LightBlog
West Bengal Class 9 Life Science Suggestion 2023 | নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান সাজেশন ২০২৩ | চতুর্থ অধ্যায় | জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ
Type Here to Get Search Results !

West Bengal Class 9 Life Science Suggestion 2023 | নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান সাজেশন ২০২৩ | চতুর্থ অধ্যায় | জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ

চতুর্থ অধ্যায়

জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ

West Bengal Class 9 Life Science Suggestion 2023 | নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান সাজেশন ২০২৩ | চতুর্থ অধ্যায় | জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ
West Bengal Class 9 Life Science Suggestion 2023 | নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান সাজেশন ২০২৩ | চতুর্থ অধ্যায় | জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ


(১) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-


১.১ একটি অ্যান্টিজেনের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ- লাইপোপ্রোটিন


১.২ যক্ষা রোগের ভ্যাকসিনটির নাম কি?

উত্তরঃ- BCG


১.৩ কাকে অনাক্রম্যবিদ্যার জনক বলা হয়?

উত্তরঃ- অ্যাডওয়ার্ড জেনারকে


১.৪ কোন্‌ ভ্যাকসিন মুখ দিয়ে গ্রহণ করা হয়?

উত্তরঃ- পোলিও


১.৫ সত্য বা মিথ্যা লেখঃ

      নস্টক একপ্রকার স্বাধীনজীবী সায়ানোব্যাকটেরিয়া

উত্তরঃ- সত্য


১.৬ শূন্যস্থান পূরণ করোঃ

     পলিস্যাকারাইড একপ্রকার _______।

উত্তরঃ- অ্যান্টিজেন


১.৭ সত্য অথবা মিথ্যা লেখঃ

     অ্যান্টিবডি দেখতে ইংরেজি Y অক্ষরের মতো।

উত্তরঃ- সত্য


১.৮ শূন্যস্থান পূরণ করোঃ

    লক-জ ______ রোগের আরেক নাম।

উত্তরঃ- টিটেনাস

(২) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-

২.১ ইমিউনিটি বা অনাক্রম্যতা বলতে কি বোঝো?

উত্তরঃ- জীব দেহে প্রবিষ্ট জীবাণু যেমন, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও তাদের অধিবিষ এবং বিজাতীয় প্রোটিন দ্বারা দেহের স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলী বিপর্যস্ত হলে, সেগুলির বিরুদ্ধে দেহে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে তাকে ইমিউনিটি বা অনাক্রম্যতা বলে।


২.২ ভ্যাকসিন বা টিকা বলতে কি বোঝো?

উত্তরঃ- কোন নিদির্ষ্ট রোগ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে ওই রোগের জীবানুর থেকে প্রস্তুত যে উপাদান মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে ওই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জন্মায় তাকে ভ্যাকসিন বা টিকা বলে।


২.৩ রোগ বা ডিজিস বলতে কী বোঝো?

উত্তরঃ- দেহের গঠনগত ও কার্যগত অস্বাভাবিকতা, যা কিছু চিহ্ন বা লক্ষণ দ্বারা প্রকাশিত হয় তাকে রোগ বা ডিজিজ বলে।


২.৪ টীকা করনের গুরুত্ব লেখ।

উত্তরঃ- টীকা করনের গুরুত্ব গুলি হল -

প্রথমত, টিকাকরণের দ্বারা দেহে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করা হয় যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

দ্বিতীয়ত, টিকাকরণের মাধ্যমে নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে দেহে প্রায় সারা জীবনের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে।

তৃতীয়ত, টিকাকরণের ফলে দেহে কৃত্রিম সক্রিয় অনাক্রম্যতা উৎপন্ন হয়।


২.৫ জৈবিক নিয়ন্ত্রণে একটি প্রোটোজোয়া ও একটি ভাইরাসের নাম লেখ।

উত্তরঃ- জৈবিক নিয়ন্ত্রক হিসেবে ব্যবহৃত প্রোটোজোয়াটি হল নোসেমা, আর ব্যাকটেরিয়া হল অ্যাজোটোব্যাকটর।


২.৬ কিভাবে AIDS এর সংক্রযন ঘটে?

উত্তরঃ- এই রোগ যেভাবে সংক্রামিত হয় তা হল - HIV রোগীর সঙ্গে অবাধ যৌন সংসর্গ, HIV পজিটিভ রক্ত গ্রহণ, রোগীর ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, ব্লেড, রেজার ইত্যাদি ব্যবহার করা, এছাড়াও মায়ের দেহে থেকে প্লাসেন্টার এর মাধ্যমে শিশুর দেহে HIV সংক্রামিত হয়।


২.৭ নিউমোনিয়া রোগের প্রধান লক্ষণ গুলো কি কি?

উত্তরঃ- নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ গুলি হল -

প্রথমত, এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি হয় এবং মাঝারি মানের জ্বর হয়।

দ্বিতীয়ত, নাক দিয়ে সর্দি এবং কাশির সঙ্গে কফ বের হয়।

তৃতীয়ত, রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।


২.৮ ম্যালেরিয়া রোগের উপসর্গ গুলো কি কি?

