LightBlog
মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন ২০২৪ - চতুর্থ অধ্যায় – অভিব্যক্তি ও অভিযোজন
Type Here to Get Search Results !

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন ২০২৪ - চতুর্থ অধ্যায় – অভিব্যক্তি ও অভিযোজন

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান

চতুর্থ অধ্যায়

অভিব্যক্তি ও অভিযোজন

madhyamik life science suggestion chapter 4


বিভাগ 'ক'

১. প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ন করোঃ

(১.১) 'অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম' মতবাদটি কার? - 

(ক) ল্যামার্কের 

(খ) ডারউইনের

(গ) দ্য ভ্রিসের 

(ঘ) জোনোফেনের 

উত্তরঃ (খ) ডারউইনের 

(১.২) ল্যামার্ক রচিত গ্রন্থের নাম হল - 

(ক) ফলোজফিক জুলজিক 

(খ) অরিজিন অব স্পিসিস 

(গ) ফিলোজফিক বটানিক 

(ঘ) মাইক্রোগ্রাফিয়া 

উত্তরঃ (ক) ফিলোজফিক জুলজিক

(১.৩) প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদের প্রবক্তা হলেন - 

(ক) ডারউইন 

(খ) ল্যামার্ক 

(গ) মেন্ডেল 

(ঘ) ভ্রিস

উত্তরঃ (ক) ডারউইন

(১.৪) তিমির ফ্লিপার ও পাখির ডানা হল - 

(ক) সমবৃত্তীয় অঙ্গ 

(খ) নিষ্ক্রিয় অঙ্গ 

(গ) প্রতিস্থাপিত অঙ্গ 

(ঘ) সমসংস্থ অঙ্গ

উত্তরঃ (ঘ) সমসংস্থ অঙ্গ

(১.৫) মানুষের নিষ্ক্রিয় অঙ্গটি হল - 

(ক) কোলন 

(খ) মলাশয় 

(গ) অ্যাপেনডিক্স 

(ঘ) পাকস্থলী

উত্তরঃ (গ) অ্যাপেনডিক্স

(১.৬) শ্বাসমূল কার অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য? - 

(ক) ক্যাকটাস 

(খ) পদ্ম 

(গ) সুন্দরী 

(ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তরঃ (গ) সুন্দরী

(১.৭) প্রানীদের অস্তিত্ব রক্ষায় ও জনন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে - 

(ক) আবর্তন 

(খ) আবরন 

(গ) আরোহন 

(ঘ) আচরন 

উত্তরঃ (ঘ) আচরন

(১.৮) পায়রার বায়ুথলির সংখ্যা - 

(ক) 7 টি 

(খ) 9 টি 

(গ) 12 টি 

(ঘ) 23 টি

উত্তরঃ (খ) 9 টি

(১.৯) জরায়ুজ অঙ্কুরোদ্‌গম দেখা যায় - 

(ক) পাইন গাছে 

(খ) ওক গাছে 

(গ) সুন্দরী গাছে 

(ঘ) গরান গাছে 

উত্তরঃ গরান গাছে

(১.১০) উটের লোহিতকনিকা দেখতে - 

(ক) দ্বি-অবতল নিউক্লিয়াসবিহীন 

(খ) দ্বি-অবতল নিউক্লিয়াসযুক্ত 

(গ) ডিম্বাকার নিউক্লিয়াসযুক্ত 

(ঘ) ডিম্বাকার নিউক্লিয়াসবিহীন

উত্তরঃ (গ) ডিম্বাকার নিউক্লিয়াসযুক্ত


বিভাগ 'খ' 

২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নির্দেশ অনুসারে লেখোঃ

** নীচের বাক্যগুলিতে উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থানগুলি পূরন করোঃ

(২.১) জীবন সৃষ্টির জন্য দায়ী গ্যাস হল অ্যামোনিয়া ও ___________।

উত্তরঃ মিথেন

(২.২) অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরন ____________ বাদের প্রধান প্রতিপাদ্য একটি বিষয়।

উত্তরঃ ল্যামার্ক 

(২.৩) জীবের যে-সমস্থ অঙ্গের উৎপন্ন ও গঠন আলাদা কিন্তু কাজ এক, তাদের ___________ অঙ্গ বলে।

উত্তরঃ সমবৃত্তি

(২.৪) পায়রার চোখে __________ থাকায় এদের দৃষ্টিশক্তি খুব প্রখর ।

উত্তরঃ পেক্‌টেন

(২.৫) জলে বসবাসকারী একটি স্তন্যপায়ী প্রানীর নাম __________।

উত্তরঃ তিমি

(২.৬) পায়রার উড্ডয়নে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত শক্তি সরবরাহে সাহায্য করে ___________।

উত্তরঃ বায়ুথলি


** নীচের বাক্যগুলি সত্য অথবা মিথ্যা নিরূপন করোঃ

(২.১) পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যের কারন হল অভিব্যক্তি।

