দ্বিতীয় অধ্যায়
পৃথিবীর গতি সমূহ
(১) বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
(১.১) কোন্ গ্রহটি আবর্তনের সময় একেবারে পৃথিবীর মতোই -
(ক) মঙ্গল
(খ) শুক্র
(গ) বৃহস্পতি
(ঘ) এরিস
উত্তরঃ- (ক) মঙ্গল
(১.২) পৃথিবী আবর্তিত হচ্ছে –
(ক) দক্ষিণ থেকে উত্তরে
(খ) উত্তর থেকে দক্ষিনে
(গ) পূর্ব থেকে পশ্চিমে
(ঘ) পশ্চিম থেকে পূর্বে
উত্তরঃ- (ঘ) পশ্চিম থেকে পূর্বে
(১.৩) কোন্ বলের প্রভাবে বায়ু ও সমুদ্রস্রোতের দিক বিক্ষেপ হয় –
(ক) বিউফোর্ট বল
(খ) কোরিওলিস বল
(গ) নিউটন বল
(ঘ) ডানকান বল
উত্তরঃ- (খ) কোরিওলিস বল
(১.৪) পৃথিবীর অপসূর অবস্থান হয় কোন্ তারিখে –
(ক) ৩রা জানুয়ারি
(খ) 21শে মার্চ
(গ) ৪ঠা জুলাই
(ঘ) ২২শে ডিসেম্বর
উত্তরঃ- (গ) ৪ঠা জুলাই তারিখে
(১.৫) পৃথিবীর অনুসুর অবস্থানের দিনটি হলো –
(ক) ৩রা জানুয়ারি
(খ) ৪ঠা জানুয়ারি
(গ) 21শে মার্চ
(ঘ) 23শে সেপ্টেম্বর
উত্তরঃ- ৩রা জানুয়ারি
(১.৬) জলবিষুবের দিনটি হলো –
(ক) 23শে জুন
(খ) 23শে আগস্ট
(গ) 23শে সেপ্টেম্বর
(ঘ) 23শে নভেম্বর
উত্তরঃ- (গ) 23শে সেপ্টেম্বর
(১.৭) পৃথিবীর পরিক্রমণের গতিবেগ সেকেন্ডে প্রায় –
(ক) 20 কিমি
(খ) 30 কিমি
(গ) 40 কিমি
(ঘ) 50 কিমি
উত্তরঃ- (খ) 30 কিমি
(১.৮) মহাবিষুব হয় –
(ক) 21শে মার্চ
(খ) 21শে জুন
(গ) 23শে সেপ্টেম্বর
(ঘ) 22শে ডিসেম্বর
উত্তরঃ- (ক) 21শে মার্চ তারিখে
(১.৯) নিম্নলিখিত কোন্ বছর অধিবর্ষ নয় –
(ক) 1600
(খ) 2000
(গ) 2100
(ঘ) 2400
উত্তরঃ- (গ) 2100
(২) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
(২.১) পৃথিবীর কক্ষপথের আকৃতি কেমন?
উত্তরঃ- প্রায় ডিম্বাকার
(২.২) পৃথিবীর আলোকিত অর্ধাংশ এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন অর্ধাংশের সীমারেখাকে কি বলে?
উত্তরঃ- ছায়াবৃত্ত বা আলোকবৃত্ত
(২.৩) পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব সবচেয়ে কম থাকে কোন্ অবস্থায়?
উত্তরঃ- অনুসূর
(২.৪) যে বছর গুলোর দিন সংখ্যা 366 দিন সেই বছর গুলিকে কি বলে?
উত্তরঃ- অধিবর্ষ
(২.৫) একটি অক্ষাংশভিত্তিক মহাবৃত্তের নাম লেখ।
উত্তরঃ- নিরক্ষরেখা
(২.৬) পৃথিবীর কোন্ অঞ্চলে কোন ঋতু পরিবর্তন হয় না?
