LightBlog
ইতিহাসের ধারণা | প্রথম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History
Type Here to Get Search Results !

ইতিহাসের ধারণা | প্রথম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ইতিহাসের ধারণা

প্রথম অধ্যায়

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস

WB Class 8 History


ইতিহাসের ধারণা | প্রথম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ইতিহাসের ধারণা | প্রথম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ইতিহাসের ধারণা | প্রথম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ইতিহাসের ধারণা | প্রথম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ইতিহাসের ধারণা | প্রথম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ইতিহাসের ধারণা | প্রথম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ইতিহাসের ধারণা | প্রথম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ইতিহাসের ধারণা | প্রথম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ইতিহাসের ধারণা | প্রথম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ইতিহাসের ধারণা | প্রথম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ইতিহাসের ধারণা | প্রথম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

ইতিহাসের ধারণা | প্রথম অধ্যায় | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস | WB Class 8 History

(১) নীচের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলি খানকে বাংলার নাজিম’  পদ দেওয়া হয়?
উত্তরঃ ১৭১৭ খ্রীঃ
প্রশ্নঃ কোন্ মুঘল সম্রাটের মৃত্যুর পর মুঘল সাম্রাজ্যের শক্তি দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে থাকে?
উত্তরঃ ঔরঙ্গজেব।
প্রশ্নঃ কার নেতৃত্বে আঞলিক শক্তিরূপে বাংলার উত্থান ঘটে?
উত্তরঃ মুর্শিদকুলি খান
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নাদির শাহ ভারত আক্রমণ করেন?
উত্তরঃ ১৭৩৮-৩৯ খ্রীঃ
প্রশ্নঃ উমিচাদ কে ছিলেন?
উত্তরঃ হিন্দু ব্যাবসায়ী। 
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মারা যান?
উত্তরঃ ১৭০৭ খ্রীঃ।
প্রশ্নঃ খোজা ওয়াজিদ কে ছিলেন?
উত্তরঃ আর্মেনীয় ব্যাবসায়ী।
প্রশ্নঃ ঔরঙ্গজেবের মৃত্যু এবং পলাশির যুদ্ধের মধ্যে কত বছরের ব্যবধান ছিল?
উত্তরঃ ৫০ বছর।
প্রশ্নঃ মুর্শিদাবাদের বিখ্যাত মূলধন বিনিয়োগকারীর নাম কী?
উত্তরঃ জগৎ শেঠ।  
প্রশ্নঃ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ-এর আমলে সুবা বাংলার ‘দেওয়ান’ কে ছিলেন? 
উত্তরঃ মুর্শিদকুলি খান
প্রশ্নঃ সুবা বাংলার কোশাগার ও টাকশাল কার পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে চলত?
উত্তরঃ জগৎ শেঠ।   
প্রশ্নঃ সুবা বাংলার রাজস্ব আদায়ের জন্য ঔরঙ্গজেব কাকে দেওয়ান’ নির্বাচন করেন?
উত্তরঃ মুর্শিদকুলি খানকে
প্রশ্নঃ মুর্শিদাবাদের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে যেসব বণিকদের প্রভাব ছিল, তারা কী নামে পরিচিত? 
উত্তরঃ বণিকরাজা
প্রশ্নঃ কোন্ সময়ে বিভিন্ন আঞলিক শক্তির উত্থান হয়েছিল?
উত্তরঃ অষ্টাদশ শতকে।
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে হিরাপদ শাহ রাজস্থান থেকে পাটনায় চলে যান?
উত্তরঃ ১৬৫২ খ্রীঃ।