উত্তরঃ সত্য

(২.২) ল্যামার্ক প্রথম 'বায়োলজি' শব্দটি ব্যবহার করেন।

উত্তরঃ সত্য

(২.৩) ডারউইনের মতে ছোটো ছোটো ধারাবাহিক পরিবর্তনই বিভিন্ন প্রজাতির উৎপত্তির জন্য দায়ী।

উত্তরঃ সত্য

(২.৪) মাছকে জলের মধ্যে গভীরতা পরিবর্তন করতে সাহায্য করে পটকা।

উত্তরঃ সত্য

(২.৫) মৌমাছির অয়াগল নৃত্য ইংরাজী '8' আকৃতির হয়।

উত্তরঃ সত্য

(২.৬) রুই মাছ একটি প্রাথমিক জলজ প্রানী।

উত্তরঃ সত্য


** একটি শব্দে বা একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ

(২.১) একটি মেরুদন্ডী জীবন্ত জীবাশ্মের উদাহরন দাও।

উত্তরঃ স্ফেনোডন

(২.২) নীচে সম্পর্কযুক্ত শব্দজোড় দেওয়া আছে। প্রথম জোড়টির সম্পর্ক দেখে দ্বিতীয় জোড়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাওঃ

 প্রাকৃতিক নির্বাচনঃডারউইনঃঃঅঙ্গের ব্যবহার ও অব্যবহারঃ_________।

উত্তরঃ ল্যামার্ক

(২.৩) একটি জীবন্ত উদ্ভিদ জীবাশ্মের উদাহরন দাও।

উত্তরঃ গিংকগো বাইলোবা

(২.৪) ক্যাকটাস জাতীয় উদ্ভিদের পাতা কাঁটায় রূপান্তরিত হয়েছে কেন?

উত্তরঃ বাষ্পমোচন রোধ করার জন্য

(২.৫) নীচের চারটি বিষয়ের মধ্যে তিনটি একটি বিষয়ের অন্তর্গত। সে বিষয়টি খুঁজে বার করে নাম লেখোঃ

 ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ, সুন্দরী, গরান, রাইজোফেরা।

উত্তরঃ ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ

(২.৬) নিউম্যাটোফোর বা শ্বাসমূলের কাজ কী? 

উত্তরঃ অক্সিজেন সরবরাহ করা


** 'ক' স্তম্ভের সঙ্গে 'খ' স্তম্ভ থেকে মিলিয়ে লেখোঃ

                       'ক' স্তম্ভ                      'খ' স্তম্ভ

(২.১০) যোগ্যতমের উদ্‌বর্তন                (ক) নিজ্ঞানী ওয়াইসম্যান

(২.১১) অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরন       (খ) বিজ্ঞানী ডারউইন

(২.১২) জার্মপ্লাজমবাদ                       (গ) বিজ্ঞানী হুগো দ্য ভ্রিস

(২.১৩) নিও ডারউইউনবাদ                 (ঘ) বিজ্ঞানী ল্যামার্ক

(২.১৪) মানুষের কক্সিস                      (ঙ) বিজ্ঞানী ওপারিন 

                                                (চ) নিষ্ক্রিয় অঙ্গ

উত্তরঃ (২.১০) যোগ্যতমের উদ্‌বর্তন -> (খ) বিজ্ঞানী ডারউইন (২.১১) অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরন -> (ঘ) বিজ্ঞানী ল্যামার্ক (২.১২) জার্মপ্লাজমবাদ -> (ক) নিজ্ঞানী ওয়াইসম্যান (২.১৩) নিও ডারউইউনবাদ -> (গ) বিজ্ঞানী হুগো দ্য ভ্রিস (২.১৪) মানুষের কক্সিস  -> (চ) নিষ্ক্রিয় অঙ্গ

'ক' স্তম্ভের সঙ্গে 'খ' স্তম্ভ থেকে শব্দ মিলিয়ে লেখোঃ

                                    'ক' স্তম্ভ                          'খ' স্তম্ভ

(২.১০) জলক্ষয় সহনেরজন্যশারীরবৃত্তিয় অভিযোজন     (ক) শিম্পাঞ্জি

(২.১১) রোগ প্রতিরোধের জন্য আচরনগত অভিযোজন   (খ) রুইমাছ

(২.১২) উড্ডয়নের জন্য অঙ্গসংস্থানগত অভিযোজন      (গ) মৌমাছি 

(২.১৩) জলজ পরিবেশে অঙ্গসংস্থানগত অভিযোজন      (ঘ) উট

(২.১৪) শ্বাসমূল                                             (ঙ) পায়রা

                                                               (চ) সুন্দরী

উত্তরঃ  (২.১০) জলক্ষয় সহনেরজন্যশারীরবৃত্তিয় অভিযোজন -> (ঘ) উট (২.১১) রোগ প্রতিরোধের জন্য আচরনগত অভিযোজন -> (ক) শিম্পাঞ্জি (২.১২) উড্ডয়নের জন্য অঙ্গসংস্থানগত অভিযোজন -> (ঙ) পায়রা (২.১৩) জলজ পরিবেশে অঙ্গসংস্থানগত অভিযোজন -> (খ) রুইমাছ (২.১৪) শ্বাসমূল ->  (চ) সুন্দরী

বিভাগ 'গ'

৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দুই-তিনটি বাক্যে লেখোঃ

প্রশ্নঃ অভিব্যক্তি বা জৈব অভিব্যক্তি বা জীব বিবর্তন কাকে বলে?

