মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৫ জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী
জ্ঞানচক্ষু
আশাপূর্ণা দেবী
(১) বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ এত কাছে থেকে তপন কখনো দেখিনি -
(ক) জলজ্যান্ত প্রফেসর
(খ) জলজ্যান্ত লেখক
(গ) জলজ্যান্ত চিত্রশিল্পী
(ঘ) জলজ্যান্ত বিজ্ঞানী
উত্তর : (খ) জলজ্যান্ত লেখক
১.২ তপনের মেসোর কলেজে চলছিল -
(ক) বিবাহ কালীন ছুটি
(খ) পুজোর ছুটি
(গ) গরমের ছুটি
(ঘ) বর্ষার ছুটি
উত্তর : (গ) গরমের ছুটি
১.৩ “রত্নের মূল্য জহুরীর কাছেই”। - এখানে ‘জহুরী’ বলতে বোঝানো হয়েছে -
(ক) তপনের বাবাকে
(খ) তপনের মাসিকে
(গ) তপনের নতুন মেসোকে
(ঘ) তপনের মেজকাকুকে
উত্তর : (গ) তপনের নতুন মেসোকে
১.৪ “মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে এটা”। - উপযুক্ত কাজটি হলো -
(ক) তপনের লেখা গল্প কারেকশন করে দেওয়া
(খ) তপনকে গল্প লিখে দেওয়া
(গ) তপনের লেখা গল্প কোন পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়া
(ঘ) ছুটিতে তপনকে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাওয়া
উত্তর : (গ) তপনের লেখা গল্প কোন পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়া
১.৫ মামার বাড়িতে বসে তপন প্রথম গল্পটি লিখেছিল -
(ক) রাত্রিবেলায়
(খ) বিকেল বেলায়
(গ) দুপুরবেলায়
(ঘ) সকালবেলায়
উত্তর: (গ) দুপুরবেলায়
১.৬ ছোট মাসি তপনের চেয়ে বড় -
(ক) বছর পাঁচেকের
(খ) বছর আটেকের
(গ) বছর দশেকের
(ঘ) বছর সাতেকের
উত্তর : (খ) বছর আটেকের
১.৭ বিয়ে বাড়িতেও যেটি মা না আনিয়ে ছাড়েনি -
(ক) হোম টাস্কের খাতা
(খ) গল্পের বই
(গ) ছুটির পড়ার বই
(ঘ) ছবি আঁকার বই
উত্তর : (ক) হোম টাস্কের খাতা
১.৮ “কোনোখান থেকে টুকলিফাই করিসনি তো”? - উক্তিটির বক্তা হলেন -
(ক) তপনের বাবা
(খ) তপনের ছোট মাসি
(গ) তপনের নতুন মেসো
(ঘ) তপনের মামা
উত্তর : (খ) তপনের ছোট মাসি
১.৯ “পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটে”? - অলৌকিক ঘটনাটি হল -
(ক) তপনের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা হয়েছে
(খ) তখন দেখল ছাপানো গল্পের একটা লাইনও তার নিজের লেখা নয়
(গ) এক লেখকের সঙ্গে তপনের ছোট মাসির বিয়ে হয়েছে
(ঘ) বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী
উত্তর : (ক) তপনের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা হয়েছে
১.১০ "সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়" - কারণটি হল -
(ক) তপনের মাসি ও মেসো এসেছে
(খ) তপনের লেখক মেসো এসেছে
(গ) তপন পরীক্ষাতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে
(ঘ) তপনের গল্প ছাপানো হয়েছে
উত্তর : (ঘ) তপনের গল্প ছাপানো হয়েছে
১.১১ “ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে”। - কোন্ কথাটি ছড়িয়ে পড়ে?
