LightBlog
মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন ২০২৪ - ষষ্ঠ অধ্যায় – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালচনা
Type Here to Get Search Results !

মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন ২০২৪ - ষষ্ঠ অধ্যায় – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালচনা

মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন ২০২৪ - ষষ্ঠ অধ্যায় – বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য  ও পর্যালচনা

Madhyamik History Suggestion 2024 Part 6


ষষ্ঠ অধ্যায়
বিশ শতকের ভারতে কৃষক শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা


বিভাগ ক


    ১) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন কর : 

    ১.১ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল -

    (ক) ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে

    (খ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে

    (গ) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে

    (ঘ) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে

    উত্তর : (খ) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে

    ১.২ চৌরিচৌরার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোন আন্দোলন প্রত্যাহার করার চেষ্টা করা হয় -

    (ক) স্বদেশী আন্দোলন 

    (খ) অহিংস আন্দোলন 

    (গ)  আইন অমান্য আন্দোলন 

    (ঘ)ভারত ছাড়ো আন্দোলন

    উত্তরঃ (খ) অহিংস আন্দোলন

    ১.৩ তিন কাঠিয়া প্রথা যে চাষের সঙ্গে যুক্ত ছিল তা হল -

    (ক) আফিম চাষ

    (খ) নীল চাষ

    (গ) তুলা চাষ

    (ঘ) পাট চাষ

    উত্তর : (খ) নীল চাষ

    ১.৪ "খুদা ই খিদমতগার" তৈরি করেন -

    (ক) বাবা রাম চন্দ্র 

    (খ) গান্ধীজি 

    (গ) মৌলানা ভাসানী 

    (ঘ) খান আব্দুল গহর খান

    উত্তরঃ (ঘ) খান আব্দুল গহর খান

    ১.৫ একা আন্দোলন ঘটেছিল -

    (ক) বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের পর্যায়ে

    (খ) আইন অমান্য আন্দোলনের পর্যায়ে

    (গ) অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের পর্যায়ে

    (ঘ) ভারতছাড়ো আন্দোলনের পর্যায়ে

    উত্তর : (গ) অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের পর্যায়ে

    ১.৬ নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস স্থাপিত হয় - 

    (ক) ১৯২০খ্রিঃ 

    (খ) ১৯২২খ্রিঃ 

    (গ) ১৯২৫ খ্রিঃ 

    (ঘ) ১৯২৮ খ্রিঃ

    উত্তরঃ (ক) ১৯২০খ্রিঃ

    ১.৭ বাবা রামচন্দ্র কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন -

    (ক) বিহারে

    (খ) যুক্তপ্রদেশে

    (গ) রাজস্থানে

    (ঘ) মহারাষ্ট্রে

    উত্তর : (খ) যুক্তপ্রদেশে

    ১.৮ 'দেশপ্রান' আখ্যা দেয়া হয়েছিল - 

    (ক)সুভাষচন্দ্র বসুকে 

    (খ) বীরেন্দ্রনাথ শাসমলকে 

    (গ) চিত্তরঞ্জন দাশ  

    (ঘ) শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী

    উত্তরঃ (খ) বীরেন্দ্রনাথ শাসমলকে

    ১.৯ একা আন্দোলনের নেতা ছিলেন -

    (ক) মাদারি পাশি

    (খ) ডঃ আম্বেদকর

    (গ) মহাত্মা গান্ধী

    (ঘ) বাবা রামচন্দ্র

    উত্তর : (ক) মাদারি পাশি

    ১.১০ ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে নৌ বিদ্রোহ হয়েছিল - 

    (ক)মাদ্রাজে 

    (খ) মুম্বাইতে 

    (গ) কলকাতায় 

    (ঘ) দিল্লিতে

    উত্তরঃ (খ) মুম্বাইতে

    ১.১১ বারদৌলি সত্যাগ্রহ হয়েছিল -

    (ক) বোম্বাই

    (খ) পাঞ্জাবে

    (গ) মাদ্রাজে

    (ঘ) গুজরাটে

    উত্তর : (ঘ) গুজরাটে

    ১.১২ বারদৌলি সত্যাগ্রহ সময় 'সর্দার' উপাধি পান - 

    (ক) রাজেন্দ্র প্রসাদ 

    (খ) কল্যাণজি মেহত 

    (গ) বল্লভ ভাই প্যাটেল 

    (খ)গান্ধীজি 

    উত্তরঃ (গ) বল্লভ ভাই প্যাটেল

    ১.১৩ তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় -

    (ক) মালদহ জেলার

    (খ) মেদিনীপুর জেলায়

    (গ) হাওড়া জেলায়

    (ঘ) বর্ধমান জেলায়

    উত্তর : (খ) মেদিনীপুর জেলায়

    ১.১৪ সবরমতী আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন - 

    (ক) নেতাজি 

    (খ) জিন্না 

    (গ) নেহেরু 

    (ঘ) গান্ধীজি

    উত্তরঃ (ঘ) গান্ধীজি

    ১.১৫ ওয়ার্কার্স এন্ড পেজেন্টস পার্টি যুক্ত ছিল -

    (ক) রাওলাট সত্যাগ্রহে

    (খ) অসহযোগ আন্দোলনে

    (গ) বারদৌলি সত্যাগ্রহে

    (ঘ) সাইমন কমিশন বিরোধী আন্দোলনে

    উত্তর : (ঘ) সাইমন কমিশন বিরোধী আন্দোলনে

    ১.১৬ মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার একজন অভিযুক্ত ছিলেন - 

    (ক) ফিলিপ স্প্র্যাট 

    (খ) ভগৎ সিং 

    (গ) ক্ষুদিরাম বসু 

    (ঘ) রাসবিহারী বসু

    উত্তরঃ (ক) ফিলিপ স্প্র্যাট

    ১.১৭ নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হয়েছিল -

    (ক) ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে

    (খ) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে

    (গ) ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে

    (ঘ) ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে

    উত্তর : (খ) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে

    ১.১৮ স্বরাজ্য দলের সভাপতি ছিলেন - 

    (ক) গান্ধীজি 

    (খ) চিত্তরঞ্জন দাশ 

    (গ) নেতাজি 

    (ঘ) মতিলাল নেহেরু

    উত্তরঃ (খ) চিত্তরঞ্জন দাশ

    ১.১৯ এম এন রায়ের প্রকৃত নাম হল -

    (ক) মানবেন্দ্রনাথ রায়

    (খ) নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য

    (গ) বিমলেন্দু রায়

    (ঘ) নরেন্দ্র নাথ রায়

    উত্তর : (খ) নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য

    ১.২০ ভারতের যে পার্টিকে দ্বিজ বলা হয় সেটি হল -

    (ক) কমিউনিস্ট পার্টি

    (খ) জাতীয় কংগ্রেস

    (গ) মুসলিম লীগ

    (ঘ) কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী

    উত্তর : (ক) কমিউনিস্ট পার্টি

    ১.২১ মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত কমিউনিস্ট নেতার সংখ্যা ছিল -

