West Bengal Class 9 Geography Suggestion 2023 | নবম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন ২০২৩ | সপ্তম অধ্যায় | ভারতের সম্পদ
Type Here to Get Search Results !

West Bengal Class 9 Geography Suggestion 2023 | নবম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন ২০২৩ | সপ্তম অধ্যায় | ভারতের সম্পদ

 সপ্তম অধ্যায়

ভারতের সম্পদ

West Bengal Class 9 Geography Suggestion 2023 | নবম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন ২০২৩ | সপ্তম অধ্যায় | ভারতের সম্পদ
West Bengal Class 9 Geography Suggestion 2023 | নবম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন ২০২৩ | সপ্তম অধ্যায় | ভারতের সম্পদ

(১) বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-

(১.১) বিদ্যালয় হল একটি – 

(ক) সামাজিক সম্পদ 

(খ) ব্যক্তিগত সম্পদ 

(গ) সর্বজনীন সম্পদ 

(ঘ) সর্বত্রপ্রাপ্ত সম্পদ

উত্তরঃ- (ক) সামাজিক সম্পদ

(১.২) মানবিক সম্পদটি হলো – 

(ক) অরণ্য 

(খ) জ্ঞান 

(গ) শ্রমশক্তি 

(ঘ) মাটি

উত্তরঃ- (গ) শ্রমশক্তি 

(১.৩) নিম্নলিখিত কোন্‌টি গচ্ছিত সম্পদ – 

(ক) সমুদ্রের জল 

(খ) বাতাস 

(গ) সূর্যকিরণ 

(ঘ) খনিজ তেল

উত্তরঃ- (ঘ) খনিজ তেল

(১.৪) নিম্নলিখিত কোন্‌ সম্পদটি পরিবেশ দূষণ ঘটায় না – 

(ক) কয়লা 

(খ) জলবিদ্যুৎ 

(গ) খনিজতেল 

(ঘ) প্রাকৃতিক গ্যাস

উত্তরঃ- (খ) জলবিদ্যুৎ

(১.৫) সবচেয়ে উঁচুমানের লোহার আকরিক হলো – 

(ক) ম্যাগনেটাইট 

(খ) হেমাটাইট 

(গ) লিমোনাইট

(ঘ) সিডেরাইট

উত্তরঃ- (ক) ম্যাগনেটাইট

(১.৬) আকরিক লোহা উত্তোলনে ভারত পৃথিবীতে – 

(ক) প্রথম 

(খ) দ্বিতীয় 

(গ) তৃতীয় 

(ঘ) চতুর্থ

উত্তরঃ- (ঘ) চতুর্থ

(১.৭) কোন্‌ কয়লার কার্বনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি – 

(ক) অ্যানথ্রাসাইট 

(খ) বিটুমিনাস 

(গ) লিগনাইট 

(ঘ) পিট

উত্তরঃ- (ক) অ্যানথ্রাসাইট

(১.৮) ভারতের বৃহত্তম কয়লাখনি কোন্‌টি – 

(ক) রানীগঞ্জ 

(খ) তালচের 

(গ) কান্দালা 

(ঘ) ঝরিয়া

উত্তরঃ- (ঘ) ঝরিয়া

(১.৯) কয়লা উত্তোলনে বর্তমানে ভারত – 

(ক) প্রথম 

(খ) দ্বিতীয় 

(গ) তৃতীয় 

(ঘ) চতুর্থ

উত্তরঃ- (গ) তৃতীয়

(১.১০) ভারতের বৃহত্তম তৈলখনিটি হল – 

(ক) ডিগবয় 

(খ) নাহারকাটিয়া 

(গ) বোম্বে হাই 

(ঘ) আঙ্কেলেশ্বর

উত্তরঃ- (গ) বোম্বে হাই

(১.১১) পারমাণবিক শক্তির প্রধান কাঁচামালটি হল – 

(ক) ইউরেনিয়াম 

(খ) বেরিলিয়াম 

(গ) থোরিয়াম 

(ঘ) ভ্যানাডিয়াম

উত্তরঃ- (ক) ইউরেনিয়াম

(১.১২) ভারতের সবচেয়ে পুরনো পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কোন্‌টি – 

