মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন ২০২৪ - পঞ্চম অধ্যায় – পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ
Type Here to Get Search Results !

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন ২০২৪ - পঞ্চম অধ্যায় – পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান

পঞ্চম অধ্যায়

পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ

madhyamik life science suggestion chapter 5


বিভাগ 'ক' 

১. প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ন করোঃ

(১.১) বাতাসে নাইট্রোজেন গ্যাসের শতকরা পরিমান হল - 

(ক) 20.60 

(খ) 0.08 

(গ) 1.40 

(ঘ) 78.09

উত্তরঃ (ঘ) 78.09

(১.২) নাইট্রোজেন স্থিতিকারী ব্যাকটেরিয়া হল - 

(ক) অ্যাজোটোব্যাকটর 

(খ) নাইট্রোব্যাকটর 

(গ) মাইকোব্যাকটেরিয়াম 

(ঘ) নাইট্রোসোমোনাস

উত্তরঃ (ক) অ্যাজোটোব্যাকটর

(১.৩) মাটিতে বসবাসকারী এবং নাইট্রোজেন সংবদ্ধঙ্কারী একটি স্বাধীঞ্জীবী ব্যাকটেরিয়া হল - 

(ক) নস্টক 

(খ) ডায়াটম 

(গ) ক্লসট্রিডিয়াম 

(ঘ) অ্যানাবিনা

উত্তরঃ (গ) ক্লসট্রিডিয়াম

(১.৪) নাইট্রোজেন মোচনকারী একটি ব্যাকটেরিয়া হল - 

(ক) রাইজোবিয়াম 

(খ) থায়োব্যাসিলাস 

(গ) নস্টক 

(ঘ) ডায়াটম

উত্তরঃ (খ) থায়োব্যাসিলাস

(১.৫) নাইট্রোজেনঘটিত একটি গ্রিনহাউস গ্যাস হল - 

(ক) HNO3 

(খ) NH3 

(গ) N2O 

(ঘ) কোনোটিই নয়।

উত্তরঃ (গ) N2O

(১.৬) প্রকৃতিতে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হওয়ার সবচেয়ে বড়ো উৎস হল - 

(ক) জলাজমিতে থাকা অনুজীবদের অবাত শ্বসন 

(খ) আগ্নেয়গিরির উদ্‌গিরন 

(গ) উষ্ণ প্রস্রবনে ব্যাকটেরিয়ার শটন 

(ঘ) সাইক্লোন।

উত্তরঃ (ক) জলাজমিতে থাকা অনুজীবদের অবাত শ্বসন

(১.৭) অম্লবৃষ্টির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে - 

(ক) কাঠের তৈরি ঘরবাড়ি 

(খ) কাচের তৈরি শিল্পদ্রব্য 

(গ) মার্বেলের তৈরি স্থাপত্য নিদর্শন 

(ঘ) পোর্সেলিনের তৈরি দ্রব্যসামগ্রী।

উত্তরঃ (গ) মার্বেলের তৈরি স্থাপত্য নিদর্শন

(১.৮) COD এর সাহায্যে মাপা হয় - 

(ক) বায়ুদূষনের মাত্রা 

(খ) জলদূষনের মাত্রা 

(গ) মৃত্তিকাদূষনের মাত্রা 

(ঘ) শব্দদূষনের মাত্রা

উত্তরঃ (খ) জলদূষনের মাত্রা

(১.৯) মানীয় জলে আর্সেনিকের গ্রহনযোগ্য মাত্রা হল - 

(ক) 0.15ppm 

(খ) 0.05ppm 

(গ) 0.01 ppm 

(ঘ) 0.09ppm

উত্তরঃ (খ) 0.05ppm

(১.১০) ইলেকট্রিক হর্নের শব্দের মাত্রা - 

(ক) 40 ডেসিবেল 

(খ) 70 ডেসিবেল 

(গ) 140 ডেসিবেল 

(ঘ) 160 ডেসিবেল

উত্তরঃ (গ) 140 ডেসিবেল

(১.১১) অত্যধিক জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে বলা হয় - 

(ক) জন সম্প্রসারন 

(খ) জন উন্নয়ন 

(গ) জন বিস্ফোরন 

(ঘ) জন সংকোচন

উত্তরঃ (গ) জন বিস্ফোরন

(১.১২) ফুসফুস ক্যানসারের জন্য দায়ী গ্যাসটি হল - 

(ক) র‍্যাডন 

(খ) কার্বন ডাই অক্সাইড 

(গ) হাইড্রোজেন 

(ঘ) নাইট্রোজেন

উত্তরঃ (ক) র‍্যাডন

(১.১৩) নীচের যেটি ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে, তা হল - 