    (ক) ২৮ জন

    (খ) ৩০ জন

    (গ) ৩২ জন

    (ঘ) ৩৩ জন

    উত্তর : (গ) ৩২ জন

    ১.২২ বয়কট আন্দোলনের ফলে রাজনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল -

    (ক) বাংলার কৃষক শ্রেণী

    (খ) মধ্যবিত্ত শ্রেণী

    (গ) জমিদার শ্রেণী

    (ঘ) ছাত্রসমাজ

    উত্তর : (ক) বাংলার কৃষক শ্রেণী

    ১.২৩ ফরওয়ার্ড ব্লক দল গঠন করেন -

    (ক) চিত্তরঞ্জন দাস

    (খ) মুজাফফর আহমেদ

    (গ) ধরণী গোস্বামী

    (ঘ) সুভাষচন্দ্র বসু

    উত্তর : (ঘ) সুভাষচন্দ্র বসু


    বিভাগ 'খ' 

    ২) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলি উত্তর দাওঃ

    (প্রতিটি উপ বিভাগ থেকে অন্তত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে)

    উপ-বিভাগ ২.১

    ** একটি বাক্য উত্তর দাও:

    ২.১.১ কত খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়েছিল?

    উত্তর : ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ

    ২.১.২ করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে - এটি কার উক্তি?

    উত্তরঃ গান্ধীজি

    ২.১.৩ রাম্পা বিদ্রোহের একজন নেতার নাম লেখ।

    উত্তর : সীতারাম রাজু

    ২.১.৪ সীমান্ত গান্ধী নামে কে পরিচিত? 

    উত্তরঃ খান আবদুল গফফর খান

    ২.১.৫ একা আন্দোলন কোথায় সংঘটিত হয়েছিল?

    উত্তর : উত্তরপ্রদেশে

    ২.১.৬ একা আন্দোলনের দুজন নেতার নাম লেখ। 

    উত্তরঃ মাদারী পাশী ও বাবা গরীব দাস

    ২.১.৭ তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার কে প্রতিষ্ঠা করেন?

    উত্তর : সতীশচন্দ্র সামন্ত

    ২.১.৮ ভারতে প্রথম কবে মে দিবস পালিত হয়?

    উত্তরঃ ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের পয়লা মে

    ২.১.৯ তেভাগা আন্দোলনের একজন নেতার নাম লেখ।

    উত্তর : চারু মজুমদার

    ২.১.১০ সর্বভারতীয় কিষান সভার প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?

    উত্তর : স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী

    ২.১.১১ All India trade union Congress প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?

    উত্তর : লালা লাজপত রায়

    ২.১.১২ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব কার?

    উত্তর : মানবেন্দ্রনাথ রায়ের


    ২.১.১৩ কবে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা রুজু হয়?

    উত্তর : ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে

    ২.১.১৪ রেডিক্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি কে প্রতিষ্ঠা করেন?

    উত্তর : মানবেন্দ্রনাথ রায়

    ২.১.১৫ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন কার নেতৃত্বে গঠিত হয়?

    উত্তর : এম এন জোশির নেতৃত্বে

    ২.১.১৬ কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দলের একজন নেতার নাম লেখ।

    উত্তর : জয়প্রকাশ নারায়ণ

    উপ বিভাগ ২.২ 

    ** ঠিক বা ভুল নির্ণয় কর : 

    ২.২.১ স্বদেশী বা বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে কৃষকদের স্বার্থ ছিল অবহেলিত।

    উত্তর : সত্য

    ২.২.২ কংগ্রেস ও খিলাফত নেতারা একা আন্দোলনে সমর্থন জানায়। 

    উত্তরঃ ঠিক

    ২.২.৩ মোপলা বিদ্রোহ মালাবার কৃষকদের নেতৃত্বে হয়েছিল।

    উত্তর : সত্য

    ২.২.৪ ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময়ে জমিদারদের বিরোধিতা নয় সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা ছিল কৃষক আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্য। 

    উত্তরঃ ঠিক

    ২.২.৫ বল্লভ ভাই প্যাটেল বারদৌলিতে সক্রিয় কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলেন।

    উত্তর : সত্য

    ২.২.৬ ফরওয়ার্ড ব্লক ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে একটি পৃথক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। 

    উত্তরঃ ঠিক

    ২.২.৭ বকস্ত কথার অর্থ হল খাস জমি বা বাজেয়াপ্ত জমি।

    উত্তর : সত্য

    ২.২.৮ বারদৌলি সত্যাগ্রহ এর পর সরকার নিযুক্ত কমিটি ৬.০৩ শতাংশ খাজনা অনুমোদন করে। 

    উত্তরঃ ঠিক

    ২.২.৯ ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে।

    উত্তর : সত্য

    ২.২.১০ ফরওয়ার্ড ব্লক ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়।

    উত্তর : সত্য


    উপ বিভাগ ২.৩

    ** ক স্তম্ভের সঙ্গে খ স্তম্ভ মিলাও : 

    ক স্তম্ভ                                    খ স্তম্ভ

    ২.৩.১) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দ       ক) সারা ভারত কিষান কংগ্রেস

    ২.৩.২) ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ      খ) মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা

    ২.৩.৩) ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দ     গ) কানপুর ষড়যন্ত্র মামলা

    ২.৩.৪) ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দ     ঘ) একা আন্দোলন

    উত্তরঃ ২.৩.১) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দ  -  ঘ) একা আন্দোলন

    ২.৩.২) ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ - গ) কানপুর ষড়যন্ত্র মামলা

    ২.৩.৩) ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দ - খ) মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা

    ২.৩.৪) ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দ - ক) সারা ভারত কিষান কংগ্রেস


          ক স্তম্ভ                             খ স্তম্ভ

    ২.৩.১) মোপলা বিদ্রোহ        (ক) গোদাবরী উপত্যকা

    ২.৩.২) রাম্পা বিদ্রোহ          (খ) দিনাজপুর

    ২.৩.৩) বকাস্ত আন্দোলন      (গ) মালাবার

    ২.৩.৪) তেভাগা আন্দোলন    (ঘ) বিহার

    উত্তর : ২.৩.১)  মোপলা বিদ্রোহ – (গ) মালাবার

    ২.৩.২) রাম্পা বিদ্রোহ – (ক) গোদাবরী উপত্যকা

    ২.৩.৩) বখস্ত আন্দোলন – (ঘ) বিহার

    ২.৩.৪) তেভাগা আন্দোলন – (খ) দিনাজপুর


    ক স্তম্ভ                                         খ স্তম্ভ

    ২.৩.১) স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী (ক) সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন

    ২.৩.২) লালা লাজপত রায়      (খ) মাদ্রাজ লেবার ইউনিয়ন

    ২.৩.৩) বিপি ওয়াদিয়া            (গ) মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা

    ২.৩.৪) এস এ ডাঙ্গে               (ঘ) সর্বভারতীয় কিষাণ সভা

    উত্তর : ২.৩.১) স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী – (ঘ) সর্বভারতীয় কিষাণ সভা

    ২.৩.২) লালা লাজপত রায় – (ক) সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন

    ২.৩.৩) বিপি ওয়াদিয়া – (খ) মাদ্রাজ লেবার ইউনিয়ন

    ২.৩.৪) এস এ ডাঙ্গে – (গ) মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা


    ক স্তম্ভ                        খ স্তম্ভ

    ২.৩.১) ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে    (ক) ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি

    ২.৩.২) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে    (খ) সর্বভারতীয় কিষাণ সভা

    ২.৩.৩) ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে    (গ) মাদ্রাজ লেবার ইউনিয়ন

    ২.৩.৪) ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে    (ঘ) সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন

    উত্তর : ২.৩.১)  ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে – (গ) মাদ্রাজ লেবার ইউনিয়ন

    ২.৩.২) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে – (ঘ) সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন

    ২.৩.৩) ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে – (ক) ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি

    ২.৩.৪) ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে – (খ) সর্বভারতীয় কিষাণ সভা

    উপবিভাগ ঃ ২.৫

    ** নিম্ন লিখিত বিবৃতি গুলির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যাটা নির্বাচন করে: 

    ২.৫.১ বিবৃতি : একা আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে।

    ব্যাখ্যা ১ : এটি ছিল ব্যক্তিগত আন্দোলন।

    ব্যাখ্যা ২ : এটি ছিল একটি কৃষক আন্দোলন।

    ব্যাখ্যা ৩ : এটি ছিল একটি শ্রমিক আন্দোলন।

    উত্তর : ব্যাখ্যা ২ : এটি ছিল একটি কৃষক আন্দোলন।

    ২.৫.২ বিবৃতিঃ আইন অমান্য আন্দোলনে ভারতের কৃষক সম্প্রদায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে শামীল হয়। 

    ব্যাখ্যা ১: কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি এই আন্দোলনের কর্মসূচি ভুক্ত হয় । 

    ব্যাখ্যা ২: কৃষক সম্প্রদায় এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পায়। 

    ব্যাখ্যা ৩: আন্দোলনে কৃষি কর বিষয়টিতে জোর দেয়া হয়। 

    উত্তরঃ ব্যাখ্যা ১: কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি এই আন্দোলনের কর্মসূচি ভুক্ত হয় ।

    ২.৫.৩ বিবৃতি : অসহযোগ আন্দোলনে মোপলা বিদ্রোহ ছিল ব্যতিক্রমী।

    ব্যাখ্যা ১ : এই বিদ্রোহ হিংসাত্মক ও সাম্প্রদায়িক চরিত্র ধারণ করেছিল।

    ব্যাখ্যা ২ : টিপু সুলতানের অধীনে বহু মোপলা ইংরেজদের বিরুদ্ধে গেরিলা লড়াই করেছিল।

    ব্যাখ্যা ৩ : মোপলারা সাংবিধানিক পদ্ধতিতে ইংরেজদের সঙ্গে লড়াই করেছিল।

    উত্তর : ব্যাখ্যা ১ : এই বিদ্রোহ হিংসাত্মক ও সাম্প্রদায়িক চরিত্র ধারণ করেছিল।

    ২.৫.৪ বিবৃতিঃ ঢাকা অনুশীলন সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয় । 

    ব্যাখ্যা ১: পূর্ববঙ্গে শ্রমিক আন্দোলনকে গতিশীল করার জন্য। 

    ব্যাখ্যা ২: আইন অমান্য আন্দোলন কে গতিশীল করার জন্য। 

    ব্যাখ্যা ৩: স্বদেশী আন্দোলনে কৃষকদের যুক্ত করার জন্য। 

    উত্তরঃ ব্যাখ্যা ৩: স্বদেশী আন্দোলনে কৃষকদের যুক্ত করার জন্য।

    ২.৫.৫ বিবৃতি : ভারত সরকার ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা শুরু করে।

    ব্যাখ্যা ১ : এর উদ্দেশ্য ছিল বিপ্লবীদের দমন করা।

    ব্যাখ্যা ২ : এর উদ্দেশ্য ছিল আইন অমান্য আন্দোলন করা।

    ব্যাখ্যা ৩ : এর উদ্দেশ্য বিশ্বব্যাপী সাম্যবাদী কার্যকলাপ দমন করা।

    উত্তর : ব্যাখ্যা ৩ : এর উদ্দেশ্য বিশ্বব্যাপী সাম্যবাদী কার্যকলাপ দমন করা।

    ২.৫.৬ বিবৃতিঃ ব্রিটিশ সরকার ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে কৃষি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে । 

    ব্যাখ্যা ১: চম্পারণ এর নীল চাষীদের চাপে নীল চাষ সম্পর্কে অনুসন্ধান করার জন্য। 

    ব্যাখ্যা ২: আইন অমান্য আন্দোলন কি গতিশীল করে তোলার জন্য। 

    ব্যাখ্যা ৩: দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষকদের সঙ্গে ভারতীয় কৃষকদের সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য। 

    উত্তরঃ ব্যাখ্যা ১: চম্পারণ এর নীল চাষীদের চাপে নীল চাষ সম্পর্কে অনুসন্ধান করার জন্য। 

    ২.৫.৭ বিবৃতি : ভারত ছাড়ো আন্দোলনে কমিউনিস্টরা যোগ দেয়নি।

    ব্যাখ্যা ১ : জাতীয় কংগ্রেস দ্বারা এই আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল।

    ব্যাখ্যা ২ : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির প্রতি কমিউনিস্টদের সমর্থন ছিল।

    ব্যাখ্যা ৩ : কমিউনিস্টরা নিজেদের স্বতন্ত্র রাখতে চেয়েছিল।

    উত্তর : ব্যাখ্যা ২ : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির প্রতি কমিউনিস্টদের সমর্থন ছিল।

    ২.৫.৮ বিবৃতিঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাইট উপাধি ত্যাগ করেন। 

    ব্যাখ্যা ১: চৌরিচৌরার ঘটনার প্রতিবাদে। 

    ব্যাখ্যা ২: জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে। 

    ব্যাখ্যা ৩: নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন চালু করার জন্য। 

    উত্তরঃ ব্যাখ্যা ২: জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে।

    ২.৫.৯ বিবৃতি : বিশ শতকের ভারতে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনে বামপন্থীদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।

    ব্যাখ্যা ১ : বামপন্থীরা ছিল জমিদার ও শিল্পপতিদের সমর্থক।

    ব্যাখ্যা ২ : তারা ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সমর্থক।

    ব্যাখ্যা ৩ : তারা ছিলো শ্রমিক কৃষকদের ব্রিটিশবিরোধী ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের সমর্থক।

    উত্তর : ব্যাখ্যা ৩ : তারা ছিলো শ্রমিক কৃষকদের ব্রিটিশবিরোধী ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের সমর্থক।


    বিভাগ গ

    (৩) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

    প্রশ্নঃ 'তিনকাঠিয়া প্রথা' কী?