উত্তরঃ যে মন্থর ও গতিশীল ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় কোনো সরল উদ্রবংশীয় জীব থেকে ক্রমান্বয়ে জিনগত ভাবে ভিন্ন নতুন জটিলপ্রজাতির উদ্ভব হয়, তাকে অভিব্যক্তি বলে।

প্রশ্নঃ সমসংস্থ অঙ্গ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যেসব অঙ্গ উৎপত্তি ও গঠনগতভাবে এক কিন্তু কার্যগতভাবে আলাদা তাদের সমসংস্থ অঙ্গ বলে। 

উদাহরণ - পাখির ডানা, মানুষের হাত।

প্রশ্নঃ যোগ্যতমের উদবর্তন বলতে কী বোঝো?

উত্তরঃ ডারউইনের মধ্যে ত্রিধারা জীবন সংগ্রামের পথে যে সব জীব সহায়ক বা অনুকূল অভিযোজনমূলক বৈশিষ্ট্য অর্জন করে, তারাই জীবন সংগ্রামে জয়ী হয় এবং বেঁচে থাকার অধিকারী হয়; অন্যরা কালক্রমে অবলুপ্ত হয়। জীবন সংগ্রামে এই উত্তরণকে যোগ্যতমের উদবর্তন বলে।

প্রশ্নঃ অপসারী অভিব্যক্তি কাকে বলে? 

উত্তরঃ উৎপত্তি ও গঠনগতভাবে একইরকমের অঙ্গযুক্ত জীবদেহে বিভিন্ন পরিবেশে অভিযোজনের জন্য যে বিবর্তন দেখা যায় তাকে অপসারী অভিব্যক্তি বলে। উদাহরণ - ঘোড়ার অগ্রপদ, মানুষের হাত, তিমির ফ্লিপার ইত্যাদি অঙ্গের উৎপত্তি ও গঠন একই কিন্তু কাৰ্য আলাদা।

প্রশ্নঃ জীবন্ত জীবাশ্ম কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসকল জীব বহুবছর ধরে কোনোরকম পরিবর্তন ছাড়াই পৃথিবীতে বেঁচে আছে অথচ তাদের সমসাময়িক ও সমগোত্রীয় জীব অনেক আগেই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, তাদের জীবন্ত জীবাশ্ম বা লিভিং ফসিল বলে। 

উদাহরণ - পেরিপেটাস নামক সন্ধিপদ প্রাণী, সিলাকান্ধ নামক মাছ, হংসচঞ্জু নামক স্তন্যপায়ী প্রাণী ইত্যাদি হলো জীবন্ত জীবাশ্মের উদাহরণ।

প্রশ্নঃ চারটি জীবন্ত জীবাশ্ন প্রাণীর উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ লিমুলাস, পেরিপেটাস, স্ফেনোডন, সিলাকান্থ।

প্রশ্নঃ অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণ বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ ল্যামার্কের মতবাদ অনুসারে পরিবেশের প্রভাবে ব্যবহার ও অব্যবহারের মাধ্যমে যে বৈশিষ্ট্য অর্জিত হয় তা বংশানুক্রমে সঞ্চারিত হয় এবং জীবের অভিব্যক্তিতে সাহায্য করে। একে অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণ বলে। এটি অর্জিত বৈশিষ্ট্যের উত্তরাধিকার সূত্র নামে পরিচিত।

প্রশ্নঃ মৌমাছিদের বার্তা আদান প্রদান কৌশল সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ মৌমাছিদের সামাজিক জীব বলে। এদের মধ্যে বার্তা আদান প্রদানের উন্নত প্রক্রিয়া দেখা যায়। যেসব শ্রমিক মৌমাছি খাবার সন্ধান করে তাদের স্কাউট বলে। খাবারের সন্ধান পেলে শ্রমিক মৌমাছি দুই প্রকার নৃত্য করে -

চক্রাকার নৃত্যঃ যখন খাদ্যের উৎস ১০০ মিটারের মধ্যে। 

ওয়াল নৃত্যঃ যখন খাদ্যের উৎস ১০০ মিটারের বেশি তখন এই প্রকার নৃত্য করে। এটি দেখতে ইংরেজি 8–এর মতো।

