খেয়ারবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
প্রশ্নঃ 'খেয়া' কবিতাটি কার লেখা?
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) নজরুল ইসলাম
(গ) সুকুমার রায়
(ঘ) নবীনচন্দ্র সেন
উত্তর: (ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রশ্নঃ কি পারাপার করে?
(ক) খেয়ানৌকা
(খ) খেয়া
(গ) জাহাজ
(ঘ) নৌকা
উত্তর: (ক) খেয়ানৌকা
প্রশ্নঃ খেয়ানৌকা কোথায় পারাপার করে?
(ক) বিলে
(খ) সমুদ্রে
(গ) নদীতে
(ঘ) ঝিলে
উত্তর: (গ) নদীতে
প্রশ্নঃ সকাল থেকে সন্ধ্যা কি বা কারা আনাগোনা করেন?
(ক) হাটুরে
(খ) জাহাজ
(গ) গ্রামবাসী
(ঘ) খেয়া
উত্তর: (ঘ) খেয়া
প্রশ্নঃ রক্তপ্রবাহের মাঝে ___ ওঠে -
(ক) ঘনাইয়া
(খ) ফেনাইয়া
(গ) উথলিয়া
(ঘ) উছলিয়া
উত্তর: (খ) ফেনাইয়া
প্রশ্নঃ সোনার____ কত ফুটে আর টুটে -
(ক) কিরীট
(খ) দেউল
(গ) মুকুট
(ঘ) কুন্তল
উত্তর: (গ) মুকুট
প্রশ্নঃ নদীর দুই তীরে কি আছে?
(ক) আমবাগান
(খ) বাঁশ বাগান
(গ) কলাবাগান
(ঘ) গ্রাম
উত্তর: (ঘ) গ্রাম
প্রশ্নঃ খেয়া কখন বয়ে চলে?
(ক) চিরদিন
(খ) সকালবেলা
(গ) বিকেলবেলা
(ঘ) সারাদিন
উত্তর: (ক) চিরদিন
প্রশ্নঃ 'দোঁহা পানে চেয়ে আছে'-দোঁহা কারা?
(ক) দুইখানি তীর
(খ) দুইখানি নৌকৌ
(গ) দুইখানি গ্রাম
(ঘ) দুইখানি খেয়া
উত্তর: (ঘ) দুইখানি গ্রাম
প্রশ্নঃ পৃথিবীতে কে ইতিহাস গড়ে?
(ক) নদীর স্রোত
(খ) দ্বন্দ্ব ও সর্বনাশ
(গ) রক্ত প্রবাহ
(ঘ) গ্রাম
উত্তর: (খ) দ্বন্দ্ব ও সর্বনাশ
প্রশ্নঃ 'নদীর স্রোত' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
(ক) পৃথিবী
(খ) নদীর জলস্রোত
(গ) জীবন প্রবাহ
(ঘ) কাল স্রোত
উত্তর: (ঘ) কাল স্রোত
প্রশ্নঃ 'খেয়ানৌকা' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?-
(ক) জীবন
(খ) কাল স্রোত
(গ) ছোট ছোট আকাঙ্ক্ষা
(ঘ) ছোট নৌকা
উত্তর: (ক) জীবন
প্রশ্নঃ 'সোনার মুকুট' কথাটি অর্থ-
(ক) স্বর্ণ কুন্ডলা
(খ) রাজ সিংহাসন
(গ) সোনার শিরোভূষণ
(ঘ) স্বর্ণ নির্মিত রাজ শিরস্ত্রাণ
উত্তর: (ঘ) স্বর্ণ নির্মিত রাজ শিরস্ত্রাণ
প্রশ্নঃ 'হলাহল' কোথা থেকে উঠে আসে?
(ক) রক্ত প্রবাহ থেকে
(খ) সভ্যতা থেকে
(গ) পৃথিবী থেকে
(ঘ) ইতিহাস থেকে
উত্তর: (খ) সভ্যতা থেকে
প্রশ্নঃ 'কেহ যায় ঘরে কেহ আসে ঘর হতে'-এখানে যে ধারণাটি প্রকাশ পেয়েছে তা হল -
(ক) মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চিরকালের আবাসভূমিতে প্রবেশ করে কিংবা সেখান থেকে জীবনে ফিরে আসে।
(খ) মানুষ ঘরে বাইরে অনন্তকাল ধরে যাতায়াত করে।
(গ) মানুষ ঘরে বাইরে যাতায়াত করে।
(ঘ) কোনটাই নয়
উত্তর: (ক) মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চিরকালের আবাসভূমিতে প্রবেশ করে কিংবা সেখান থেকে জীবনে ফিরে আসে।
অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্নগুলি উত্তর দাও :
প্রশ্নঃ 'খেয়া' কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর: খেয়া কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্য গ্রন্থে খেয়া কবিতাটি সংকলিত হয়েছে?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথের চৈতালি কাব্যগ্রন্থ থেকে খেয়া কবিতাটি সংকলিত হয়েছে।
প্রশ্নঃ 'খেয়া' কবিতাটিতে কয়টি গ্রামের কথা কবি বলেছেন?
