আকাশে সাতটি তারাজীবনানন্দ দাশ
বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
প্রশ্নঃ 'আকাশে সাতটি তারা' - কবিতাটি কার লেখা?
(ক) জীবনানন্দ দাশ
(খ) গোবিন্দ দাস
(গ) জীবানন্দ দাশ
(ঘ) জীবন দাশ
উত্তর: (ক) জীবনানন্দ দাশ
প্রশ্নঃ 'আকাশে সাতটি তারা' কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?
(ক) বনলতা সেন
(খ) ঝরা পালক
(গ) সাতটি তারার তিমির
(ঘ) রূপসী বাংলা
উত্তর: (ঘ) রূপসী বাংলা
প্রশ্নঃ আকাশে কয়টি তারা উঠেছে?
(ক) পাঁচটি
(খ) সাতটি
(গ) দশটি
(ঘ) অসংখ্য
উত্তর: (খ) সাতটি
প্রশ্নঃ কবি কোথায় বসে আছেন?
(ক) ছাদে
(খ) পাহাড়ে
(গ) নদীর তীরে
(ঘ) ঘাসে
উত্তর: (ঘ) ঘাসে
প্রশ্নঃ গঙ্গা সাগরের ঢেউয়ে কে ডুবে গেছে?
(ক) মেঘ
(খ) তারা
(গ) সূর্য
(ঘ) চাঁদ
উত্তর: (ক) মেঘ
প্রশ্নঃ সন্ধ্যাকে কিসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?
(ক) কামরাঙ্গা মেঘ
(খ) কেশবতী কন্যা
(গ) রূপসীর চুল
(ঘ) মনিয়া
উত্তর: (খ) কেশবতী কন্যা
প্রশ্নঃ 'চুল তার ভাসে'-কার চুল ভাসে?
(ক) মনিয়ার
(খ) রূপসীর
(গ) কেশবতীকন্যার
(ঘ) সন্ধ্যার
উত্তর: (ঘ) সন্ধ্যার
প্রশ্নঃ রূপসীর চুলের বিন্যাসে কি ঝরে পড়েছে?
(ক) চুলের চুমা
(খ) স্নিগ্ধ গন্ধ
(গ) নরম ধানের গন্ধ
(ঘ) সন্ধ্যার অন্ধকার
উত্তর: (খ) স্নিগ্ধ গন্ধ
প্রশ্নঃ _______ চাল ধোয়া ভিজে হাত-শীত হাত খানা -
(ক) সরপুঁটি দের
(খ) মনিয়ার
(গ) কিশোরীর
(ঘ) কিশোরের
উত্তর: (ঘ) কিশোরীর
প্রশ্নঃ কিশোরের _______ মুথা ঘাস -
(ক) পায়ে দলা
(খ) গন্ধমাখা
(গ) হাতে দলা
(ঘ) পায়ে চলা
উত্তর: (ঘ) পায়ে দলা
প্রশ্নঃ হিজলে কাঁঠালে জামে কি অবিরত ঝরে?
(ক) নীল সন্ধ্যা
(খ) রূপসী চুল
(গ) ক্লান্ত নীরবতা
(ঘ) চুলের চুমা
উত্তর: (ঘ) চুলের চুমা
প্রশ্নঃ 'কিশোরের পায়ে দলা মুথা ঘাস' -কথাটিতে যে ভাবনাটি প্রকাশ পেয়েছে তা হল -
(ক) বেদনা ও বিষাদ
(খ) মুথা ঘাসের ক্লান্ত নীরবতা
(গ) কিশোরের দুরন্তপনা
(ঘ) কোনটাই নয়
উত্তর: (ক) বেদনা ও বিষাদ
প্রশ্নঃ 'পৃথিবীর কোন পথকে কন্যারে দেখেনি কো'-কথাটিতে যে ভাবনাটি প্রকাশ পেয়েছে তা হল -
(ক) সন্ধ্যা সমাগমে এই অন্ধকার কে কেউ দেখেনি
(খ) কেউ এই রূপসীকে দেখেননি
(গ) কেউ এই কেশবতী কন্যা কে দেখেনি
(ঘ) সন্ধ্যা সমাগমে অন্ধকারে এই সুন্দর্যকে কেউ দেখেননি
উত্তর: (ঘ) সন্ধ্যা সমাগমে অন্ধকারে এই সুন্দর্যকে কেউ দেখেননি
প্রশ্নঃ 'বটের ফলে ব্যতীত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা' - কথাটিতে প্রকাশিত ভাবনাটি হল -
(ক) ঝরে যাওয়া বা থেতলে যাওয়া বদ ফলের গন্ধ
(খ) জীবনের অনিবার্য পরিণতি মৃত্যু বা ঝরে যাওয়া
(গ) মৃত্যু বা ঝরে যাওয়ার অনিবার্য তা জনিত বেদনা ও ক্লান্তি
(ঘ) মৃত্যু বা ঝরে যাওয়া
উত্তর:(গ) মৃত্যু বা ঝরে যাওয়ার অনিবার্য তা জনিত বেদনা ও ক্লান্তি
প্রশ্নঃ কাকে মৃত মনিয়ার মতো মনে হয়েছে?