উত্তরঃ- নিরক্ষিয়
(২.৭) পৃথিবীর কোন্ বিন্দুতে কোন ঋতু পরিবর্তন হয় না?
উত্তরঃ- মেরু
(২.৮) বিষুব কথাটির অর্থ কি?
উত্তরঃ- সমান দিনরাত্রি
(২.৯) একটি নক্ষত্র দিন এর প্রকৃত সময় কত?
উত্তরঃ- ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড
(২.১০) নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তন গতি বেগ কত?
উত্তরঃ- ১৬৭০ কিমি/ঘন্টা
(২.১১) কোন্ কোন্ তারিখে পৃথিবীর সর্বত্র দিন রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়?
উত্তরঃ- ২১ মার্চ/২৩ সেপ্টেম্বর
(২.১২) অক্ষ কক্ষতলের সঙ্গে পৃথিবী কত ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে?
উত্তরঃ- সাড়ে ৬৬ ডিগ্রী
(২.১৩) মেরু অঞ্চলে রাত্রিবেলা যে আলোকবিচ্ছুরণ দেখা যায় তাকে কি বলে?
উত্তরঃ- মেরুপ্রভা
(২.১৪) কাকে আধুনিক জ্যোতিষবিদ্যার জনক বলা হয়?
উত্তরঃ- গ্যালিলিও
(২.১৫) জলবিষুব কোন্ দিনটিকে বলা হয়?
উত্তরঃ- ২৩ সেপ্টেম্বর
(২.১৬) মহাবিষুব কোন্ দিনটিকে বলা হয়?
উত্তরঃ- ২১ মার্চ
(২.১৭) কর্কটক্রান্তি কোন্ দিনটিকে বলা হয়?
উত্তরঃ- ২১ জুন
(২.১৮) মকরক্রান্তি কোন্ দিনটিকে বলা হয়?
উত্তরঃ- ২২ ডিসেম্বর
(২.১৯) কোন্ কোন্ গ্রহ ঘড়ির কাঁটার অভিমুখী আবর্তন করে?
উত্তরঃ- শুক্র ও ইউরেনাস
(২.২০) কোন্ দেশকে নিশীথ সূর্যের দেশ বলে?
উত্তরঃ- নরওয়ে
(৩) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
(৩.১) আবর্তন গতি আহ্নিক গতি বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- পৃথিবী নিজের মেরুদণ্ডের বা অক্ষের চারিদিকে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘোড়ার গতিকে আবর্তন গতি বা আহ্নিক গতি বলে। পৃথিবীর এই আবর্তন করতে সময় লাগে 23 ঘন্টা 56 মিনিট 4 সেকেন্ড বা প্রায় 24 ঘন্টা।
(৩.২) সৌর দিন কাকে বলে?
উত্তরঃ- কোন নির্দিষ্ট দ্রাঘিমা রেখায় পরপর দুটি মধ্যাহ্নের সময়ের ব্যবধান হলো সৌর দিন। আর পৃথিবীর এই সৌর দিনের সময়সীমা হল 24 ঘন্টা।
(৩.৩) পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলাফল গুলি কি কি?