(ক) পরাগরেনু 

(খ) আর্সেনিক 

(গ) ফর্ম্যালডিহাইড 

(ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তরঃ (গ) ফর্ম্যালডিহাইড

(১.১৪) ব্রংকাইটিসের লক্ষনগুলি হল - 

(ক) দমবন্ধভাব 

(খ) কাশি ও কফ 

(গ) নাক অবরুদ্ধ 

(ঘ) সবগুলি

উত্তরঃ সবগুলি

(১.১৫) বিশ্ব ক্যানসার দিবস হল - 

(ক) 4 ফেব্রুয়ারি 

(খ) 5 ডিসেন্বের 

(গ) 8 নভেম্বর 

(ঘ) 13 জুন

উত্তরঃ 4 জুন

(১.১৬) হটস্পট ধারনাটির প্রবর্তক হলেন - 

(ক) ডেভিড 

(খ) সিম্পসন 

(গ) মেয়ার 

(ঘ) নরম্যান মায়ার্স

উত্তরঃ (ঘ) নরম্যান মায়ার্স

(১.১৭) উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ব্যবহৃত ভেষজ উদ্ভিদটি হল - 

(ক) সর্পগন্ধা 

(খ) সিনকোনা 

(গ) পেয়ারা 

(ঘ) কালমেঘ 

উত্তরঃ (ক) সর্পগন্ধ

(১.১৮) সংরক্ষনের একটি আধুনিক ব্যবস্থা হল - 

(ক) জাতীয় উদ্যান 

(খ) বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ 

(গ) সংরক্ষিত অরন্য (ঘ) অভয়ারন্য

উত্তরঃ (খ) বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ 

(১.১৯) ভারতের বিলুপ্তপ্রায় প্রানী হল - 

(ক) ভারতীয় বাঘ, কস্তুরি মৃগ 

(খ) ভারতীয় গাধা, শূকর 

(গ) গৃহপালিত বিড়াল, বেজি 

(ঘ) গৃহপালিত গোরু, ঘোড়া

উত্তরঃ (ক) ভারতীয় বাঘ, কস্তুরি মৃগ

(১.২০) ভারতের বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ হল - 

(ক) সুন্দরী, কলসপত্রী, চন্দন 

(খ) আম, জাম, কাঁঠাল 

(গ) ধান, গম, বাগরা, 

(ঘ) শিমূল, অর্জুন,

তেঁতুল

উত্তরঃ (ক) সুন্দরী, কলসপত্রী, চন্দন


বিভাগ 'খ'

২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নির্দেশ অনুসারে লেখোঃ

** নীচের বাক্যগুলিতে উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান গুলি পূরন করোঃ

(২.১) অ্যানাবিনা হল একপ্রকার __________।

উত্তরঃ সায়ানোব্যাকটেরিয়া

(২.২) মাটিতে নাইট্রইট যৌগকে নাইট্রেটে পরিনত করে _________ নামক ব্যাকটেরিয়া।

উত্তরঃ নাইট্রোব্যাকটর

(২.৩) রাইজোবিয়াম হল __________ ব্যাকটেরিয়া।

উত্তরঃ মিথোজীবী

(২.৪) বাতাসে ভাসমান কনার ব্যাস __________ এর কম হলে তাকে অ্যারসল বলে।

উত্তরঃ 1 মাইক্রন

(২.৫) মেঠো ইঁদুর বিনাশে ________ জাতীয় রোডেনটিসাইড ব্যবহৃত হয়।

উত্তরঃ এনড্রিন

(২.৬) ভারতে শিল্পক্ষেত্রে শব্দের সহনমাত্রা হল _________ ডেসিবেল।

উত্তরঃ 90 ডেসিবেল

(২.৭) জনসংখ্যা সম্পর্কের অধ্যয়ন ও জ্ঞান অর্জনকে _________ বলে।

উত্তরঃ ডেমোগ্রাফি

(২.৮) পৃথিবীতে পানযোগ্য জলের পরিমান _________ ।

উত্তরঃ 1% 

(২.৯) ক্যানসার রোগগ্রস্ত কোশ গুলি সারাদেহে ছড়িয়ে পড়াকে _________ বলা হয়।

উত্তরঃ মেটাস্ট্যাসিস

(২.১০) বাস্তুতন্ত্রে উদ্ভিদের প্রধান ভূমিকা হল __________ হিসেবে।

উত্তরঃ উৎপাদক

(২.১১) পশ্চিমবঙ্গের একটি জাতীয় উদ্যানের নাম হল __________ ।

উত্তরঃ জলদাপাড়া

(২.১২) ভারতে সর্বাধিক গন্ডর __________ রাজ্যে পাওয়া যায়।

উত্তরঃ অসম


** নীচের বাক্যগুলি সত্য অথবা মিথ্যা নিরূপন করোঃ

(২.১) বজ্রপাতের সময়ে নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় নাইট্রিক অক্সাইড উৎপন্ন হয়।