প্রশ্নঃ সমসংস্থ অঙ্গ ও সমবৃত্তীয় অঙ্গের মধ্যে পার্থক্যগুলি লেখো।

উত্তরঃ সমসংস্থ অঙ্গ ও সমবৃত্তীয় অঙ্গের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল -

প্রথমত, সমসংস্থ অঙ্গগুলি উৎপত্তি ও গঠনগতভাবে একই রকমের, আর সমবৃত্তীয় অঙ্গগুলি উৎপত্তি ও গঠনগতভাবে ভিন্ন রকমের।

দ্বিতীয়ত, সমসংস্থ অঙ্গের কাজ আলাদা, কিন্তু সমবৃত্তীয় অঙ্গের কাজ একই রকম।

প্রশ্নঃ উটের জলক্ষয় কমানোর দু’টি অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ এদের চামড়া রোমযুক্ত এবং পুরু আবরণী দ্বারা আবৃত থাকে, ফলে বাষ্পীভবন কম হয়। ও এরা রেচন পদার্থকে শুষ্ক ইউরিক হিসেবে দেহ থেকে ত্যাগ করে। দেহে জলের পরিমাণ কমে গেলে এরা ঘন মূত্র ত্যাগ করে এবং দেহের জল সংরক্ষণ করে। 

প্রশ্নঃ বায়োজেনেটিক সূত্র কাকে বলে?

উত্তরঃ হেকেল বায়োজেনেটিক সূত্রের প্রবক্তা। তাঁর মতানুসারে প্রতিটি জীব ভ্রুণ অবস্থায় খুব অল্পসময়ের জন্য হলেও পূর্বপুরুষের আকৃতি ও গঠনকে পুনরাবৃত্তি করে, একে 'অনটোজেনি রিপিটস ফাইলোজেনি' বা বায়োজেনেটিক সূত্র বলে।

প্রশ্নঃ রুইমাছের জলে ভাসতে বা ডুবতে পটকা কীভাবে কাজ করে?

উত্তরঃ রুইমাছের পটকার অগ্রপ্রকোষ্ঠে অবস্থিত। রেড গ্রন্থির সাহায্যে গ্যাস উৎপাদন করে দেহের আপেক্ষিক গুরুত্বের হ্রাস করে, ফলে মাছ জলের ওপরে ভেসে ওঠে। পক্ষান্তরে পটকার পশ্চাদ প্রকোষ্ঠে অবস্থিত রেটিয়া মিরাবিলিয়া নামক রক্তজালক অগ্রপ্রকোষ্ঠ থেকে ভালবের মাধ্যমে আগত গ্যাসকে শোষণ করলে মাছের দেহের আপেক্ষিক গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়, ফলে মাছ জলের গভীরে ডুবতে পারে।

প্রশ্নঃ উদ্ভিদের দু’টি নিস্ক্রিয় অঙ্গের উদাহরণ দাও।

(১) স্টামিনোড – পুংকেশরের রূপান্তর। উদাহরণ – কালকাসুন্দা।

(২) পিন্টিলোড – গৰ্ভকেশরের রূপান্তর। উদাহরণ – শতমূলী।

প্রশ্নঃ BC-এর অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তরঃ উটের RBC ডিম্বাকার এবং নিউক্লিয়াসযুক্ত। উটের ডিহাইড্রেশনের সময় অভিস্রবণীয় চাপের তারতম্য বা বেশি পরিমাণে জলগ্রহণ করলেও অভিস্রবণীয় চাপের কম বা বেশিতে RBC ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। কারণ RBC -র পর্দার প্রসারণ ক্ষমতা অনেক বেশি।

প্রশ্নঃ অভিযোজন কাকে বলে?

উত্তরঃ পরিবর্তনশীল পরিবেশে জীব নিজেকে মানিয়ে নিয়ে চলার জন্য অর্থাৎ কোনো একটি নির্দিষ্ট পরিবেশে বেঁচে থাকার জন্য ও বংশবিস্তারের জন্য জীবের যে আকৃতিগত, শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপগত ও আচরণগত পরিবর্তন ঘটে তাকে অভিযোজন বলে।

প্রশ্নঃ কোয়াসারভেট কী?

উত্তরঃ ওপারিন-এর মতে প্রোটিন যৌগগুলি উত্তপ্ত তরল স্যুপ থেকে পৃথক হয়ে একত্রীভূত হয়ে যে দ্বিতীয় আবরণযুক্ত ও প্রোটিন, লিপিড ও কার্বোহাইড্রেট দ্বারা গঠিত কোলয়েড জাতীয় পদার্থ গঠন করেছিল তাকে কোয়াসারভেট বলা হয়। এর থেকে আদিমতম কোশ বা প্রোটোসেল উৎপন্ন হয়েছিল।

প্রশ্নঃ জীব বিবর্তন বা জৈব অভিব্যক্তি কাকে বলে?

