মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৫ – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত
Type Here to Get Search Results !

মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৫ – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত

মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৫ – অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত 

Madhyamik Bengali Suggestion 2025 wbbse Part 6


অভিষেক
মাইকেল মধুসূদন দত্ত


    (১) বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

    ১.১ 'অভিষেক' নামক কাব্যাংশটি ,মেঘনাদবধ কাব্য, এর কোন স্বর্গ থেকে সংকলিত?

    (ক) প্রথম সর্গ

    (খ) দ্বিতীয় সর্গ

    (গ) তৃতীয় সর্গ

    (ঘ) চতুর্থ সর্গ

    উত্তর : (ক) প্রথম সর্গ

    ১.২ "কি হেতু মাত:, গতি তব আজি" - 'মাত:' বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?

    (ক) সীতাকে

    (খ) চিত্রাঙ্গদাকে

    (গ) ছদ্মবেশী লক্ষীকে

    (ঘ) মন্দোদরীকে

    উত্তর : (গ) ছদ্মবেশী লক্ষীকে

    ১.৩ "তার শোকে মহাশোকী রাক্ষসাধিপতি" - কার শোকে রাক্ষস অধিপতি 'মহাশোকী'?

    (ক) কুম্ভকর্ণের শোকে

    (খ) বীরবাহুর শোকে

    (গ) ইন্দ্রজিতের শোকে

    (ঘ) বিভীষণের শোকে

    উত্তর : (খ) বীরবাহু শোকে

    ১.৪ "জিজ্ঞাসিলে মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া" - এখানে 'মহাবাহু' হলেন -

    (ক) লক্ষণ

    (খ) রামচন্দ্র

    (গ) ইন্দ্রজিৎ

    (ঘ) রাবণ

    উত্তর : (গ) ইন্দ্রজিৎ

    ১.৫ "এই অদ্ভূত বারতা জাননি কোথায় পাইলে তুমি" - অদ্ভুত বার্তাটি কি ছিল?

    (ক) বীরবাহুর মৃত্যু সংবাদ

    (খ) কার্তিকের তারকাসুর বধ করা সংবাদ

    (গ) কুম্ভকর্ণের মৃত্যু সংবাদ

    (ঘ) ইন্দ্রজিতের মৃত্যু সংবাদ

    উত্তর : (ক) বীরবাহুর মৃত্যু সংবাদ

    ১.৬ "তবু শরে মরিয়া বাঁচিল।" - মরে কে বেঁচে উঠেছিল?

    (ক) ইন্দ্রজিৎ

    (খ) বীরবাহু

    (গ) কুম্ভকর্ণ

    (ঘ) রামচন্দ্র

    উত্তর (ঘ) রামচন্দ্র

    ১.৭ "যাও তুমি ত্বরা করি;" - এখানে কোথায় যাওয়ার কথা বলা হয়েছে?

    (ক) মৃত বীরবাহুকে দেখতে

    (খ) প্রমদ কাননে

    (গ) যুদ্ধে

    (ঘ) প্রমীলার কাছে

    উত্তর : (গ) যুদ্ধে

    ১.৮ "পদ তলে পড়ি শোভিল কুন্ডল," - 'কুন্ডল' শব্দটির অর্থ কি?

    (ক) মুকুট

    (খ) হাতের বালা

    (গ) কর্ণভূষণ

    (ঘ) নুপুর

    উত্তর : (গ) কর্ণভূষণ

    ১.৯ "হেথা আমি বামাদল মাঝে?" - 'বামা' শব্দের অর্থ কি?

    (ক) রাক্ষসী

    (খ) রাক্ষস

    (গ) পুরুষ

    (ঘ) নারী

    উত্তর : (ঘ) নারী

    ১.১০ "ঘুচাবো এ অপবাদ" - বক্তা কে?

    (ক) লংকাদিপতি রাবণ

    (খ) ইন্দ্রজিৎ

    (গ) রামচন্দ্র

    (ঘ) বিভীষণ

    উত্তর : (খ) ইন্দ্রজিৎ

    ১.১১ "তুরঙ্গম বেগে আশুগতি," - 'আশুগতি' শব্দের অর্থ কি?

    (ক) ধূমকেতু

    (খ) বাতাস

    (গ) রথ

    (ঘ) ঘোড়া

    উত্তর : (খ) বাতাস

    ১.১২ "কহিলা কাঁদিয়া ধনি," - এখানে 'ধনি' শব্দের অর্থ কি?

    (ক) সুন্দরী রমণী

    (খ) পতি সোহাগিনী

    (গ) ধনবান মহিলা

    (ঘ) ধনবানের কন্যা

    উত্তর : (ক) সুন্দরী রমণী

    ১.১৩ "সমরে নাশি, তোমার কল্যাণে" - বক্তা কাকে নাশ করবে?

    (ক) লক্ষণকে

    (খ) বিভীষণকে

    (গ) রামচন্দ্রকে

    (ঘ) রাবনকে

    উত্তর : (গ) রামচন্দ্রকে

    ১.১৪ "কাঁপিল লঙ্কা, কাঁপিলা জলধি!" - এখানে এই কেঁপে ওঠার কারণ কি?

