েছিল - ঋক বৈদিক যুগে

১.৬ প্রাচীন ভারতে পতিত ক্ষত্রিয়রা - শক, হুন প্রভৃতি বিদেশী জাত থেকে উদ্ভূত হয়েছিল

১.৭ নিষাদ হলো - অরণ্যভূমির উপজাতি

১.৮ গ্রিক দূত মেগাস্থিনিস মৌর্যযুগে ভারতীয় সমাজের কয়টি জাতির উল্লেখ করেছেন - সাতটি

১.৯ কনৌজে যে রাজপুত বংশ রাজত্ব করত তা হল - গাহড়বাল

১.১০ বিদুষী নারী অপালা ছিলেন - ঋক বৈদিক যুগের

১.১১ পরবর্তী বৈদিক যুগের যেসব নারী আজীবন ধর্ম ও দর্শন চর্চা করতেন তাদের বলা হত - ব্রহ্মবাদিনী

১.১২ ঋক বৈদিক যুগে বিধবা নারী বিবাহ করতে পারত - দেবরকে

১.১৩ মৌর্যযুগে ভারতে দাস প্রথার অস্তিত্ব ছিলনা বলে অভিমত দিয়েছিলেন - কৌটিল্য

১.১৪ প্রাচীন মিশরীয় রানী নেফারতিতি - আখেনাটেনের প্রধান মহিষী ও সহশাসক ছিলেন

১.১৫ জুলিয়াস সিজার যে রানী রূপে অত্যন্ত মুগ্ধ হন তিনি হলেন - ক্লিওপেট্রা

১.১৬ মিশরের লজ্জা নামে পরিচিত ছিলেন - ক্লিওপেট্রা

১.১৭ রানী দুর্গাবতী ছিলেন - চান্দিল্ল রাজকন্যা

১.১৮ রাজিয়া যার হাতে বন্দি হন তিনি হল - আলতুনিয়ার

১.১৯ নুরজাহানের প্রকৃত নাম ছিল - মেহেরুন্নিসা

See More : WB Class 11 History Full Suggestion 2023 WBCHSE

(২) নিচের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ


২.১ হেলট কারা ছিল?

উত্তর : প্রাচীন গ্রিসের স্পার্টায় ক্রীতদাসদের হেলট বলা হত। এরা ছিল স্পার্টার সর্বাপেক্ষা নির্যাতিত ও শোষিত শ্রেণি।


২.২ স্পার্টার সমাজ কয়টি স্তরে বিভক্ত ছিল ও কি কি?

উত্তর : তিনটি। - স্প্যার্টিয়েট, হেলট ও পেরিওকয়।


২.৩ মেটিক কাদের বলা হয়?

উত্তর : প্রাচীন গ্রিসের এথেন্স নামে অন্যতম পলিস বা নগর রাষ্ট্রের বসবাসকারী বিদেশীদের মেটিক বলা হতো।


২.৪ ব্রাত্য কারা?

উত্তর : ব্রত থেকে পতিত অর্থাৎ বিধিবিরোধী গোষ্ঠী এই অর্থে ব্রাত্য। যারা প্রাকৃত ভাষায় কথা বলতো। পশুপালন ও যাযাবর জীবন ধারাকে তারা জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করে।


২.৫ বৈদিক সমাজে কয়টি বর্ণ ছিল ও কি কি?

উত্তর : চারটি। - ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র।


২.৬ প্রাচীন ভারতে দ্বিজ নামে কারা পরিচিত ছিল?

উত্তর : বৈদিক যুগে আর্যদের চতুর বর্ণ প্রথার প্রথম তিনটি বর্ণ অর্থাৎ ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যরা উপনয়ন ধারণ করত। উপনয়ন ধারণের সংস্কারকে তাদের দ্বিতীয় জন্ম বলে মনে করা হতো। এজন্য তারা দ্বিজ নামে পরিচিত ছিল।


২.৭ পতিত ক্ষত্রিয় কাদের বলা হত?

উত্তর : বহিরাগত ব্যাকট্রীক গ্রীক, শখ, কুষান প্রভৃতি অনার্য জাতিগুলি ভারতীয় সমাজে পতিত ক্ষত্রিয় নামে পরিচিত।


২.৮ তরাইনের প্রথম যুদ্ধ কবে ও কাদের মধ্যে হয়েছিল? এই যুদ্ধে কে পরাজিত হন?