    উত্তরঃ বিহারের চম্পারণে নীলকর সাহেবরা চাষিদের বিঘা প্রতি জমিতে নীলচাষ ও নির্দিষ্ট দামে উৎপাদিত নীল নীলকর সাহেবদের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য থাকত। এই ব্যবস্থাই তিনকাঠিয়া প্রথা নামে পরিচিত।

    প্রশ্নঃ মোপলা বিদ্রোহ কেন হয়েছিল?

    উত্তরঃ অসহযোগ আন্দোলনকালে মালাবার অঞ্চলের মোপলা নামক মুসলমান কৃষক সম্প্রদায় হিন্দু জমিদারদের শোষণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। স্বরাজের সপক্ষে নেতাদের প্রচারের ফলে মোপলাদের ধারণা হয় যে, দেশে স্বরাজ এসে গেছে। তারা নিজেদের অঞ্চলে হিন্দু জমিদারদের উচ্ছেদ করার পাশাপাশি প্রায় ৩০০ হিন্দুকে হত্যা করে এবং ২৫০০ জন হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করেছিল বলে মোপলা বিদ্রোহ সাম্প্রদায়িক রূপ ধারণ করে।

    প্রশ্নঃ একা আন্দোলন শুরু হয় কেন?

    উত্তরঃ একা আন্দোলন সংগঠিত পিছনে কারণগুলি হল -

    (১) ঠিকাদার নামের রাজস্ব সংগ্রহকারীরা অত্যাধিক হারে রাজস্ব ও নানারকম উপকর আদায় করত।

    (২) কংগ্রেস ও খিলাফতি নেতাদের উদ্যোগও এই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট রচনায় সাহায্য করে।

    প্রশ্নঃ চৌরিচৌরা ঘটনাটির গুরুত্ব কী ছিল?

    উত্তরঃ চৌরিচৌরা ঘটনার গুরুত্ব হল -

    (১) চৌরিচৌরার এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী মহাত্মা গান্ধি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।

    (২) চৌরিচৌরা ঘটনার পূর্বে মহাত্মা গান্ধির পরিচালিত আন্দোলনে জনগণের যোগদান ক্রমেই হ্রাস পায় ও আন্দোলনকে ধরে রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতে চৌরিচৌরা ঘটনা গান্ধির কাছে আশীর্বাদ রূপে দেখা দেয় এবং চৌরিচৌরা ঘটনার অজুহাতে গান্ধিজী অসহযোগ আন্দোলন থামিয়ে দেন।

    প্রশ্নঃ বারদৌলি সত্যাগ্রহ আন্দোলন কেন শুরু হয়?

    উত্তরঃ গুজরাটের সুরাট জেলার বারদৌলি অঞ্চলে সরকার ৩০ শতাংশ ভূমি রাজস্ব বৃদ্ধি করে। এর প্রতিবাদে এখানকার হিন্দু-মুসলমান কৃষকেরা প্রথমে স্থানীয় নেতৃত্ব ও পরে গান্ধিবাদী নেতা বল্লভভাই প্যাটেলের নেতৃত্ব ১৯২৮ খ্রিঃ খাজনা হ্রাসের দাবিতে যে সত্যগ্রহ আন্দোলন শুরু করে তা বারদৌলি সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত। আন্দোলনের চাপে সরকার খাজনা হ্রাস করতে বাধ্য হয়েছিল।

    প্রশ্নঃ তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার কী কী উদ্যোগ নিয়েছিল?

    উত্তরঃ সতীশচন্দ্র সামন্তের নেতৃত্ব গঠিত তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার যে সমস্ত উদ্যোগ নিয়েছিল, সেগুলি হল -

    (১) বিদ্যুৎবাহিনী নামক একটি সামরিক বাহিনী গঠন, যার অন্তর্গত ছিল গোরালি দল, ভগনী সেনা ও আইনশৃঙ্ঘলা কমিটি।

    (২) পটাশপুর, কাঁথি প্রভৃতি স্থানে জেলা থানা গঠন এবং তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের সরকারি প্রশাসন স্থাপন।

    প্রশ্নঃ ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি কেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

    উত্তরঃ ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস্‌ পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কারণ -

    (১) বামপন্থী গোষ্ঠীরূপে জাতীয় কংগ্রেসের মধ্যেই কাজ করা এবং ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টিকে আরও বেশি করে জনগণের পার্টিতে পরিণত করা।

    (২) শ্রমিক ও কৃষকদের সংগঠিত করা।

    প্রশ্নঃ তেভাগা আন্দোলন কী?

    উত্তরঃ ভারতের স্বাধীনতালাভের প্রাক্কালে বঙ্গীয় কৃষক সভার উদ্যোগে এবং কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যে ভাগচাষি আন্দোলন শুরু হয় তা তেভাগা আন্দোলন নামে খ্যাত।

    প্রশ্নঃ নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

    উত্তরঃ নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি হল -

    (১) সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদের বিরোধিতা করা, অর্থাৎ রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা লাভ করা।

    (২) জাতীয় রাজনীতিতে শ্রমিক শ্রেণির অংশগ্রহণ করে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামকে জোরদার করা।

    প্রশ্নঃ ভারতের কমিনিস্ট পার্টিকে দ্বিজ বলা হয় কেন?

    উত্তরঃ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিকে দ্বিজ বলা হয়, কারণ এই দল দুইবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল -

    (১) ১৯২০ খ্রিঃ রাশিয়ার তাসখন্দে মানবেন্দ্রনাথ রায়ের নেতৃত্বে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

    (২) ১৯২৫ খ্রিঃ সিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়ার সভাপতিত্বে কানপুরে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা হয়। তাই আক্ষরিক অর্থে কমিউনিস্ট পার্টিকে দ্বিজ বলা হয়।

    প্রশ্নঃ মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা কী?

    উত্তরঃ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে কমিউনিস্ট তৎপরতায় শঙ্কিত হয়ে বামপন্থী শ্রমিক আন্দোলনকে দমন করার জন্য ব্রিটিশ সরকার জন নিরাপত্তা আইনে ১৯২৯ খ্রিঃ ২০ই মার্চ প্রথমে ৩১ জন কমিউনিস্ট শ্রমিক নেতা ও সংগঠককে গ্রেপ্তার করে এবং পরে এইচ এল হ্যাচিনসনকে গ্রেপ্তার করে। এভাবে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে যে মামলা রুজু করা হয় - তা মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিতিচ। এই মামলা চার বছর ধরে চলেছিল।

    প্রশ্নঃ ত্রিপুরি কংগ্রেসের গুরুত্ব কী ছিল?