উত্তরঃ সত্য

(২.২) ক্লসট্রিডিয়াম হল স্বাধীনজীবী নাইট্রোজেন স্থিতিকারী ব্যাকটেরিয়া।

উত্তরঃ সত্য

(২.৩) অ্যামোনিফিকেশনের অপর নাম মিনেরালাইজেশন।

উত্তরঃ সত্য

(২.৪) তাজমহল হল অ্যাসিড বৃষ্টি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত একটি সৌধ।

উত্তরঃ সত্য

(২.৫) জলের pH কমলে জলজ বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।

উত্তরঃ সত্য

(২.৬) আমাশয় এন্টিমিবা নামক প্রোটোজেয়ার সংক্রমনে হয়।

উত্তরঃ সত্য

(২.৭) PAN হল একপ্রকার অ্যালার্জেন।

উত্তরঃ সত্য'

(২.৮) শ্বাসনালীর প্রদাহ সৃষ্টির কারনে ব্রংকাইটিস নামক রোগটি হয়।

উত্তরঃ সত্য

(২.৯) কয়লা ও তেলের দহনে সৃষ্ট ধোঁয়া অ্যাজমার একটি কারন।

উত্তরঃ সত্য

(২.১০) পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চল হল একটি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ।

উত্তরঃ সত্য

(২.১১) জীববৈচিত্র্য (Biodiversity) কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন বিজ্ঞানী W.G. রোসেন।

উত্তরঃ সত্য

(২.১২) সুন্দরবন অঞ্চল গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, পদ্মা ও মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত।

উত্তরঃ সত্য


** একটি শব্দে বা একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ

(২.১) একটি নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখো।

উত্তরঃ নাইট্রোসোমোনাস

(২.২) নীচে সম্পর্কযুক্ত শব্দজোড় দেওয়া আছে। প্রথম জোড়টির সম্পর্ক দেখে দ্বিতীয় জোড়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাওঃ 

 নাইট্রোকক্কাসঃনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়াঃঃসিউডোমোনাসঃ___________।

উত্তরঃ ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া

(২.৩) কিছু কিছু পরভোজী উদ্ভিদ কীসের চাহিদা মেটানোর জন্য পতঙ্গ ভক্ষন করে? 

উত্তরঃ নাইট্রোজেনের

(২.৪) অম্লবৃষ্টির জন্য দায়ী দুটি গ্যাসের নাম লেখো।

উত্তরঃ সালফার ডাই অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড

(২.৫) নীচে সম্পর্কযুক্ত শব্দ জোড় দেওয়া আছে। প্রথম জোড়টির সম্পর্ক দেখে দ্বিতীয় জোড়টির শুন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাওঃ

 NIHL:শব্দদূষনঃঃCOPD:___________.

উত্তরঃ বায়ুদূষন

(২.৬) ভারতে পানীয় জলে ফ্লুরাইডের সর্বোচ্চ গ্রহনযোগ্য মাত্রা কত?

উত্তরঃ 1.2mg/L

(২.৭) যে বস্তু অ্যালার্জি ঘটায় তাকে কী বলে?

উত্তরঃ অ্যালার্জেন

(২.৮) নীচে সম্পর্কযুক্ত শব্দজোড় দেওয়া আছে। প্রথম জোড়টির সম্পর্ক দেখে দ্বিতীয় জোড়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাওঃ

 ধূমপানঃফুসফুস ক্যানসারঃঃখৈনিঃ__________।

উত্তরঃ মুখের ক্যানসার

(২.৯) অ্যাজমা রোগ আক্রান্ত ব্যক্তি রক্তে কোন্‌ কনিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়?