উত্তরঃ যে মন্থর অথচ গতিশীল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূর্বপুরুষ অর্থাৎ উদংশীয় সরল জীব থেকে নতুন ধরনের অপেক্ষাকৃত জটিল জীবের উদ্ভব ঘটে তাকে জীব বিবর্তন বা জৈব অভিব্যক্তি বলে।

প্রশ্নঃ ভেনাস হৃৎপিণ্ড কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ মাছের তৃৎপিণ্ডে সর্বদা কার্বন-ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত প্রবাহিত হয়। তাই মাছের হৃৎপিণ্ডকে ভেনাস হৃৎপিণ্ড বলে।


বিভাগ 'ঘ' 

৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখোঃ

প্রশ্নঃ অভিযোজন কাকে বলে? ক্যাকটাসের বাষ্পমোচন হ্রাসের জন্য কী কী অভিবোজন বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়?

উত্তরঃ বিজ্ঞানী বাফালো অভিযোজনের যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তা হল - “কোনো একটি নির্দিষ্ট পরিবেশে বেচে থাকার এবং বংশবৃদ্ধি করার জন্য জীবের যে গঠনগত, আচরণগত ও শারীরবৃত্তীয় স্থায়ী পরিবর্তন ঘটে, তাকে অভিযোজন বলে।”

বাষ্পমোচন হ্রাসের জন্য ক্যাকটাসের অভিযোজনঃ ক্যাকটাস সাধারণত মরুভূমির শুদ্ধ ও বালুকাময় পরিবেশে জন্মায়, তাই এদের জাঙ্গাল উদ্ভিদ বা জেরোফাইট বলে। উষর পরিবেশে বসবাসকারী ক্যাকটাসের বাষ্পমোচন হ্রাসের জন্য নিম্নলিখিত অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় -

(১) বাষ্পমোচন হ্রাসের জন্য ক্যাকটাসের পাতাগুলি কাঁটায় রূপান্তরিত হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্যাকটাসের পাতা থাকলেও তা ক্ষুদ্রাকার এবং সংখ্যায় কম হয়।

(২) ক্যাকটাসের পাতাগুলি পুরু কিউটিকল ও মোমজাতীয় ক্যাকটাসের কাণ্ড স্কুল, চ্যাপ্টারসালো এবং সবুজ জল আবরণে আবৃত থাকে।

(৩) বাষ্পমোচন রোধ করার জন্য পত্ররন্ধ্রের সংখ্যা কম হয় এবং পত্রএরন্ধ্রগুলি পাতার নিম্নত্বকের গভীরে অবস্থান করে।

(৪) বাষ্পমোচন রোধ করার জন্য ক্যাকটাসের কাণ্ডের ত্বক পুরু কিউটিকল যুক্ত এবং মোমজাতীয় আবরণ দিয়ে আবৃত থাকে।

(৫) কাণ্ডের কোশে মিউসিলেজ জাতীয় পদার্থ থাকায় কাণ্ডের জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্নঃ ল্যামার্কের অভিব্যক্তি সংক্রান্ত তত্ত্বের প্রতিপাদ্যের প্রধান দুটি বিষয় বর্ণনা করো। হৃৎপিন্ডের তুলনামূলক অংঙ্গসংস্থান কীভাবে অভিব্যক্তি মতবাদের স্বপক্ষে প্রমাণ হিসাবে কাজ করে?

উত্তরঃ 

অঙ্গের ব্যবহার ও অব্যবহারের সূত্রঃ পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত হওয়ার সময় কোনো কোনো অঙ্গ খুব বেশি ব্যবহার হওয়ার ফলে সবল ও সুগঠিত হয়। অন্যদিকে, কোনো কোনো অঙ্গ কম ব্যবহার হওয়ায় ধীরে ধীরে দুর্বল হয় এবং অবলুপ্ত হয়ে যায়। এটি অঙ্গের ব্যবহার ও অব্যবহারের সূত্র নামে পরিচিত। 

অর্জিত বৈশিষ্ট্যের উত্তরাধিকার সূত্রঃ ল্যামার্কের মতে পরিবেশে অভিযোজিত হওয়ার সময় যেসব বৈশিষ্ট্য অর্জিত হয় বা উৎপন্ন হয় তা বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হয় এবং জীবের বিবর্তনে সাহায্য করে। এটি অর্জিত বৈশিষ্ট্যের উত্তরাধিকার সূত্র বা অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণ সূত্র নামে পরিচিত। 

     যে মন্থর অথচ গতিশীল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূর্বপুরুষ অর্থাৎ উদ্বংশীয় সরল জীব থেকে নতুন ধরনের অপেক্ষাকৃত জটিল জীবের উদ্ভব ঘটে, তাকে বিবর্তন বা জৈব অভিব্যক্তি বলে।

