অষ্টম অধ্যায়
পশ্চিমবঙ্গ
West Bengal Class 9 Geography Suggestion 2023 | নবম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন ২০২৩ | অষ্টম অধ্যায় | পশ্চিমবঙ্গ
(১) বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
(১.১) পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল –
(ক) সন্দাক্ফু
(খ) ফালুট
(গ) সবরগ্রাম
(ঘ) টাংলু
উত্তরঃ- (ক) সন্দাক্ফু
(১.২) নিম্নলিখিত কোন্ নদীটিকে ‘পশ্চিমবঙ্গের দুঃখ’ বলা হত –
(ক) অজয়
(খ) ময়ূরাক্ষী
(গ) শিলাই
(ঘ) দামোদর
উত্তরঃ- (ঘ) দামোদর
(১.৩) কোন্ অঞ্চলের উদ্ভিদে শ্বাসমূল দেখা যায় –
(ক) পার্বত্য
(খ) সুন্দরবন
(গ) মালভূমি
(ঘ) তরাই
উত্তরঃ- (খ) সুন্দরবন
(১.৪) নিম্নলিখিত কোন্টি সোনালি তন্তু –
(ক) কার্পাস
(খ) চা
(গ) পাট
(ঘ) ধান
উত্তরঃ- (গ) পাট
(১.৫) শৈলশহরের রানি বলা হত –
(ক) দার্জিলিং
(খ) কার্সিয়াং
(গ) কালিম্পং
(ঘ) মিরিখ
উত্তরঃ- (ক) দার্জিলিং
(১.৬) নিম্নলিখিত কোন্টি ইস্পাত সংস্থা –
(ক) NTPC
(খ) NHPC
(গ) SAIL
(ঘ) MNRE
উত্তরঃ- (গ) SAIL
(১.৭) ভারতের প্রথম বস্ত্র শিল্পকারখানা গড়ে ওঠে –
(ক) হুগলি জেলায়
(খ) নদীয়া জেলায়
(গ) কলকাতা জেলায়
(ঘ) হাওড়া জেলায়
উত্তরঃ- (ঘ) হাওড়া জেলায়
(১.৮) কোন্টি বন্দর ভিত্তিক শিল্পাঞ্চল –
(ক) শিলিগুড়ি
(খ) ফারাক্কা
(গ) হলদিয়া
(ঘ) দুর্গাপুর
উত্তরঃ- (গ) হলদিয়া
(২) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
(২.১) দার্জিলিং নেপাল সীমান্তে কোন্ শৈলশিরা অবস্থিত?
উত্তরঃ- সিঙ্গালিলা
(২.২) পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কি?
উত্তরঃ- গোর্গাবুরু
(২.৩) ‘ডুয়ার্স’ কথাটির অর্থ কি?
উত্তরঃ- দরজা
(২.৪) পশ্চিমবঙ্গে চাষ করা হয় এমন একটি সুগন্ধি ধানের নাম লেখ।
উত্তরঃ- বাসমতি
(২.৫) আলিপুরদুয়ার জেলাটি ভেঙে কোন্ জেলার সৃষ্টি করা হয়েছে?
উত্তরঃ- জলপাইগুড়ি
(২.৬) ‘তরাই’ কথাটির অর্থ কি?
উত্তরঃ- স্যাঁতস্যাঁতে
(২.৭) তিস্তা নদীর উৎস কি?
উত্তরঃ- জিমু হিমবাহ
(২.৮) পশ্চিমবঙ্গের গ্রীষ্মকালীন ঝড়কে কি বলে?
উত্তরঃ- কালবৈশাখী
(২.৯) কোন্ জেলাকে পশ্চিমবঙ্গের ‘ধানের গোলা’ বলা হয়?
উত্তরঃ- বর্ধমান
(২.১০) পূর্বের শেফিল্ড কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ- হাওড়াকে
(৩) নীচের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
(৩.১) পশ্চিমবঙ্গের চতু:সীমা উল্লেখ কর।
উত্তরঃ- পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী দেশ গুলি হল উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত নেপাল, উত্তরই ভুটান এবং পূর্ব দিকে বাংলাদেশ। আর এর প্রতিবেশী রাজ্য গুলি হল উত্তর সিকিম, পূর্বে অসম, পশ্চিমে বিহার ও ঝাড়খন্ড এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে উড়িষ্যা রাজ্য।
(৩.২) উত্তরবঙ্গে নদীগুলিতে বর্ষায় বন্যা হয় কেন?