উত্তরঃ ইওসিনোফিলের

(২.১০) একটি ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের নাম লেখো।

উত্তরঃ সুন্দরী, গর্জন

(২.১১) নীচে সম্পর্কযুক্ত শব্দজোড় দেওয়া আছে। প্রথম জোড়টির সম্পর্ক দেখে দ্বিতীয় জোড়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাওঃ

 নীলগিরি লেঙ্গুরঃবিপন্ন প্রজাতিঃঃডোডো পাখিঃ__________।

উত্তরঃ অবলুপ্ত প্রজাতি

(২.১২) পশ্চিম্বঙ্গের যে কোনো একটি কিস্টোন প্রজাতির নাম লেখো।

উত্তরঃ সুন্দরবনের বাঘ


** 'ক' স্তম্ভের সঙ্গে 'খ' স্তম্ভ থেকে শব্দ মিলিয়ে লেখোঃ

                               'ক' স্তম্ভ                          'খ' স্তম্ভ

(২.১০) নাইট্রোজেন স্থিতিকারী ব্যাকটেরিয়া           (ক) সিউডোমোনাস

(২.১১) নাইট্রোফাইং ব্যাকটেরিয়া                      (খ) অ্যাজোটোব্যাকটর

(২.১২) মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া                         (গ) নাইট্রোসোমোনাস

(২.১৩) ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া                    (ঘ) রাইজোবিয়াম

(২.১৪) নাইট্রোজেন স্থিতিকারী উদ্ভিদ                  (ঙ) অ্যানাবিনা

                                                           (চ) ডালজাতীয় শস্য

উত্তরঃ (২.১০) নাইট্রোজেন স্থিতিকারী ব্যাকটেরিয়া  ->  (খ) অ্যাজোটোব্যাকটর  (২.১১) নাইট্রোফাইং ব্যাকটেরিয়া -> (গ) নাইট্রোসোমোনাস (২.১২) মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া -> (ঘ) রাইজোবিয়াম (২.১৩) ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া -> (ক) সিউডোমোনাস (২.১৪) নাইট্রোজেন স্থিতিকারী উদ্ভিদ -> (চ) ডালজাতীয় শস্য

'ক' স্তম্ভের সঙ্গে 'খ' স্তম্ভ থেকে শব্দ মিলিয়ে লেখোঃ

                  'ক' স্তম্ভ                     'খ'

(২.১০) বায়ুদূষন ঘটিত রোগ          (ক) ইনফ্লুয়েঞ্জা

(২.১১) জলদূষন ঘটিত রোগ          (খ) গ্যাস-গ্যাংগ্রিন

(২.১২) শব্দদূষন ঘটিত রোগ          (গ) টাইফয়েড

(২.১৩) মাটিদূষন ঘটিত রোগ         (ঘ) COPD

(২.১৪) কয়লাঘটিত দূষন             (ঙ) মায়াকাডিয়াল ইনফার্কশন

                                         (চ) ব্ল্যাক লাং ডিজিস

উত্তরঃ (২.১০) বায়ুদূষন ঘটিত রোগ -> (ঘ) COPD (২.১১) জলদূষন ঘটিত রোগ -> (গ) টাইফয়েড (২.১২) শব্দদূষন ঘটিত রোগ -> (ঙ) মায়াকাডিয়াল ইনফার্কশন (২.১৩) মাটিদূষন ঘটিত রোগ ->  (খ) গ্যাস-গ্যাংগ্রিন (২.১৪) কয়লাঘটিত দূষন -> (চ) ব্ল্যাক লাং ডিজিস

'ক' স্তম্ভের সঙ্গে 'খ' স্তম্ভ থেকে শব্দ মিলিয়ে লেখোঃ

                'ক' স্তম্ভ                        'খ' স্তম্ভ

(২.১০) হাঁপানির কারন                 (ক) র‍্যাডন গ্যাস

(২.১১) মুখের ক্যানসারের কারন       (খ) গ্রিনহাউস গ্যাস

(২.১২) ব্রংকাইটিসের কারন            (গ) তামাক সেবন

(২.১৩) ফুসফুসের ক্যানসারের কারন  (ঘ) কয়লার দহনে সৃষ্ট ধোঁয়া 

(২.১৪) কারসিনোজেন                   (ঙ) অ্যাসবেস্টসের সূক্ষ্ম গুঁড়ো

                                            (চ) ক্যানসার

উত্তরঃ (২.১০) হাঁপানির কারন  -> (ঘ) কয়লার দহনে সৃষ্ট ধোঁয়া (২.১১) মুখের ক্যানসারের কারন ->(গ)  তামাক সেবন (২.১২) ব্রংকাইটিসের কারন -> (ঙ) অ্যাসবেস্টসের সূক্ষ্ম গুঁড়ো  (২.১৩) ফুসফুসের ক্যানসারের কারন -> (ক) র‍্যাডন গ্যাস (২.১৪) কারসিনোজেন -> (চ) ক্যানসার