    (ক) বানর সেনার অগ্নিসংযোগ

    (খ) যুদ্ধের ভয়াবহ পরিস্থিতি

    (গ) ইন্দ্রজিতের ধনুকের টঙ্কার

    (ঘ) লক্ষণের সঙ্গে ইন্দ্রজিতের যুদ্ধ

    উত্তর : (গ) ইন্দ্রজিতের ধনুকের টঙ্কার

    ১.১৫ "শুনেছি, মরিয়া না কি বাঁচিয়াছে পুনঃ" - কে মারা যাওয়ার পরেও আবার বেঁচে উঠেছিল?

    (ক) কুম্ভকর্ণ

    (খ) বীরবাহু

    (গ) ইন্দ্রজিৎ

    (ঘ) রামচন্দ্র

    উত্তর : (ঘ) রামচন্দ্র

    ১.১৬ "দেহ আজ্ঞা মরে;" - বক্তা কার কাছে অনুমতি চাইছেন?

    (ক) স্ত্রীর কাছে

    (খ) পিতার কাছে

    (গ) আরাধ্য দেবতার কাছে

    (ঘ) মাতার কাছে

    উত্তর : (খ) পিতার কাছে


    (২) অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

    ২.১ "কি কহিলা, ভগবতী? কে বধিল কবে/ প্রিয়ানুজে? - বক্তার এই বিস্ময়ের কারণ কি?

    উত্তর : ইন্দ্রজিৎ রামকে রাত্রিকালীন যুদ্ধের হত্যা করার পরেও রামের হাতে তার (ইন্দ্রজিতের) ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে বিস্মিত হয়েছিল।

    ২.২ "রত্নাকর রত্নোত্তমা ইন্দিরা সুন্দরী উত্তরিলা" - এখানে ইন্দিরা সুন্দরী কে?

    উত্তর : সৌন্দর্য্য ও ঐশ্বর্য্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী লক্ষ্মীর কথা বলা হয়েছে।

    ২.৩ "হা ধিক্ মরে।" - বক্তা কেন নিজেকে ধিক্কার দিয়েছিলেন?

    উত্তর : শত্রুসৈন্য যখন লঙ্কাকে ঘিরে ফেলেছে তখন ইন্দ্রজিৎ প্রমোদ কাননে নারীদের সঙ্গে রঙ্গরসে ব্যস্ত ছিলেন তাই ইন্দ্রজিৎ নিজেকে ধিক্কার জানিয়ে ছিলেন।

    ২.৪ "হেন কালে প্রমীলা সুন্দরী," - প্রমিলা সুন্দরী কে?

    উত্তর : রাবণপুত্র মেঘনাথের সহধর্মীনি।

    ২.৫ "পক্ষীন্দ্র যথা নাদে মেঘমাঝে ভৈরবে।" - এখানে 'পক্ষীন্দ্র' বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?

    উত্তর : পাখিদের রাজা অর্থাৎ গরুড় পাখিকে বোঝানো হয়েছে।

    ২.৬ "এ মায়া, পিত: বুঝিতে না পারি!" - বক্তা একথা বলার কারণ কি?

    উত্তর : রাত্রিকালীন যুদ্ধের ইন্দ্রজিৎ রামচন্দ্রকে মারার পরেও সে আবার কিভাবে বেঁচে উঠেছিল? ইন্দ্রজিৎ এখানে এই প্রশ্নের উত্তর কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছিল না।

    ২.৭ "নাহি চাহে প্রাণ মম" - কার প্রাণ? কি চাইছে না?

    উত্তর : লংকাদিপতি রাবণের প্রাণ তার প্রিয় পুত্র মেঘনাথকে যুদ্ধে বারবার পাঠাতে চাইছে না।

    ২.৮ "কে কবে শুনেছ, পুত্র," - এখানে কি শোনার কথা বলা হয়েছে?

    উত্তর : শিলা অর্থাৎ পাথরের জলে ভাসা এবং মৃত ব্যক্তির পুনরায় বেঁচে ওঠার কথা।

    ২.৯ "আগে পুজো ইষ্টদেবে" - কে এবং কেন পূজা দেবে?

    উত্তর : মায়াবী রামচন্দ্র কে যুদ্ধে পরাজয় করার জন্য ইন্দ্রজিৎ দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে পুজো দেবে।

    ২.১০ "অভিশেক করিলা কুমারে।" - কে, কাকে অভিষেক করলেন?

    উত্তর : রাবণ তার প্রিয় পুত্র মেঘনাতকে


    (৩) ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

    প্রশ্নঃ 'শিরঃ চুম্বি, ছদ্মবেশী অম্বুরাশি–সুতা/উত্তরিলা' – 'অম্বুরাশি–সুতা' কে? তাঁর উত্তর কী ছিল?