(ক) কাঁকড়াপার 

(খ) কালাপক্কম 

(গ) তারাপুর 

(ঘ) কুদানকুলাম

উত্তরঃ- (গ) তারাপুর

(১.১৩) নিম্নলিখিত কোন্‌ অচিরাচরিত শক্তি উৎপাদন ভারতে সবচেয়ে বেশি – 

(ক) সৌরশক্তি 

(খ) বায়ুশক্তি 

(গ) সমুদ্রতরঙ্গ 

(ঘ) জোয়ারভাটা

উত্তরঃ- (খ) বায়ুশক্তি

(২) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-

(২.১) যে সমস্ত সম্পদ প্রতিনিয়ত ব্যবহারের ফলেও নিঃশেষিত হয়না তাদের কি সম্পদ বলে?

উত্তরঃ- পুনর্ভব সম্পদ

(২.২) কোন্ সম্পদকে কালোহীরে বলা হয়?

উত্তরঃ- কয়লা

(২.৩) উৎপাদন ক্ষমতা বিচারে ভারতের বৃহত্তম তাপবিদ্যুৎ শক্তি কেন্দ্রটির নাম কি?

উত্তরঃ- গুজরাটের মুন্দ্রা

(২.৪) ভারতের প্রাচীনতম কয়লা খনি কোনটি?

উত্তরঃ- রানীগঞ্জ

(২.৫) কোন্ প্রচলিত শক্তি ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ প্রায় হয় না?

উত্তরঃ- জলবিদ্যুৎ

(২.৬) ভারতের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্রটির নাম কি?

উত্তরঃ- তারাপুর

(২.৭) পশ্চিমবঙ্গের কোথায় ভূতাপীয় শক্তি উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে?

উত্তরঃ- বক্রেশ্বরে

(২.৮) সর্বোৎকৃষ্ট লৌহ আকরিকের নাম কি?

উত্তরঃ- ম্যাগনেটাইট

(২.৯) তরল সোনা কাকে বলে?

উত্তরঃ- খনিজ তেলকে

(২.১০) সাদা কয়লা কাকে বলে?

উত্তরঃ- জলবিদ্যুৎকে

(২.১১) ভারতের কোন্‌ যুগে কয়লা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়?

উত্তরঃ- গন্ডোয়ানা যুগের

(৩) নীচের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-

(৩.১) সম্পদ কাকে বলে?

উত্তরঃ- সম্পদ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জিমারম্যানের মতে – “সম্পদ বলতে কোন বস্তু বা পদার্থ কে বোঝায় না, বোঝাই ঐ বস্তু বা পদার্থের কার্যকারিতা বা ক্রিয়া প্রণালী, যা মানুষের চাহিদা পূরণ করে”।

(৩.২) প্রচলিত সম্পদ বলতে কী বোঝো?

উত্তরঃ- প্রকৃতিতে এমন কিছু সম্পদ আছে যাদের পরিমাণ সীমিত, যেগুলি ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে শেষ হয়ে যায়, সেগুলিকে প্রচলিত সম্পদ বা গচ্ছিত সম্পদ বা অপুনর্ভব সম্পদ বলে। যেমন - কয়লা, খনিজ তেল ইত্যাদি।

(৩.৩) অপ্রচলিত সম্পদ বলতে কী বোঝো?

উত্তরঃ- প্রকৃতিতে এমন কিছু সম্পদ আছে যাদের পরিমাণ সীমিত নয় এবং ব্যবহারে শেষ হয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, সেগুলিকেই অপ্রচলিত সম্পদ বা পুনর্ভব সম্পদ প্রবাহমান সম্পদ বলে। যেমন - সৌরশক্তি বায়ুশক্তি সমুদ্র শক্তি ইত্যাদি।

(৩.৪) আকরিক লোহার শ্রেণীবিভাগ কর।

উত্তরঃ- আকরিক লোহা কে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা – (ক) ম্যাগনেটাইট, (খ) হেমাটাইট, (গ) লিমোনাইট ও (ঘ) সিডেরাইট।

(৩.৫) কয়লার চারটি উপজাত দ্রব্যের নাম লেখো।

উত্তরঃ- কয়লা থেকে বিভিন্ন উপজাত দ্রব্য পাওয়া যায়। যেমন - ন্যাপথলিন, পিচ, কোলগ্যাস, আলকাতরা, স্যাকারিন ইত্যাদি।

(৩.৬) কোক কয়লা কি?