উত্তর: দুটি গ্রামের কথা কবি বলেছেন।
প্রশ্নঃ খেয়ানৌকা কোথায় পারাপার করে?
উত্তর: খেয়ানৌকা নদীর স্রোতে পারাপার করে।
প্রশ্নঃ খেয়া যাত্রীরা কোথায় পারাপার করে?
খেয়া যাত্রীরা কেউ ঘরে যায়, কেউবা ঘর থেকে আসে।
প্রশ্নঃ নদীর দুই তীরে কি আছে?
উত্তর: নদীর দুই তীরে দুটি গ্রাম আছে।
প্রশ্নঃ সকাল থেকে সন্ধা তারা আনাগোনা করে?
উত্তর: দুটি গ্রামের গ্রামবাসীরা সকাল থেকে সন্ধে আনাগোনা করে।
প্রশ্নঃ কে ইতিহাস গড়ে?
উত্তর: পৃথিবীর নানা দ্বন্দ্ব, সর্বনাশ, রক্ত প্রবাহ নতুন নতুন ইতিহাস গড়ে।
প্রশ্নঃ কোথা থেকে 'হলাহল' বা 'সুধা'র জন্ম হয়?
উত্তর: সভ্যতা থেকে 'হলাহল' বা 'সুধা'র জন্ম হয়।
প্রশ্নঃ দোঁহা পানে চেয়ে আছে'-দোঁহা বলতে কাদের কথা বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: দুইখানি গ্রামে কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ 'সোনার মুকুট' কিসের প্রতীক বলে তুমি মনে করো?
উত্তর: সোনার মুকুট রাজশক্তি বা রাষ্ট্রনায়কের শিরোস্ত্রাণের প্রতীক।
প্রশ্নঃ 'রক্তপ্রবাহের মাঝে' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: কবি রাষ্ট্র সংঘর্ষের ফলে রক্তপাত কি বুঝিয়েছেন।
প্রশ্নঃ 'খেয়া' বলতে রবীন্দ্রনাথ কি বুঝিয়েছেন?
উত্তর: জন্ম-মৃত্যু মধ্যবর্তী জীবনপ্রবাহকে বুঝিয়েছেন।
প্রশ্নঃ 'খেয়া চিরদিন চলে' বলতে কবি কি বলতে চেয়েছেন?
উত্তর: খেয়া চিরদিন চলে বলতে কবি রবীন্দ্রনাথ অনন্ত কাল ধরে বয়ে চলা জীবন প্রবাহকে বুঝিয়েছেন।
প্রশ্নঃ ঘরে যাওয়া এবং আসার মধ্যে কবি কোন ভাবনা প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: ঘর বলতে কবি চিরকালের আবাসভূমি কে বুঝিয়েছেন। মানুষ মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ঘরে যায় এবং মধ্যে দিয়ে পৃথিবীতে আসে। এই যাওয়া আসাকে কবি ঘরে যাওয়া এবং আসা বলেছেন।
(৩) নিচের ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
প্রশ্নঃ "কেহ যায় ঘরে, কেহ আসে ঘর হতে।" - এই পঙুক্তিটির মধ্য দিয়ে কাব কী বুঝিয়েছেন?
