LightBlog
ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History
Type Here to Get Search Results !

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা

তৃতীয় অধ্যায়

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস

WB Class 8 History


ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা | তৃতীয় অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

(১) নিচের বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

প্রশ্নঃ ১৬১১ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কোন বাণিজ্যিক কেন্দ্রটি তৈরি করে? - মসুলিপতনম

প্রশ্নঃ কলকাতা সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠা হয় - ১৭৭৩ খ্রি. রেগুলেটিং অ্যাক্ট অনুযায়ী

প্রশ্নঃ অষ্টাদশ শতকের প্রথমাংশে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাণিজ্যের স্বার্থে ভারতে কতগলি ঘাঁটি তৈরি করেছিল? - তিনটি

প্রশ্নঃ কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা হয় - ১৮০০ খ্রি.

প্রশ্নঃ হিন্দু কলেজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না - ন্যাথানিয়েল ব্রাসি হালেদ

প্রশ্নঃ কলকাতায় আলেকজান্ডার ডাফ প্রতিষ্ঠা করেন - জেনারেল অ্যাসেম্বল ইন্সটিটিউশন

প্রশ্নঃ কার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তিনটি প্রেসিডেন্সিতে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়েছিল? - চার্লস উড

প্রশ্নঃ কোন্ অ্যাক্টের মাধ্যমে গভর্নর-জেনারেল পদটি তৈরি হয়? - রেগুলেটিং অ্যাক্ট

প্রশ্নঃ প্রতিষ্ঠাকালে কলকাতা সুপ্রিমকোর্টে মোট বিচারক ছিলে - চারজন

প্রশ্নঃ ভারতের মহাকাব্যগুলি অনুবাদ করেন - উইলিয়াম কেরি

প্রশ্নঃ ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে কমিটি অব রেভেনিউকে নতুনভাবে সাজিয়ে নাম দেওয়া হয় - বোর্ড অব রেভেনিউ

প্রশ্নঃ ঔপনিবেশিক শাসনের শুরুর দিকে তিনটি প্রেসিডেন্সি পরিচালিত হত - কাউন্সিল অব ডিরেক্টর দ্বারা

প্রশ্নঃ এদের মধ্যে সামরিক জাতি ছিল না - বাঙালিরা

প্রশ্নঃ ইউরোপীয় প্রশাসকদের প্রাচ্যবিদ্যার প্রশিক্ষণ দেবার জন্য স্থাপিত হয় - ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ

প্রশ্নঃ কলকাতা এই তিনটি বাণিজ্য ঘাটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল - ব্রিটিশ প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থা

প্রশ্নঃ ১৮১২ খ্রিস্টাব্দে পাকাপাকিভাবে বিলুপ্ত হয় - দারোগা ব্যবস্থা

প্রশ্নঃ সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষাজ্ঞানকে আবশ্যক বলে ঘোষণা করা হয় - ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে

প্রশ্নঃ ব্রিটিশ কোম্পানির কার্যকলাপের ওপর ব্রিটেনের পার্লামেন্টের নজরদারি নিশ্চিত হয়েছিল - পিট-প্রণীত ভারত শাসন আইন দ্বারা

প্রশ্নঃ ইজারাদারি বন্দোবস্তে জমি ইজারার মেয়াদ ছিল - ৫ বছর

প্রশ্নঃ কার উদ্যোগে ১১ জন পণ্ডিত হিন্দু আইনগুলির একটি সারসংকলন তৈরি করেন? - ওয়ারেন হেস্টিংসের

প্রশ্নঃ কোন্ অ্যাক্টের মাধ্যমে গভর্নর-জেনারেল পদটি তৈরি হয়? - রেগুলেটিং অ্যাক্ট

প্রশ্নঃ কলকাতায় আলেকজান্ডার ডাফ প্রতিষ্ঠা করেন - জেনারেল অ্যাসেম্বল ইন্সটিটিউশন

প্রশ্নঃ ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রথম গভর্নর-জেনারেল ছিলেন - লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস

প্রশ্নঃ কার উদ্যোগে ১১ জন পণ্ডিত হিন্দু আইনগুলির একটি সারসংকলন তৈরি করেন? - ওয়ারেন হেস্টিংসের