(ক) কামরাঙ্গা লাল মেঘ
(খ) নীলসন্ধ্যা
(গ) সাতটি তারা
(ঘ) কেশবতী কন্যা
উত্তর: (ক) কামরাঙ্গা লাল মেঘ
অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
প্রশ্নঃ 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশে লেখা।
প্রশ্নঃ কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে কবিতাটি সংকলিত হয়েছে?
উত্তর: রূপসী বাংলা
প্রশ্নঃ আকাশে কয়টি তারা উঠেছে?
উত্তর: সাতটি তারা উঠেছে।
প্রশ্নঃ আকাশে সাতটি তারা ওঠার সময় কবি কোথায় বসে আছেন?
উত্তর: কবি ঘাসের উপর বসে আছেন।
প্রশ্নঃ কাকে মৃত মনিয়ার মতো মনে হয়েছে?
উত্তর: কামরাঙার লাল মেঘ কে।
প্রশ্নঃ গঙ্গা সাগরের ঢেউয়ে কে ডুবে গেছে ?
উত্তর: কামরাঙ্গা লাল মেঘ ডুবে গেছে।
প্রশ্নঃ কবি কাকে শান্ত অনুগত বলেছে?
উত্তর: নীল সন্ধ্যা কে শান্ত অনুগত বলেছেন।
প্রশ্নঃ বাংলার সন্ধ্যাকে কবি 'শান্ত অনুগত' বলেছেন কেন?
উত্তর : কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলার বুকে সন্ধ্যাকে নিঃশব্দে নেমে আসতে দেখেছেন বলে তাকে শান্ত অনুগত বলেছেন।
প্রশ্ন : "আমি পাই টের" - কে কি করে টের পান?
উত্তর : কবি জীবনানন্দ দাশ আকাশে যখন সাতটি তারা ফুটে ওঠে তখন তা টের পান।
প্রশ্ন : "কেশবতী কন্যা" বলতে কবি জীবনানন্দ কাকে বুঝিয়েছেন?
উত্তর : বাংলার নীল সন্ধ্যাকে
প্রশ্ন : বট ফলের গন্ধ ব্যতীত কেন?
উত্তর : বটফল পিকে পড়ে গেলে তা ফেটে যায় বা পায়ের তলায় পড়লে তা থেঁতলে যায় তখন যে গন্ধ বের হয় তাকে তার এই পরিণতির আবহাওয়া যেন লুকিয়ে থাকে, তাই সে গন্ধকে ব্যতীত বলা হয়েছে।
প্রশ্ন : কবির চোখ মুখের পরে কার চুল ভাসে?
উত্তর : কেশবতী কন্যা চুলের মতো নীল সন্ধ্যার চুল ভাসে।
প্রশ্ন : "ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা" - কার ব্যথিত গন্ধের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : বট ফলের ব্যথিত গন্ধের কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন : "এ কন্যাকে দেখেনিকো" - এখানে কার কথা বলেছেন?
উত্তর : সন্ধ্যা সমাগমে বঙ্গ প্রকৃতির কথা বলেছেন।
প্রশ্ন : "এত স্নিগ্ধ গন্ধ ঝরে পড়ে" - স্নিগ্ধ গন্ধ কোথায় ঝরে পড়ে?
উত্তর : রূপসীর চুলের বিন্যাসে।
প্রশ্ন : "কি জ্বলে কাঁঠালে জামে ঝরে অবিরত" - কি ঝরে পড়ে?