উত্তরঃ- ম্যালেরিয়া রোগের উপসর্গ গুলো হল -

প্রথমত, প্রচন্ড শীত করে এবং কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে।

দ্বিতীয়ত, 103 ডিগ্রি থেকে 104 ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর হতে পারে।

তৃতীয়ত, ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যায় তখন শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ঘামে পোষাক ভিজে পর্যন্ত যায়।


২.৯ ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ গুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ- ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ গুলি হল -

প্রথমত, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক অবস্থায় অল্প মাত্রায় জ্বর হয়।

দ্বিতীয়ত, ক্ষুধামান্দ্য দেখা যায়।

তৃতীয়ত, সারা শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক সময় গা-হাত-পায় প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয়।


২.১০ অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডির প্রধান দুটি পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ- অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডির প্রধান দুটি পার্থক্য হল -

প্রথমত, অ্যান্টিজেন হল দেহে অনুপ্রবেশকারী বহিরাগত বস্তু, আর অ্যান্টিবডি হলো অ্যান্টিজেনের উপস্থিতিতে উৎপন্ন অ্যান্টিজেন প্রতিরোধী বস্তু।

দ্বিতীয়ত, এন্টিজেন সাধারণত লোহিত রক্ত কণিকার কোষ পর্দার উপরিতলে অবস্থান করে, কিন্তু এন্টিবডি সাধারণত প্লাজমায় থাকে।

(৩) রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-

৩.১ মানব কল্যাণে জীবাণুদের পাঁচটি ভূমিকা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ- জীবনু যে আমাদের কেবল ক্ষতি করে তাই নয়, অনেক জীবাণু নানাভাবে আমাদের উপকারও করে। মানব কল্যাণে জীবাণুদের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভূমিকা নিচে আলোচনা করা হল

প্রথমত, দই, পনির, মাখন, ঘোল ইত্যাদি উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াদের কাজে লাগানো হয়।

দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন ফলের রস, খেজুরের রস ইত্যাদি গেঁজিয়ে মদ উৎপাদন করা হয়। গ্যাঁজানোর জন্য বিভিন্ন রকম জীবানুর ব্যবহার করা হয়।

তৃতীয়ত, নানা রকম অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ তৈরি করতে বিভিন্ন রকমের জীবাণুদের ব্যবহার করা হয়।

চতুর্থত, যক্ষা, কলেরা, প্লেগ, টিটেনাস, হুপিং কফ ইত্যাদির ভ্যাকসিন তৈরি করতে মৃত বা জীবিত জীবনুদের ব্যবহার করা হয়।

পঞ্চমত, কৃত্রিম উপায়ে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন অর্থাৎ বি কমপ্লেক্স ভিটামিন সি উৎপন্ন করার জন্য বিশেষ কয়েকটি ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার করা হয়।


৩.২ যক্ষা রোগের লক্ষণ গুলি আলোচনা করো।

উত্তরঃ- যক্ষ একটি বায়ুবাহিত ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। যক্ষা রোগ আক্রান্ত ব্যক্তির নাক মুখ দিয়ে হাঁচি কাশি ও নিঃশ্বাসের সঙ্গে মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামক ব্যাকটেরিয়া বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রশ্বাসের সঙ্গে সেই ব্যাকটেরিয়া নাক মুখ দিয়ে সুস্থ ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করলে সেই ব্যাক্তিও যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়।

যক্ষা রোগের লক্ষণ গুলি হল - রোগীর বার বার জ্বর হয়, আর জ্বর প্রধানত সন্ধ্যার দিকে আসে। রোগীর আক্রান্ত জায়গায় ব্যথা অনুভব হয়। সারাক্ষণ কাশি হয় এবং কাশির সঙ্গে সঙ্গে কফ বের হয় আর অনেক সময় কফের সঙ্গে রক্তও বের হয়। ধীরে ধীরে রোগীর দেহের ওজন কমতে থাকে এবং দেহ শীর্ণকায় পরিণত হয়। তাছাড়া রুগীর খিদে পায় না এবং সে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে।


৩.৩ অণুজীব সার বা বায়োফার্টিলাইজার বলতে কী বোঝো? অণুজীব সার ব্যবহারের সমস্যা ও সম্ভাবনা রচনা করো।

উত্তরঃ- যে সক্রিয় গোষ্ঠীর অণুজীব যেমন ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল ও ছত্রাক এককভাবে বা সম্মিলিতভাবে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে জমির উর্বরতা বাড়ায় শস্য ও ফসল উৎপাদন কারী গাছের পুষ্টি জুগিয়ে তাদের সক্রিয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে তাদের বলে অণুজীব সার বা বায়োফার্টিলাইজার।

ভারতে অনুজীব সারের ব্যবহারের সমস্যাঃ-

   ভারতে সর্বোচ্চ অণুজীব সার পাওয়া যায় না। তাছাড়া ভারত উষ্ণ জলবায়ুর দেশ, তাই উষ্ণতা বৃদ্ধিতে অণুজীব সার এর দ্রুত বিনষ্ট হয়।

ভারতে অণুজীব সার এর সম্ভাবনাঃ-

   জনগণের মধ্যে শিক্ষার অভাবের জন্য সচেতনতা কম, তা সত্ত্বেও বিজ্ঞান ও গবেষনা ঘরের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে কোন জীব সারের ব্যবহার ভারতবর্ষে ক্রমশ বাড়ছে। অণুজীব সার ব্যবহারের উপযোগিতা গুলি বেশি ও খরচ কম বলে ক্রমশ এর ব্যবহার এদেশে বাড়বে বলে আশা করা যায়। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close