প্রশ্নঃ কোম্পানি দ্বৈত শাসনব্যবস্থা তুলে নিয়ে বাংলার শাসনভার সরাসরি গ্রহণ করে - ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে

প্রশ্নঃ কোম্পানি তার বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলিতে কী বানাত? - দুর্গ

প্রশ্নঃ ১৬৩৯ খ্রিস্টাব্দে বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে - মাদ্রাজ

প্রশ্নঃ গ্রীষ্মকালে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির রাজধানী ছিল - ওটাকামুন্দ

প্রশ্নঃ কলকাতা এই তিনটি বাণিজ্য ঘাটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল - ব্রিটিশ প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থা

প্রশ্নঃ ঔপনিবেশিক শাসক সব থেকে বেশি খরচ করত - সামরিক ক্ষেত্রে

প্রশ্নঃ কোন্ অ্যাক্টের মাধ্যমে গভর্নর-জেনারেল পদটি তৈরি হয়? - রেগুলেটিং অ্যাক্ট

প্রশ্নঃ ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে জেলাগুলির দেখাশোনা করার জন্য পুলিশ থানা ব্যবস্থা চালু করেন - লর্ড কর্নওয়ালিশ


(২) নিচের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

প্রশ্নঃ কবে ফোর্ট উইলিয়াম তৈরি হয়?
উত্তরঃ ফোর্ট উইলিয়াম ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয়।
প্রশ্নঃ পাঁচশালা ব্যবস্থা কাকে বলে?
উত্তরঃ ৫ বছরের জন্য দেওয়া জমি বন্দোবস্তকে পাঁচশালা ব্যবস্থা বলা হয়।
প্রশ্নঃ কে, কবে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ উইলিয়াম জোনস , ১৭৮৪ সালে কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। 
প্রশ্নঃ দশশালা ব্যবস্থা কী? 
উত্তরঃ দশ বছরের জন্য দেওয়া জমি বন্দোবস্তুকে দশশালা বলা হয়। ১৭৯০ সালে এই ব্যবস্থা চালু হয়।
প্রশ্নঃ কে, কার নেতৃত্বে ঠগি দমনের জন্য বিশেষ বিভাগ তৈরি করেন? 
উত্তরঃ লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক কর্নেল স্লিম্যানের নেতৃত্বে ঠগি দমনের জন্য এক বিশেষ বিভাগ তৈরি করেন।
প্রশ্নঃ মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির কটি প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল? 
উত্তরঃ দুটি প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল। গ্রীষ্মকালে ওটকামুন্দ ও শীতকালে মাদ্রাজ।
প্রশ্নঃ কত সালে দারোগা ব্যবস্থার বিলোপ করা হয়?
উত্তরঃ ১৮১২ খ্রিস্টাব্দে পাকাপাকিভাবে দারোগা ব্যবস্থার বিলোপ করা হয়।
প্রশ্নঃ কে নদীপথ জরিপ করেন? তিনি কতগুলি মানচিত্র তৈরি করেন?
উত্তরঃ জেমস্ রেনেল নদীপথ জরিপ করেন। তিনি ১৬ টি মানচিত্র তৈরি করেন।
প্রশ্নঃ কে কবে বেনারসে হিন্দু কলেজের প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে জোনাথন ডানকান বেনারসে হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রশ্নঃ বাংলা প্রেসিডেন্সিকে এক সময়ে কী বলা হতো?