উত্তরঃ- পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে -
(ক) পৃথিবীতে দিন ও রাত্রি হয়, (খ) নদী সমুদ্র বা হ্রদে জোয়ার-ভাটা সৃষ্টি হয়, (গ) সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয়, (ঘ) বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোতের নানান রকমের গতি বিক্ষেপ ঘটে।
(৩.৪) ফেরেলের সূত্রটি লেখ।
উত্তরঃ- পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য উৎপন্ন কেন্দ্র বহির্মুখী বল এর কারণে সমুদ্রস্রোত ও বায়ু প্রবাহে উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধের বাঁ দিকে বেঁকে যায়। মার্কিন বিজ্ঞানী উইলিয়াম ফেরেল এই সূত্রটি প্রথম আবিষ্কার করেন বলে তার নাম অনুসারে একে ফেরেলের সূত্র বলে।
(৩.৫) বার্ষিক বা পরিক্রমণ গতি বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- পৃথিবী নিজের মেরুদণ্ডের বা অক্ষের উপর অবিরাম ঘুরতে ঘুরতে একটি নির্দিষ্ট পথে ও একটি নির্দিষ্ট সময়ে পশ্চিম দিক থেকে পূর্বদিকে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীর এই গতিকে বার্ষিক গতি বা পরিক্রমণ গতি বলে। সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর 365 দিন 5 ঘন্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড সময় লাগে।
(৩.৬) অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- যে বছর ফেব্রুয়ারি মাসের দিন সংখ্যা একদিন বাড়িয়ে অর্থাৎ 28 দিনের জায়গায় 29 দিন করে বছর টিকে 365 দিনের পরিবর্তে 366 দিন করা হয়, সেই বছরকে অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার বলা হয়।
(৩.৭) ঋতুচক্র বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে সারা বছরব্যাপী বিভিন্ন ঋতুর পর্যায়ক্রমিক আগমনকে ঋতুচক্র বলে। ঋতুচক্রে সাধারণত গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত ও বসন্ত এই চারটে ঋতুর পর্যায়ক্রমিকভাবে আবর্তিত হয়।
(৩.৮) ছায়াবৃত্ত বা আলোকবৃত্ত কী?
উত্তরঃ- পৃথিবী গোলাকার। তাই আবর্তনের সময় পৃথিবীর সর্বত্র একই সময় সূর্যের আলো পড়ে না—এক অর্ধাংশ যখন সূর্যের আল পায়, তখন অপর অর্ধাংশ অন্ধকার হয়ে থাকে। এই আলোকিত ও অন্ধকার অর্ধাংশ যে বৃত্তাকার সীমারেখায় মিলিত হয়, তাকে ছায়াবৃত্ত বা আলোকবৃত্ত বলে।
(৪) নীচের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
(৪.১) পৃথিবীর অপসুর ও অনুসুর অবস্থা বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- পৃথিবী তার নিজের মেরুদণ্ডের ওপর ঘুরতে ঘুরতে একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। পৃথিবীর এই কক্ষপথ উপবৃত্তাকার হয় সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সারা বছর সমান থাকে না।
৩ রা জানুয়ারি সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে কম প্রায় 14 কোটি 70 লক্ষ কিলোমিটার, এই অবস্থানকে পৃথিবীর অনুসুর অবস্থান বলে।
আর 4 জুলাই সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে বেশি হয় প্রায় 15 কোটি 20 লক্ষ কিলোমিটার, এই অবস্থানকে পৃথিবীর অপসুর অবস্থান বলে।
(৪.২) মহাবিষুব ও জলবিষুব বলতে কি বোঝো?
উত্তরঃ- ‘বিষুব’ কথাটির অর্থ হল ‘সমান দিনরাত্রি’। যেদিন পৃথিবীর সমস্ত স্থানে দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়, সেই দিনটিকে বিষুব বলে। বছরের 21 শে মার্চ ও 23 শে সেপ্টেম্বর এই দুটি দিনটিতে পৃথিবীর দিন ও রাত্রি সমান হয়।
21 শে মার্চ পৃথিবী তার কক্ষপথে এমনভাবে অবস্থান করে যে সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখায় লম্ব হবে পরে ফলে উভয় গোলার্ধে দিন ও রাত্রি সমান হয়, তাই এই দিনটিকে মহাবিষুব বলে।
আর 23 শে সেপ্টেম্বর পৃথিবী তার কক্ষপথে এমন ভাবে অবস্থান করে যে সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখার উপর লম্ব হবে পরে ফলে উভয় গোলার্ধে দিনরাত্রি সমান হয় তাই এই দিনটিকে জলবিষুব বলে।
(৪.৩) ডিসেম্বর মাসে বিজ্ঞানীরা আন্টার্টিকা অভিযানে যান কেন?