উত্তর : তরাইনের প্রথম যুদ্ধ ১১৯১ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি ও আজমিরের চৌহান বংশীয় রাজপুত রাজা তৃতীয় পৃথ্বীরাজ ও তুর্কি আক্রমণকারী মোহাম্মদ ঘুরির মধ্যে হয়েছিল। এই যুদ্ধে মোহাম্মদ ঘুরি পরাজিত হয়েছিল।


২.৯ তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ কবে ও কাদের মধ্যে হয়েছিল? এই যুদ্ধে কে পরাজিত হন?

উত্তর : তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি ও আজমিরে চৌহান বংশীয় রাজপুত রাজা তৃতীয় কীর্তি রাজ ও তুর্কি আক্রমণকারী মোহাম্মদ ঘড়ির মধ্যে হয়েছিল। এই যুদ্ধে তৃতীয় পৃথ্বীরাজ প্রায় জেতা যুদ্ধে পরাজিত নিহত হয়েছিলেন।


২.১০ অগ্নিকূল তত্ত্বটির প্রবক্তা কে?

উত্তর : ব্রাহ্মণ কবি চাঁদ বরদাই


২.১১ রাজপুর জাতির উৎপত্তি সংক্রান্ত যেকোনো দুটি তত্ত্বের নাম লেখ।

উত্তর : অগ্নিকুল তত্ত্ব এবং আর্য জাতি তত্ত্ব


২.১২ অর্থশাস্ত্রে কয় প্রকার বিবাহ রীতির উল্লেখ আছে ও কি কি?

উত্তর : আট প্রকার। - ব্রাহ্ম, দৈব, আর্য, প্রজাপত্য, পশুর, গান্ধর্ব, রাক্ষস এবং পৈশাচ।


২.১৩ স্ত্রীধন কি?

উত্তর : প্রাচীন ভারতের পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীকে সম্পত্তি রাখার যে অধিকার দেয়া হয়েছিল তার নাম স্ত্রীধন।


২.১৪ বিভিন্ন ধরনের স্ত্রীধনের পরিচয় দাও।

উত্তর : প্রধানত 6 প্রকার স্ত্রীধনের উল্লেখ আছে। যেমন - অধ্যাগ্নি, অধ্যবাহনিক, প্রীতিদত্ত, পিতৃদত্ত, মাতৃদত্ত, ভাতৃদত্ত।


২.১৫ কে চল্লিশ চক্র ভেঙে দেন?

উত্তর : সুলতান রাজিয়া চল্লিশের চক্র ভেঙে দেন।


২.১৬ নুরজাহান চক্র কি?

উত্তর : জাহাঙ্গীরের অসুস্থতা ও অন্ধ পত্নীভক্তির সুযোগে উচ্চাকাঙ্ক্ষী নুরজাহান তার নিকজনের নিয়ে একটি গোষ্ঠী গড়ে তোলেন। এটি নূরজাহান চক্র নামে পরিচিত ছিল।

See More : WB Class 11 History Full Suggestion 2023 WBCHSE

(৩) নিচের রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

৩.১ বর্ণ প্রথার বৈশিষ্ট্য কী? বর্ণ ও জাতির মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো।

উত্তরঃ ভারতে ঋক বৈদিক যুগে আর্য সমাজে বর্ণ প্রথা প্রচলিত ছিলো।

(ক) উদ্ভবঃ অধিকাংশ ঐতিহাসিক মনে করেন যে ভারতে আগমনের পূর্বে আর্য সমাজে বর্ণ প্রথা চালুছিলো না, আর্যরা ভারতে আসার পর ঋক বৈদিক যুগে আর্য সমাজে বির্ণ প্রথা প্রচলন ঘটে।

(খ) সামাজিক ক্ষেত্রঃ প্রাচীন ভারতে বর্ণ প্রথা মূলত আর্য সমাজে প্রচলিত হয়েছিল। আর্য সমাজের বাইরে অবস্থানকারী জনসমাজে এই প্রথার প্রচলন ছিল না।