উত্তরঃ বাংলা প্রেসিডেন্সিকে এক সময় ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ প্রেসিডেন্সিও বলা হতো।
প্রশ্নঃ কার নেতৃত্বে এবং কবে কলকাতায় সংস্কৃত কলেজের পঠন পাঠন শুরু হয়?
উত্তরঃ পণ্ডিত হেম্যান হোরাস উইলসন-এর নেতৃত্বে ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় সংস্কৃত কলেজে পঠন পাঠন শুরু হয়।
প্রশ্নঃ কবে কলকাতায় সুপ্রিম কোর্ট তৈরি হয়?
উত্তরঃ ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় সুপ্রিম কোর্ট তৈরি হয়।
প্রশ্নঃ কবে কলকাতায় হিন্দু কলেজ তৈরি হয়?
উত্তরঃ ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় হিন্দু কলেজ তৈরি হয়।
প্রশ্নঃ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কে ছিলেন?
উত্তরঃ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন স্যার এলিজা ইম্পে।
প্রশ্নঃ নারীশিক্ষার বিস্তারে কে কোন স্কুল তৈরি করেন?
উত্তরঃ নারীশিক্ষার বিস্তারের জন্য বীটন সাহেব (বেথুন) বেথুন স্কুল তৈরি করেন।
প্রশ্নঃ কাউন্সিল অভ এডুকেশন কবে তৈরি হয়?
উত্তরঃ ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে কাউন্সিল অভ এডুকেশন তৈরি হয়।
প্রশ্নঃ কে, কবে কলকাতায় এসে মিশনারি স্কুল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে স্কটিশ মিশনারি সোসাইটির সদস্য আলেকজান্ডার ডাফ কলকাতায় এসে মিশনারি স্কুল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
প্রশ্নঃ চার্লস উড কে ছিলেন?
উত্তরঃ চার্লস উড ছিলেন বোর্ড অভ কন্ট্রোলের সভাপতি।
প্রশ্নঃ বোম্বাই প্রেসিডেন্সির মূল গোড়াপত্তন কোথায় হয়েছিল?
উত্তরঃ সুরাটে
প্রশ্নঃ কোম্পানি কবে বাংলার শাসনভার গ্রহণ করেন?
উত্তরঃ ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি দ্বৈত শাসনব্যবস্থা তুলে দিয়ে সরাসরি বাংলার শাসনভার গ্রহণ করেন।
প্রশ্নঃ রাজ রামমোহন কোন কলেজের কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন?
উত্তরঃ রাজা রামমোহন রায় হিন্দু কলেজের কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
প্রশ্নঃ কে, কবে ইজারাদারি ব্যবস্থা চালু করেন?
উত্তরঃ ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ইজারাদারি ব্যবস্থা চালু করেন।
প্রশ্নঃ ভারতে ইংরেজি শিক্ষা প্রসারে কার ভূমিকা প্রধান ছিল?
উত্তরঃ লর্ড ব্যাবিংটন মেকলের ভূমিকা প্রধান ছিল।
প্রশ্নঃ কে, কবে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন?
উত্তরঃ লর্ড কর্নওয়ালিস ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন। 
প্রশ্নঃ কলকাতা মাদ্রাসা কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়।