উত্তরঃ- কয়লার মধ্যে থাকা মাটি, অজৈব পদার্থ, শিলাখণ্ড, জল ইত্যাদি বের করে নেওয়ার জন্য কোক চুল্লিতে দেওয়ার পর উন্নতমানের যে কয়লায় রূপান্তরিত হয় তাকেই কোক কয়লা বলে।

(৩.৭) কয়লার শ্রেণীবিভাগ কর।

উত্তরঃ- কার্বনের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে কয়লাকে সাধারণত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা – (ক) অ্যানথ্রাসাইট, (খ) বিটুমিনাস, (গ) লিগনাইট ও (ঘ) পিট।

(৩.৮) খনিজ তেলের উপজাত দ্রব্য গুলির নাম লেখ।

উত্তরঃ- খনিজ তেলের প্রধান উপজাত দ্রব্য গুলি হল ন্যাপথা, পিচ, ভেসলিন, কার্বন ব্লাক ইত্যাদি।

(৪) নীচের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-

(৪.১) তাপ বিদ্যুৎ শক্তির দুটি সুবিধা ও দুটি অসুবিধা লেখ।

উত্তরঃ- তাপ বিদ্যুৎ শক্তির সুবিধাঃ-

    তাপ বিদ্যুৎ শক্তির প্রধান দুটি সুবিধা হলো -

প্রথমত, তাপ বিদ্যুৎ শক্তি কেন্দ্র স্থাপনের প্রাথমিক ব্যয় অনেক কম হয়।

দ্বিতীয়ত, কয়লা বা খনিজ তেল উত্তোলন অঞ্চল থেকে যেকোনো দূরত্বে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব।

তাপ বিদ্যুৎ শক্তির অসুবিধাঃ-

     তাপ বিদ্যুৎ শক্তির প্রধান দুটি অসুবিধা হলো -

প্রথমত, তাপ বিদ্যুৎ শক্তি কেন্দ্র স্থাপনের প্রাথমিক ব্যয় কম হলেও এর পৌনপৌনিক ব্যয় অনেক বেশি।

দ্বিতীয়ত, এই তাপ বিদ্যুৎ শক্তি পরিবেশ বান্ধব শক্তি নয় অর্থাৎ এর ফলে পরিবেশ দূষণ হয়।

(৪.২) জলবিদ্যুৎ শক্তির দুটি সুবিধা ও দুটি অসুবিধা লেখ।

উত্তরঃ- জলবিদ্যুৎ শক্তির সুবিধাঃ-

     জলবিদ্যুৎ শক্তির প্রধান দুটি সুবিধা হলো -

প্রথমত, পৃথিবীতে জলের ভাণ্ডার অফুরন্ত আর জলবিদ্যুৎ শক্তি যেকোনো খরস্রোতা নদীতে উৎপন্ন করা সম্ভব।

দ্বিতীয়ত, জলবিদ্যুৎ শক্তির উৎপাদন ব্যয় অনেক কম এবং এই শক্তি পরিবেশবান্ধব শক্তি।

জলবিদ্যুৎ শক্তির অসুবিধাঃ-

     জলবিদ্যুৎ শক্তির প্রধান দুটি অসুবিধা হলো -

প্রথমত, জলবিদ্যুৎ শক্তির প্রধান অসুবিধা হলো এই শক্তি সঞ্চয় করে রাখা যায় না।

দ্বিতীয়ত, জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নদীতে বাঁধ বা জলাধার নির্মাণ করার প্রয়োজন হয়, যার ফলস্বরূপ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বনভূমি ধ্বংস হয় এবং জীব-বৈচিত্র বিনাশ ঘটে।

(৪.৩) পারমাণবিক শক্তির দুটি সুবিধা ও দুটি অসুবিধা লেখো।

উত্তরঃ- পারমাণবিক শক্তির সুবিধাঃ-

     পারমাণবিক শক্তি প্রধান দুটি সুবিধা হলো -

প্রথমত, পারমাণবিক শক্তিতে খুব সামান্য পরিমাণ কাঁচা মাল ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।

দ্বিতীয়ত, কাঁচামাল কম লাগে বলে বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি ও কাঁচামালের যোগান থাকলেও যে কোন স্তানে পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র স্থাপন করা যায়।