    উত্তরঃ মধুসূদনের 'অভিষেক' নামক পাঠ্য কাব্যাংশে 'অম্বুরাশি–সুতা' শব্দটি পাই। ইনি আসলে দেবী লক্ষ্মী। দেবতা ও অসুরের সমুদ্রমন্থনকালে জল থেকে উত্থিত বলে তাঁর এমন নাম।

         দেবী লক্ষ্মী ধাত্রী তাঁকে আসার কারণ প্রভাষার রূপে প্রমোদ উদ্যানে হাজির হলে ইন্দ্রজিৎ ও লঙ্কার কুশল জিজ্ঞাসা করেন। অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে তিনি রামের সঙ্গে ভীষণ যুদ্ধে ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ ও বক্তার উত্তর পুত্রশোকে শোকগ্রস্ত পিতা রাবণের যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতির কথা জানান।

    প্রশ্নঃ 'রক্ষ রক্ষঃকুল মান, এ কালসমরে, রক্ষঃ–চূড়ামণি' – বক্তা 'রক্ষঃ–চূড়ামণি' বলে কাকে সম্বোধন করেছেন? 'কালসমর' বলতে কী বোঝ?

    উত্তরঃ বক্তা ইন্দিরা সুন্দরী অর্থাৎ লক্ষ্মী দেবী 'রক্ষঃ–চূড়ামণি' বলে ইন্দ্রজিৎকে সম্বোধন করেছেন। কালসমর 'কালসমর' বলতে বোঝায় কাল রূপ সমর বা ভয়ংকর যুদ্ধ। এক্ষেত্রে রামচন্দ্রের সঙ্গে রাক্ষসদের ভয়ংকর প্রাণঘাতী যুদ্ধকে বোঝানো হয়েছে। ছদ্মবেশী দেবী লক্ষ্মী প্রমোদকাননে ইন্দ্রজিতের সামনে যখন হতাশার সুরে বীরবাহুর মৃত্যু, রাবণের যুদ্ধযাত্রার কথা বলছিলেন তখন তা তাঁর বিশ্বাস হচ্ছিল না। দেবী মায়াবী মানব রামচন্দ্রের জেগে ওঠা ও তাঁর দৈবী শক্তির পরিচয় দিতে শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

    প্রশ্নঃ 'ঘুচাব ও অপবাদ' - বক্তা কোন্ অপবাদ, কীভাবে ঘোচাতে চেয়েছেন?

    উত্তরঃ প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটি 'অভিষেক' নামাঙ্কিত কাব্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে। বক্তা ইন্দ্ৰজিৎ প্রভাষা রাক্ষসীর বেশধারিণী লক্ষ্মীদেবীর মুখে ভাইয়ের মৃত্যুসংবাদ এবং রাবণের যুদ্ধপ্রস্তুতির কথা শুনে দ্রুত প্রমোদ উদ্যান ত্যাগ করে লঙ্কায় যাত্রা করতে উদ্যত হলেন। যখন তিনি বুঝলেন স্বর্ণলঙ্কার ঘোরতর দুর্দিনে তিনি নারীদের মাঝে বিলাসব্যসনে মত্ত, তখন নিজেকে তিনি ধিক্কার জানালেন ও শত্রুকুলের নিধন করবার প্রতিজ্ঞা করে সকল অপবাদ ঘোচাবেন বলে দৃঢ় সংকল্প নিলেন।

    প্রশ্নঃ 'ধরি পতি–কর–যুগ' - পতি কর যুগ ধরে কে, কী বলেছিলেন লেখো। 

    উত্তরঃ মধুসূদনের 'অভিষেক' কাব্যাংশে ছদ্মবেশী প্রভাষার কাছে লঙ্কার দুর্দিনের খবর পেয়ে ইন্দ্রজিৎ প্রমোদকানন থেকে লঙ্কার দিকে যাত্রা করেন। ইন্দ্রজিতের বিদায় প্রমীলাকে বিরহ 'পতি–কর–যুগ ধরে' ব্যথায় আচ্ছন্ন করে। বিরহকাতর প্রমীলা কেঁদে ফেলেন এবং বলেন পতি বিনা কেমন করে তিনি প্রাণ রক্ষা করবেন। গহন বনের মধ্যে হাতিদের দলপতি যেভাবে বনলতাকে পদতলে স্থান দেয়, প্রমীলাও ঠিক সেইভাবে ইন্দ্রজিতের আশ্রয়ে থাকতে চাইছেন।

    প্রশ্নঃ 'এ অদ্ভুত বারতা' - কোন্ বার্তা, কেন অদ্ভুত?

    উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশটি মধুসুদন দত্ত রচিত 'অভিষেক' নামক পাঠ্য কবিতা থেকে গৃহীত।

          লক্ষ্মীদেবী ইন্দ্রজিতের ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশে এসে স্বর্ণলঙ্কার সকল সংবাদ তাঁকে জানালেন। সম্মুখসমরে রামের সঙ্গে প্রচণ্ড যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহু। কিন্তু ইন্দ্ৰজিৎ এ সংবাদে অত্যন্ত বিস্ময়াপন্ন হলেন। কারণ তিনি নিজের হাতে রাত্রিকালীন যুদ্ধে রামকে হত্যা করেছেন। আর সেই মৃত রাঘব কিনা তাঁর ভাই–এর হত্যাকারী - এই বার্তাই তাঁর কাছে অদ্ভুত লেগেছে।

    প্রশ্নঃ 'কাপিলা লঙ্কা, কাপিলা জলধি!' – লঙ্কা কেঁপে উঠল কেন?