উত্তর : অজস্র চুলের চুমা।
(৩) নিচের ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশণগুলির উত্তর দাওঃ
প্রশ্নঃ "কামরাঙা-লাল মেঘ যেন মৃত মনিরার মতো। গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে ডুবে গেছে" - লাইনটির মধ্য দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ জীবনানন্দ দাশের 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতা থেকে উদ্ধৃত লাইনটি নেওয়া হয়েছে।
কবিতাটিতে জীবনানন্দ বাংলার বুকে দিন শেষ হয়ে ধীরে ধীরে সন্ধ্যার নেমে আসার এক অপূর্ব বর্ণনা দিয়েছেন। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর তার শেষ আভাটুকু রাঙিয়ে দেয় আকাশের মেঘকে। লাল টুকটুকে মেঘকে দেখে কবির পাকা কামরাঙা ফলের কথা মনে হয়। সেই মেঘও যখন সাগরজলে বিলীন হয়, কবির মনে হয় যেন এক মৃত মনিয়া পাখি জলে তার রক্তের রেশটুকু ছড়িয়ে দিয়ে ডুবে গেল।
প্রশ্নঃ "আসিয়াছে শান্ত অনুগত। বাংলার নীল সন্ধ্যা" - কবি বাংলার সন্ধ্যাকে 'শান্ত', 'অনুগত', ‘নীল’ কেন বলেছেন?
উত্তরঃ জীবনানন্দ দাশের 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতা থেকে উদ্ধৃত লাইনটি নেওয়া হয়েছে।
বাংলার গ্রামে শহরের মতো কোলাহল নেই—জীবনযাত্রা সেখানে শান্ত তাই গ্রামবাংলার বুকে সন্ধ্যা নামে শান্তভাবে। পল্লিবাংলার সন্ধ্যা গ্রামের পরিবেশের সঙ্গে মানানসই—তার চাকচিক্য নেই, আছে মিধতা। তাই সন্ধ্যা 'অনুগত'। সন্ধ্যায় অন্ধকার আর দিনের আলো মিশে যে আবছায়া তৈরি করে তার সঙ্গে গাছপালার সবুজ আভা মিলে সন্ধ্যাকে 'নীল' করে।
প্রশ্নঃ "কেশবতী কন্যা যেন এসেছে আকাশে" - পঙক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ উদ্ধৃত পঙক্তিটি 'রূপসী বাংলা'র কবি জীবনানন্দ দাশের লেখা 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
এই কবিতায় জীবনানন্দ তার একান্ত নিজস্ব ভঙিতে পল্লিবাংলার সন্ধ্যাকে বর্ণনা করেছেন। সূর্য ডুবে গেলে যখন দিনের আলো ফিকে হয়ে আসে, কবির মনে হয় যেন এক কেশবতী কন্যা এসেছে সন্ধ্যার আকাশে। তার ছড়িয়ে পড়া কালো চুলে ঘনিয়ে আসে রাতের অন্ধকার। কবির চোখে এভাবেই কাব্যিকরূপে ধরা দেয় পন্নিবাংলার সন্ধ্যা।
প্রশ্নঃ "শ্রামার চোখের পরে আমার মুখের পরে চুল তার ভাসে" - পঙক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ উদ্ধৃত পঙক্তিটি জীবনানন্দ দাশের 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। সবে যখন সূর্য অস্ত গেছে, আকাশে তারার বিন্দু ফুটে উঠছে সেইসময় কবি ঘাসের উপর বসে গন্ধ-বর্ণ-স্পর্শ দিয়ে পল্লিবাংলার সন্ধ্যাকে অনুভব করেন। তার মনে হয় যেন এক এলোকেশী মেয়ে দেখা দিয়েছে সন্ধ্যার আকাশে। তার ছড়িয়ে পড়া কালো চুলের মতো ধীরে ধীরে অন্ধকার নামে। কবি তার চোখে-মুখে সেই চুল অর্থাৎ অন্ধকারের স্পর্শ অনুভব করেন।
প্রশ্নঃ "পৃথিবীর কোনো পথ এ কন্যারে দেখে নিকো" - কবির বক্তব্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ উদ্ধৃত পঙক্তিটি জীবনানন্দ দাশের 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
কবি ঘাসের উপর বসে পল্লিবাংলার দিন ও রাত্রির সন্ধিক্ষণে সন্ধ্যাকে নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করেছেন। তার মনে হয় সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে যেন এক এলোকেশী কন্যার আবির্ভাব হয় বাংলার আকাশে। তার ছড়িয়ে পড়া চুল ছুঁয়েই নেমে আসে অন্ধকার। কবির কল্পনার এই কন্যা আসলে সন্ধ্যাকালীন বাংলার প্রকৃতি। রূপসি বাংলার মতো সৌন্দর্য পৃথিবীর আর কোথাও নেই, তাই আর কেউ এই কন্যাকে দেখেনি।