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে লাহোরের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তরঃ ১৮৪৬ খ্রীঃ।
প্রশ্নঃ কে মুঘল সম্রাটের কাছ থেকে ‘জগৎ শেঠ’  বা ‘জগতের শেঠ’  উপাধি পান?
উত্তরঃ ফতেচাঁদ।
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে অযোধ্যায় কোম্পানির প্রতিনিধি নিযুক্ত হয়?
উত্তরঃ ১৭৭৩ খ্রীঃ।
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলি খান মারা যান?
উত্তরঃ ১৭২৭ খ্রীঃ। 
প্রশ্নঃ কোন্ যুদ্ধের ফলে মারাঠা সাম্রাজ্য ব্রিটিশ কোম্পানির অধিকারভুক্ত হয়?
উত্তরঃ তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ।
প্রশ্নঃ বর্গিরা কার আমলে বাংলা আক্রমণ করেছিল?
উত্তরঃ আলিবর্দী খান।
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে বেসিনের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তরঃ ১৮০২ খ্রীঃ।
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে বাংলার নবাব এবং মারাঠাদের মধ্যে সন্ধি হয়?
উত্তরঃ ১৭৫৬ খ্রীঃ।
প্রশ্নঃ তৃতীয় কর্ণাটিক যুদ্ধ’ -এর অপর নাম কী? 
উত্তরঃ বন্দিবাসের যুদ্ধ।
প্রশ্নঃ কে সম্রাট ফাররুখশিয়রের থেকে নিজাম-উল মুলক’  উপাধি পান?
উত্তরঃ সিরাজ-উদ-দৌলা
প্রশ্নঃ ‘অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি’  কে প্রবর্তন করেছিলেন?
উত্তরঃ লর্ড ওয়েলেসলি।
প্রশ্নঃ কোন্ নবাবের আমলে মুঘলদের হাত থেকে সুবা বাংলার অধিকার বেরিয়ে যায়?
উত্তরঃ সিরাজ-উদ-দৌলা।
প্রশ্নঃ ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির পরোক্ষ শাসনাধীন অঞলের নিযুক্ত প্রতিনিধিরা পরিচিত ছিল?
উত্তরঃ রেসিডেন্ট।
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে আলিবর্দি খান মারা যান?
উত্তরঃ আলিবর্দী খানের
প্রশ্নঃ ১৭৫৬ থেকে ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কার আক্রমণে দিল্লি শহর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল?
উত্তরঃ আহমেদ শাহ আবদালি।
প্রশ্নঃ আলিবর্দি খানের দৌহিত্র কে ছিলেন?
উত্তরঃ ১৭৫১ খ্রীঃ
প্রশ্নঃ কোন্ সন্ধির মাধ্যমে ইংরেজ কোম্পানির সাথে মারাঠাদের সম্পর্ক ভালো হয়ে যায়?
উত্তরঃ সলবাই এর সন্ধি।
প্রশ্নঃ আলিবর্দি খানের পর বাংলার সিংহাসনে কে বসেন?
উত্তরঃ মির কামার উদ-দিন খান সিদ্দিকি
প্রশ্নঃ পেশওয়া নারায়ণ রাওকে কে হত্যা করেন?
উত্তরঃ রঘুনাথ রাও।
প্রশ্নঃ মহম্মদ শাহের থেকে কে ‘আসফ ঝা’  উপাধি পান? 
উত্তরঃ মির কামার উদ-দিন খান সিদ্দিকি
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে বন্দিবাসের যুদ্ধ হয়েছিল?
উত্তরঃ ১৭৬০ খ্রীঃ।
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে হায়দরাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ ১৭২৪ খ্রীঃ
প্রশ্নঃ ভারতে ফরাসিদের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলি কী কী?
উঃ- চন্দননগর ও পন্ডিচেরি
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে অযোধ্যা একটি স্বশাসিত আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে গড়ে ওঠে? 
উত্তরঃ ১৭২২ খ্রীঃ
প্রশ্নঃ ভারতে উপনিবেশ স্থাপন এবং বাণিজ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ব্রিটিশদের সঙ্গে ফরাসিদের স্বার্থের সংঘাত কত বছর ধরে চলেছিল? 
উত্তরঃ প্রায় ২০ বছর ধরে।
প্রশ্নঃ বুরহান-উল মুলক' কার উপাধি?