    উত্তরঃ ত্রিপুরি কংগ্রেসের গুরুত্ব হল -

    (১) ত্রিপুরি কংগ্রেসে সুভাষচন্দ্র বসুর জয়লাভের ফলে কংগ্রেসের সভাপতি বামপন্থী ও দক্ষিণ পন্থীদের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়।

    (২) কংগ্রেসের অভ্যন্তরে মতপার্থক্য তৈরি হওয়াতে সুভাষচন্দ্র সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং ফরওয়ার্ড ব্লক নামে এক নতুন দল প্রতিষ্ঠা করেন।

    বিভাগ ঘ

    (৪) ব্যাখ্যা ভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ঃ

    প্রশ্নঃ বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলন পর্বে স্বদেশি আন্দোলনে কৃষকশ্রেণির কীরূপ ভূমিকা ছিল?

    উত্তরঃ ব্রিটিশ শাসক লর্ড কার্জন ১৯০৫ খ্রিঃ বাংলাকে দ্বিখন্ডিত করে ব্রিটিশ-বিরোধিতা দুর্বল করার চেষ্টা করেন। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া জাতীয় স্তরের আন্দোলনে কৃষকদের মিশ্র ভূমিকা লক্ষ করা যায়, নিচে সেগুলি আলোচনা করা হল -

    (১) কংগ্রেসের নেতিবাচক ভূমিকাঃ কংগ্রেস বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে কৃষকদের শামিল করার বা খাজনা প্রদান বন্ধে কৃষকদের উৎসাহিত করার বিশেষ উদ্যোগ নেয়নি।

    (২) বাংলায় কৃষক আন্দোলনঃ কংগ্রেস উদ্যোগ না নিলেও বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করে বাংলায় কৃষকরা স্বদেশি ও বয়কট বিরোধিতা করে বাংলায় কৃষকরা স্বদেশি ও বয়কট আন্দোলনে সীমিতভাবে শামিল হয়। বহু কৃষক পরিবারে বিলাতি পণ্য বর্জন করা হয়।

    (৩) মুসলিম কৃষকদের নেতিবাচক ভূমিকাঃ বাংলার হিন্দু কৃষকদের একাংশ বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করলেও যোগ না দিয়ে বরং বঙ্গভঙ্গকে সমর্থন করেছিল। কারণ তারা মনে করেছিল যে, পূর্ববঙ্গের মুসলিম কৃষকদের কাছে বঙ্গভঙ্গ মঙলজনক।

    (৪) দলিত কৃষকদের ভূমিকাঃ পূর্ববঙ্গের হিন্দু দলিত কৃষকশ্রেণি, বিশেষ করে নমঃশূদ্র কৃষকরা রাজেন্দ্রলাল মন্ডলের নেতৃত্বে বঙ্গভঙ্গকে সমর্থন করেছিল।

    প্রশ্নঃ মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে চম্পারণ সত্যাগ্রহ বিশ্লেষণ করো।

    উত্তরঃ স্থানীয় কৃষক আন্দোলনে সফলভাবে নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে ভারতের জাতীয় আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধি বা গান্ধিজির রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল। এইরকম দুটি উল্লেখযোগ্য আন্দোলন ছিল চম্পারণ ও খেদার কৃষক আন্দোলন।

         রাসায়নিক পদ্ধতিতে কৃত্রিম নীল আবিষ্কারের পর ভারতে নীলচাষ উঠে গেলেও বিহারের চম্পারণসহ বিভিন্ন এলাকায় তিন কাঠিয়া প্রথায় নীলচাষ করা হত। তাই চম্পারণে বলপূর্বক নীলচাষ করানো এবং নীলকর সাহেবদের অকথ্য অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীলচাষীরা স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল।

    আন্দোলনে গান্ধিজীর যোগদানঃ চম্পারণের কয়েকজন মানুষের আবেদনে গান্ধিজী রেজেন্দ্র প্রসাদ, আচার্য কৃপালনী, মহাদেব দেশাই প্রমুখ তরুণ জাতীয়তাবাদী নেতাকে সঙ্গে নিয়ে চম্পারণে পৌঁছান। সেখানে পৌঁছে তিনি কৃষকদের দুর্দশা ও নীলকরদের অত্যাচার সম্পর্কে অনুসন্ধান শুরু করেন।

         বিহারের চম্পারণ জেলায় নীলচাষিদের স্বার্থরক্ষার জন্য ১৯১৭ খ্রিঃ গান্ধিজি যে সত্যাগ্রহের শুরু করেছিলেন তাকে চম্পারণ কৃষি বিল পাস করে এবং তিনকাঠিয়া প্রথা তুলে দেয়।

    গুরুত্বঃ ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে চম্পারণের আন্দোলনের ফলে কৃষকদের মনোবল বৃদ্ধি পায় এবং গান্ধিজির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলনের সাফল্য জাতীয় রাজনীতিতে কৃষকদের গুরুত্ব বৃদ্ধি করে।

    প্রশ্নঃ বারদৌলি সত্যাগ্রহ সম্পর্কে কী জানো?

    উত্তরঃ গুজরাটের সুরাট জেলার বারদৌলি তালুকের কৃষকরা ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ এক শক্তিশালী সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করে, যা বারদৌলি সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত।

    কৃষকদের অবস্থাঃ বারদৌলি তালুকের সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষকরাই ছিল নিম্নবর্ণের কালিপরাজ সম্প্রদায়ভুক্ত। সীমাহীন দারিদ্র্য, সামাজিক অবজ্ঞা তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল।

    আন্দোলনের কারণঃ ১৯২৫ খ্রিঃ ভয়ংকর বন্যায় ফসল নষ্ট হলে বারদৌলির কৃষকরা দুর্ভিক্ষের শিকার হওয়া সত্ত্বেও সরকার তাদের ওপর প্রথমে ৩০ শতাংশ এবং পরে তা কমিয়ে প্রায় ২২ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধির কথা ঘোষনা করে। ফলে কৃশকরা বিদ্রোহী নয়।

    সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নেতৃত্বঃ বারদৌলি সত্যাগ্রহে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কৃষকরা গান্ধিবাদী কংগ্রেস নেতা বল্লভভাই প্যাটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি এখানে কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করে অহিংস প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলেন। বারদৌলির কৃষক-রমণীরা তাঁকে সর্দার উপাধি দেন।

    প্রভাবঃ আন্দোলনের সমর্থনে বোম্বাই বিধানসভায় সদস্য কে এম মুন্সি ও লালজি নারাণজি পদত্যাগ করেন। গান্ধিজিও বারদৌলিতে এসে আন্দোলনে নেতৃত্বদানের কথা ঘোষণা করেন। শেষপর্যন্ত সরকার নিযুক্ত এক কমিটি ৬.০৩% খাজনা বৃদ্ধি অনুমোদন করলে কৃষকরা তা দিতে রাজি হয়।

    প্রশ্নঃ আইন অমান্য আন্দোলনে কৃষক শ্রেণির ভূমিকা কী রূপ ছিল?