(গ) ভিত্তিঃ বৈদিক বর্ণ প্রথা মূলত বৃত্তি বা কাজের উপর ভিত্তি করে গড়েউঠেছিল যাগযজ্ঞ পূজা অর্চনার সঙ্গে যুক্ত ছিলো ব্রাহ্মনরা দেশ শাসক ও যুদ্ধ হল ক্ষত্রীয়, ব্যবসায়ীরা হল ব্যবসা এবং উপরি উক্ত তিন বর্ণের সকল হল সূদ্র।

(ঘ) জাতি ব্যবস্থা ভিত্তিঃ প্রাচীন কালে ঋক বৈদিক যুগে বর্ণ প্রথা থেকে পরবর্তী কালে ভারতীয় সমাজে জাতীব্যবস্থার উভয় ঘটে।

     অনেক সময় বর্ণ ও জাতি দুটি শব্দ একই অর্থে ব্যবহার করা হল বর্ণ ও জাতি দুটি পৃথক শব্দ। নিচে বর্ণ ও জাতির মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলি আলোচনা করা হল -

প্রথমত, বৈদিক যুগের প্রথম দিকে চারটি বর্ণকে কেন্দ্র করে মাত্র চারটি জনগোষ্টির অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়। কিন্তু পরবর্তী কালে বৈদিক সমাজে নতুন নতুন পেশায় সৃষ্টি হল পুরোনো জনগোষ্টিগুলির থেকেই নতুন নতুন জাতি সৃষ্টি হয়।

দ্বিতীয়ত, বৈদিক সমাজের মতই পরবর্তী বৈদিক সমাজে বর্ণ ছিলো চারটি। তবে পরবর্তী বৈদিক যুগে এক একটি বর্ণের মধ্যে বহু জাতির অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়।

তৃতীয়ত, শুরুতে পেশা বা বৃত্তি উপর ভিত্তি করে বর্ণ ব্যবস্থা ভিত্তি চালু হলেই পরে এই বিষয়টি মুখ্য থাকেনি, আর জাতি হলো একটি বৃত্তি বা পেশা বাচক ধারণা।

চতুর্থত, বর্ণ প্রথায় অস্পৃশ্যতার অস্তিত্ব ছিলো না, বর্ণগুলি ছিল মুক্ত ও উদার, কিন্তু জাতি ব্যবস্থায় অস্পৃশ্যতায় অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়।

৩.২ রানী দুর্গাবতীর পরিচয় ও কার্যাবলী আলোচনা করো।

উত্তরঃ রানী দূর্গাবতী ছিলেন চান্দেল বংশীয় রাজপুত অধিপতি মাহবার কন্যা। তিনি ছিলেন একাধারে বুদ্ধিমতী, সাহসী, দেশপ্রেমী ও সংস্কৃতি মনস্ক। তিনি গন্ডোয়ানার শাসক দলগত শাহের সঙ্গে বিবাহ করেন।

রানী দূর্গাবতীর কার্যাবলী

(১) শাসনভার গ্রহণঃ গন্ডোয়ানার রাজা দলপত শাহের মৃত্যু হলে তার নাবালক পুত্র বীরনারায়ণ সিংহাসনে বসেন। নাবালক বীরনারায়ণে অভিবাবোক হিসেবে বিধোবা রাণী দূর্গাবতী গন্ডোয়ানার শাসন করে।

(২) রাজা বাহাদুরের অক্রমন রোধঃ দূর্গাবতীর রাজত্বের প্রথম দিকে আফগান নেতা বাহাদুর গন্ডোয়ানায় আক্রমন করে। কিন্তু দূর্গাবতী দক্ষতার সঙ্গে প্রত্যেক বার বাহাদুরের আক্রমনকে প্রতিহত করেন।

(৩) অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দক্ষতাঃ দূর্গাবতী প্রতিবার জয় লাভ করলেই যুদ্ধে তার রাজ্যের বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যায় হয়ে যাওয়ার ফলে গন্ডোয়ানার রাজ কোশ প্রায় শূন্য হয়ে পরে। এই অবস্থা দূর্গাবতী অভিযান চালিয়ে রাজকন্যা ক্ষুদ্র জমির মালিকদের কাছে থেকে আদায় করে রাজ কোশাবার পূর্ণ করে তোলে।