    উত্তরঃ পাঠ্য 'অভিষেক' কাব্যাংশে ছদ্মবেশী প্রভাষার কাছে লঙ্কার দুর্দিনের সংবাদ শুনে প্রমোদকানন ত্যাগ করে ইন্দ্রজিং শত্রুর হাত থেকে লঙ্কাকে রক্ষার্থে লঙ্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তাঁর এই আগমনকে আকাশপথে মৈনাক পর্বতের সোনার পাখাবিস্তার করে উজ্জ্বল করে তোলার সঙ্গে তুলনা করেছেন। লঙ্কার কেঁপে ওঠার ক্রুদ্ধ ইন্দ্রজিতের ধনুকের গুণ পরানো ও শর কারণ নিক্ষেপকে মেঘের মাঝে গরুড়ের গর্জনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এর ফলেই লঙ্কা ও সমুদ্র কেঁপে উঠেছে।

    প্রশ্নঃ 'এ মায়া, পিতঃ, বুঝিতে না পারি!' - বক্তার না বোঝার কারণ কী?

    উত্তরঃ মধুসুদন দত্তের 'অভিষেক' কাব্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্ধৃত পঙ্ক্তিটির বক্তা ইন্দ্রজিৎ। তিনি পিতাকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে, কোন্ মায়াবলে রামচন্দ্র তাঁর তিরে নিথর হয়েও পুনরায় বেঁচে উঠলেন। আসলে পরাক্রমশালী ইন্দ্রজিৎ দু বার যুদ্ধে রামচন্দ্রের বক্তার না বোঝার কারণ প্রাণনাশের উদ্যোগ করেছিলেন। তাই বারবার রামের পুনর্জীবন লাভ তাঁর কাছে গভীর বিস্ময়ের ব্যাপার। এ কোনো মায়াবল ছাড়া সম্ভব নয়। তাই তিনি এই উক্তির মাধ্যমে অন্তর্মনের বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। 

    প্রশ্নঃ 'কহিলা কাঁদিয়া ধনি' - 'ধনি' কে? তিনি কাঁদলেন কেন? 

    উত্তরঃ 'অভিষেক' কাব্যাংশে 'ধনি' বলতে ইন্দ্ৰজিৎ পত্নী প্রমীলাকে বোঝানো হয়েছে। 

          ধাত্রী প্রভাষা বেশধারী লক্ষ্মী যখন স্বর্ণলঙ্কার দুর্দিন, ইন্দ্রজিতের ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ ও রাবণের যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতির খবর ইন্দ্রজিতের কাছে দিলেন, তখন তিনি প্রমোদকাননে নারীদের 'ধনি' কাঁদলেন কেন মাঝে বিলাসব্যসনে মত্ত ছিলেন। স্বর্ণলতা যেভাবে বড়ো গাছকে আঁকড়ে ধরে, সেভাবে প্রমীলা রক্ষকুলনিধি ইন্দ্রজিৎকে আঁকড়ে ধরে, তাঁর পথ রোধ করে কেঁদে ফেলেন। স্বামীর বিচ্ছেদ বেদনায় পত্নীর কাতা ও ব্যথাতুর রূপটি প্রমীলার মধ্যে দিয়ে ফুটে ওঠে।

    প্রশ্নঃ 'মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া' - 'মহাবাহু' কে? তাঁর প্রশ্ন বিস্ময়ের কারণ কী? 

    উত্তরঃ মহাবাহুর পরিচয় মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত পাঠ্য 'অভিষেক' রচনাংশে 'মহাবাহু' হলেন রক্ষকুলমণি বীরেন্দ্রকেশরী ইন্দ্রজিৎ মেঘনাদ। কবি এখানে ইন্দ্রজিতের প্রবল শক্তি ও পরাক্রমের জন্য তাঁকে 'মহাবাহু' বিশেষণে ভূষিত করেন। ইন্দ্ৰজিৎ যখন ধাত্রীরূপী দেবী লক্ষ্মীর কাছে রামচন্দ্রের সঙ্গে সম্মুখসমরে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ জানলেন, তখন তিনি অত্যন্ত বিস্ময় প্রকাশ করলেন। কারণ তিনি নিজে রাত্রিকালীন যুদ্ধে রামকে সংহার করেছেন। মৃত ব্যক্তি কীভাবে বীরবাহুকে সংহার করবে একথা ভেবেই তিনি বিস্মিত।

    প্রশ্নঃ 'সীতাপতি' কে? তাঁকে 'মায়াবী মানব' বলা হয়েছে কেন? 