(ক) তপনের লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপানোর কথা
(খ) তপনের গল্প লেখার কথা
(গ) ছোট মেসোর তপনের লেখা 'প্রথম দিন' গল্পটির কারেকশনের কথা
(ঘ) ক্লাসে তপনের ফার্স্ট হওয়ার কথা
উত্তর : (গ) ছোট মেসোর তপনের লেখা প্রথম দিন গল্পটির কারেকশনের সঙ্গে কথা
১.১২ “বোবার মতো বসে থাকে”। - কারণটি হলো -
(ক) অতি আহ্লাদে বাক্য হারিয়ে ফেলে
(খ) মেসো তপনের গল্পটিকে আগাগোড়াই কারেকশন করেছেন
(গ) তপনের লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপানো হয়েছিল বলে
(ঘ) গল্প বই তপনের নাম ছিল না
উত্তর : (খ) মেসো তপনের গল্পটিকে আগাগোড়াই কারেকশন করেছেন
(২) অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
২.১ “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল”। - কোন্ কথা শুনে তপনের এরকম অবস্থা হল?
উত্তর : তার ছোট মেসো 'লেখক' এই কথা শুনে তপনের এরকম অবস্থা হল।
২.২ “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের”। - কোন্ বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল?
উত্তর : লেখকরাও যে অন্যান্য সাধারন মানুষদের মত হয় সে বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল।
২.৩ “সেই দিকে ধাবিত হয়”। - কে, কোন্ দিকে ধাবিত হয়েছিল?
উত্তর : তপনের ছোট মাসি তপনের লেখা নতুন গল্প তার স্বামীকে দেখানোর উদ্দেশ্যে পাশের ঘরে ধাবিত হয়েছিল।
২.৪ “এই কথাটাই ভাবছে তপন রাতদিন”। - তপন রাতদিন কোন্ কথা ভাবছে?
উত্তর : তপনের নতুন মেসো তপনের লেখা নতুন গল্পটা আদেও ছাপাবে কিনা তাই নিয়ে সে রাতদিন ভাবছিল।
২.৫ “মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠল”। - কার এবং কেন এরকম হয়েছিল?
উত্তর : নতুন মেসোর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তপনের লেখা গল্প নিজে থেকে পড়ার সময় তপনের মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠেছিল।
২.৬ “যেন নেশায় পেয়ছে”। - এখানে কিসের নিশার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : এখানে তপনের গল্প লেখার নেশার কথা বলা হয়েছে।
২.৭ “বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের”। - তপনের এরকম হওয়ার কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর : তপনের ছোট মেসোর হাতে সন্ধ্যাতারা পত্রিকাটি দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে উঠেছিল।
২.৮ “আজ আর অন্য কথা নেই”। - সেদিন কিসের কথা ছিল?
উত্তর : সেদিন তপনের লেখা নতুন গল্প ছাপানোর কথা এবং তার ছোট মেসোর মহত্বের কথা ছিল।
২.৯ “তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই”। - এখানে কোন্ দুঃখের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : নিজের লেখা গল্পের বই পড়তে বসে যখন কেউ দেখে সেই বইয়ের প্রত্যেকটা লাইন অন্য কারো লেখা।
২.১০ "এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন," -তপনের সংকল্পটি কি ছিল?
উত্তর : সে নিজের সামর্থের বই ছাপাবে।
(৩) ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
প্রশ্নঃ 'রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই' - কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ উদ্ধৃতিটি আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। 'জহর' অর্থাৎ মূল্যবান রত্ন বিশেষজ্ঞকে জহুরি বলা হয়। এক্ষেত্রে জহুরি বলতে নতুন মেসোকে বোঝানো হয়েছে। লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন একটা আস্ত গল্প লিখে মাসিকে দেখায়। মাসি তা নিয়ে সারাবাড়িতে শোরগোল বাধিয়ে মেসোকে দেখাতে যান। তপন ব্যাপারটায় আপত্তি তুললেও মনে মনে পুলকিত হয় এই ভেবে যে, তার লেখার মূল্য একমাত্র কেউ যদি বোঝে তবে ছোটোমেসোই বুঝবে, কেন না জহুরির জহর চেনার মতো একজন লেখকই পারে কোনো লেখার মূল্যায়ন করতে।
প্রশ্নঃ 'মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা' - কোন্ কাজকে মেসোর উপযুক্ত কাজ বলা হয়েছে?