    উত্তরঃ আইন অমান্য আন্দোলনের সময় ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বামপন্থী মনোভাবাপন্ন কংগ্রেসের সমাজতান্ত্রিক নেতাদের নেতৃত্বে জঙ্গি কৃষক আন্দোলন দানা বাঁধে।

         ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে কৃষক শ্রেণির মধ্যে জেগে ওঠা চেতনাকে কাজে লাগিয়ে কৃষকদের খাজনা বন্ধকে কংগ্রেসের কর্মসূচির আওতায় আনা হয়।

         উত্তরপ্রদেশেঃ উত্তরপ্রদেশে সরকারি খাজনা বদ্ধ করার পাশাপাশি জমিদার ও তালুওদারদেরও খাজনা দেওয়া বন্ধ করা হয়। রায়বেরিলি, আগ্রা, বারবাঁকি প্রভৃতি জেলায় আন্দোলন প্রসারিত হয়। জওহরলাল নেহরু এই কিষান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

         গুজরাটেঃ গুজরাটের সুরাট ও খেদা অঞ্চলের কৃষকরা খাজনা বন্ধ করে দেয় এবং সরকারি দমননীতি থেকে রক্ষা পেতে প্রতিবেশী বরোদা রাজ্যে আশ্রয় নেয়। বহু কৃষকের জমি নিলামে বিক্রি হয়।

         বাংলায়ঃ কিষান সভা, শ্রমিক-কৃষক পার্টি ও কৃষক-প্রজা দলের উদ্যোগে কিশোরগঞ্জ সহ বাংলার বিভিন্ন স্থানে কৃষক আন্দোলন শুরু হয় এবং মেদিনীপুরে চৌকিদারি কর বন্ধ করা হয়।

         অন্যান্য স্থানেঃ পাঞ্জাবে জলসেচ কর ও ভূমিরাজস্ব হ্রাসের আন্দোলন, বিহারে যদুনন্দন শর্মার নেতৃত্বে কিষান আন্দোলন, কৃষ্ণা জেলায় খাজনা বন্ধের আন্দোলন প্রভৃতি ছিল আইন অমান্য আন্দোলনের সময় উল্লেখযোগ্য কৃষক আন্দোলন।

    প্রশ্নঃ অহিংস অসহযোগ আন্দোলন পর্বে ভারতের কৃষক আন্দোলনের পরিচয় দাও।

    উত্তরঃ দেশে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, দমনমূলক রাওলাট আইন, জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ড প্রভৃতির প্রতিবাদে গান্ধিজির নেতৃত্বে জাতীয় কংগ্রেস ১৯২০ খ্রিঃ অহিংস অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। বহু কৃষক এই আন্দোলনে শামিল হয়।

         বাংলায়ঃ বাংলার মেদিনীপুর, পাবনা, কুমিল্লা, রাজশাহি, বগুড়া, রংপুর, বীরভূম, দিনাজপুর ও বাঁকুড়া জেলার কৃষকরা কংগ্রেসের অসহযোগ ও বয়কট আন্দোলনকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে। মেদিনীপুরে বীরেন্দ্রনাথ শাসমল, রাজশাহিতে সোমেশ্বর চৌধুরী, বীরভূমে জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।

         বিহারঃ বিহারের ভাগলপুর, মুজফরপুর, পূর্ণিয়া, মুঙ্গের, দ্বারভাঙ্গা, মধুবনী, সীতামারি জেলায় কৃষকরা আন্দোলন যোগ দিয়ে জমিদারদের খাজনা দেওয়া বন্ধ করে এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

         উত্তরপ্রদেশঃ উত্তরপ্রদেশে বাবা রামচন্দ্রের নেতৃত্বে কিষাণ সভা অসহযোগ আন্দোলনের সময় রায়বেরিলি, প্রতাপগড়, সুলতানপুর প্রভৃতি অঞ্চলে কৃষকরা আন্দোলনকে চরম রূপ দেয়।

         অন্যান্য রাজ্যেঃ অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলায় কৃষকরা, পাঞ্জাবের অকালী শিখ ও জাঠ কৃষকরা, উড়িষ্যার কৃষকরা অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।

    প্রশ্নঃ ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় কৃষকরা কী ভূমিকা পালন করেছিল?

    উত্তরঃ মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে ১৯৪২ খ্রিঃ ৮ই আগস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হলেও তা ছিল কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত এবং কৃষকসহ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন।

         বিহারঃ বিহারে কিষাণ সভার নেতৃত্বে পরিচালিত কৃষক আন্দোলন ছিল উগ্র এবং তা বিহারের সব জেলাতেই ছড়িয়ে পড়েছিল। রেলওয়ে স্টেশন, পৌরভবন ও ডাকঘরে অগ্নিসংযোগ ছিল আন্দোলনের বিভিন্ন দিক।

         বাংলাঃ বাংলার কলকাতা, দিনাজপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর ছিল কৃষক আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র। মেদিনীপুরের তমলুক মহকুমা, পটাশপুর থানা, খেজুরি থানা এলাকায় কৃষকেরা জমিদারদের খাজনা দেওয়া বদ্ধ করে দেয় এবং তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

         গুজরাটঃ গুজরাটের সুরাট, আমেদাবাদ, রাজকোট, পোরবন্দর, খান্দেশ, ব্রোচ প্রভৃতি স্থানে কৃষকরা গেরিলা কায়দায় আন্দোলন পরিচালনা করেছিল।

         সুরাটঃ সুরাটের কৃষকরা রেল অবরোধ করে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিন্ন করার পাশাপাশি সরকারি নথিপত্রও পুড়িয়ে দেয়।

    প্রশ্নঃ তেলেঙ্গানা আন্দোলনের ওপর একটি টীকা লেখো।

    উত্তরঃ হায়দ্রাবাদ রাজ্যের তেলেঙ্গানায় ১৯৪৬ খ্রিঃ মধ্যভাগ থেকে ১৯৫১ খ্রিঃ পর্যন্ত কমিউনিস্ট পরিচালিত সশস্ত্র কৃষক আন্দোলন তেলেঙ্গানা আন্দোলন নামে পরিচিত।

    আন্দোলনের কারণঃ এই আন্দোলনের প্রধান দুটি কারণ হল -

    (১) নিজামের অত্যাচারঃ নিজাম শাসিত হায়দ্রাবাদ রাজ্যটি ছিল স্বৈরাশাসনের কেন্দ্র, নিজাম-এর শাসন ছিল মধ্যযুগীয় সামন্ততন্ত্রের অনুরূপ।

    (২) জমিদারদের করঃ কৃষকদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো খাজনা আদায় করা হত। এছাড়া হরিজনদের বেট্টি নামক বাধ্যতামূলক শ্রমকর বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাড়তি কর দিতে হত।