    উত্তরঃ পাঠ্য 'অভিষেক' কাব্যাংশে উক্ত নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। সীতাপতি অযোধ্যার রাজা দশরথের জ্যেষ্ঠপুত্র ছিলেন রাম। এই রামচন্দ্রের স্ত্রীর নাম সীতা। এই কারণে রামচন্দ্রকে 'সীতাপতি' বলা হয়েছে। ‘'মায়াবী মানব' বলার কারণ সীতাপতি রামচন্দ্রকে লক্ষ্মীদেবী মায়াবী মানব বলেছেন। কারণ মায়াবী না হলে প্রবল শক্তিশালী ইন্দ্রজিতের তিরে রামের মৃত্যু হলেও, তিনি কীভাবে পুনরায় দৈবপ্রভাবে পুনর্জীবন লাভ করেন। এই কারণে কাব্যাংশে রামকে মায়াবী মানব রূপে উপস্থাপনা করা হয়েছে।

    প্রশ্নঃ 'ধিক মোরে' - কে, কেন একথা বলেছেন?

    উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশটির বক্তা মধুসুদনের 'মেঘনাদবধ' কাব্য থেকে গৃহীত 'অভিষেক' নামক কাব্যাংশের অন্যতম চরিত্র ইন্দ্রজিতের। মেঘনাদ প্রমোদকাননে বিলাসব্যসনে মত্ত থাকার সময় কে, কেন প্রশ্নোত প্রভাষার ছদ্মবেশে লক্ষ্মী এসে ইন্দ্রজিৎকে তার প্রিয় ভ্রাতা বীরবাহুর মৃত্যু এবং শোকস্তব্ধ রাবণের শত্ৰু রাঘব নিধনে ব্রতী হওয়ার কথা জানায়। লঙ্কার এই দুর্দিনে ইন্দ্রজিৎ প্রমোদকাননে মেয়েদের মাঝে থেকে রাজধর্ম পালনে ব্যর্থ হয়েছেন বলে তাঁর এই আত্মধিক্কার।

    (৪) রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

    প্রশ্নঃ 'ঘুচাব ও অপবাদ, বধি রিপুকুলে' - 'ও অপবাদ' বলতে বক্তা কোন অপবাদের কথা বলেছেন? সেই অপবাদ ঘোচাতে বক্তা কী করেছিলেন?

    উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদনের 'অভিষেক' থেকে গৃহীত উদ্ধৃতিটির 'ও অপবাদ' বক্তা রক্ষোকুলের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা ইন্দ্রজিৎ। তিনি প্রমোদকাননে বিলাসব্যসনে মগ্ন অবস্থায় প্রভাষা রূপী লক্ষ্মীর কাছে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ এবং পিতা রাবণের যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতির কথা শোনেন। লঙ্কার এমন ঘোর দুর্দিনে নিজের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট ইন্দ্রজিৎ আত্মধিক্কার দেন। সেইসঙ্গে যুদ্ধে শত্রুকুলের আমূল বিনাশ ঘটিয়ে সমস্ত অপবাদ মুছে ফেলার সংকল্প করেন।

           ইন্দ্রজিতের নির্দেশে দ্রুত গগনচারী রথ এসে উপস্থিত হয়। তিনি রণসাজে সজ্জিত হন। তাঁর যোদ্ধা রুপ শুধু দেবসেনাপতি কার্তিক এবং বৃহন্নলারূপী অর্জুনের সঙ্গে তুলনীয়। এ সময় স্ত্রী প্রমীলা তাঁর পথ রোধ করে দাঁড়ালে ইন্দ্রজিতের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় ভালোবাসা আর আত্মবিশ্বাসের উদ্দীপ্ত বাণী। তারপর প্রাণাধিক প্রিয় 'বিধুমুখী'-র কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তিনি আকাশপথে লঙ্কাপুরীতে এসে পৌঁছোন। তাঁর ধনুকের ছিলার টংকারে সমগ্র জলধিসহ লঙ্কা কেঁপে ওঠে। ইন্দ্রজিৎকে দেখে সমস্ত রাক্ষসসৈন্যদল সাহস ও অহংকারে রণহুংকার দিয়ে ওঠে। মধুসুদনের ইন্দ্রজিতের মধ্যে সাহস, সততা এবং বিনয়ের এক আশ্চর্য সংমিশ্রণ দেখা যায়। এই সমস্ত গুণের সাহায্যেই তিনি অসহায় পিতাকে আশ্বস্ত করেন। আর দ্বিতীয়বার রাঘবকে বধ করার জন্য রাবণের কাছে অনুমতি চান। পিতা রাবণ প্রথমে ইষ্টদেবতার পূজা সাঙ্গ করে পরদিন সকালে তাঁকে যুদ্ধযাত্রার পরামর্শ দেন এবং যথানিয়মে ইন্দ্রজিৎকে সেনাপতি পদে বরণ করে নেন।

    প্রশ্নঃ পাঠ্য কবিতা অবলম্বনে ইন্দ্রজিতের চরিত্র আলোচনা করো।

    উত্তরঃ অভিষেক নাঠ্যাংশের কেন্দ্রীয় চরিত্র ইন্দ্রজিতের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি নিচে আলোচনা করা হল -

    বীরত্বঃ বীর ইন্দ্রজিৎ নিজের বাহুবলের ওপর যথেষ্ট আস্থাশীল। বীরবাহুর মৃত্যু ও পিতার যুদ্ধযাত্রার কথা শুনে তাঁর বীরসত্তা জেগে ওঠে। বীরোচিত সাজসজ্জা করে তিনি লঙ্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