উত্তরঃ সাদাৎ খানের
প্রশ্নঃ কোন্ যুদ্ধে জয়লাভের ফলে পঞ্জাব ব্রিটিশ কোম্পানির অধিকারভুক্ত হয়েছিল?
উত্তরঃ দ্বিতীয় ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধ। 
প্রশ্নঃ কোন্ যুদ্ধে টিপু সুলতানের মৃত্যু হয়?
উত্তরঃ চতুর্থ ইঙ্গ-মিহিশূর যুদ্ধে।
প্রশ্নঃ সফদর জং মারা যাওয়ার পর কে অযোধ্যার শাসক হন? 
উত্তরঃ সুজা উদ-দৌলা
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ হয়েছিল? 
উত্তরঃ ১৭৯৯ খ্রীঃ
প্রশ্নঃ ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দের 'ফরমান’ কে জারি করেছিলেন?
উত্তরঃ মুঘল সম্রাট ফারুকশিয়
প্রশ্নঃ কোন্ গভর্নর জেনারেল ভারতে আসার পর সাময়িকভাবে রেসিডেন্সি ব্যবস্থার আগ্রাসন স্তন্ধ হয়ে যায়? 
উঃ- লর্ড কর্নওয়ালিশ
প্রশ্নঃ ফরমান অনুযায়ী ব্রিটিশ কোম্পানিকে কলকাতার নিকটবর্তী কটি গ্রাম কেনার অনুমতি প্রদান করা হয়?
উত্তরঃ ৩৮ টি।
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে বাংলায় ভয়াবহ মন্বন্তর দেখা দিয়েছিল?
উত্তরঃ ১৭৭০ খ্রীঃ।
প্রশ্নঃ বাংলার কত খ্রিস্টাব্দে মারাঠা আক্রমণ হয়েছিল? 
উত্তরঃ ১৭৪৪ খ্রীঃ
প্রশ্নঃ বাংলায় দ্বৈতশাসন কত খ্রিস্টাব্দে শুরু হয়?
উত্তরঃ ১৭৫৬ খ্রীঃ।
প্রশ্নঃ ‘বক্সি' কথার অর্থ কী? 
উত্তরঃ  সেনাপতি।
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দের মধ্যে আহমদ শাহ আবদালি ভারত আক্রমণ করেন?
উত্তরঃ ১৭৫৬-৫৭ খ্রীঃ
প্রশ্নঃ বক্সারের যুদ্ধের সময়ে দিল্লির মসনদে কোন মুঘল শাসক রাজত্ব করতেন?
উত্তরঃ দ্বিতীয় শাহ আলম।
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দে বক্সারের যুদ্ধ হয়েছিল?
উত্তরঃ ১৭৬৪ খ্রীঃ
প্রশ্নঃ ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ কোম্পানিকে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানির অধিকার কে প্রদান করেন? 
উত্তরঃ দ্বিতীয় শাহ আলম।
প্রশ্নঃ কাটোয়া, মুর্শিদাবাদ, গিরিয়া, উদয়নালা ও মুঙ্গেরের যুদ্ধে ইংরেজ কোম্পানির কাছে কে পরাজিত হন? 
উত্তরঃ মির কাশিম।
প্রশ্নঃ মির জাফরের পর কে বাংলার নবাব হন?
উত্তরঃ নজম উদ-দোউলা।  
প্রশ্নঃ ব্রিটিশ কোম্পানির সহায়তায় বাংলার নবাব হওয়ায় মির কাশিম ইংরেজদের কত টাকা উপঢৌকন দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ২৯ লক্ষ।
প্রশ্নঃ কত খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার প্রধান শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়?
উত্তরঃ ১৭৫৭ থেকে ১৭৫৬ খ্রীঃ।
প্রশ্নঃ কোন্ সন্ধির ফলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তার বাণিজ্যিক অধিকারগুলি ফিরে পায়?
উত্তরঃ আলিনগরে সন্ধি।  
প্রশ্নঃ ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে মির জাফরের পর বাংলার নবাব কে হয়েছিলেন? 
উত্তরঃ মির কাশিম
প্রশ্নঃ কলকাতা দখল করে সিরাজ উদ-দৌলা কলকাতার কী নাম রাখেন?
উত্তরঃ আলিনগর।
প্রশ্নঃ পলাশির যুদ্ধের পর বাংলার নবাব হিসেবে ক্লাইভ কাকে নির্বাচিত করেন?
উত্তরঃ মির জাফরকে।
প্রশ্নঃ কে ‘অন্ধকূপ হত্যা’ কে অতিরঞ্জন বলে প্রমাণ করেছিলেন?
উত্তরঃ অক্ষয় কুমার  মৈত্রেয়।   
প্রশ্নঃ পলাশির যুদ্ধে কোন্ বাহিনী পরাজিত হয়? 
উত্তরঃ নবাবের বাহিনি।
প্রশ্নঃ ব্রিটিশ বাহিনী ক্লাইভের নেতৃত্বে কবে কলকাতা পুনর্দখল করেন? 
উত্তরঃ ১৭৫৭ খ্রীঃ।