'ক' স্তম্ভের সঙ্গে 'খ' স্তম্ভ থেকে শব্দ মিলিয়ে লেখোঃ

               'ক' স্তম্ভ                                  'খ' স্তম্ভ

(২.১০) করবেট জাতীয় উদ্যান        (ক) গন্ডার সংরক্ষন

(২.১১) গির অভয়ারন্য                   (খ) রেডপান্ডা সংরক্ষন

(২.১২) কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান   (গ) কুমির সংরক্ষন

(২.১৩) ভিতরকনিকা স্যাংকচুয়ারি  (ঘ) বাঘ সংরক্ষন

(২.১৪) সুন্দাল্যান্ড হটস্পট অঞ্চল    (ঙ) সিংহ সংরক্ষন

                                                  (চ) সুন্দরী গাছে

উত্তরঃ  (২.১০) করবেট জাতীয় উদ্যান -> (ঘ) বাঘ সংরক্ষন (২.১১) গির অভয়ারন্য ->  (ঙ) সিংহ সংরক্ষন  (২.১২) কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান->  (ক) গন্ডার সংরক্ষন (২.১৩) ভিতরকনিকা স্যাংকচুয়ারি -> (গ) কুমির সংরক্ষন (২.১৪) সুন্দাল্যান্ড হটস্পট অঞ্চল -> (চ) সুন্দরী গাছে

বিভাগ 'গ' 

৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দুই-তিনটি বাক্যে লেখোঃ

প্রশ্নঃ হট স্পট কাকে বলে?

উত্তরঃ পৃথিবীর যে সব জায়গায় খুব বেশি সংখ্যায় উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি বাস করে এবং কোনো না কোনো কারণে তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে চলেছে সেই স্থান গুলিকে হট স্পট বলা হয়।

প্রশ্নঃ অভয়ারণ্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যে সংরক্ষিত অঞ্চলে গাছপালার সঙ্গে বিশেষ কোনো বন্য প্রজাতির রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা আছে, তাকে অভয়ারণ্য বলে। যেমন - পশ্চিমবঙ্গের বেথুয়াডহরি, কর্ণাটকের বন্দিপুর।

প্রশ্নঃ নাইট্রোজেন চক্র কাকে বলে?

উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে নাইট্রোজেন পরিবেশ থেকে জীবদেহে এবং জীবদেহ থেকে পরিবেশে ফিরে যায় এবং পরিবেশে নাইট্রোজেনের সমতা বজায় রাখে তাকে নাইট্রোজেন চক্র বলে।

প্রশ্নঃ রেসারপিন ও কুইনাইন কোথা থেকে পাওয়া যায়?

উত্তরঃ সর্পগন্ধার মূল থেকে রেসারপিন ও সিঙ্কোনা বা কুচেলা গাছের ছাল থেকে কুইনাইন পাওয়া যায়।

প্রশ্নঃ ব্রঙ্কাইটিস কী? এর কারণ কী?

উত্তরঃ ফুসফুসের শ্বাসনালির প্রদাহকে ব্ৰঙ্কাইটিস বলে। ধুমপায়ীদের , ঝালাইকর্মীদের, দমকলকর্মীদের এই রোগে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়।

প্রশ্নঃ নাইট্রিফিকেশন কাকে বলে? নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়ার উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ অ্যামোনিয়া হতে নাইট্রেট ও নাইট্রাইট তৈরির পদ্ধতিকে নাইট্রিফিকেশন বলে। উদাহরণ – নাইট্রোসোমোনাস, নাইট্রোব্যাক্টর ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ ক্রায়োসংরক্ষণ বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় –196°C তাপমাত্রায় তরল নাইট্রোজেনে উদ্ভিদের পরাগরেণু, বীজ, শুক্রাণু বা ডিম্বাণু ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হয় তাকে ক্রায়োসংরক্ষণ বলে।

প্রশ্নঃ ডিনাইট্রিফিকেশন কাকে বলে?

উত্তরঃ ডিনাইট্রিফিকেশন যে প্রক্রিয়ায় মাটির নাইট্রেট ও নাইট্রাইট যোগ ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বিয়োজিত হয়ে নাইট্রোজেনে পরিণত হয় তাকে ডিনাইট্রিফিকেশন বলে। উদাহরণ - সিউডোমোনাস, থিয়োব্যাসিলাস ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ বাঘ এবং সিংহের সংখ্যা হ্রাসের দু’টি কারণ লেখো।

উত্তরঃ বনভূমি কেটে ফেলায় স্বাভাবিক বাসস্থান নষ্ট হয়েছে ও অর্থ উপার্জনের জন্য চোরাশিকারিদের মাধ্যমে বাঘ ও সিংহের হত্যা বাড়ছে, ফলে সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

প্রশ্নঃ অ্যামোনিফিকেশন কাকে বলে?

উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় নাইট্রোজেনযুক্ত জৈব যৌগ বিয়োজিত হয়ে অ্যামোনিয়ায় পরিণত হয় তাকে অ্যামোনিফিকেশন বলে। অ্যামোনিফিকেশনে সাহায্যকারী ব্যাকটেরিয়া হলো – ব্যাসিলাস মাইকরডিস, ব্যাসিলাস ভলগারিস ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ ভারতীয় একশৃঙ্গ গণ্ডারের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য দু’টি সংরক্ষণ ব্যবস্থা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ একশৃঙ্গ গণ্ডারের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য দু’টি সংরক্ষণ সংক্রান্ত পদক্ষেপ - 

(১) উপযুক্ত প্রজননের ব্যবস্থা করতে হবে।

(২) উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার রোগের হাত থেকে গণ্ডারকে বাঁচানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রশ্নঃ জীববৈচিত্র্য বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ যেকোনো বাস্তুতন্ত্রে বা পরিবেশে বসবাসকারী জীবের মধ্যে যে বিভিন্নতা দেখা যায় তাকে জীববৈচিত্র্য বলে।

প্রশ্নঃ বিপন্ন প্রজাতি কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসকল উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে এবং অদুর ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তাদের বিপন্ন প্রজাতি বলে।

প্রশ্নঃ দূষক কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যেসকল পদার্থ দূষণ সৃষ্টিতে সাহায্য করে তাদের দূষক বলে। যেমন - ধুলোবালি, CO, NO, SO, ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ হাঁপানি বা অ্যাজমার কারণ কী? এর লক্ষণ লেখো।

উত্তরঃ হাঁপানি বা অ্যাজমা মানুষের শ্বাসতন্ত্রের শ্বাসনালির সংকোচনের ফলে হঠাৎ কষ্টদায়ক শ্বাস–প্রশ্বাস শুরু হলে তাকে হাঁপানি বলে । কারণ ধুলো , ঘরের ঝুল , ফুল বা ছত্রাকের রেণু, ধূমপানের ধোঁয়া, রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদির শ্বাসনালিতে প্রবেশ। 

লক্ষণঃ বুকে সাঁই সাঁই শব্দ, শ্বাস নিতে কষ্ট, কাশি, শুয়ে থাকতে কষ্ট ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ।

প্রশ্নঃ ক্যানসারের লক্ষণ লেখো।

উত্তরঃক্যানসারের কয়েকটি লক্ষণ হল - গ্রন্থির স্ফীতি, লসিকা গ্রন্থির স্ফীতি, WBC-এর সংখ্যা বৃদ্ধি, গলা ধরা না কমা, গলায় ও মুখে স্থায়ী যা, যে-কোনো থানে অত্যধিক রক্ত ক্ষরণ প্রভৃতি।

প্রশ্নঃ ধোঁয়াশা কাকে বলে?

উত্তরঃ নানারকমের রাসায়নিক বাস্প এবং ধোঁয়ার সাহায্যে কুয়াশা কখনো কখনো ভারী ও কালো হয়ে ভূপৃষ্ঠে নেমে আসে, তখন তাকে ধোঁয়াশা বলে।

প্রশ্নঃ শৈবাল ব্লুম কী?

উত্তরঃ ইউট্রফিকেশনের ফলে শৈবালের বৃদ্ধি ঘটে এবং অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়, ফলে শৈবালের পচন ঘটে এবং জল দূষিত হয়, একে শৈবাল ব্লুম বলে।

প্রশ্নঃ অম্লবৃষ্টি কি?

উত্তরঃ তুষার, শিশির ও বৃষ্টির জলের সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে বাতাসে ভাসমান H2SO4, HNO3, HCL প্রভৃতি রাসায়নিক পদার্থ পৃথিবীর বুকে পতিত হওয়ার ঘটনাকে অল্পবৃষ্টি বলে।

প্রশ্নঃ ইন-সিটু সংরক্ষণের দুটো উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ ইন-সিটু সংরক্ষণের দুটো উদাহরণ হল জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য।

প্রশ্নঃ রেসারপিন ও ডাটুরিন থেকে কোন কোন রোগের ঔষধ তৈরি হয়?