    আত্মপ্রত্যয়ঃ ইন্দ্ৰজিৎ আগে দু-বার রামচন্দ্রকে পরাজিত করেছেন, এমনকি তাঁকে নিহতও করেছেন। তবু কোনো এক মায়া বলে আবার জীবন ফিরে পেয়েছেন রাম। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি যখন রামচন্দ্রকে বন্দি করে রাবণের পদতলে নিয়ে আসার কথা বলেন, তখন তাঁর মধ্যে আত্মপ্রত্যয় ও দৃঢ়তা লক্ষ করা যায়।

    কর্তব্যবোধঃ প্রমোদকাননে বিলাসে মত্ত থাকাকালীন প্রভাষা – রূপী লক্ষ্মীর কাছে লঙ্কার দুর্দিন এবং পিতার যুদ্ধযাত্রার কথা শোনামাত্রই ইন্দ্রজিৎ লঙ্কায় উপস্থিত হন। যোগ্য সন্তান থাকা সত্ত্বেও পিতার যুদ্ধযাত্রাকে তিনি নিজের কলঙ্ক বলেই মনে করেন। 

    দেশপ্রেম ও আত্মসমালোচনাঃ স্বর্ণলঙ্কা শত্রুসেনা দ্বারা আক্রান্ত অথচ তিনি প্রমোদকাননে বিলাসে মত্ত এ কথা জেনে ইন্দ্রজিৎ নিজেকে ধিক্কার দেন। এর থেকে তাঁর দেশপ্রেমের যেমন পরিচয় পাওয়া যায়, তেমনই বোঝা যায় আত্মপ্রত্যয়ী প্রয়োজনে নিজের সমালোচনা করতেও তিনি পিছপা নন।

    পত্নীপ্রেমঃ স্ত্রী প্রমীলার কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় তাকে আশ্বস্ত করে ইন্দ্রজিৎ বলেন ভালোবাসার যে, দৃঢ় বন্ধনে তাঁরা আবদ্ধ তা ছিন্ন হওয়ার নয়। এ তাঁর পত্নীপ্রেমেরই পরিচয়। এভাবেই মহাকাব্যের খলনায়ক মধুসূদনের লিখনকৌশলে হয়ে উঠেছে কবির পছন্দের নায়ক।



    প্রশ্নঃ 'নমি পুত্র পিতার চরণে, করজোড়ে কহিলা' – পিতা ও পুত্রের পরিচয় দাও। পাঠ্যাংশ অবলম্বনে পিতা ও পুত্রের কথোপকথন নিজের ভাষায় লেখো।

    উতরঃ মধুসূদনের 'মেঘনাদবধ কাব্য'-এর প্রথম সর্গ থেকে গৃহীত পাঠ 'অভিষেক' কাব্যাংশের উদ্ধৃত অংশটিতে পিতা পিতা ও পুত্রের পরিচয় হলেন লঙ্কাধিপতি রাবণ এবং পুত্র হল রাবণপুত্র ইন্দ্ৰজিৎ।

           পিতা রাবণকে প্রণাম জানিয়ে ইন্দ্রজিৎ যুদ্ধযাত্রার অনুমতি চান। তাঁর হাতে নিশারণে নিহত রাম পুনর্জীবন লাভ করেছেন শুনে, রামের মায়া না বুঝলেও; তিনি রাঘবকে বায়ুঅস্ত্রে ভস্ম করার কিংবা রাজপদে বেঁধে আনার সংকল্প করেন। পুত্রের কথায় পুত্রবৎসল এক পিতার হৃদয়ের প্রকৃত স্বরূপটি ফুটে ওঠে। সেখানে ধ্বনিত হয় স্নেহ-হাহাকার ও অসহায়তা। রক্ষোকুলের শ্রেষ্ঠ সম্পদটিকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাতে তাঁর মন চায় না। তিনি পিতা-পুত্রের কথোপকথন চান না স্বর্ণলঙ্কার শেষ কুলপ্রদীপটি নির্বাপিত হোক। কারণ স্বয়ং বিধাতাও রাবণের প্রতি বিরূপ। না–হলে শিলা যেমন জলে ভাসে না, তেমনই মৃত কখনও পুনর্জীবন পায় না। অথচ এক্ষেত্রে তাই ঘটেছে। কিন্তু পৌরুষ ও সৎসাহসে উদ্দীপ্ত ইন্দ্ৰজিৎ অগ্নিদেবকে রুষ্ট করতে কিংবা পরাজিত ইন্দ্রদেবের হাসির পাত্র হতে পারেন না। তাই তিনি দ্বিতীয়বার রাঘবকে পরাজিত করার জন্য পিতার আব্বা চান। রাবণের অন্তর ক্ষতবিক্ষত মানসিক টানাপোড়েনে তিনি আকুল–অস্থির। তাঁর দৃষ্টির সামনে ভূপতিত পর্বতসম কুম্ভকর্ণ। তিনি প্রাণাধিক প্রিয় 'বীরমণি'–কে প্রথমে ইস্টদেবের পূজা ও তারপর নিকুম্ভিলা যজ্ঞ সাঙ্গ করে পরদিন সকালে যুদ্ধযাত্রা করতে বলেন। কিন্তু দ্বিধা–দ্বন্দ্ব প্রশমিত করে যথাবিধি মেনে সেনাপতি পদে ইন্দ্রজিতের অভিষেক ঘটান। এখানে এক ভাগ্যবিড়ম্বিত শোকাহত ও নিঃসঙ্গ পিতার পাশে, সাহস – অহংকার আর বীরধর্মে উজ্জীবিত পুত্রের আশ্চর্য ছবি তুলে ধরেছেন কবি মধুসুদন।