পরমাণু শক্তির অসুবিধাঃ- 

     পারমাণবিক শক্তির প্রধান দুটি অসুবিধা হলো -

প্রথমত, পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনের সময় যে তেজস্ক্রিয় শক্তি নির্গত হয় তা মানুষের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের উৎস।

দ্বিতীয়ত, এই পারমাণবিক শক্তি থেকে পারমানবিক বোমা তৈরি করে মানুষ সহ পরিবেশকে ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।

(৪.৪) সৌর শক্তির ব্যবহার লেখ।

উত্তরঃ- সূর্য থেকে যে শক্তি পাওয়া যায় তাকে সৌরশক্তি বলে। পৃথিবীতে যত শক্তি আছে তা সূর্য কিরন ব্যবহার করেই তৈরি হয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, তেল ইত্যাদি আসলে বহু দিনের সঞ্চিত সৌরশক্তি।

সৌরশক্তির ব্যবহারঃ-

প্রথমত, লেন্সের সাহায্যে সূর্যের আলোকে অভিসারী করে আগুন লাগানো যায় ।

দ্বিতীয়ত, সূর্যের আলোকে ধাতব পাতের সাহায্যে প্রতিফলিত করে সৌরচুল্লীতে রান্না করা যায় ।

তৃতীয়ত, সোলার প্যানেলের সাহায্যে সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সৌরবিদ্যুৎ তৈরি করা হয়।

চতুর্থত, জল গরম করা বা শীতপ্রধান দেশে বাড়িঘর গরম রাখার জন্য সৌর শক্তি ব্যবহার করা হয়। 

(৫) নীচের রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-

(৫.১) কয়লার ব্যবহার গুলি লেখ। ভারতে কয়লার আঞ্চলিক বন্টন উল্লেখ কর।

উত্তরঃ- কয়লার ব্যবহারঃ- 

ভারতে কয়লার ব্যবহার গুলি হল -

প্রথমত, ভারতের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানির কাঁচামাল হিসেবে কয়লা ব্যবহার করা হয়।

দ্বিতীয়ত, উৎপাদিত মোট কয়লার 5% লৌহ ইস্পাত শিল্পে আকরিক লোহা গলানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

তৃতীয়ত, কয়লা গৃহস্থলীর জ্বালানীর জন্য ব্যবহার করা হয়।

চতুর্থত, কয়লার উপজাত দ্রব্য পিচ ও আলকাতরা যথাক্রমে রাস্তা নির্মাণ বাড়ি ঘর নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণে প্রলেপ দিতে ব্যবহৃত হয়।

কয়লার আঞ্চলিক বন্টনঃ-

     ভারতে কয়লা উত্তোলক অঞ্চল সমূহকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায় যথা – (ক) গন্ডোয়ানা যুগের কয়লা এবং (খ) টারশিয়ারী যুগের কয়লা।

(ক) গন্ডোয়ানা যুগের কয়লাঃ-

     গণ্ডোয়ানা যুগের কয়লা সাধারণত প্রায় 28 থেকে 30 কোটি বছর আগে ভূগর্ভে সৃষ্টি হয়েছিল। ভারতের মোট কয়লা সম্পদের 99% এই গন্ডোয়ানা যুগের কয়লা। আর এই কয়লার বেশিরভাগই বিটুমিনাস জাতীয় হয়। এই গন্ডোয়ানা যুগের কয়লা সাধারণত দামোদর উপত্যকার ঝরিয়া, বোকারো, করনপুরা, গিরিডি, রানীগঞ্জ, আসানসোল প্রভৃতি জায়গায়। তাছাড়া শোন উপত্যকায় ঝিলিমিলি, বিশ্রামপুর, উমারিয়া প্রভৃতি স্থানে পাওয়া যায়। এছাড়াও মহানদী উপত্যকার তালছের ও সম্বল্পুরে এবং গোদাবরী উপত্যকার সিঙ্গারেনি, অঙ্গারগাও প্রভৃতি স্থানে পাওয়া যায়।

