মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান
সপ্তম অধ্যায়
পরমাণুর নিউক্লিয়াস
'ক' বিভাগ
১. বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের নীচে চারটি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া আছে। যেটা ঠিক সেটা লেখোঃ
(১.১) সূর্যের শক্তির মূল উৎস হল -
(ক) নিউক্লীয় সংযোজন ও নিউক্লীয় বিয়োজন
(খ) নিউক্লীয় বিভাজন
(গ) নিউক্লীয় সংযোজন
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (গ) নিউক্লীয় সংযোজন
(১.২) কোন্ রশ্মির ভেদন ক্ষমতা সর্বাধিক? -
(ক) a রশ্মি
(খ) B রশ্মি
(গ) x রশ্মি
(ঘ) y রশ্মি
উত্তরঃ (ঘ) y রশ্মি
(১.৩) সূর্যের বাইরের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় -
(ক) 600⁰C
(খ) 6000⁰C
(গ) 60000⁰C
(ঘ) 10000⁰C
উত্তরঃ (খ) 6000⁰C
(১.৪) সূর্য ও বিভিন্ন নক্ষত্রে উৎপন্ন শক্তির উৎস -
(ক) y বিকিরন
(খ) a-B-y বিকিরন
(গ) নিউট্রন বিভাজন
(ঘ) নিউক্লিয় সংযোজন
উত্তরঃ (ঘ) নিউক্লিয় সংযোজন
(১.৫) 1 MeV= কত J? -
(ক) 1.6⁰10-¹³
(খ) 3.2⁰10-¹³
(গ) 4.8⁰10-¹³
(ঘ) 6.4⁰10-¹³
উত্তরঃ (ক) 1.6⁰10-¹³
(১.৬) পারমানবিক চুল্লিতে ভারী জল ব্যবহার হয় -
(ক) জ্বালানি রূপে
(খ) প্রোজেক্টাইল রূপে
(গ) মডারেট রূপে
(ঘ) শীতক রূপে
উত্তরঃ (গ) মডারেট রূপে
(১.৭) নিউক্লিয় রিঅ্যাকটরে শক্তির রূপান্তরটি হল -
(ক) পারমানবিক শক্তি -> তাপশক্তি ->
(খ) তাপশক্তি -> তড়িৎশক্তি
(গ) তড়িৎশক্তি ->পারমানবিক শক্তি
(ঘ) পারমানবিক শক্তি -> তাপশক্তি -> তড়িৎ শক্তি
উত্তরঃ (ঘ) পারমানবিক শক্ত -> তাপশক্তি -> তড়িৎ শক্তি
(১.৮) জীবাশ্মের বয়স নির্ণয়ের যে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করা হয় তা হল -
(ক) 60 CO
(খ) 131 l
(গ) 12 P
(ঘ) 14 C
উত্তরঃ (ঘ) 14 C
(১.৯) নীচের কোন্টি তেজস্ক্রিয় নয়? -
(ক) 32P
(খ) 14C
(গ) 40K
(ঘ) 23Na
উত্তরঃ (ঘ) 23Na
(১.১০) তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন -
(ক) বেকারেল
(খ) মাদাম কুরি
(ঘ) পিয়ের কুরি
(ঘ) রাদারফোর্ড
উত্তরঃ (ক) বেকারেল
'খ' বিভাগ
২. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
(২.১) তিনটি স্বাভাবিক তেজস্ক্রিয় মৌলের নাম লেখো।
উত্তরঃ ক) পোলানিয়াম খ) রেডিয়াম গ) ইউরেনিয়াম
(২.২) নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটরে ভারী জলের ভূমিকা কী?
উত্তরঃ নিউট্রের উচ্চ গতি কমাতে।
(২.৩) কোন্ মৌলের নিউক্লিয়ন প্রতি বন্ধন শক্তি সর্বোচ্চ?
উত্তরঃ 62 Ni
(২.৪) a,B,y রশ্মির মধ্যে কোন্টি ভরহীন?
উত্তরঃ y
(২.৫) কোন্ প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে পরমানু বোম তৈরি করা হয়?