উত্তরঃ লেখকরা যে সাধারণ মানুষ এ ব্যাপারে নতুন মেসোকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল। তপন নতুন মেসোকে অহরহ কাছ থেকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটা আস্ত গল্প লিখে তার মেসোর উপযুক্ত কাজ প্রিয় ছোটোমাসিকে দেখায়। গল্পটি নিয়ে ছোটোমাসি রীতিমতো হইচই ফেলে দেয়। শুধু তাই নয়, তিনি গল্পটি তার লেখক স্বামীকেও দেখান। গল্প দেখে তিনি সামান্য কারেকশন করে দিলে সেটা পাবলিশারে যে ছাপা যেতে পারে এ কথা বলেন। আর এ কথা শুনেই মাসি সেটা ছাপিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান, যেটাই মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে।
প্রশ্নঃ 'কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।' - কোন্ কথা শুনে কেন তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল?
উত্তরঃ তপন এতদিন ভেবে এসেছে লেখকরা বুঝি অন্য জগতের মানুষ। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে তাদের কোনো মিল নেই। তাই যখন সে শুনল যে তার ছোটো মেসো বই লেখেন, আর সেই বই ছাপাও হয় তখন তার বিস্ময়ের সীমা রইল না। নতুন মেসো একজন সত্যিকারের লেখক। এই আশ্চর্য খবরটা শুনেই তপনের চোখ মার্বেলের মতো গোল হয়ে গেল।
প্রশ্নঃ 'বিয়েবাড়িতেও যেটি মা না আনিয়ে ছাড়েননি!' - কীসের কথা বলা হয়েছে? তা মা না আনিয়ে ছাড়েন কেন?
উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবী রচিত 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে আলোচ্য উত্তিটিতে তপনের হোম টাস্কের খাতার কথা বলা হয়েছে, যা পরবর্তীতে উদ্দিষ্ট বস্তু তার গল্প লেখার খাতায় পরিণত হয়েছিল। লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী সূক্ষ্ম আঁচড়ে মধ্যবিত্ত বাঙালি জীবনের স্বাভাবিক ছবিটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন। বাঙালি মায়েদের সন্তানের পড়াশোনার প্রতি সাধারণত তীক্ষ্ণ নজর থাকে। তপনের মাও এর ব্যতিক্রম নন। বিয়েবাড়িতে আসার জন্য তপনের পড়াশোনার যে ক্ষতি হবে, তা কিছুটা অবসর সময়ে পুষিয়ে নিতে তিনি তার হোমটাস্কের খাতাটি সঙ্গে আনিয়ে ছিলেন।
প্রশ্নঃ 'আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম।' - আমাদের বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের কোন চেষ্টার কথা বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ আলোচ্য উদ্ধৃতিটি আশাপূর্ণা দেবী রচিত 'জ্ঞানচক্ষু' গল্প থেকে গৃহীত। উদ্ধৃতির উক্তি তপনের মেজোকাকু 'আমাদের' বলতে এখানে নিজেকে এবং বাড়ির অন্য ব্যক্তিদেরকে বুঝিয়েছেন। লেখক মেসোর দৌলতে তপনের কাঁচা হাতের লেখা গল্পও নামি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। বালক তপনকে তাদের চেষ্টা উৎসাহ দেওয়ার পরিবর্তে তার মেজোকাকু উদ্ধৃত উক্তিটির দ্বারা সুযোগ পেলে যে তাঁরাও গল্প লিখতে পারতেন তাই বোঝাতে চেয়েছেন।
প্রশ্নঃ 'শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীর সংকল্প করে তপন' - দুঃখের মুহূর্তটি কী? তপন কী সংকল্প করেছিল?