(২) নীচের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

প্রশ্নঃ সাম্রাজ্যবাদ কী? এর দ্বারা কী হয়ে থাকে? 
উত্তরঃ একটি শক্তিমান রাষ্ট্র বা দেশ তুলনায় দুর্বল রাষ্ট্র বা দেশের উপর প্রভুত্ব কায়েম করে নিজের দখলে আনে, এই প্রক্রিয়াকেই সাম্রাজ্যবাদ বলা হয়। সাম্রাজ্যবাদ একটি প্রক্রিয়া। এর দ্বারা দুর্বল রাষ্ট্র অথবা দেশটির জনগণ, সম্পদ সব কিছুই শক্তিমান দেশটি নিজের প্রয়োজনমতো পরিচালনা করে।
প্রশ্নঃ ভারতীয়রা কীভাবে প্রমাণ করল যে, ব্রিটিশদের ভারতে সাম্রাজ্য বাড়ানোর দরকার নেই?
উত্তরঃ ভারতীয়রা সম্রাট অশোক থেকে সম্রাট আকবর, আর্যভট্ট থেকে চৈতন্যদেবের কথা তুলে প্রমাণ করল যে ভারতেরও ‘সভ্যতা' ছিল। সেই সভ্যতা ব্রিটিশ সভ্যতার থেকে খাটো নয়। তাই ব্রিটিশদের ভারতে সাম্রাজ্য বাড়ানোর দরকার নেই।
প্রশ্নঃ মধ্যযুগের সব শাসকই কীভাবে মুসলিম ধর্মের সঙ্গে একাকার হয়ে গিয়েছিল?
উত্তরঃ ভারতের ইতিহাসের যুগ ভাগ করা শুরু হয় শাসকের ধর্মের পরিচয় নিয়ে। আর জেমস মিল ধরে নিলেন প্রাচীন ভারতের সব শাসকই হিন্দু। তাই জৈন ধর্মাবলম্বী চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য বা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বিম্বিসারের ইতিহাসও ঢুকে পড়ল হিন্দু যুগের ইতিহাসে। এইভাবেই মধ্যযুগের সব শাসকই মুসলিম ধর্মের সঙ্গে একাকার হয়ে গিয়েছিল।
প্রশ্নঃ বঙ্কিমচন্দ্র বাংলার ইতিহাস সম্পর্কে কী বলেছেন? 
উত্তরঃ বঙ্কিমচন্দ্রের মতে, বিদেশিদের লেখা বাঙালির ইতিহাস ভুলে ভরা তাই বাঙালির ইতিহাস লিখতে হবে বাঙালিকেই। সেই বাঙালি — আমি, তুমি, যে কেউ অর্থাৎ সাধারণ মানুষও হতে পারে। 
প্রশ্নঃ কেন স্কুলে ইতিহাস পড়ানো হয়? 
উত্তরঃ ইতিহাস শুধু রাজা বা সম্রাটদের নাম, সাল তারিখ বা যুদ্ধের বর্ণনা নয়। এতে মিশে আছে নানা যুক্তি তর্কের খতিয়ান। ইতিহাসের সাক্ষ্য হাজির করে নিজের পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি তর্ক করা যায়। তার জন্য ইতিহাস জানা দরকার।
প্রশ্নঃ ইতিহাসের একই ঘটনা নিয়ে কেন প্রচুর তর্কবিতর্ক হয়? 
উত্তরঃ বঙ্কিমচন্দ্রের মতানুযায়ী যদি সাধারণ মানুষ ইতিহাস রচনা করে তবে কোনো ঘটনাকে দেখার ভঙ্গি বদলে গেলেই ঘটনা ও তার ফলাফল নিয়ে মতামত ও তর্কবিতর্ক তৈরি হয়।
প্রশ্নঃ মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার কীভাবে ভারত ইতিহাসের কালবিভাজন করেন?
উত্তরঃ ১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার তাঁর 'রাজাবলি' নামক ইতিহাস বইতে সময় গোনা শুরু করেছিলেন মহাভারতের রাজা যুধিষ্ঠিরের কাল থেকে। আজ আর কেউ কলিযুগের ইতিহাস শব্দটি ব্যবহার করেন না। কিন্তু উনিশ শতকের গোড়ায় মৃতুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার তা করেছিলেন। তাঁর গ্রন্থে প্রতিটি ঘটনার পিছনেই তিনি অদ্ভুত সব যুক্তি দেখিয়েছিলেন। আজকের ইতিহাস বই এভাবে লেখা হয় না। শেষপর্যন্ত রাজাবলি কলিযুগের সময়ে এসে শেষ হয়।
প্রশ্নঃ আত্মজীবনী নামক উপাদানটি সোজাসুজি ব্যবহার করলে কী হবে এবং কেন হবে?
উত্তরঃ আত্মজীবনী নামক উপাদানটি সোজাসুজি ব্যবহার করা যাবে না, কারণ যিনি আত্মজীবনী লিখেছেন তিনি তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও বিচারধারণা থেকে সবকিছু ব্যাখ্যা করেছেন । ঐতিহাসিক যদি সেই ব্যাখ্যা বিশ্বের না করেই পুরোপুরি মেনে নেন তাহলে বক্তব্য একপেশে হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ আন্দোলনের ইতিহাস লেখার সময় নাম না দিয়ে শুধু সংখ্যা দিয়ে মানুষগুলিকে বোঝানো হয়, কেন?