(৩) নিচের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

প্রশ্নঃ উডের ডেচপ্যাচ সম্বন্ধে কী জানো লেখো।
উত্তরঃ ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে বোর্ড অভ কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উডের নেতৃত্বে শিক্ষা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পেশ করা হয়। তাকে উডের প্রতিবেদন বলা হয়। উডের নেতৃত্বে শিক্ষার ব্যাপারে এক সুগঠিত শিক্ষা কাঠামো গড়ে তোলার কথা বলা হয়। এই কাঠামো হবে প্রাথমিক থেকে বিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত। ইংরেজি ও ভারতীয় দুই ভাষার চর্চার কথা বলা হয়েছে। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে তিনটি প্রেসিডেন্সিতে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়। উচ্চ বিদ্যালয়ের সংখ্যাও বাড়ানো হয়। 
প্রশ্নঃ বাংলা প্রেসিডেন্সি কীভাবে গড়ে উঠেছিল?
উত্তরঃ ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি যখন বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি পায়, তখন থেকেই বাংলার ওপর কোম্পানির কর্তৃত্ব গড়ে উঠতে থাকে। ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ কোম্পানি নিজামতের অধিকার পায়। এইভাবে দেওয়ানি ও নিজামত এই দুই অধিকার পেয়ে বাংলায় ব্রিটিশ কোম্পানির অধিকার চূড়ান্ত হয় এবং বাংলাতেও প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, আসাম ও ত্রিপুরা অঞ্চল মিলে ছিল বাংলা প্রেসিডেন্সি। পাঞ্জাব, উত্তর ও মধ্য ভারতের অঞ্চলগুলি এবং গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার অঞ্চলও বাংলা প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ছিল।
প্রশ্নঃ পিট প্রণীত ভারত শাসন আইনে কী বলা হয়েছে?
উত্তরঃ ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম পিট একটি নতুন আইন তৈরি করেন, একে বলা হয় পিটের ভারত শাসন আইন। এই আইন অনুসারে একটি বোর্ড অভ কন্ট্রোল তৈরি করা হয়। সেই বোর্ডকে কোম্পানির সামরিক ও অসামরিক শাসন ও রাজস্ব ব্যবস্থা পরিচালনার পুরো দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি এই আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছিল যে ভারতে কোম্পানির সমস্ত প্রশাসনিক কর্তাই গভর্নর জেনারেলের কর্তৃত্ব মেনে চলতে বাধ্য। এর ফলে ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির কার্যকলাপের উপর ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নিশ্চিতভাবে নজরদারি করতে পারে।
প্রশ্নঃ মেকলের প্রতিবেদন বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি, জেনারেল কমিটি অভ পাবলিক ইনস্ট্রাকশনের সভাপতি টমাস ব্যাবিংটন মেকলে ভারতবর্ষে শিক্ষার প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন বা মিনিটস পেশ করেন। তাতে বলা হয় ভারতবর্ষে ইংরেজি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণি তৈরি করা ঔপনিবেশিকদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। তাই যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতীয় ভাষায় শিক্ষার চর্চা করবে তারা কোনো সরকারি অনুদান পাবে না। বাস্তবে মেকলের ধারণা ছিল ব্রিটিশরাই জাতিগতভাবে উন্নত এবং তাদের হাত ধরেই ভারতে আধুনিকতা আসবে। তাই তিনি দেশীয় ভাষাচর্চাকে হেয় করেছিলেন। 
প্রশ্নঃ রেগুলেটিং অ্যাক্টে কী কী বলা হয়েছে?
উত্তরঃ এই অ্যাক্ট অনুসারে মাদ্রাজ, বোম্বাই বাংলা প্রেসিডেন্সিতে তিনটির স্বতন্ত্র কার্যকলাপের উপর হস্তক্ষেপ করা হয়। ঠিক হয় বাংলার গভর্নরই হবেন গভর্নর জেনারেল। তাঁর অধীনে মাদ্রাজ ও বোম্বাইয়ের বাণিজ্যিক ঘাঁটিগুলির গভর্নরেরা থাকবেন। তাঁদের কার্যকালে মেয়াদ হবে ৫ বছর। চারজন সদস্য নিয়ে তৈরি হবে একটি গভর্নর জেনারেলের কাউন্সিল। এই আইনের ফলে কলকাতা ভারতের ব্রিটিশ শাসনের রাজধানীতে পরিণত হয়। 
প্রশ্নঃ ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারের বিবরণ দাও।
উত্তরঃ ১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ভারতে ইংরেজি ভাষা নির্ভর পাশ্চাত্য শিক্ষার দ্রুত বিস্তার ঘটতে থাকে। ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে একটি প্রতিবেদনে বলা হয় প্রশাসন ইংরেজি শিক্ষার বিস্তারে জোর দেবে। তবে পাশাপাশি অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বছরে সরকারি অনুদান পাবে। ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষাজ্ঞানকে আবশ্যক বলে ঘোষণা করা হয়। এই নীতির পিছনে লর্ড মেকলের শিক্ষা সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ঊনবিংশ শতকের চারের ও পাঁচের দশকে ক্রমেই সরকারি উদ্যোগে শিক্ষাবিস্তার হতে থাকে। ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় কাউন্সিল অভ এডুকেশন। তৈরি হয়। ক্রমেই কাউন্সিল নিয়ন্ত্রিত বিদ্যালয় ও তার ছাত্রসংখ্যা বাড়তে থাকে।
প্রশ্নঃ উইলিয়াম কেরি কে ছিলেন?
উত্তরঃ ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পাশাপাশি শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন স্থাপন করা হয়। উইলিয়াম কেরি ছিলেন শ্রীরামপুর মিশনারিদের মধ্যে সব থেকে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তিনি ভারতীয় মহাকাব্যগুলি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন। এছাড়া তিনি বাইবেলের একটি অংশকে বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করেন। ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে হালেদের লেখা ব্যাকরণ বিষয়ক বইটিকেও সম্পাদনা করে প্রকাশ। করেছিলেন উইলিয়াম কেরি। 