উত্তরঃ দুঃখের মুহূর্ত উত্তর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের নায়ক তপনের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তটি একপলকে দুঃখের মুহূর্তে পর্যবসিত হয়। কারণ সে প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে টের পায়, লেখক মেসো গল্পটিকে সংশোধনের নামে প্রায় সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন । এই গল্পকে আর যাই হোক তার নিজের লেখা বলা যায় না।
এই ঘটনায় তপন সংকল্প করেছিল যে, যদি কোনোদিন নিজের কোনো লেখা ছাপতে দেয়, তবে নিজে গিয়ে ছাপতে কৃত সংকল্প দেবে। ছাপা হোক বা না হোক অন্তত তাকে এ কথা শুনতে হবে না যে, কেউ তার লেখা প্রভাব খাটিয়ে ছাপিয়ে দিয়েছে।
প্রশ্নঃ 'পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে' - কোন্ ঘটনাকে 'অলৌকিক ঘটনা' বলা হয়েছে?
উত্তরঃ মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন একটা গল্প লিখে ফ্যালে। সেই গল্পটি মাসির প্ররোচনায় ও মেসোর প্রভাবে সত্যিই একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ছোট্ট তপনের কাছে তার অলৌকিক ঘটনা গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশ পাওয়ার ঘটনা ছিল স্বপ্নের মতোই কাল্পনিক। তাই এই ঘটনাটিকে অলৌকিক বলা হয়েছে। 'অলৌকিক' শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল অবাস্তব বা অসম্ভব ব্যাপার।
প্রশ্নঃ 'গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হওয়ার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না' – কার গল্প? গল্প ছাপা হওয়ার পরেও বক্তার মনে আনন্দ নেই কেন?
উত্তরঃ এখানে 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের লেখা 'প্রথম দিন' গল্পটির কথা বলা হয়েছে।
লেখক মেসোর প্রভাব ও পরিচিতির জোরে ছোট্ট তপনের লেখা গল্পটি 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তপনের লেখা গল্প ছাপা হওয়ার সংবাদে সারাবাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। কিন্তু তপনের কৃতিত্বের বদলে মেসোর মহত্ত্বকেই বাড়ির বড়োরা বেশি গুরুত্ব দেয়। তাদের মতে মেসোই ওই গল্প ছাপিয়ে দিয়েছেন। মেজোকাকু বলেন, এমন মেসো থাকলে তারাও একবার চেষ্টা করে দেখতেন। এসব নানা কথায় তপন ক্রমশ যেন হারিয়ে যায়। তাই মনটা একটু তিক্ত হয়ে যাওয়ায়। তাই গল্প ছাপা হওয়ার ভয়ংকর আহ্লাদটা সে আর খুঁজে পায় না।
প্রশ্নঃ 'আজ আর অন্য কথা নেই' – 'আজ' দিনটির বিশেষত্ব কী? সেদিন আর অন্য কথা নেই কেন?
উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবী রচিত 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে 'আজ' বলতে সেই দিনটির কথা বলা হয়েছে যে দিন তপনের লেখা গল্পের বই সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপানো হয়েছিল।
বালক তপনের লেখা গল্প যে সত্যি সত্যিই কোনো পত্রিকায় ছাপা হতে পারে, তা কেউই বিশ্বাস করেনি। কিন্তু যেদিন সত্যিই সেই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটল, সেদিন সকলের কেন অন্য কথা নেই মুখে মুখে বারবার এই ঘটনার কথাই আলোচিত হচ্ছিল।
প্রশ্নঃ 'যেন নেশায় পেয়েছে।' - কাকে, কীসের নেশায় পেয়েছে বুঝিয়ে বলো।
উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনকে গল্প লেখার নেশায় পেয়েছে। আগে তপন মনে করত গল্প লেখা ভারী কঠিন কাজ, সাধারণ মানুষের পক্ষে তা সম্ভব নয়। লেখকরা বুঝি ভিন্ন গ্রহের মানুষ। কিন্তু লেখক ছোটোমেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত তপন সাহস করে লিখে ফেলে আস্ত গল্প। ছোটোমাসির হাত ঘুরে সেই গল্প ছোটোমেসোর হাতে পড়ে। তিনি তপনকে উৎসাহ দিতে গল্পটা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন বলে কথা দেন। উৎসাহিত তপন গল্প লেখার নেশায় মেতে ওঠে।
(৪) রচনাধর্মী প্রশ্ন গুলোর উত্তর দাও :
প্রশ্নঃ 'এর প্রত্যেকটি লাইনই তো নতুন আনকোরা, তপনের অপরিচিত' – 'এর' বলতে কীসের কথা বলা হয়েছে? প্রসঙ্গটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ উদ্ধৃত লাইনটি আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের অংশবিশেষ। 'এর' বলতে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের প্রথম ছেপে বেরোনো গল্প 'প্রথম দিন' – এর কথা বলা হয়েছে।
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন ছোটোবেলা থেকেই ভাবত লেখকরা বুঝি অন্য জগতের মানুষ। কিন্তু ছোটোমাসির সঙ্গে বিয়ে হওয়া নতুন মেসোকে দেখে তার সেই ভুল ভাঙে। তার নতুন মেসো বই লেখেন। তার লেখা বই ছাপাও হয়, অথচ মেসোর আচার–আচরণের সঙ্গে তার বাবা, ছোটোমামা বা মেজোকাকুর আচার–আচরণের কোনো তফাতই বিস্তারিত আলোচনা সে খুঁজে পায় না। তপন বোঝে, লেখকরা আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নয়। অনুপ্রাণিত তপন একটা আস্ত গল্প লেখে যেটা তার মাসির হাত ঘুরে মেসোর হাতে পড়ে। মাসির পীড়াপীড়িতে সামান্য কারেকশন করে সে গল্প 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন নতুন মেসো। বাড়িতে সে নিয়ে আনন্দের শেষ নেই। কিন্তু ছোট্ট তপন সকলের অনুরোধে গল্প পড়তে শুরু করতেই সুর কেটে যায়। তপন দেখে কারেকশনের নাম করে মেসো তার লেখাটা আগাগোড়াই বদলে দিয়েছেন। গল্পের প্রত্যেকটি লাইনই তার কাছে নতুন লাগে। তার শিশুমন ব্যথায় ভরে ওঠে।
প্রশ্নঃ তপনের নতুন মেসোর চরিত্রটি আলোচনা করো।
উত্তরঃ কথাশিল্পী আশাপূর্ণা দেবী রচিত 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের মূল চরিত্র তপনের আত্মোপলব্ধির পিছনে যে চরিত্রটির প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে, তিনি হলেন তপনের নতুন মেসো। এই মেসো পেশায় অধ্যাপক এবং লেখক। তাঁর লেখক পরিচয় তপনের মনের বহু ভুল ধারণা ভেঙে দেয়। অধ্যাপক ও লেখক হওয়া সত্ত্বেও মেসো ব্যক্তিটি বেশ মিশুকে, ফুর্তিবাজ। তিনি শ্যালক–শ্যালিকাদের সঙ্গে গল্প করেন, তর্ক করেন, কবজি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়া করেন, সিনেমায় মিশুকে যান ও বেড়াতেও যান।