উত্তরঃ আন্দোলনের ইতিহাস লিখতে গেলে সময়, নাম না দিয়ে শুধু সংখ্যা দিয়ে মানুষ বোঝানো হয়। কারণ, যিনি বা যাঁরা সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিহাস লিখেছেন, তাঁদের চোখে কেবল সিধু - কানহুর নামই যথেষ্ট, মহাত্মা গান্ধি বা সুভাষচন্দ্ৰ বসুই জরুরি, তাঁদের কথা জানলেই ইতিহাস জানা হয়ে যায়। বাকি যারা, তারা কেবল হাজার হাজার মানুষ তাদের আলাদা করে নাম জানার দরকার নেই।
প্রশ্নঃ নিজের ফেলে আসা আত্মীয়তাকে নতুন করে চিনে নেওয়ার জন্যই ইতিহাস পড়তে হয় — ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দাও। 
উত্তরঃ স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রতিবেশী স্বাধীন রাষ্ট্রগুলির মধ্যে দুটি রাষ্ট্র এক সময় ভারতবর্ষেরই আত্মীয় ছিল। দীর্ঘদিন পাশাপাশি থাকার পর একসময় তারা আলাদা হয়ে গেল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আত্মীয়তার বাঁধনও আলগা হয়ে গেল। আজ তারা একে অন্যকে আত্মীয় বলে চিনতে পারে না। নিজের ফেলে আসা আত্মীয়তাকে চিনে নিতে এবং কেমন করে সেই আত্মীয়রা আলাদা হয়ে গেল তা জানতে ও বুঝতে গেলে ইতিহাস পড়তে হয়।
প্রশ্নঃ আধুনিক যুগের ঐতিহাসিক উপাদানরূপে ফোটোগ্রাফ কতটা নির্ভরযোগ্য? এই উপাদানটির ত্রুটি কোথায়? 
উত্তরঃ ভারত ইতিহাসের আধুনিক যুগের অন্যতম ঐতিহাসিক উপাদান ফোটোগ্রাফ বা ক্যামেরায় তোলা ছবি। এইরকম ছবির সংগ্রহ থেকে সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ইতিহাসের নানা তথ্য জানা যায়। তাই আধুনিক যুগের ইতিহাস রচনায় ফোটোগ্রাফ বা ছবি একটি নির্ভরযোগ্য উপাদান। উপাদান হিসেবে ফোটোগ্রাফের অন্যতম ত্রুটি হলো ফোটোগ্রাফগুলি পুরোপুরি নৈর্ব্যক্তিক হয় না। যেমন, যিনি ছবি তুলছেন তাঁর দেখার উপরেই ক্যামেরার দেখা নির্ভর করে। ফলে একই বিষয়ের দুজনের তোলা দুটি ছবিতে দুরকম তথ্য বা অর্থ উঠে আসতে পারে।
প্রশ্নঃ সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে উপনিবেশবাদের যোগাযোগ কেমন? -আলোচনা করো।
উত্তরঃ সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে উপনিবেশবাদের যোগাযোগ স্পষ্ট। এক সময় ভারতের অর্থনীতি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির স্বার্থ অনুযায়ী চলত। বাংলায় নীলচাষ করা হতো ইংল্যান্ডের কাপড় কলে নীলের চাহিদা মাথায় রেখে। এর ফলে বাংলার ধান, পাট প্রভৃতি চাষ নষ্ট হতো এবং বাংলায় অনাহার দুর্ভিক্ষ দেখা দিত। উপনিবেশবাদের মূল কথাই এটা যে একটা অঞ্চলের জনগণ ও সম্পদকে অন্য একটি অঞ্চলের স্বার্থে ব্যবহার করা হবে। সেই অনুযায়ী ব্রিটেনের উপনিবেশ ভারতের কৃষিজ ফসল ব্রিটেনের স্বার্থে উৎপাদন করা হবে।
প্রশ্নঃ জেমস মিল তাঁর বইতে ভারতের ইতিহাসকে কটি ভাগে ভাগ করেছেন? মিল তাঁর বইতে মুসলিম যুগকে কী নামে অভিহিত করেছেন? 
উত্তরঃ মিল তাঁর রচিত বইটিতে ভারতের ইতিহাসকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। হিন্দু যুগ, মুসলিম যুগ, ব্রিটিশ যুগ। প্রথম দুটো পর্যায় শাসকের ধর্মের নামে। আর শেষটা শাসকের জাতির নামে। মিল তাঁর বইতে মুসলিম যুগকে ‘অন্ধকারময়’ যুগ নামে অভিহিত করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close