সপ্তম অধ্যায়
শব্দ
(১) নীচের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
১.১ শব্দ কি জাতীয় তরঙ্গ?
উত্তরঃ- স্থিতিস্থাপক অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ
১.২ বায়ু ও লোহার মধ্যে কোন্টিতে শব্দের বেগ বেশি?
উত্তরঃ- লোহাতে
১.৩ শব্দের কম্পাঙ্কের একক কি?
উত্তরঃ- হার্ৎজ
১.৪ শব্দের প্রতিধ্বনির ব্যবহারিক প্রয়োগ কি?
উত্তরঃ- সমুদ্রের গভীরতা পরিমাপ করা
১.৫ শব্দের তীব্রতার একক কি?
উত্তরঃ- বেল
১.৬ পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে কাদের গলার কম্পাঙ্ক বেশি?
উত্তরঃ- মহিলাদের
১.৭ শব্দেতর শব্দ শুনতে পাই এমন একটি প্রাণীর নাম লেখ।
উত্তরঃ- হাতি
১.৮ শব্দোত্তর শব্দ ব্যবহার করে এমন একটি প্রাণীর নাম করো।
উত্তরঃ- বাদুড়
১.৯ মানুষ কত ডেসিবেল তীব্র শব্দ সহ্য করতে পারে?
উত্তরঃ- 85 থেকে 90 ডেসিবেল
১.১০ একটি প্রাকৃতিক ঘটনার উল্লেখ করো, যার দ্বারা প্রমাণ করা যায় যে শব্দের বেগ আলোর বেগের চেয়ে কম?
উত্তরঃ- বজ্রপাত
১.১১ সুরযুক্ত শব্দের কোন্ বৈশিষ্ট্যের জন্য শব্দদূষণ ঘটতে পারে?
উত্তরঃ- প্রাবল্য
(২) নীচের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
২.১ পূর্ণ কম্পন বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- কম্পনশীল বস্তুর কোন কণার গতিপথের যে কোন বিন্দু থেকে যাত্রা শুরু করে পুনরায় ওই বিন্দুতে একই অভিমুখে ফিরে এলে তাকে একটি পূর্ণ কম্পন বলে।
২.২ অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ কাকে বলে?
উত্তরঃ- জড় মাধ্যমের কম্পনশীল কনাগুলির গতির সমান্তরালে, তরঙ্গ গতিশীল হলে তাকে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ বলা হয়।
২.৩ তির্যক তরঙ্গ কাকে বলে?
উত্তরঃ- জড় মাধ্যমের কণাগুলোর সমষ্টিগত কম্পনের ফলে উৎপন্ন তরঙ্গ যদি কনা গুলির গতির সঙ্গে লম্বভাবে অগ্রসর হয় তবে এই তরঙ্গকে তির্যক তরঙ্গ বলে।
২.৪ তরঙ্গের কম্পাঙ্ক বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- তরঙ্গের গতিপথে অবস্থিত মাধ্যমের কোন কণা প্রতি সেকেন্ডে যতগুলি পূর্ণ কম্পন সম্পন্ন করে তাকে তরঙ্গের কম্পাঙ্ক বলে।
২.৫ শব্দের প্রতিফলন কাকে বলে?
উত্তরঃ- শব্দ তরঙ্গ যখন এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমের বিভেদতলে আপতিত হয় তখন শব্দ তরঙ্গের কিছু অংশ দিক পরিবর্তন করে আবার প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে এই ঘটনাকে শব্দের প্রতিফলন বলে।
২.৬ অনুরণন কাকে বলে?