শ্বশুরবাড়ির সদস্য হিসেবে তপনের প্রথম লেখা গল্পের তিনি প্রশংসা সহানুভূতিশীল করেন ও তা ছাপার দায়িত্ব নিয়ে নেন। শুধু যে তপনকে উৎসাহ দিতে ছোটোমেসো তার গল্পটা ছাপিয়ে দেন, নিজের প্রতিপত্তি এমনটা নয়। শ্বশুরবাড়িতে নিজের প্রতিপত্তি জাহির বাহিরে আগ্রহী করতেও তিনি এ কাজ করেন। তপনের গল্প যাতে প্রসিদ্ধি পায়, তাই সংশোধনের নামে গল্পের আগাগোড়া বদলে দেন মেসো। তাঁর উদ্দেশ্য হয়তো মহৎ ছিল, কিন্তু তাঁর অন্যের আবেগ বুঝতে অক্ষম এই উদ্যোগ তপনের লেখকসত্তাকে আঘাত করে। একদিকে চারিত্রিক উদারতায় ও মহত্ত্বে আবার অন্যদিকে অসতর্কতায়, তপনের নতুন মেসো এক পরিপূর্ণ রক্তমাংসের চরিত্র হয়ে ওঠেন। যদিও একজন লেখক হয়ে অন্য লেখকের এই আত্মসম্মান ও অহংবোধকে উপলব্ধি করা তাঁর উচিত ছিল।
প্রশ্নঃ 'কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের।' - নতুন মেসোর পরিচয় দাও। তাকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে তপনের নতুন মেসো তার ছোটোমাসির স্বামী। তিনি একজন লেখক, বই লেখেন। ইতিমধ্যে তাঁর অনেক বই ছাপাও হয়েছে। সর্বোপরি তিনি একজন প্রফেসর।
তপনের ছোটোমাসির বিয়ের পর নতুন মেসো যে লেখক, এ কথা শুনে তার কৌতূহলের অন্ত ছিল না। তার কাছে লেখক মানে ভিন গ্রহের কোনো মানুষ, যারা সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে। একজন লেখককে যে এত কাছ থেকে দেখা যায় কিংবা লেখকরা যে তপনের বাবা, ছোটোমামা বা মেজোকাকুদের মতো সাধারণ মানুষ হতে পারে, এ বিষয়েও তার যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। কিন্তু তার সেই ধারণাগুলো ভেঙে গেল, যখন দেখল তার ছোটোমেসোও তার বাবা, ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতোই দাড়ি কামান, সিগারেট খান, খেতে বসে অর্ধেক খাবার তুলে দেন, সময়মতো স্নান করেন ও ঘুমোন। ছোটোমামাদের মতোই খবরের কাগজের কথায় তর্ক ও শেষ পর্যন্ত দেশ সম্পর্কে একরাশ হতাশা ঝেড়ে ফেলে সিনেমা দেখতে বা বেড়াতে চলে যান। এসব বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে মেসোর মিল দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু উন্মোচিত হয়। সে বুঝতে পারে লেখকরা আকাশ থেকে পড়া জীব নয়, নিছকই মানুষ।
প্রশ্নঃ 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে তপন চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের তপনের মধ্যেও সব শিশুর মতোই আশা–আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন–স্বপ্নভঙ্গ, কল্পনা-বাস্তব, আনন্দ–অভিমানের টানাপোড়েন দেখা যায়। তবে তার চরিত্রের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য তাকে আলাদা করে রাখে।
তপন মনে মনে তার কল্পনার জগৎকে সাজিয়ে নিতে ভালোবাসে। তাই তার কল্পনার জগতে লেখকরা ছিলেন ভিন কল্পনাপ্রবণ গ্রহেরপ্রাণী। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে তাদের বুঝি বা কোনো মিলই নেই। সাহিত্যপ্রেমী সাহিত্যের প্রতি তপনের ঝোঁক ছোটোবেলা থেকেই। সে অনেক গল্প শুনেছে ও পড়েছে। লেখকদের সম্পর্কেও তার কৌতূহল অসীম।