    প্রশ্নঃ রাবণ চরিত্র আলোচনা করো।

    উত্তরঃ মধুসূদনের রাবণ এক ভাগ্যবিড়ম্বিত নায়ক। নিচে তার প্রধান চরিত্রগুলি আলোচনা করা হল -

    ধর্মভীরুঃ ইন্দ্ৰজিৎকে সেনাপতি পদে অভিষিক্ত করার সময় রাবণ শাস্ত্রবিধি মেনেই তা করেন। এমনকি যুদ্ধে যাওয়ার আগে তিনি ইন্দ্রজিৎকে ইষ্টদেবতার পূজা করার উপদেশ দেন। এ তাঁর ধর্মভীরুতারই প্রকাশ।

    স্নেহশীল পিতাঃ বীরবাহুর মৃত্যুতে শোক এবং ইন্দ্রজিৎকে যুদ্ধে পাঠাতে না চাওয়া লঙ্কেশ্বর রাবণের অকৃত্রিম পুত্রস্নেহের পরিচায়ক।

    দায়িত্ববান শাসকঃ কুম্ভকর্ণ ও বীরবাহুর মৃত্যুতে লঙ্কাপুরী যখন বীরশূন্য তখন দেশকে বাঁচাতে রাজা রাবণ স্বয়ং যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতি নেয়। তাঁর এই উদ্যোগ রাজা হিসেবে তাঁর দায়িত্বকেই প্রকট করে।

    স্রাতৃপ্রেমী অগ্রজঃ দেশের সুরক্ষার স্বার্থে রাবণ কুম্ভকর্ণকে অকালে জাগিয়ে যুদ্ধে পাঠান এবং যুদ্ধে কুম্ভকর্ণের মৃত্যু হয়। এজন্য তিনি শুধু শোকগ্রস্তই হন না বরং নিজেকে দায়ীও মনে করেন।

    দৈবাহত রাজাঃ রাবণের রণসজ্জার মধ্যে তাঁর তেজোদৃপ্ত রাজসিক ভাব যথেষ্ট প্রকাশিত হলেও এই রাজাকেই আমরা নিয়তির কাছে অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করতে দেখি। তিনি 'বিধি বাম' বলে ইন্দ্রজিতের কাছে অসহায়তা প্রকাশ করেন।

    সমর বিশেষজ্ঞঃ লঙ্কেশ্বর দেশের স্বার্থে যোগ্য বীর ইন্দ্রজিৎকে সেনাপতি পদে বরণ করে নেন। তবে তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে তিনি ইন্দ্রজিৎকে রাতে যুদ্ধে যেতে নিষেধ করেন।

    প্রশ্নঃ 'জিজ্ঞাসিলা মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া' - 'মহাবাহু' কে? প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তার বিস্ময়ের কারণ উল্লেখ করো।

    উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'মেঘনাদবধ কাব্য'–এর প্রথম সর্গ থেকে সংকলিত আমাদের পাঠ্য 'অভিষেক' নামক কাব্যাংশে 'মহাবাহু' বলতে রাবণ ও মন্দোদরী পুত্র ইন্দ্রজিৎকে বোঝানো হয়েছে। প্রবল পরাক্রমী বীরত্বের জন্য তাঁকে এই বিশেষণে বিশেষিত করা হয়েছে। প্রমোদ উদ্যানে যখন ইন্দ্রজিৎ বিলাসমত্ত, ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশধারী দেবী লক্ষ্মী তখন সেখানে আসেন। ধাত্রীকে দেখে ইন্দ্ৰজিৎ কিছুটা হতচকিত হয়ে পড়েন এবং সিংহাসন ত্যাগ করে বিনম্র চিত্তে তাঁর আগমনের কারণ ও লঙ্কার কুশল জিজ্ঞাসা করলেন। ছদ্মবেশী দেবী তাঁর শিরঃচুম্বন করে কনকলঙ্কার দুর্দশার ইঙ্গিত দেন। তিনি আরও জানান, এক ভীষণ যুদ্ধে ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যু ঘটেছে এবং শোকাহত রাবণ সেইজন্য সসৈন্যে যুদ্ধযাত্রার আয়োজন করছেন। এসব শুনেই মহাবাহু ইন্দ্রজিতের এমন বিস্ময়ের উদ্রেক ঘটেছে। রামের হাতে প্রিয় ভ্রাতা বীরবাহুর মৃত্যু ঘটেছে এ কথা শুনে তাঁর মনে বিস্ময় জেগেছে, কারণ ইন্দ্রজিৎ ইতিপূর্বে বিস্ময়ের কারণ রাত্রিকালীন যুদ্ধে রামকে তিরের আঘাতে টুকরো টুকরো করে কেটে হত্যা করেন। অথচ সেই রামের হাতেই বীরবাহুর মৃত্যু হয়েছে। ব্যাপারটা তাঁকে বিস্মিত করেছে। তাই ইন্দ্রজিৎ ভগবতীর কাছে অত্যন্ত বিস্ময়ের সঙ্গে এর বাস্তবতা জানতে চেয়েছেন।