    আন্দোলনের বিস্তৃতিঃ ১৯৪৬ খ্রিঃ ৪ঠা জুলাই নালগোন্ডায় প্রথম বিদ্রোহ শুরু হলে ধীরে ধীরে তা ওয়ারাঙ্গল, খাম্বাস ও অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। পি. সুন্দরাইয়া, রবিনারায়ণ রেড্ডি, ইয়েলো রেড্ডি প্রমুখ কমিউনিস্ট নেতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিন হাজার গ্রামের প্রায় ৩০ লক্ষ দরিদ্র কৃষক সশস্ত্র সংগ্রামে যুক্ত হয়।

    গুরুত্বঃ তেলেঙ্গানা আন্দোলন ছিল প্রথম সশস্ত্র কৃষক আন্দোলন - যা কৃষকদের সংগ্রামশীল চরিত্রের এক বড়ো দৃষ্টান্ত।

    প্রশ্নঃ টীকা লেখোঃ সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (AITUC)

    উত্তরঃ ১৯২০ খ্রিঃ মাদ্রাজে শ্রমিকদের সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত দেশব্যাপী সারা ভারত শ্রমিক সম্মেলন থেকেই জন্ম নেয় সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস।

         ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেসের অমৃতসর অধিবেশনে প্রথম শ্রমিকদের প্রশ্নকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয় এবং প্রতিটি প্রাদেশিক সংগঠনকে শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করার জন্য নির্দেশ পাঠানো হয়। জাতীয় কংগ্রেসের নাগপুর অধিবেশনে ও গয়া অধিবেশনে শ্রমিক আন্দোলনকে গুরুত্ব দিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে পরিচালনার জন্য গঠিত হয় একটি বিশেষ কমিটি।

          গঠনঃ ১৯২০ খ্রিঃ ৩০শে অক্টোবর মাদ্রাজে সারা ভারত শ্রমিক সম্মেলনে ১৮টি শ্রমিক ইউনিয়নের ৮০৬ জন প্রতিনিধি যোগদান করে, যার ফলশ্রুতি হিসেবে জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে গঠিত হয় শ্রমিকদের জন্য নিজস্ব সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন। লালা লাজপাত রায় এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন, জোসেফ ব্যাপিস্তা ছিলেন সহসভাপতি এবং সম্পাদক ছিলেন দেওয়ান চমনলাল।

         জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দের মধ্যে লালা লাজপত রায়, চিত্তরঞ্জন দাশ প্রমুখ সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখতেন। লাজপত রায় ১৯২৮ খ্রিঃ সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন।

    প্রশ্নঃ টীকা লেখোঃ মানবেন্দ্রনাথ রায়

    উত্তরঃ বিশ শতকের দ্বিতীয় দশক থেকে ভারতে বামপন্থী ভাবধারা জনপ্রিয় হতে থাকে। এই সময় ভারতে বামপন্থী ভাবধারা ও আন্দোলনের প্রসারে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে সর্বাধিক অগ্রগণ্য হলেন মানবেন্দ্রনাথ রায়।

    কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠাঃ মানবেন্দ্রনাথ মস্কোয় অনুষ্ঠিত কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় সম্মেলনে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে রাশিয়ার যান। রাশিয়ার তাসখন্দে তিনি অবনী মুখার্জি, মহম্মদ আলি, মহম্মদ সাফিক প্রমুখের সহযোগিতায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি।

    পত্রিকাঃ মানবেন্দ্রনাথ বার্লিন থেকে ভ্যানগার্ড অব ইন্ডিয়ান ইনডিপেন্ডেন্স নামে একটি পাক্ষিক পত্রিকা প্রকাশ করে তা ডাকযোগে ভারতে পাঠাতে থাকেন। পত্রিকাটির নাম কয়েকবার পরিবর্তন করলেও ব্রিটিশ সরকার বারবার পত্রিকাটি নিষিদ্ধ করে দেয়।

    ভাবধারাঃ মানবেন্দ্রনাথের অনুপ্রেরণায় বিভিন্ন কমিউনিস্ট নেতা ভারতের সাধারণ মানুষের মধ্যে কমিউনিস্ট ভাবধারা প্রচারের কাজে নেমে পড়েন। তাঁর প্রেরণায় মুজাফফর আহমেদের নেতৃত্বে কলকাতায় কমিউনিস্ট নেতা এস এ ডাঙ্গে -র সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলেন।

    র‍্যাডিক্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি গঠনঃ কংগ্রেসের অভ্যন্তরে বামপন্থী ভাবধারা প্রসারের বিশেষ সম্ভাবনা না থকায় মানবেন্দ্রনাথ কংগ্রেস থেকে বেড়িয়ে এসে র‍্যাডিক্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি গঠন করেন। এভাবে তিনি বামপন্থার পক্ষে লড়াই চালিয়ে যান।


    বিভাগ ঙ

    (৫) রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ঃ

    প্রশ্নঃ বিশ শতকের ভারতে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনে বামপন্থীদের ভূমিকা আলোচনা করো।

    উত্তরঃ ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শ্রমিক-কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল এই পার্টি। তাই জাতীয় আন্দোলনে শ্রমিক ও কৃষক শ্রেণিকে শামিল করার মহান কৃতিত্বের দাবিদার ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি।

    কংগ্রেসে কমিউনিস্ট নেতৃবৃন্দঃ সরকার ১৯৩৪ খ্রিঃ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর ফলে কমিউনিস্ট নেতারা জাতীয় কংগ্রেস ও কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বামপন্থার কাজ চালিয়ে যান। এভাবে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে বামপন্থী ভাবধারা ক্রমে প্রবল হতে শুরু করে।

    সাইমন-কমিশন বিরোধী আন্দোলনঃ ১৯২৮ খ্রিঃ সাইমন কমিশন ভারতে এসে কংগ্রেসের তরফে যে ব্যাপক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়, তাতে বামপন্থীরা অংশ নেয়। এর পাশাপাশি কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে শিল্প-শ্রমিকদের ধর্মঘট ইংরেজ সরকারকে বিপাকে ফেলেছিল।

    কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দলের প্রতিষ্ঠাঃ আচার্য নরেন্দ্র দেব ও জয়প্রকাশ নারায়ণের উদ্যোগে ১৯৩৪ খ্রিঃ কংগ্রেসের অভ্যন্তরে কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টি বা কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল-এর প্রতিষ্ঠা হয়। জয়প্রকাশ নারায়ণ ছিলেন এই দলের সাধারণ সম্পাদক। এই দলের অন্যান্য নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন রাম মনোহর লোহিয়া, অচ্যুত পট্টবর্ধন, ইউসুফ মেহের আলি প্রমুখ।

    পূর্ণ স্বাধীনতার দাবিঃ কমিউনিস্ট দলের সদস্যরা জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে উপস্থিত থেকে ১৯২৬ খ্রিঃ পর্যন্ত ক্রমাগত পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে এসেছিল, যা ১৯২৯ খ্রিঃ কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনে পূর্ণতা পায়।