(৪) আকবরের আক্রমনের মোকাবিলাঃ মোঘল শক্তির সঙ্গে গন্ডোয়ানার তেমন কোনো বিরোধ ছিলোনা। কিন্তু গন্ডোয়ানায় বিপুল অর্থ সম্পদ ও ঐশ্বর্য্যে মোঘল সম্রাট লোভ আকবরের চোখে পরে। ফলে আকবর আসরফখানের নেতৃত্বে এক বিশাল বাহিনীর নেতৃত্বে দূর্গাবতীকে পরাজয় করে ছিলেন। এই যুদ্ধে দূর্গাবতীর পরাজয় হলেই তাঁর বীরত্ব, বুদ্ধিমত্তা, দেশপ্রেমিক এবং স্বাধীনতা স্পৃহার পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল।

৩.৩ প্রাচীন মিশরে ক্লিওপেট্রার পরিচয় ও কার্যাবলী সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তরঃ মিশরের ইতিহাসে যে ক্লিওপেট্রার নাম সর্বাধিক প্রসিদ্ধ, তিনি হলেন মিশরে টলেমি বংশের শেষ শাসক সপ্তম ক্লিওপেট্রা। দ্বাদশ টলেমির কন্যা ক্লিওপেট্রা ছিলেন অসাধারন বুদ্ধিমতী এবং উচ্চ শিক্ষিতা নারী তিনি ৯টি ভাষায় কথা বলতে পারতেন মাতৃভূমির প্রতি তাঁর ভালোবাসার ছিলে অকৃত্রিম তবে তাঁর চরিত্র বহু গুণের সাথে কিছু কলঙ্কের দাগও লক্ষ করা যায়।

ক্লিওপেট্রার কার্যাবলী

(১) সিংহাসন লাভঃ অসামান্য সুন্দরী ক্লিওপেট্রার প্রথম দিকে তাঁর পিতার সহসাশক হিসেবে মিশর শাসন করলেও পিতার মৃত্যুর পর তাঁর চেয়ে বয়সে আট বছরের ছোটো ত্রয়োদশ টলেমিকে বিবাহ করে মিশরে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে।

(২) জুলিয়াস সিজারের বন্ধুত্ব লাভঃ রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার ৪৭ খ্রিঃ পূঃ মিশর অভিযান করলে ক্লিওপেট্রার পরাজিত হন এবং এই যুদ্ধে ত্রয়োদশ টলেমি মারাযান। কিন্তু যুদ্ধে জুলিয়াস সিজার ক্লিওপেট্রার রাজনৈতিক বিচক্ষনতায় মুগ্ধ হন। এরপর কিছু দিনে মধ্যেই জুলিয়াস সিজার এবং ক্লিওপেট্রার বিবাহের মধ্যে পূনরায় মিশরের শাসন কর্তা হিসাবে নিযুক্ত হন।

(৩) মিশরে প্রত্যাবর্তনঃ জুলিয়াস সিজার বিবাহিত হলেও তিনি ক্লিওপেট্রার সঙ্গে রোমে স্বামী স্ত্রীর মতো বসোবাস করতে থাকে। এরপর সিজার বুটাস নামে এক আতোতায়ীর হাতে মৃত্যু হলে ক্লিওপেট্রা মিশরে ফিরে আসেন এবং তাঁর অপর ছোটো ভাই চতুর্দশ বিবাহ করে মিশরে শাসন করেন।

(৪) অ্যান্টনির সাথে বিবাহঃ জুলিয়াস সিজার নিহতো হওয়ার পর রোমান সেনাপতি ও মৃত জুলিয়াস সিজারের বন্ধু অ্যান্টনি মিশর অভিযান আসেন। কিন্তু তিনি রানী ক্লিওপেট্রার প্রেমে পরেযান। অ্যান্টনি মিশরের সিংহাসন লাভের উদ্দেশ্যে ক্লিওপেট্রাকে বিবাহ করেন।

(৫) অ্যাক্টভিয়নের আক্রমনে বিপর্যয়ঃ অ্যান্টনি ইতিপূর্বে বিবাহিত ছিলেন এবং তাঁর স্ত্রী ছিলেন জুলিয়াস সিজারের বোন অ্যাক্টভিয়াম সিজার। ক্লিওপেট্রার বিবাহের ঘটনায় ক্রুদ্ধ হয়ে তিনি মিশর আক্রমনকে অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রার মিলিতো বাহিনীকে চুরান্ত ভাবে পরাজয় করেন।