    Madhyamik Bengali Suggestion 2025

         Madhyamik Bengali suggestion 2025 pdf. Madhyamik Bengali suggestion 2025 pdf download. Madhyamik Bengali question 2025. Madhyamik Bengali. Madhyamik Bengali meaning. Madhyamik Bengali syllabus 2025. Madhyamik Bengali syllabus 2025. Madhyamik Bengali syllabus. Madhyamik Bengali question 2025.


    অভিষেক মাইকেল মধুসূদন দত্ত মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর

         অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর pdf. 'অভিষেক' কাব্যাংশে ইন্দ্রজিৎ চরিত্রের পরিচয় দাও. অভিষেক কবিতার নামকরণের সার্থকতা. অভিষেক কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর. অভিষেক কবিতার সারাংশ. কি হেতু মাতঃ গতি তব আজি এ ভবনে. অভিষেক কবিতা pdf. হায় বিধি বাম মম প্রতি বক্তা কে তিনি এমন কথা বলেছেন কেন.


    Madhyamik Suggestion 2025 pdf Free download

         মাধ্যমিক সাজেশন 2023 pdf. উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2025. মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2025 PDF. বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন. উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2025. মাধ্যমিক বাংলা কারক. মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন 2025. পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক  বাংলা পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর ও শেষ মুহূর্তের সাজেশন ডাউনলোড. মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। মাধ্যমিক সাজেশন 2025 pdf. মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2025 pdf. মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2025 mcq. মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন 2024. মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর 2025. 2025 এর মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন বাংলা.


    অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর pdf

         অভিষেক কাব্যাংশে ইন্দ্রজিৎ চরিত্রের পরিচয় দাও. অভিষেক কবিতা. অভিষেক কবিতার সারাংশ. অভিষেক কবিতার নামকরণের সার্থকতা. অভিষেক কবিতার সারমর্ম pdf. অভিষেক কবিতা pdf. হায় বিধি বাম মম প্রতি বক্তা কে তিনি এমন কথা বলেছেন কেন. বীরবাহুর মৃত্যুতে রাবণ কবিতার প্রশ্ন উত্তর.


    মাধ্যমিক সাজেশন 2025 pdf

         Madhyamik suggestion 2025 pdf. Madhyamik suggestion 2025 pdf download. Madhyamik suggestion 2025 pdf free download. ক্লাস 10 বাংলা প্রশ্ন উত্তর 2025. ক্লাস টেনের বাংলা সাজেশন. মাধ্যমিক সাজেশন 2025 pdf. মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2025 pdf. মাধ্যমিক পরীক্ষার সাজেশন 2025 বাংলা. উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2025. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2025. মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2025 PDF. বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন.


    অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর 2025

         অভিষেক কবিতার সারাংশ. অভিষেক কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর. অভিষেক কবিতার সারমর্ম pdf. অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর. অভিষেক কবিতা pdf. কি হেতু মাতঃ গতি তব আজি এ ভবনে. অভিষেক করিলা কুমারে কুমার কে. অভিষেক কবিতায় রাবণের চরিত্র.


    WBBSE Madhyamik bengali suggestion 2025

         WBBSE Madhyamik Bengali suggestion 2025 pdf download. Madhyamik Question Paper  Bengali. WBBSE Madhyamik Bengali suggestion 2025 pdf download in Bengali. WBBSE Madhyamik Bengali suggestion 2025 download pdf. West Bengal Madhyamik  Bengali Suggestion 2025 Download. WBBSE Madhyamik Bengali short question suggestion 2025. Madhyamik Bengali Suggestion 2025 download. WB Madhyamik 2025 Bengali suggestion and important questions. Madhyamik Suggestion 2025 pdf.


    অভিষেক বড় প্রশ্ন উত্তর

         অভিষেক কাব্যাংশে ইন্দ্রজিৎ চরিত্রের পরিচয় দাও. অভিষেক কবিতা. কি হেতু মাতঃ গতি তব আজি এ ভবনে. অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর banglasir. প্রলয়োল্লাস কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর. বীরবাহুর মৃত্যুতে রাবণ কবিতার প্রশ্ন উত্তর. অভিষেক কবিতার নামকরণের সার্থকতা. অভিষেক কবিতার সারাংশ.

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    1 মন্তব্যসমূহ
    * Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

    Top Post Ad

    Below Post Ad

    LightBlog

    AdsG

    close