    কিষাণ কংগ্রেসঃ কংগ্রেসের বামপন্থী অংশ, কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল ও কমিউনিস্টরা ১৯৩৬ খ্রিঃ সারা ভারত কিষাণ কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন। এন জি রঙ্গ এর সভাপতি এবং স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী এর সম্পাদক নিযুক্ত হন। এই পার্টি জমিদার ও বেগার প্রথার উচ্ছেদ, কৃষিঋণ মকুব, খাজনা হ্রাস প্রভৃতি দাবি জানায়। এই দলের নেতৃত্বে কৃষক আন্দোলন জাতীয় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়।

    চরিত্রগত বদলঃ লেনিনের মৃত্যু এবং এম এম রায়ের পরিবর্তে ভারত বিষয়ক বেন ব্রাডলির দায়িত্ব গ্রহণের ফলে কমিউনিস্টরা কংগ্রেসের জনপ্রিয় নেতাদের প্রতিক্রিয়াশীল আখ্যা দিয়ে সোভিয়েত ধাঁচে বিপ্লব সংঘটিত করার দিবাস্বপ্ন দেখা শুরু করলে তারা জাতীয় আন্দোলন যোগদান দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।

    সমাজতন্ত্রী দলের উদোগঃ কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল কংগ্রেসের অভ্যন্তরে বামপন্থী ভাবধারার প্রসার ঘটাতে যথেষ্ঠ উদ্যোগী হয়। এই দলের প্রধান লক্ষ্য ছিল কৃষক ও শ্রমিকদের সঙ্ঘবদ্ধ করে ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলন শোক্তিশালী করা, ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন, বৈদেশিক বাণিজ্যের ওপর রাষ্টীয় নিয়ন্ত্রণ, দেশীয় রাজতন্ত্র ও জমিদার প্রথার বিলুপ্তি প্রভৃতি। এই দলের প্রভাবে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস কৃষিসংস্কার, ভূমিসংস্কার, শিল্প - বিরোধ সমস্যা প্রভৃতি বিষয়ে নজর দিতে বাধ্য হয়।

    নৌ-বিদ্রোহে অংশগ্রহণঃ ১৯৪৬ খ্রিঃ নৌ বিদ্রোহে একমাত্র কমিউনিস্টরাই সমর্থন জানিয়েছিল। কমিউনিস্ট নেতা ডঃ গঙ্গাধর অধিকারী এক বিবৃতি মারফত কংগ্রেস নেতৃবৃন্দকে এই বিদ্রোহ হস্তক্ষেপের ব্যাপারে আহ্বান জানান।

    Madhyamik history suggestion

         মাধ্যমিক সাজেশন 2024 pdf. মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2024 PDF. মাধ্যমিক সাজেশন 2024 বাংলা. 2024 সালের মাধ্যমিক সাজেশন. Class 12 History Suggestion 2024 PDF. মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন 2024. উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024.


    দশম শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

         দশম শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 2 নম্বরের. দশম শ্রেণির ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর. দশম শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর. মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন. দশম শ্রেণির ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় বড় প্রশ্ন. মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর pdf. অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর. হালি প্রথা কি.


    Madhyamik Suggestion 2024

         মাধ্যমিক সাজেশন 2024 ইতিহাস pdf. মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান সাজেশন 2024 chapter 4. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024. 2024 সালের মাধ্যমিক সাজেশন. মাধ্যমিক ইতিহাস বড় প্রশ্ন উত্তর 2024. মাধ্যমিক ইতিহাস mcq. দশম শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর. মাধ্যমিক প্রশ্ন উত্তর. দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর. দশম শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর. মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন. মাধ্যমিক প্রশ্ন উত্তর 2024.


    Madhyamik History Suggestion 2024 PDF Download

         মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024. Madhyamik History Suggestion 2024. Madhyamik history suggestion. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024. Madhyamik History Notes PDF. Madhyamik History. Question and answer PDF 2024. Madhyamik history short question and answer. মাধ্যমিক সাজেশন 2024 pdf.


    ইতিহাস class 10 chapter 6

         দশম শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর. ইতিহাস class 10 chapter 2. ইতিহাস class 10 chapter 3. ইতিহাস class 10 chapter 1. ইতিহাস class 10 chapter 5. Class 10 History Chapter 6 Questions and Answers In bengali. ৰাষ্ট্ৰসংঘ class 10. দশম শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর.


    WB Madhyamik History Suggestion 2024 Download PDF

         মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024. Madhyamik History Suggestion 2024. Madhyamik history suggestion. Madhyamik History Notes PDF. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024. Madhyamik History Question and answer PDF 2024. Madhyamik history short question and answer. History suggestion 2024 madhyamik.


    বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন বৈশিষ্ট্য ও পর্যালচনা ষষ্ঠ অধ্যায় মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন ২০২৪

           গিরনি কামগার ইউনিয়ন কি. মাদারি পাশি কোন আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন. বিশ শতকে ভারতের কৃষক আন্দোলন. বিংশ শতকের শ্রমিক আন্দোলন. গিরনি কামগড় ইউনিয়ন কবে গঠিত হয়. স্বামী সহজানন্দ কে ছিলেন. Class 10 History Chapter 6 Questions and Answers in bengali. ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিকে দ্বিজ বলা হয় কেন.


    West Bengal Madhyamik History Suggestion 2024 Download PDF

         মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024. Madhyamik History Suggestion 2024. Madhyamik history suggestion. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024. Madhyamik History Notes PDF. Madhyamik History Question and answer PDF 2024. Madhyamik history short question and answer. History suggestion 2024 madhyamik.


    West Bengal Madhyamik History Suggestion 2024 Download

         West Bengal Madhyamik Histoty Suggestion 2024 Download prepared as per new syllabus. West Bengal Board of Secondary Education madhyamik 2024 History Important questions and Notes download. মাধ্যমিক ২০২৪ ইতিহাস পরীক্ষার সাজেশন. Last Minutes final History Suggestion for Madhyamik 2024 Exam with sure Common in Examination. WBBSE Madhyamik History Suggestion download. Download Madhyamik History Suggestion pdf. Important question for WBBSE New syllabus Madhyamik History Exam 2024.


    Last Minutes final History Suggestion for Madhyamik 2024

         West Bengal Madhyamik History Suggestion 2024 Download. WBBSE Madhyamik History short question suggestion 2024. মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন. Madhyamik History Suggestion 2024 download. পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর ও শেষ মুহূর্তের সাজেশন ডাউনলোড. Madhyamik Question Paper  History. WB Madhyamik 2024 History suggestion and important questions. Madhyamik Suggestion 2024 pdf.

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    1 মন্তব্যসমূহ
    * Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

    Top Post Ad

    Below Post Ad

    LightBlog

    AdsG

    close