(খ) টারশিয়ারী যুগের কয়লাঃ-

     টারশিয়ারী যুগের কয়লা প্রায় ছয় থেকে সাত কোটি বছর আগে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে গঠিত হয়েছিল। আর নিম্নমানের এই কয়লার বেশিরভাগই লিগনাইট জাতীয়। টার্শিয়ারি যুগের কয়লা উত্তোলন অঞ্চল গুলি হল অসমের মাকুম, জয়পুর। অরুণাচল প্রদেশের নামফুক, নামচিক প্রভৃতি। মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি, মাওলিং। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং এর কাছে বাগরাকোট এবং তিনঝরিয়া।

(৫.২) খনিজ তেলের গুরুত্ব গুলি লেখ। ভারতের খনিজ তেল উত্তোলন অঞ্চল গুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উত্তরঃ- খনিজ তেলের ব্যবহারঃ-

ভারতের খনিজ তেল বহুবিধ ও কাজে ব্যবহার করা হয়। যেমন -

প্রথমত, এরোপ্লেন মোটর গাড়ি বাস ট্রাক মোটর সাইকেল রেল ইঞ্জিন জাহাজ প্রভৃতিতে খনিজ তেলের ব্যবহার করা হয়।

দ্বিতীয়ত, মেশিন চালানোর জ্বালানি হিসেবে পেট্রোল বা গ্যাসোলিন এবং ডিজেল ব্যবহার করা হয়।

তৃতীয়ত, ভারতে তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ও খনিজ তেলের উপজাত দ্রব্য ফার্নেস অয়েল, হাই স্পিড ডিজেল ওয়েল প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়।

চতুর্থত, আধুনিক যুদ্ধ ট্যাংক যুদ্ধজাহাজ সাবমেরিন যুদ্ধ বিমান প্রভৃতি চালানোর জন্য খনিজ তেল অপরিহার্য ।

খনিজ তেল উৎপাদক অঞ্চলঃ-

ভারতের খনিজ তেল উৎপাদক অঞ্চল গুলিকে চারটি প্রধান অঞ্চলে ভাগ করা যায়, যথা -

(ক) উত্তর-পূর্ব ভারতের তৈলখনি (খ) পশ্চিম ভারতে তৈল খনি (গ) আরব সাগরের দরিয়া অঞ্চলের তৈল খনি (ঘ) দক্ষিণ ভারতে তৈল খনি।

 (ক) উত্তর-পূর্ব ভারতে তৈল খনিঃ- 

     উত্তর-পূর্ব ভারতের অসমের ডিগবয় নাহারকাটিয়া মুরান টিয়ক প্রভৃতি অঞ্চলে আর অরুণাচল প্রদেশের খারসাং ও নিঙ্গারু অঞ্চলে পাওয়া যায়

(খ) পশ্চিম ভারতে তৈল খনিঃ-

     খনিজ তেল উৎপাদনে পশ্চিম ভারতের গুজরাট রাজ্যটি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। গুজরাটের ভারুচ জেলার আঙ্গুলেশ্বের, দহেজ, কোসাম্বা; সুরাট জেলার ওলপদ; মহেসানা ডিলার কালোল, কাড়ি; আর আমেদাবাদ জিলার ধোলকা ও সানন্দ প্রভৃতি জায়গায় পাওয়া যায়।

(গ) আরব সাগরের দরিয়া অঞ্চলের তৈল খনিঃ-

      আরব সাগরের দরিয়া অঞ্চলে তৈরি খনিটি মুম্বাইয়ের 173 কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে আরব সাগরের মহীসোপানে প্রায় 2 হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চলে বিস্তৃত বোম্বে হাই হলো ভারতের অন্যতম সমুদ্র গর্বের তৈলখনি, যা ভারতের প্রায় 50 শতাংশ খনিজ তেল উৎপাদন করে প্রথম স্থান লাভ করেছে।

(ঘ) দক্ষিণ ভারতের তৈল খনিঃ-

     দক্ষিণ ভারতের কৃষ্ণা ও গোদাবরী নদীর বদ্বীপ অঞ্চলে অবস্থিত অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের রাজোল, লিনগালা; তামিলনাড়ু রাজ্যের ভুবনগিরি, আরিয়াক্কামঙ্গলম প্রভৃতি জায়গায় খনিজ তেল উৎপাদন করা হয়।

(৫.৩) উদাহরণসহ সম্পদের বিভিন্ন প্রকার শ্রেণীবিভাগ আলোচনা করো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

LightBlog

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close