উত্তরঃ আলোচ্য পঙক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'খেয়া' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এই কবিতায় কবি নদীর দুই পাড়ে দুটি নাম না-জানা গ্রামের মধ্য দিয়ে সারা বাংলার পল্লিসমাজের শান্ত মিঃধ ছবিকে তুলে ধরেছেন। গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা শহরের থেকে অনেক বেশি সহজসরল। সেখানে মানুষে-মানুষে সম্পর্ক অনেক নিবিড়। গ্রামের সাধারণ মানুষ খেয়া নৌকা করে কেউ কাজ সেরে ঘরে ফেরে, কেউবা ঘর থেকে বেরিয়ে কাজে যায়। ক্ষমতা দখলের রক্তাক্ত লড়াইয়ে তারা শামিল নয়। এরাই প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর আদি, অকৃত্রিম জীবনধারার বাহক।
প্রশ্নঃ "পৃথিবীতে কত দ্বন্দ্ব, কত সর্বনাশ," - একথা বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ উদ্ধৃত পঙক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'খেয়া' কবিতা থেকে গৃহীত। কবিতাটিতে কবি নাগরিক জীবন ও গ্রামীণ জীবনের একটি তুলনামূলক ছবি পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। নাগরিক জীবন ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে উত্তাল। গ্রামের তুলনায় নগরে সুযোগসুবিধা সুখস্বাচ্ছন্দ্য অনেক বেশি কিন্তু সেখানে মানুষের সঙ্গে মানুষের। হৃদয়ের যোগ খুব কম মানুষের সুখের চাহিদা ও বাসনা সেখানে এত বেশি যে তারা নিজেরাই পরস্পর হানাহানি ও দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়। এই হিংসা ও লড়াইই পৃথিবীর বুকে ডেকে আনে চরম সর্বনাশ।
প্রশ্নঃ "কেবা জানে নাম/দেহা-পানে চেয়ে আছে দুইখানি' - কবিতাংশটির মাধ্যমে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তরঃ চৈতালি কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত 'খেয়া' কবিতাটিতে রবীন্দ্রনাথ কোনোনির্দিষ্ট গ্রাম নয়, সারা বাংলার যে-কোনো গ্রামকে বুঝিয়েছেন বলেই নাম-জানা দুটি গ্রামের উল্লেখ করেছেন। দুটি গ্রাম একে অন্যের দিকে তেরে থাকে কারণ তাদের মধ্যে রয়েছে একটি নদী। খেয়া নৌকা মায়ের দুই তরীর মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করে। নদীর দুই পারে দুটি গ্রামের মানুষকে আত্মীয়তার বন্ধনে বাঁধে এই খেয়া নৌকাই।
প্রশ্নঃ "এই খেয়া চিরদিন চলে নদীস্রোতে" - উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ উদ্ধৃতিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'খেয়া' কবিতা থেকে নেয়া এই কবিতায় কবি কৃত্রিম ও জটিল নাগরিক জীবন এবং হরন ও সাদাসিধে গ্রামীণ জীবনের ছবি পাশাপাশি তুলে ধরেছেন। একদিকে তিনি দেখিয়েছেন সভ্যতার গর্বে, ক্ষমতার অহংকারে কতবিক রক্তক্ত নাগরিক জীবনকে। অপরদিকে নগরের কোলাহল থেকে দূরে বহমান,দেখিয়েছেন কাল ধরে গ্রামবাংলার প্রকৃতির কোলে শান্ত-নিধ গতি বয়ে চলেই মানুষের জীবনধারা। কবিতাটিতে খেয়ানৌকা সেই মানবিক সম্পর্কের যোগসূত্ররূপে আবহমানকাল থেকেই নদী পারাপার করে চলছে।
(৪) নিচের রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
প্রশ্নঃ "সোনার মুকুট কত ফুটে আর টুটে!" - মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো এবং প্রসঙ্গটি উল্লেখের কারণ আলোচনা করো।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার 'খেয়া' কবিতায় প্রশ্নোল্লিখিত মন্তব্যটির দ্বারা সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনকে বোঝাতে চেয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাস যুগে যুগে বিভিন্ন রাষ্ট্রনায়কের ক্ষমতা দখলের লালসায় রক্তাক্ত হয়েছে। তৈরি হয়েছে ইতিহাসের নতুন নতুন অধ্যায়। দেশদেশান্তর যে প্রবল পরাক্রান্ত শাসকের শাসনে কেঁপে উঠেছে তাকেই পরবর্তীতে ক্ষমতা হারাতে হয় নতুন কোনো শাসকের কাছে। 