উত্তরঃ- পার্বত্য অঞ্চলের বেশিরভাগ নদী অত্যন্ত খরস্রোতা কিন্তু যখনই নদীগুলি সমভূমিতে পড়ে তখনই নদীর গতি বেগ কমে যায়। উত্তরবঙ্গের নদী গুলি সমভূমি অঞ্চলে কম গতিবেগ সম্পন্ন হয়ায় নদীর গভীরতা খুবই কম। তাছাড়া উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ নদী বরফ গলা জলে পুষ্ট কিন্তু বর্ষাকালে যখন অতিরিক্ত বৃষ্টি হয় তখন নদীর জল নদীগুলি আর ধরে রাখতে পারে না, যার ফলস্বরূপ নদীগুলোতে বন্যা হয়।
(৪) নীচের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও;-
(৪.১) পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলের ও মালভূমি অঞ্চলের নদ নদীর তিনটি পার্থক্য লেখ।
উত্তরঃ- পশ্চিমবঙ্গে পার্বত্য অঞ্চল এবং মালভূমি অঞ্চলের নদ নদীর প্রধান তিনটি পার্থক্য হল -
প্রথমত, পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলের নদ-নদী গুলি বরফ গলা জলে পুষ্ট আর মালভূমি অঞ্চলে নদীগুলি বর্ষার জলে পুষ্ট।
দ্বিতীয়ত, পার্বত্য অঞ্চলে নদীগুলিতে সারা বছর জল প্রবাহিত হয় কিন্তু মালভূমি অঞ্চলের নদীগুলি বৃষ্টির জলে পুষ্ট বলে বর্ষাকাল ছাড়া বছরের অন্যান্য সময় জল প্রবাহ থাকে না বললেই চলে।
তৃতীয়ত, পার্বত্য অঞ্চলে নদীগুলি অধিকাংশই বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যমুনা নদীতে মিশেছে আর মালভূমি অঞ্চলে নদীগুলি ভাগরথী হুগলি নদীতে মিশেছে।
(৪.২) পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য গুলো আলোচনা কর।
উত্তরঃ- বিভিন্ন ঋতুতে পশ্চিমবঙ্গের জলের প্রধান তিনটি বৈশিষ্ট্য গুলি নিচে আলোচনা করা হল -
প্রথমত, সাধারণভাবে পশ্চিমবঙ্গ গ্রীষ্মপ্রধান উষ্ণ মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত।
দ্বিতীয়ত, জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে বেশি বৃষ্টিপাত এবং ডিসেম্বর মাসে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়।
তৃতীয়ত, ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এই তিনটি শীতের মাস বাদ দিলে সারা বছরই পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা 27 ডিগ্রি থেকে 45 ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে।
(৫) নীচের রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
(৫.১) পশ্চিমবঙ্গের চা শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা লেখ।
উত্তরঃ-
পশ্চিমবঙ্গে চা শিল্পের সমস্যাঃ-
পশ্চিমবঙ্গ চা শিল্পে ভারতের দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও এই শিল্প বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। যেমন এখানকার পুরনো বাগিচা, উৎপাদন ব্যয় বেশি, সুষ্ঠু পরিচালনার অভাব, পুরনো যন্ত্রপাতি, শ্রমিকদের মজুরি বেশি এছাড়াও চা বাগিচার সম্প্রসারণের অসুবিধা। এ বিভিন্ন কারণগুলোর জন্য পশ্চিমবঙ্গের চা শিল্প আজ এক চরম সঙ্কটের মুখে রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের চা শিল্পের সম্ভাবনাঃ-
বর্তমানে আগের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের চায়ের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। তবে চায়ের উৎপাদন ব্যয় কমলে এবং চায়ের গুণগত মান বাড়ালে আন্তর্জাতিক বাজারে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের চায়ের চাহিদা বাড়বে এবং চা শিল্প আরো সমৃদ্ধশালী হবে।
Saiful Sk
উত্তরমুছুনThanks
উত্তরমুছুনLol
উত্তরমুছুনGps
মুছুনThx
উত্তরমুছুনNeha parveen
উত্তরমুছুনSneha Routh
উত্তরমুছুনI love india
উত্তরমুছুনপশ্চিমবঙ্গের পাটশিল্পের কাঁচামাল গুলি কী কী?
মুছুনWest Bengal map
মুছুন