উত্তরঃ রেসারপিন থেকে উচ্চরক্তচাপের এবং ডাটুরিন থেকে হাঁপানির ঔষধ তৈরি হয়।


বিভাগ 'ঘ' 

৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ 

প্রশ্নঃ সুন্দরবনে মিষ্টিজলের সংকটের ফলে সৃষ্ট প্রভাবগুলি আলোচনা করো। সুন্দরবনের দু’টি ম্যানগ্রোভ অরণ্যের এবং দু’টি প্রাণীর নাম লেখো।

উত্তরঃ সম্প্রতি সুন্দরবনে মিষ্টিজলের সংকট দেখা দিয়েছে। গঙ্গা নদীতে বছরের অধিকাংশ সময় জল কম থাকে, অন্যদিকে ফারাক্কা ব্যারেজের কারণে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মিষ্টিজল সরবরাহ না হওয়ায় সুন্দরবনে মিষ্টিজলের সংকট দেখা দিয়েছে। মিষ্টিজল সংকটের ফলে নিম্নলিখিত সমস্যা দেখা দিয়েছে। 

(১) মিষ্টিজলের অভাবে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য বিশেষ করে সুন্দরী গাছের সংখ্যা কমেছে । 

(২) সুন্দরবনের মাটিতে এবং জলে লবণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে । ফলে কৃষিজমির পরিমাণ কমছে । 

(৩) মিষ্টিজলে বসবাসকারী মাছের সংখ্যা কমছে । 

(৪) সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার , কুমির , অজগর এবং অন্যান্য প্রাণী বিপন্ন হয়ে পড়েছে । 

সুন্দরবনের উদ্ভিদঃ সুন্দরী, গরান। 

সুন্দরবনের প্রাণীঃ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, অজগর।

প্রশ্নঃ গ্রিনহাউস প্রভাব কী? গ্রিনহাউস গ্যাসের বৃদ্ধির কারণ ও প্রভাব সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ বায়ুদুষণের ফলে সৃষ্ট কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, CFC, প্রভৃতি গ্যাস বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ারে একটি আবরণ গঠন করেছে। ফলে সূর্যালোক পৃথিবীপৃষ্ঠে আসার পর প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যেতে পারে না। ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ঘটনাকে গ্রিনহাউস প্রভাব বলে। 

গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধির কারণ হল -

(১) কার্বন-ডাই–অক্সাইডঃ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের ফলে উৎপন্ন হয় । 

(২) মিথেনঃ কৃষিক্ষেত্রে উদ্ভিদের পচন, বর্জ্য পদার্থ, তৈলখনি থেকে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। 

(৩) নাইট্রাস অক্সাইডঃ কলকারখানা, যানবাহন, সার কারখানা থেকে উৎপন্ন হয়।

(৪) ক্লোরোফ্লুরোকার্বনঃ ফ্রিজ, কুলার, এয়ার কন্ডিশনার, প্লাস্টিক কারখানা ইত্যাদি থেকে উৎপন্ন হয়। 

গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব হল -

(১) গ্রিনহাউস বৃদ্ধির ফলে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়ছে বলে তা জীবের বাঁচার পক্ষে প্রতিকূল হচ্ছে।

(২) সমুদ্রের জলতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সমুদ্রতীরবর্তী অনেক শহর সমুদ্রগর্ভে চলে যেতে পারে। 

(৩) পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়ায় মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীরও অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। 

(৪) গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটবে। ফলে অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বাড়বে। 

(৫) গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে বিভিন্ন রোগ যেমন - ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, হাঁপানি, অ্যালার্জি রোগের আক্রমণ বেশি হবে। এর ফলে বনাঞ্চল ধ্বংস হবে।

প্রশ্নঃ মাটিদূষণের দু’টি কারণ ও দু’টি কুফল আলোচনা করো। 

উত্তরঃ মাটিদূষণের কারণ হল -

জীবাণুঃ মানুষ ও অন্য প্রাণীদের মলমূত্র, গৃহস্থালি ও অন্যান্য কাজে উৎপন্ন বর্জ্য, পৌর আবর্জনা, হাসপাতালের আবর্জনা ইত্যাদিতে মিশে থাকা বিভিন্ন প্রকারের জীবাণু মাটির দূষণ ঘটায়। 

রাসায়নিক পদার্থঃ কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক যেমন - BHC, DDT, অলড্রিন, ম্যালাথিয়ন ইত্যাদি। রাসায়নিক সার। যেমন - ইউরিয়া, অ্যামোনিয়া ইত্যাদি। আগাছানাশক যেমন - 2, 4–D, অভঙ্গুর পদার্থ যেমন - প্লাস্টিক দ্রব্য, পলিথিন ইত্যাদি। ভারী ধাতব পদার্থ যেমন - পারদ, সিসা, ক্যাডমিয়াম, আর্সেনিক ইত্যাদি মাটিতে মিশে মাটির দূষণ ঘটায়।