(৬) জীবনের অবশানঃ সম্পর্কে একের পর এক বিয়োগাত্বম পরিনতিতে ভেঙ্গে পরে শেষে ক্লিওপেট্রার অ্যাসপ নামে বিষাক্ত সাপের কামরে মাত্র ৩৯ বছরের বয়সে আত্মহত্যা করেছিল।

৩.৪ প্রাচীন ভারতে নারীর সামাজিক অবস্থার উপর এক প্রবদ্ধ রচনা করো।

উত্তরঃ প্রাচীন যুগে নারীর সামাজিক অবস্থার নানা সময়ে বদলেছে। পুরান, রামায়ন, মহাভারত, মনুস্মৃতি, অর্থশাস্ত্র, ইন্ডিকা, হর্ষচরিত, অভিজ্ঞানশকুন্তলাম প্রভৃতি প্রাচীন সাহিত্যে নারীর সামাজিক অবস্থার পরিচয় পাওয়া যায়।

ঋক বৈদিক সমাজে

     ঋক বৈদিক সমাজে বিয়ের আগে বাবা বা দাদা আর বিয়ের পর স্বামী বা ছেলের তত্ত্বাবধানে মেয়েদের জীবন কটতো। ঋক বৈদিক সমাজে বহু বিবাহের প্রচলন না থাকলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষের একাধিক স্ত্রী উল্লেখ দেখা যায়। অভিজাত পরিবারে বাইরে সতীদাহের চল ছিল না, ছিল না বিধোবা বিবাহের চলন। তবে স্বামীর মৃত্যুতে নিঃসন্তান স্ত্রী দেওরকে বিবাহ করতে পারত।  

পরবর্তী বৈদিক সমাজে

     পরর্বতী বৈদিক যুগে নারীর সামাজিক অবস্থা অনেকটা হ্রাস পেয়েছিল। অনেকক্ষেত্রে তাদের সম্পত্তির অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হত। তাছাড়া পরর্বতী বৈদিক যুগে বাল্যবিবাহ, পুরুষের বহুবিবাহ ও পণপ্রথা নারীর জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। সমাজে বেশিরভাগ সামাজিক দ্বায়িত্ব পুরোহিত শ্রেণির হাতে চলে যায় এবং নারীরা বেদ পাঠের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।

মৌর্য যুগে

      মৌর্য যুগে অভিজাত বংশীয় নারীরা লেখাপড়া শিখত। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র গ্রন্থথেকে জানা যায় যে এ যুগের নারীদের অনেকেই নৃত্য, কন্ঠ ও যন্ত্র সংগীতে অধ্যাপনা করে জীবনধারণ করত। এ যুগে স্বামী মারা গেলে স্ত্রী শ্বশুরের অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয়বার বিবাহ করতে পারত। স্বামী দুশ্চরিত্র বা চিরপ্রবাসী বা ক্লীব হলে নারী সেই স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে পারতেন। তাছাড়া গৃহলক্ষ্মীর ভূমিকা সামলানোর পাশাপাশি নারীরা স্বামীর সঙ্গে বিভিন্ন যজ্ঞানুষ্ঠানেও যোগ দিতে পারত।

মৌর্য পরবর্তী যুগে

     মৌর্য পরবর্তী যুগের নারীরা উচ্চশিক্ষা লাভ করার সুযোগ পেতেন। তবে মনুস্মৃতিতে নির্দেশ আছে যে নারীর প্রথম জীবন পিতার, বিবাহের পর স্বামীর এবং স্বামী মারা গেলে পুত্রের অধিনে জীবন কাটাতো। 

গুপ্ত যুগে

     গুপ্ত যুগে কেবল স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে স্ত্রী বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, উৎসব ও ধর্মীয় শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারত। তাছাড়া এই যুগে বিধবাবিবাহের প্রচলন থাকলেও সতীদাহ প্রথার চল ছিল না।

See More : WB Class 11 History Full Suggestion 2023 WBCHSE

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close