(৪) নিচের রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

প্রশ্নঃ কর্নওয়ালিসের পুলিশ ব্যবস্থার বিবরণ দাও।
উত্তরঃ ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে জেলাগুলির দেখভাল করার জন্য লর্ড কর্নওয়ালিস পুলিশ থানা ব্যবস্থা চালু করেন। প্রতিটি থানার দায়িত্বে ছিলেন একজন দারোগা। দারোগাদের নিয়ন্ত্রণ করতেন ম্যাজিস্ট্রেটরা। স্থানীয় অঞ্চলে সাধারণ মানুষের কাছে দারোগাই ছিলেন কোম্পানি। শাসনের ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের প্রতীক। কিন্তু স্থানীয় জমিদারদের সঙ্গে দারোগারা সমঝোতা করে চলায় সাধারণ মানুষের উপর জমিদার ও দারোগার যৌথ পীড়ন চলত। ১৮১২ খ্রিস্টাব্দে পাকাপাকিভাবে দারোগ্য ব্যবস্থার বিলোপ করা হয়, তার বদলে গ্রামের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় একজন কালেক্টরকে। ব্রিটিশ কোম্পানির মূল লক্ষ্য ছিল পুলিশি ব্যবস্থার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। সেই উদ্দেশ্যেই পুলিশ ব্যবস্থার নানারকম সংস্কার করা হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে সিন্ধুপ্রদেশ অঞ্চলে নতুন ধাঁচের পুলিশি ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হয়। ক্রমে আলাদা পুলিশ আইন বানানো হয় এবং ধীরে ধীরে ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও তার প্রদর্শনের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল পুলিশি ব্যবস্থা।
প্রশ্নঃ অবশিল্পায়ন বলতে কী বাোঝো?
উত্তরঃ অবশিল্পায়ন বলতে বাোঝায় দেশীয় শিল্পের অবক্ষয়কে। ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পর থেকে ধীরে ধীরে দেশীয় শিল্পের অবক্ষয় ঘটতে থাকে।
(ক) ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের অবাধ বাণিজ্যনীতিঃ ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনে ভারতে কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অবসান ঘটে ও অবাধ বাণিজ্যনীতি ঘাোষিত হয়। ফলে ইংল্যান্ডে উৎপাদিত জিনিসপত্রে ভারতের বাজার ভরে যায় এবং ভারতের শিল্পগুলি ধ্বংস হতে থাকে। কাোন অসম 
(খ) শুল্কনীতিঃ ব্রিটিশ সরকার ১৮১৫ সালে এক আইন জারি করে ইংল্যান্ডের কারখানায় তৈরি কাপড়ের দামের উপর ২.৫% শুল্ক ধার্য করে। অপরদিকে ইংল্যান্ডে ভারতীয় বস্ত্রের প্রবেশ বন্ধ করার জন্য সেখানে ৬৭.৫% পর্যন্ত শুল্ক ধার্য করে।
(গ) ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবঃ ইংল্যান্ডের প্রথম বিপ্লব ঘটেছিল বস্ত্রশিল্পে। কম সময়ে, কম পরিশ্রমে, কম খরচে প্রচুর বস্ত্র উৎপাদিত হয়। এর সঙ্গে প্রতিযাোগিতায় দেশীয় তাঁতবস্ত্র হেরে যায়। ধীরে ধীরে তাঁতশিল্পের অবক্ষয় ঘটে। এই সমস্ত কারণ ছাড়াও পৃষ্ঠপাোষকতার অভাব, দেশীয় রাজ্যের বিলুপ্তি অবশিল্পায়ন ঘটায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close