উত্তরঃ- ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল থাকে। আন্টার্টিকা ও সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে উষ্ণতা হিমাঙ্কের উপরে ওঠে ফলে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচা সম্ভব। তাছাড়া ডিসেম্বর মাসে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকায় দক্ষিণ গোলার্ধে দিন বড় এবং রাত্রি ছোট হয়। তাই দিনের আলো বেশিক্ষণ থাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা সুবিধা হয়। আর গ্রীষ্মকালে বরফ গলে যাওয়ার ফলে মহাদেশের প্রান্তসীমা হ্রাস পায়। এর ফলে বিজ্ঞানীরা মহাদেশের অভ্যন্তরে অনেকটা জলপথে প্রবেশ করতে পারেন।
(৪.৪) নিশীথ সূর্যের দেশ কাকে এবং কেন বলা হয়?
উত্তরঃ- নরওয়কে নিশীথ সূর্যের দেশ বলা হয় কারণ, নিশীথ সূর্যের দেশে নরওয়েতে রাতের আকাশে সূর্যকে দেখা যায়। 21 শে মার্চ থেকে 23 শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ 6 মাস সূর্যের সাপেক্ষে পৃথিবী এমন অবস্থানে থাকে যে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে। এর ফলস্বরূপ দীর্ঘ ছয় মাস সুমেরু অঞ্চলে 24 ঘন্টা দিন থাকে। তাই নরওয়ের হ্যামারফাস্ট বন্দর বা তার কাছাকাছি স্থান থেকে স্থানীয় সময় অনুযায়ী গভীর রাতেও সূর্যকে দেখা যায়।
(৪.৫) অস্ট্রেলিয়ায় গ্রীষ্মকালে বড়োদিন উৎসব পালিত হয় কেন?
উত্তরঃ- ২৫ ডিসেম্বর বড়োদিন। এই তারিখে উত্তর গোলার্ধে শীতকাল থাকলেও দক্ষিন গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল। অস্ট্রেলিয়া দক্ষিন গোলার্ধে অবস্থিত। তাই অস্ট্রেলিয়াসহ সমগ্র দক্ষিন গোলার্ধে গ্রীষ্মকালে বড়োদিনউৎসব পালিত হয়।
(৪.৬) উষা ও গোধূলি বলতে কি বোঝো?
উত্তরঃ- সূর্য ওঠার আগে বায়ুমণ্ডলের ধূলিকণায় সূর্যালোকের আলো প্রতিফলিত হয়ে পূর্ব আকাশে যে ক্ষীণ আলো দেখা যায় তাকে উষা বলে।
সূর্য ডোবার পর বায়ুমণ্ডলের ধূলিকণায় সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে পশ্চিম আকাশে যে ম্লান আলো দেখা যায় তাকে গোধূলি বলে।
(৫) নীচের রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
(৫.১) পৃথিবীর আবর্তন গতির প্রমাণ আলোচনা করো।
উত্তরঃ- পৃথিবীর আহ্নিক গতি প্রমাণের জন্য বিজ্ঞানীরা যে সব যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তা নিম্নরূপ :
প্রথমত, সূর্য পূর্ব দিকে উঠে পশ্চিম দিকে অস্ত যায়। এ থেকে অনুমান করা যায়, হয় সূর্য ঘুরছে না হয় পৃথিবী ঘুরছে এবং এ গতি প্রতি ২৪ ঘণ্টায় সম্পন্ন হচ্ছে। যেহেতু পৃথিবী থেকে সূর্য ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তাই ২৪ ঘণ্টায় এত ব্যাপক দূরত্ব সূর্যের পক্ষে ঘোরা সম্ভব নয়। ফলে প্রমাণিত হয় পৃথিবীই সূর্যের চারদিকে ঘুরছে। এটি পৃথিবীর আহ্নিক গতি।