        বিভিন্ন মেরুদণ্ডী প্রাণীর হৃৎপিণ্ডের তুলনামূলক অঙ্গসংস্থান থেকে অভিব্যক্তির প্রমাণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। মাছ, উভচর, সরীসৃপ, পক্ষী ও স্তন্যপায়ীর হৃৎপিণ্ড ক্রমান্বয়ে জটিল থেকে জটিলতর হয়েছে। মাছের হৃৎপিণ্ড একটি অলিন্দ ও একটি নিলয় নিয়ে গঠিত। অলিন্দ দু’টি পর্দা দিয়ে পৃথক থাকায় দূষিত ও বিশুদ্ধ রক্ত পৃথক থাকে কিন্তু নিলয়ে একটি প্রকোষ্ঠ থাকায় দুইপ্রকার রক্ত মিশে যায়। সরীসৃপের দু’টি অলিন্দ এবং নিলয়টি অর্ধবিভক্ত, তাই দুইপ্রকার রক্ত পৃথক করার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। পক্ষী ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর হৃৎপিণ্ড দু’টি অলিন্দ ও দুটি নিলয়যুক্ত, তাই দূষিত ও বিশুদ্ধ রক্ত পৃথকভাবে প্রবাহিত হয়। হৃৎপিণ্ডের গঠনগত পরিবর্তন থেকে সিদ্ধান্তে আসা যায় যে এরা সকলেই একই উদংশীয় জীব থেকে উদ্ভূত হয়েছে এবং পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজনের ফলে ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হয়েছে।

প্রশ্নঃ জীবাশ্ম কাকে বলে? জীবাশ্মের গুরুত্ব লেখো।

উত্তরঃ দীর্ঘকাল যাবৎ ভূগর্ভের পাললিক শিলাস্তরে চাপা পড়ে থাকা জীবের সমগ্র দেহ বা আংশিক দেহ বা ছাপকে জীবাশ্ম বলে। জীবাশ্ম সম্পর্কিত বিজ্ঞানকে প্রত্নজীববিদ্যা বা প্যালেনটোলজি বলে।

জীবাশ্মের গুরুত্বঃ

(১) জীবাশ্ম অভিব্যক্তির প্রত্যক্ষ প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।

(২) জীবাশ্ম আধুনিক যুগের জীবের পূর্বপুরুষের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

(৩) জীবাশ্ম প্রাণী বা উদ্ভিদের বয়স ও সৃষ্টির সময়কাল জানতে সাহায্য করে।

(৪) জীবাশ্ম লুপ্ত প্রাণী ও উদ্ভিদের ভৌগোলিক বিস্তার জানতে সাহায্য করে।

(৫) জীবাশ্ম দুটি ভিন্ন গোষ্ঠীর প্রাণী বা উদ্ভিদের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী জীবের অধ্যয়নে এবং এক প্রকার জীব থেকে অপর প্রকার জীবের উৎপত্তির বিষয়ে ধারণা দিতে সাহায্য করে।

প্রশ্নঃ বিবর্তনের সপক্ষে ঘোড়ার জীবাশ্মের গুরুত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা করো। 

উত্তরঃ আধুনিক যুগের ঘোড়া ইকুয়াস ইওসিন যুগের ইওহিপ্পাস নামক শিয়ালের মতো জীব থেকে সৃষ্টি হয়েছে। ঘোড়ার বিবর্তনের মুখ্য বৈশিষ্ট্যগুলি হলো -

ইওহিপ্পাসঃ ইওসিন যুগে সৃষ্টি হয়। উচ্চতা ৪০ সেমি। এদের অগ্রপদে চারটি ও পশ্চাদ্‌পদে তিনটি আঙুল ছিল। পেষকদাঁত খাঁজবিহীন। ইওহিপ্পাস থেকে মেসোহিপ্পাসের আবির্ভাব হয়। 

মেসোহিপ্পাসঃ অলিগোসিন যুগে আবির্ভাব ঘটে। উচ্চতা ৬০ সেমি। দেখতে ভেড়ার মতো, অগ্র ও পশ্চাদ্‌পদে তিনটি আঙুল এবং মাঝের আঙুল মজবুত এবং লম্বা। তৃণভূমিতে বাস করত। মেসোহিপ্পাস থেকে মেরিচিপ্পাসের উৎপত্তি হয়। 

মেরিচিপ্পাসঃ মায়োসিন যুগে আবির্ভাব ঘটে। অগ্র ও পশ্চাপদে আঙুলের সংখ্যা তিনটি কিন্তু শুধু মাঝেরটি মাটি স্পর্শ করত। উচ্চতা ১০০ সেমি। পেষক ও পুরপেষক ক্রাউনযুক্ত। এদের থেকে প্লিওহিপ্পাসের উৎপত্তি হয়। 