প্রশ্নঃ "অজস্র চুলের চুমা হিজলে কাঠালে জামে ঝরে অবিরত" - পঙ্কতিটির মধ্য দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
অথবা,
"অজস্র চুলের চুমা" বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ উদ্ধৃত পঙক্তিটি কবি জীবনানন্দ দাশের 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। কবিতাটিতে জীবনানন্দের কল্পনাপ্রবণ চোখে ধরা পড়েছে পল্লিবাংলার সন্ধ্যার অপরূপ সৌন্দর্য। তার মনে হয় সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে যেন এক রূপসিবাংলার মেয়ে দেখা দেয় বাংলার আকাশে। আকাশ থেকে তার ছড়িয়ে পড়া কালো চুল ধীরে ধীরে অন্ধকারের স্পর্শ নিয়ে আসে প্রকৃতির বুকে। হিজলকাঠাল-জামের পাতায় সেই সোহাগভরা অন্ধকারের স্পর্শ যেন। আসলে সেই রূপসির চুলের চুম্বন।
প্রশ্নঃ "এরই মাঝে বাংলার প্রাণ" - পঙক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ উদ্ধৃত পঙক্তিটি জীবনানন্দ দাশের 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ জীবনানন্দের কাছে শুধু এক ভূখণ্ড নয়, প্রাণময়ী মূর্তি। শব্দ-গন্ধ- বর্ণ-স্পর্শ দিয়ে কবি তাকে অনুভব করেন। আলোচ্য কবিতাটিতে তিনি বাংলার সন্ধ্যাকালীন প্রকৃতির এক অপূর্ব বর্ণনা দিয়েছেন। হিজল, কাঠাল, বট প্রভৃতি বৃক্ষ, ধানগাছ, কলমি শাক, মুথা ঘাস, পুকুর, মাছ, কিশোর-কিশোরী অর্থাৎ মানুষ—এই সব নিয়েই বাংলার পরিপূর্ণ প্রকৃতি। এই প্রকৃতির মধ্যেই কবি বাংলার জীবন্ত সত্তাকে উপলব্ধি করেছেন।
প্রশ্নঃ "লাল লাল বটের ফলের/ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা" - তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতায় কবি পল্লিপ্রকৃতির মধ্যে বাংলার প্রাণ-কে খুঁজে পেয়েছিলেন। গাছ থেকে খসে পড়া বট ফলের মধ্যে রয়েছে এক নীরব ক্লান্তি | বাংলার শান্ত নিস্তরঙ্গ প্রকৃতির মধ্যে থাকা বিষাদময়তাকেই যেন কবি এখানে প্রত্যক্ষ করেন। গাছ থেকে খসে পড়া বট ফলের মধ্যে রয়েছে জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার বেদনা।
(৪) নিচের রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
প্রশ্নঃ "এরই মাঝে বাংলার প্রাণ" - এই পঙক্তিটির মধ্য দিয়ে কবির যে গভীর অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।
অথবা,
কবি কোথায় কীভাবে বাংলার প্রাণকে অনুভব করেছেন আলোচনা করো।
উত্তরঃ 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতাটিতে সন্ধ্যাবেলায় পরিবাংলার যে রূপ ফুটে ওঠে তাই কবি জীবনানন্দ দাশ অপূর্ব ভাষায় বর্ণনা করেছেন। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর গোধূলির লাল আভায় আকাশের মেঘ পাকা কামরাঙা ফলের মতো লাল হয়ে ওঠে। সেই লাল মেঘও যখন দিগন্তরেখায় মিশে যায় তখন দিনরাত্রির সন্ধিক্ষণে শান্ত, নীল সন্ধ্যা নেমে আসে। আকাশে তখন সপ্তর্ষিমণ্ডলের সাতটি তারা সদ্য ফুটে উঠেছে। ঘাসের উপর বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে কবির মনে হয় যেন এক এলোকেশী কন্যার আবির্ভাব হয়েছে। মাটির বুকে ধীরে ধীরে নেমে আসা অন্ধকার যেন সেই ল্যার ছড়িয়ে পড়া কালো চুলের রাশি। জীবন্ত মানবীর চুলের মতো সেই অন্ধকারের স্পর্শ কবি অনুভব করেন। তার মনে হয়, হিজল কাঠাল- জামের পাতায় সেই চুলের আদরমাখা স্পর্শ অন্ধকার রূপে ঝরে পড়ছে। গাছপালা, লতাগুলি, জল, মানুষ, মনুষ্যেতর প্রাণী—সবার গন্ধ মিশে তৈরি হয় সেই কন্যার চুলের গন্ধ। এইভাবেই কবি প্রকৃতি এবং জীবজগৎকে মিলিয়ে প্রাণময়ী বাংলাকে অনুভব করেছেন। প্রকৃতি তার চেতনায় হয়ে উঠেছে এক জীবন্ত সত্তা।
Hi
উত্তরমুছুনHi
উত্তরমুছুনUgh
উত্তরমুছুন+918001886071
মুছুনAkash ar 7 te tara kobita te kar likha
উত্তরমুছুন