দ্বিতীয়ত, পৃথিবীর মধ্যভাগ কিছুটা স্ফীত এবং মেরু অঞ্চল কিছুটা চাপা। বিজ্ঞানী নিউটন বলেন পৃথিবীর আবর্তনের ফলেই এর আকৃতি এমন হয়েছে।
তৃতীয়ত, পৃথিবীর আবর্তনের জন্য বায়ু প্রবাহ ও সমুদ্রস্রোতের পরিবর্তন ঘটছে। আহ্নিক গতির ফলেই সমুদ্রস্রোত ও বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায় ।
চতুর্থত, কোন উঁচু স্থান থেকে পাথরখণ্ড নিচে নিক্ষেপ করলে দেখা যায় এটি লম্বভাবে মাটিতে না পড়ে সামান্য পূর্ব দিকে সরে পড়ছে। এতে প্রমাণিত হয় পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে বা পৃথিবীর আবর্তন গতি বা আহ্নিক গতি রয়েছে।
পঞ্চমত, প্রধানত চাঁদের আকর্ষণে জোয়ার ভাটা সংঘটিত হয় । সাতাশ দিনে চাঁদ একবার পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে আসে। ফলে ২৭ দিনে একবার মুখ্য জোয়ার হওয়ার কথা কিন্তু দেখা যায় প্রতিদিনই একবার মুখ্য জোয়ার হয়। ফলে প্রমাণিত হয় পৃথিবীর আবর্তন গতি বা আহ্নিক গতি রয়েছে।
(৫.২) পৃথিবীর পরিক্রমণ বা বার্ষিক গতির ফলাফল আলোচনা করো।
উত্তরঃ- নিজের মেরদন্ডের ওপর অবিরাম ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবী একটি নির্দিষ্ট পথে, নির্দিষ্ট দিকে (ঘড়ির কাটার বিপরীতে) এবং নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করছে। পৃথিবীর এই গতিকে বার্ষিক গতি বা পরিক্রমণ গতি বলে।
পৃথিবীর বার্ষিক গতির ফলে—
দিন-রাত্রির হ্রাসবৃদ্ধিঃ-
সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় পৃথিবীর মেরুরেখা তার কক্ষতলের সাথে 66 1/2° কোণে অবস্থান করে। ফলে সূর্য কখনো উত্তর গোলার্ধে কর্কটক্রান্তি রেখার ওপর, আবার কখনো দক্ষিন গোলার্ধে মকরক্রান্তি রেখার ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। এরফলে উত্তর এবং দক্ষিন গোলার্ধে বছরের বিভিন্ন সময়ে দিনরাতের দৈর্ঘ্যের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে।
ঋতু পরিবর্তনঃ-
সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব বছরের বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হয়। পৃথিবীর মেরুরেখা তার কক্ষতলের সাথে 66 1/2° কোণে হেলে থাকার ফলে এবং পৃথিবী গোলাকার হওয়ার ফলে ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র সূর্যরশ্মি একই কোণে পড়ে না। কোথাও লম্বভাবে, কোথাও তির্যকভাবে পড়ার ফলে বিভিন্ন স্থানের তাপের তারতম্য দেখা যায়। এইভাবে উষ্ণতার হ্রাস-বৃদ্ধি অনুযায়ি বছরের বিভিন্ন সময়ে নানান স্থানে নানান ঋতু বিরাজ করে।
Darun
উত্তরমুছুনমেরু জ্যোতি কাকে বলে
মুছুনমেরু জ্যোতি কাকে বলে
মুছুনপার্থক্য গুলো থাকলে ভালো হয়
উত্তরমুছুনONGC ki
উত্তরমুছুনONGC is
উত্তরমুছুনHello
উত্তরমুছুনHi
উত্তরমুছুন