মাটিদূষণের কুফল বা ফলাফলঃ মানুষের উপর প্রভাব হল - মাটির জীবাণু মানুষের দেহে কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয় ইত্যাদি রোগ সংক্রমণ ঘটায়। মানবদেহে সিসা থেকে ডিসলেক্সিয়া; ক্যাডমিয়াম থেকে ইটাই ইটাই এবং পারদ থেকে মিনামাটা রোগ হয়।

প্রশ্নঃ ওজোন হোল কী? এর কারণ ও প্রভাব উল্লেখ করো।

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার অবস্থিত। এই স্তরটি ওজোন গ্যাসের আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে। পরিবেশ দূষণের ফলে ওজোনের এই স্তরটি ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বড়ো ফাটল বা গহ্বরের সৃষ্টি করে, তাকে ওজোন ছিদ্র বলে।

ওজোন ছিদ্র সৃষ্টির কারণ হল -

(১) শীতাতপ যন্ত্রের ব্যবহারে উৎপন্ন CFC, বাতাসের সঙ্গে মিশে স্ট্রাটোস্ফিয়ারে ছড়িয়ে পড়ে এবং ওজোন স্তরকে ধ্বংস করে।

(২) মানুষের সৃষ্ট অন্যান্য দূষক পদার্থ নাইট্রাস অক্সাইড, কার্বন টেট্রাক্লোরাইড, মিথাইল ব্রোমাইড ইত্যাদি ওজোন হোল সৃষ্টিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

(৩) দ্রুতগামী সুপারসোনিক বিমান স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ভেদ করে যাওয়ার সময় ওজোন হোল সৃষ্টি করে। 

ক্ষতিকারক প্রভাব হল -

(১) ওজোন ছিদ্র সৃষ্টির ফলে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রশ্মি ভূপৃষ্ঠে পতিত হয় । ফলে ত্বকের ক্যানসার সৃষ্টি করে।

(২) UV – B রশ্মির প্রভাবে চোখে ছানি পড়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

(৩) প্রাণীদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে।

(৪) পৃথিবীর উষ্মতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর কারণ।

(৫) জুপ্ল্যাঙ্কটন ও ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন কমে যাওয়ার ফলে খাদক প্রাণীর খাদ্যাভাবে মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়ছে।

প্রশ্নঃ “ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার একটি সমস্যা হলো বায়ুমন্ডলের পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্মায়ন” – পরিবেশে এর কী কী প্রভাব পড়তে পারে তার সারসংক্ষেপ করো। শীতকালে শিশু ও বয়স্কদের নানা শ্বাসজনিত সমস্যা দেখা যায় এরূপ দুটি সমস্যার নাম লেখো এবং তাদের একটি করে উপসর্গ বিবৃত করো।

উত্তরঃ পরিবেশে এর প্রভাবগুলি হলো -

(১) সমুদ্রতলের জলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে ফলে সমুদ্রতীরবর্তী অনেক শহর জলের তলায় তলিয়ে যাবে এবং অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী তথা জীববৈচিত্র্যের অবুলপ্তি ঘটবে । 

(২) অতিরিক্ত বৃষ্টি হতে পারে ফলে বন্যার সৃষ্টি হবে আবার অতিরিক্ত পরিবেশের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ফলে উদ্ভিদ ও প্রাণী তথা মানুষের বাঁচার পক্ষে অত্যাধিক কষ্টকর ঘটনা হতে পারে। আবার অ্যাসিড বৃষ্টি হতে পারে ফলে মাটি ও জলাশয়ের জল আম্লিক হয়ে পড়বে। এতে মাটিতে ফসল উৎপাদন কমে যাবে। আবার অন্যদিকে জলদূষণ হবে ফলে জলের উদ্ভিদ ও প্রাণী মারা যাবে। শীতকালে শিশু ও বয়স্কদের দুটি শ্বাসজনিত সমস্যা হলো অ্যাজমা ব্রঙ্কাইটিস।

অ্যাজমার উপসর্গঃ শ্বাসকষ্ট ও বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই আওয়াজ অত্যাধিক হারে তরল মিউকাস উৎপন্ন হয়। ব্রঙ্কাইটিস- বুকে ব্যথা, কফ্ ওঠা, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

LightBlog

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close