'সোনার মুকুট' এভাবেই যেমন কারুর মাথায় শোভা পায়, আবার তা খসেও পড়ে কারুর মাথা থেকে। রবীন্দ্রনাথ তার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বোঝাতে চেয়েছেন যে ইতিহাসে যুদ্ধরক্তপাত-ক্ষমতাদখল ইত্যাদি হয়তাো সত্য, কিন্তু মানুষের যে সহজ অনাবিল জীবনযাত্রা তাতে কোনো প্রভাব এই উত্থান-পতনের ফলে পড়ে না খেয়ানৌকার মাধ্যমে দুটি গ্রাম সেখানে নিজেদের যুক্ত করে। সকাল থেকে সন্ধ্যা চলে মানুষের আনাগোনা। কেউ ঘরে আসে, কেউ ঘর থেকে যায়। মানুষের এই স্বাভাবিক জীবনযাপনে, পারস্পরিক সম্পর্কে সাম্রাজ্যের উত্থান- পতন কিংবা রক্তাক্ততা কোনো প্রভাবই ফেলতে পারে না। জীবনের এই বিরতিহীন চলাচলকে বোঝাতে গিয়েই তুলনা হিসেবে 'সোনার মুকুট' এর প্রতিষ্ঠা এবং ছিন্ন হওয়ার কথা কবি বলেছেন।
প্রশ্নঃ "এই খেয়া চিরদিন চলে নদীস্রোতে" - কোন্ প্রসঙ্গে একথা বলা হয়েছে? মন্তব্যটির তাৎপর্য লেখো।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ তার 'খেয়া' কবিতায় নদী-তীরবর্তী দুটি গ্রামের জানাশোনা ও সম্পর্কের কথা বলেছেন। নাম-না-জানা সেই দুটি গ্রাম যেন গভীর আত্মীয়তায় পরস্পরের দিকে তাকিয়ে থাকে। আর তাদের মধ্যে সম্পর্কের সূত্র রচনা করে নদীতে পারাপার করা খেয়া নৌকা। নৌকায় প্রতিদিনের বিরতিহীন যাতায়াত প্রসঙ্গেই মন্তব্যটি করা হয়েছে।
নদীতে খেয়ানৌকার চলাচল আসলে গ্রামীণ জীবনের অনায়াস বিস্তারের দিকে ইঙ্গিত করে। খেয়া নৌকায় করে দুই তীর থেকে মানুষেরা ঘরে যায় বা ঘর থেকে বাইরে যায়, তৈরি হয় দুটি গ্রামের আত্মীয়তার সম্পর্ক। যখন পৃথিবীর ইতিহাস আন্দোলিত হয় যুদ্ধ রক্তপাতের ঘটনায় ঠিক তখনই তার বিপরীতে খেয়া নৌকার চলাচল অব্যাহত থাকে। খেয়া নৌকার চিরকালীন যাতায়াত যেন জীবনের স্বচ্ছন্দ প্রবাহকেই নির্দেশ করে যায়। রাজত্বের অবসান ঘটে কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবন একইভাবে বহমান থাকে— এ কথাই কবি "এই খেয়া চিরদিন চলে নদীস্রোতে" পঙক্তিটির সাহায্যে বোঝাতে চেয়েছেন।
প্রশ্নঃ 'খেয়া' কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নগর ও গ্রাম্যজীবনের যে তুলনামূলক ছোবিটি তুলে ধরেছেন তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।
উত্তরঃ 'খেয়া' কবিতাটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একদিকে পৃথিবীর মতালোভী রক্তাক্ত নাগরিক জীবন আর অন্যদিকে শান্ত-স্নিধ মানবিক সম্পর্কের ডোরে বাঁধা গ্রাম্যজীবনের ছবি পাশাপাশি তুলে ধরেছেন। একটি নাম না-জানা নদীর দুপাশের দুটি নাম না-জানা গ্রাম এখানে সারা বাংলার পল্লিগ্রামের কথা তুলে ধরছে। গ্রামের সাধারণ মানুষ সহজসরলভাবে তাদের জীবন কাটায়। নদী পারাপারের খেয়া নৌকাটিই দুপাশের দুটি গ্রামের মানুষকে আত্মীয়তার বন্ধনে বেঁধেছে। অন্যদিকে, নাগরিক জীবনে সুখস্বাচ্ছন্দ্য অনেক বেশি থাকলেও মানুষের সঙ্গে মানুষের হৃদয়ের যোগ খুব কম। তাই ক্ষমতা বা সম্পদের লোভে তারা একে অন্যকে আঘাত করতেও দ্বিধাবোধকরেনা। এক সাম্রাজ্যের পতনের সঙ্গেই ঘটে আর-এক সাম্রাজ্যের উত্থান সভ্যতার অগ্রগতি মানুষকে উন্নততর জীবন দিয়েছে। নাগরিক মানুষ প্রকৃতির থেকে অনেক দূরে সরে গেছে, অজস্র উন্নত মারণাস্ত্র তাদের পরস্পরের মধ্যেও তৈরি করেছে অসীম ব্যবধান। নগরজীবনের এই উথানপতন, দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে অনেক দূরে পৃথিবীর এককোণে পল্লিগ্রামের জীবন কিন্তু আবহমান কাল ধরে একইরকমভাবে বয়ে চলেছে। কবিতাটিতে সভ্যতার অহংকারে গর্বিত, হৃদয়হীন নাগরিক জীবনের থেকে সহজসরল-অনাড়ম্বর এবং মানবিক পল্লিজীবনের প্রতিই রবীন্দ্রনাথের গভীর ভালোবাসা ব্যক্ত হয়েছে।
Bad
উত্তরমুছুনসোনার মুকুট কত ফুটে আর টুটে উদ্ধৃতি তাৎপর্য লেখ??
উত্তরমুছুন