উত্তরঃ নিউক্লিয় বিভাজন
(২.৬) তেজস্ক্রিয়তার একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ লেখো।
উত্তরঃ ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য
(২.৭) শূন্যস্থান পুরন করোঃ
......... তাপমাত্রায় নিউক্লীয় বিভাজন ঘটে।
উত্তরঃ সাধারন
(২.৮) শূন্যস্থান পুরন করোঃ
শক্তির অপর একটি রূপ হল ......... ।
উত্তরঃ ভর
(২.৯) সত্য না মিথ্যা লেখোঃ
নিউট্রন ও প্রোটনের অনুপাত 1.5:1 এর বেশি হলেই মৌলটি তেজস্ক্রিয়তা প্রদর্শন করে।
উত্তরঃ সত্য
(২.১০) সত্য না মিথ্যা লেখোঃ
কোনোরকম ভৌত বা রসায়নিক প্রক্রিয়াই তেজস্ক্রিয় নিঃসরন প্রভাবিত করতে পারে না।
উত্তরঃ সত্য
'ঘ' বিভাগ
৪. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তরঃ
প্রশ্নঃ নিউক্লিয় সংযোজন ও নিউক্লিয় বিভাজনের পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ নিউক্লিয় সংযোজন ও নিউক্লিয় বিভাজনের পার্থক্য -
প্রথমত, হালকা মৌলের নিউক্লিয়াস সংযোজনে ভারী নিউক্লিয়াস তৈরি হয়; আর নিউট্রনের আঘাতে ভারী নিউক্লিয়াস খণ্ডিত হয়।
দ্বিতীয়ত, তাপীয় নিউট্রন দ্বারা ভারী নিউক্লিয়াসকে আঘাত করা হয়; কিন্তু উচ্চ উয়তায় (107 – 108°K) H2, He ইত্যাদি মৌলের সমন্বয় ঘটে।
তৃতীয়ত, উৎপন্ন শক্তি তুলনামূলক কম হয়; তবে উৎপন্ন শক্তি সংযোজন অপেক্ষা বেশি।
প্রশ্নঃ নিউক্লিয় সংযোজনের পূর্বে নিউক্লিয় বিভাজন ঘটানো আবশ্যক কেন?
উত্তরঃ নিউক্লিয় সংযোজনে 107 – 108K তাপমাত্রা (উচ্চ তাপমাত্রা) প্রয়োজন। পৃথিবীতে নিউক্লিয় বিভাজন ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতিতে এই উয়তা তৈরি করা অসম্ভব। তাই ওই তাপমাত্রায় পৌঁছতে গেলে নিউক্লিয় বিভাজন ঘটাতে হয়। তাই নিউক্লিয় সংযোজনের পূর্বে নিউক্লিয় বিভাজন ঘটানো হয়।
প্রশ্নঃ নিউক্লিয় বন্ধন শক্তি বলতে কী বোঝো? নিউক্লিয় চুল্লি কী?
উত্তরঃ
বন্ধন শক্তিঃ পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন জোটবদ্ধ অবস্থায় থাকে, তাঁদের নিউক্লিয়ন বলে। নিউক্লিয়নগুলি যে শক্তির জন্য নিউক্লিয়াসে আবদ্ধ অবস্থায়। থাকে তাকে নিউক্লিয়াসের বন্ধন-শক্তি বলা হয়।
নিউক্লিয় চুল্লিঃ যে যন্ত্র বা ব্যবস্থার সাহায্যে নিউক্লিয় বিভাজনের শৃঙ্খল বিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাঁকে নিউক্লিয় চুল্লি বলে।
প্রশ্নঃ চিকিৎসা বিজ্ঞানে তেজস্ক্রিয়তার ব্যবহার লেখো।
উত্তরঃ ক্যানসার রোগের চিকিৎসায় ক্যানসার আক্রান্ত কোশগুলো নষ্ট করার কাজে তেজস্ক্রিয় মৌল রেডিয়াম, কোবাল্ট (60CO) ব্যবহৃত হয়। লিউকিমিয়া, মস্তিষ্কের টিউমার রোগের চিকিৎসায় তেজস্ক্রিয় ফসফরাস (32P) ব্যবহৃত হয়। থাইরয়েড রোগের চিকিৎসায় তেজস্ক্রিয় আয়োডিন (131I) ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ "কোনো মৌলের তেজস্ক্রিয়তা সম্পূর্ণ নিউক্লিয়াসজনিত ঘটনা" - ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ যে মৌলগুলি তেজস্ক্রিয় তাদের রাসায়নিক পরিবর্তন হয়ে অন্য যৌগ গঠন করলেও তার তেজস্ক্রিয় ধর্মের কোনো পরিবর্তন হয় না। যেমন - রেডিয়াম তেজস্ক্রিয় এবং রেডিয়াম ক্লোরাইডও তেজস্ক্রিয়। কোনো মৌলের রাসায়নিক ধর্ম বিভিন্ন কক্ষে ইলেকট্রন বিন্যাসের ওপর নির্ভরশীল। যেহেতু রাসায়নিক পরিবর্তনের পরেও তেজস্ক্রিয় মৌলের তেজস্ক্রিয়তা বর্তমান থাকে তাই তেজস্ক্রিয়তার সঙ্গে মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসের কোনো সম্পর্ক নেই। আবার, তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গমনের ফলে নতুন ধর্মবিশিষ্ট মৌল উৎপন্ন হয়। এটা সম্ভব যদি একমাত্র নিউক্লিয়াসের গঠনের পরিবর্তন হয় অর্থাৎ নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার পরিবর্তন হয়। তাই বলা যায় - "কোনো মৌলের তেজস্ক্রিয়তা সম্পূর্ণ নিউক্লিয়াসজনিত ঘটনা।"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