প্লিওহিপ্পাসঃ প্লায়োসিন যুগে আবির্ভাব ঘটে। উচ্চতা ১০৮ সেমি। মাঝের আঙুল লম্বা, মজবুত এবং খুরযুক্ত। দেখতে অনেকটা আধুনিক ঘোড়ার মতো। প্লিওহিপ্পাস থেকে বর্তমান ঘোড়ার আবির্ভাব হয়। 

ইকুয়াসঃ প্লিস্টোসিন যুগে আবির্ভাব হয়। উচ্চতা ১৫ থেকে ১৬ মিটার। মাঝের আঙুল মজবুত ও ক্ষুরযুক্ত । পেষক ও পুরুপেষক ক্রাউনযুক্ত। 

প্রশ্নঃ কয়েকটি উদাহরণের সাহায্যে শিম্পাঞ্জিদের সমস্যা সমাধান সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তরঃ আফ্রিকা মহাদেশের ঘন অরণ্যে শিম্পাঞ্জিরা বসবাস করে। এদের বৈজ্ঞানিক নাম প্যান ট্রোগ্লোডাইটস। শিম্পাঞ্জির দেহের আকৃতি ও প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের দেহের আকৃতির কিছুটা সাদৃশ্য আছে। শিম্পাঞ্জির হাত বেশ লম্বা ও সরু। পায়ের পাতা লম্বা ধরনের শিম্পাঞ্জি গাছে চড়তে এবং গাছের শাখাপ্রশাখার ওপর দিয়ে চলাফেরা করতে খুবই পারদর্শী। এরা গাছের ডালে বাসা তৈরি করে রাত্রিবাস করে। এদের প্রিয় খাদ্য নানারকম ফলমূল, বাদাম, শাক-সবজি, উই পোকা, ইঁদুর, ছোটো ছোটো পাখি ইত্যাদি।

শিম্পাঞ্জিদের সমস্যা সমাধানঃ শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে বিভিন্ন আচরণ লক্ষ করা যায়। যেমন -

(১) এরা উইঢিবির সন্ধান পেলে গাছের শাখা দিয়ে একটি লাঠির মতো দণ্ড তৈরি করে নেয়। এই দণ্ডের ছূঁচালো প্রান্তটিকে উই-এর টিবির মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। উই পোকাগুলি তখন লাঠি বেয়ে সারিবদ্ধভাবে বাইরে বেরিয়ে আসে শিম্পাঞ্জি তখন মহা আনন্দে তার ভোজ সারে।

(২) এরা শক্ত কাঠ বা পাথরের টুকরোকে ‘হাতুড়ি ও নেহাই’-এর মতো ব্যবহার করে বাদামের খোসা ছাড়ায়।

(৩) শিম্পাঞ্জিরা কোনো পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হলে নিজেরাই বিশেষ ভেষজ উদ্ভিদ খুজে এনে ভক্ষণ করে, ফলে পরজীবীদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পায়।

প্রশ্নঃ নয়া ডারউইনবাদ বলতে কী বোঝায়? ডারউইনবাদের ত্রুটি উল্লেখ করো। 

উত্তরঃ ভাইসম্যান, হুগো দ্য ভ্রিস, গোল্ডস্মিথ, হ্যালডেন প্রমুখ বিজ্ঞানী ডারউইনের তত্ত্বকে বা মতবাদকে নতুন করে আণবিক জীববিদ্যা, জেনেটিক্স, বাস্তুবিদ্যা প্রভৃতির আলোকে বর্ণনা করেছেন যা নয়া ডারউইনবাদ বা আধুনিক সংশ্লেষণবাদ নামে পরিচিত। 

ডারউইনবাদের ত্রুটিঃ

(১) ডারউইন দেহকোশ ও জননকোশের প্রকরণকে পৃথক করতে পারেননি। 

(২) ডারউইন প্রকরণের বর্ণনা করলেও প্রকরণের উৎপত্তির কারণ বর্ণনা করেননি। 

(৩) ডারউইন যোগ্যতমের উদ্বর্তন বর্ণনা করলেও এর কারণ সঠিকভাবে বর্ণনা করতে পারেননি । 

(৪) ডারউইন পরিব্যক্তি বা মিউটেশনকে  'প্রকৃতির খেলা' বলেছিলেন।

প্রশ্নঃ নিম্নলিখিত অঙ্গাগুলির অভিযোজনগত গুরুত্ব উল্লেখ করো।

(১) সুন্দরীর শ্বাসমূল

(২) ক্যাকটাসের পাতা

(৩) রুই মাছের পটকা

(৪) পায়রার বায়ুথলি

(৫) উটের লোহিত রক্তকণিকার আকৃতি

উত্তরঃ (১) সাদ সুন্দরীর শ্বাসমূলঃ লবণাক্ত মাটিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকায়, বেশ কিছু শাখা-প্রশাখা, মূল মাটির উপরে উঠে আসে, এদের শ্বাসমূল বলে। শ্বাসমূলের অসংখ্য ছিদ্র দিয়ে উদ্ভিদ অক্সিজেন গ্রহণ করে।