উত্তরঃ- কোন শব্দ একাধিক প্রতিফলকে বারবার প্রতিফলিত হলে ঐ শব্দের একটানা অনেকগুলি প্রতিধ্বনি শোনা যায়। ফলে শব্দের রেশ অনেকক্ষণ ধরে চলতে থাকে। এই ঘটনাকে অনুরণন বলে।
২.৭ শ্রুতিগোচর শব্দ বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- শব্দের কম্পাঙ্ক 20 Hz থেকে 20000 Hz এর মধ্যবর্তী হলে সেই শব্দ মানুষের শ্রবণ এর অনুভূতি সৃষ্টি করে একে শ্রুতিগোচর শব্দ বলা হয়।
২.৮ প্রাবল্য বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ- যে বৈশিষ্ট্যের জন্য আমরা কোন শব্দ থেকে জোরালো শব্দের পার্থক্য বুঝতে পারি তাকে বলা হয় প্রাবল্য।
২.৯ শব্দের তীক্ষ্ণতা বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- সুরযুক্ত শব্দের যে বৈশিষ্ট্যের জন্য একই প্রবাল্যের মোটা, গম্ভীর বা খাদের শব্দ থেকে সুর বা চড়া শব্দের পার্থক্য বোঝা যায় তাকে শব্দের তীক্ষ্ণতা বলে।
২.১০ শব্দের গুণ বা জাতি কাকে বলে?
উত্তরঃ- বিভিন্ন উৎস থেকে উৎপন্ন, একই তীব্রতা ও তীক্ষ্ণতা বিশিষ্ট শব্দকে যে বৈশিষ্ট্য দ্বারা পৃথক করা যায়, তাকে সুর যুক্ত শব্দের গুণ বা জাতি বলা হয়।
২.১১ শব্দ দূষণ বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- পরিবেশে অবাঞ্ছিত ও কানের সহনক্ষমতা বহির্ভূত উচ্চ ও তীক্ষ্ণতা বিশিষ্ট অস্বস্তিকর বিভিন্ন শব্দ যে ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে তাকে শব্দ দূষণ বলা হয়।
(৩) নীচের ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
৩.১ শব্দের প্রতিধ্বনি বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- কোন উৎস থেকে উৎপন্ন শব্দ দুরের কোন প্রতিফলকে প্রতিফলিত হয়ে মূল শব্দের থেকে পৃথক ভাবে পুরাই শ্রোতার কানে এসে পৌঁছালে প্রতিফলিত শব্দটিকে মূল শব্দের প্রতিধ্বনি বলা হয়।
৩.২ শ্রাবণের শব্দ ও শ্রবণোত্তর শব্দ বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ- কোন শব্দের কম্পন যদি সেকেন্ডে 20 এর কম হয় তবে ওই কম্পনশীল বস্তু থেকে উৎপন্ন শব্দ আমরা শুনতে পায় না। এই শব্দকে শ্রবণেতর শব্দ বলে।
কোন বস্তুর কম্পন সেকেন্ডে 20000 এর বেশি হলে ওই কম্পনশীল বস্তু থেকে যে শব্দ উৎপন্ন হয় তা আমরা শুনতে পাই না। এই শব্দকে শ্রবণোত্তর শব্দ বলে।
৩.৩ শব্দ দূষণের দুটি ক্ষতিকর প্রভাব উল্লেখ কর।
উত্তরঃ- শব্দ দূষণের দুটি ক্ষতিকর প্রভাব হল -
প্রথমত, মানুষের কর্মদক্ষতা কমে যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, শ্রবণেন্দ্রিয় নষ্ট হয় বা ক্রমাগত শব্দদূষণে কান বধির হয়ে যায়।
৩.৪ শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের দুটি উপায় লেখ।
উত্তরঃ- শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের দুটি উপায় হল -
প্রথমত, উৎসব অনুষ্ঠান পার্বণে জোরে মাইক বাজানো যাবে না বা শব্দবাজি বর্জন করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, কলকারখানায় কর্কশ শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্রাদির প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটিয়ে শব্দ কমানো যায়।
Thank you sir
উত্তরমুছুনএই প্রশ্ন গুলো কি পরীক্ষায় আসে?
উত্তরমুছুনThank you sir
উত্তরমুছুনEnglish
উত্তরমুছুনThank you ❤
উত্তরমুছুন