(২) ক্যাকটাসের পাতাঃ বাষ্পমোচন রোধ করার জন্য ক্যাকটাসের পাতা কাঁটায় রূপান্তরিত হয়েছে।

(৩) রুই মাছের পটকাঃ রুই মাছের পটকা মাছকে জলের উপরে ভাসতে ও জলের নীচে নামতে সাহায্য করে।

(৪) পায়রার বায়ুথলিঃ পায়রার বায়ুথলি দীর্ঘক্ষণ ওড়ার সময় অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে।

(৫) উটের লোহিত রক্তকণিকার আকৃতিঃ উটের লোহিত রক্তকণিকা তুলনামূলকভাবে বড়ো, ডিম্বাকার ও নিউক্লিয়াসযুক্ত। ফলে উট অভিস্রবণীয় চাপের তারতম্য সহ্য করতে পারে। বেশি পরিমাণে জলগ্রহণ করলেও লোহিত রক্তকণিকা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

প্রশ্নঃ জলজ অভিযোজনে রুই মাছের পটকার এবং খেচর প্রাণী হিসেবে পায়রার বায়ুথলির গুরুত্ব আলোচনা করো।

উত্তরঃ রুই মাছের জলজ অভিযোজনে পটকা অন্যতম ভূমিকা পালন করে। রুই মাছের পটকা দেহগহ্বরে অবস্থান করে। পটকা দুই প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট। অগ্রপ্রকোষ্ঠে রেড গ্রন্থি থাকে যা গ্যাস সৃষ্টি করে এবং পশ্চাৎ প্রকোষ্ঠে রেটিয়া মিরাবিলিয়া গ্রন্থি থাকে যা গ্যাস শোষণ করে। পটকাতে গ্যাস উৎপন্ন হলে দেহ হালকা হয় এবং মাছ জলে ভাসে। আবার পটকাতে গ্যাস শোষিত হলে দেহ ভারী হয় এবং মাছ জলের নীচে নেমে যায়। এইভাবে মাছের পটকা মাছকে জলে ভাসতে এবং জলের নীচে নামতে সাহায্য করে। 

     বায়ুতে ওড়ার জন্য পায়রার বায়ুথলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পায়রার ফুসফুসের সঙ্গে 9 টি বায়ুথলি যুক্ত থাকে। বায়ুথলিগুলি বায়ুপূর্ণ থাকার জন্য দেহ হালকা হয়, ফলে সহজেই পায়রা উড়তে পারে। বায়ুথলি ওড়ার সময় দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রশ্নঃ ল্যামার্কবাদ ও ডারউইনবাদ প্রধান পার্থক্যগুলি আলোচনা করো।

উত্তরঃ ল্যামার্কবাদ ও ডারউইনবাদ প্রধান পার্থক্যগুলি হল -

প্রথমত, ল্যামার্কবাদ অঙ্গের ব্যবহার ও অব্যবহারের উপর জোর দেয়, আর ডারউইনবাদে অঙ্গের ব্যবহার ও অব্যবহারের উল্লেখ নেই।

দ্বিতীয়ত, ল্যামার্ক নিস্ক্রিয় অঙ্গের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, কিন্তু ডারউইন নিস্ক্রিয় অঙ্গের কথা বলেননি।

তৃতীয়ত, ল্যামার্ক জীবন সংগ্রামের কথা বলেননি, তবে ডারউইন জীবন সংগ্রামের কথা বলেছেন।

চতুর্থত, ল্যামার্ক অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণের ব্যাখ্যা দেন, কিন্তু ডারউইন প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদ বর্ণনা করেন।

প্রশ্নঃ জাঙ্গল উদ্ভিদ বা জেরোফাইট কাকে বলে? ক্যাকটাসের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ক্যাকটাস জাতীয় উদ্ভিদ যেমন ফণীমনসা, শতমূলী ইত্যাদি। শুষ্ক ও বালুকাময় পরিবেশে জন্মায়। এদের জাঙ্গল বা জেরোফাইট বলে। এদের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্যগুলি হলো -

কাণ্ডঃ (১) কাণ্ড রসালো, সবুজ ও চ্যাপ্টা। একে পর্ণকাণ্ড বলে। খর্বাকার এবং কাষ্ঠল হয়।

(২) বাষ্পমোচন রোধ করার জন্য কাণ্ডের ত্বক পুরু, কিউটিকলযুক্ত।

মূলঃ মূল সুগঠিত, দীর্ঘ ও শাখাপ্রশাখাযুক্ত।

পাতাঃ বাষ্পমোচনের হার কমানোর জন্য পাতা কাঁটায় রূপান্তরিত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close