ছোটোমেসোকে দেখে তার মনেও লেখক হওয়ার ইচ্ছে জাগে। উৎসাহী হয়ে বেশ কয়েকটা গল্পও লিখে বয়স অনুপাতে তপন একটু বেশিই সংবেদনশীল। সমবয়সি ছেলেমেয়েদের মতো রাজারানি, খুন – জখম ও অ্যাকসিডেন্ট নিয়ে না লিখে, তার ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি সংবেদনশীল ও অন্তর্মুখী ঠাট্টাতামাশা বা মাসি মেসোর উৎসাহদান কোনোটাতেই সে প্রকাশ্যে তার প্রতিক্রিয়া দেখায় না। এটা তার অন্তর্মুখী স্বভাবেরই পরিচয়। তাই কারেকশনের নামে মেসো তার গল্পটা আগাগোড়া বদলে দিলে তপন তার কষ্ট লুকোতে ছাদে গিয়ে কাঁদে।
তপনের আত্মমর্যাদা বোধ ছিল প্রবল। তার গল্প ছোটোমেসো কারেকশনের নাম করে আগাগোড়াই বদলে দিলে তপনের লেখকসত্তা আহত হয়। সে মনে মনে শপথ নেয়, ভবিষ্যতে লেখা ছাপাতে হালে সে নিজে গিয়ে লেখা দিয়ে আসবে পত্রিকা অফিসে। তাতে যদি তার মতো নতুন লেখকের লেখা ছাপা না হয়, তাতেও দুঃখ নেই।
প্রশ্নঃ 'তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের!' – কার একথা মনে হয়েছে? জীবনের কোন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে?
উত্তরঃ কথাশিল্পী আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের কেন্দ্রিয় চরিত্র তপনের একথা মনে হয়েছিল। শিশুমন কোমল, সামান্য আঘাত পেলেই তারা ভীষণভাবে মুষড়ে পড়ে। এক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে, ছোট্ট তপনের লেখক সম্পর্কে সব কৌতূহলের শেষ হয় নতুন মেসোকে দেখে। অনুপ্রাণিত তপন একটি গল্প লেখে।
সেই গল্প মাসির পীড়াপীড়িতে মেসোর হাত ধরে 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছাপা হয়। স্বাভাবিক কারণে তপন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। নানান বিরূপতা সত্ত্বেও সে গর্ব অনুভব করে। কিন্তু তার গর্ব মাটিতে মিশে যায় গল্পটি পড়ার সময়। সে দেখে প্রকাশিত গঙ্গে তার লেখার লেশমাত্র নেই। কারণ গল্পটা সামান্য কারেকশনের নামে পুরোটাই বদলে গিয়েছিল। এতে তপনের লেখকসত্তা অপমানিত হয়। তার চোখে জল এসে যায়। নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়ার দুঃখ ও যন্ত্রণা তাকে কুরেকুরে খায়। লজ্জা, অনুশোচনা এবং আত্মসম্মানহীনতার সংকোচ থেকে এভাবেই সে উপরিউক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।
প্রশ্নঃ তপনের ছোটোমাসির চরিত্রটি আলোচনা করো।
উত্তরঃ 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে আশাপূর্ণা দেবী সৃষ্ট চরিত্রগুলির মধ্যে ছোটো অথচ বেশ শক্তিশালী চরিত্র হল তপনের ছোটোমাসির চরিত্রটি। ছোটোমাসি বয়সে তপনের চেয়ে বছর আষ্টেকের বড়ো। প্রায় সমবয়সি ছোটোমাসি ছিল তপনের চিরকালের বন্ধু। মামার বাড়িতে এলে তপনের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গী ছিল সে। তাই তপন প্রথমবার গল্প লিখে বন্ধুত্বপূর্ণ ছোটোমাসিকেই সকলের আগে দেখায়। সদ্যবিবাহিতা ছোটোমাসির স্বামী একজন অধ্যাপক। তিনি আবার বইও লেখেন। তাই বিয়ের পর থেকে ছোটোমাসির মধ্যে একটা মুরুব্বি মুরুব্বি ভাব এসেছে। তপনের লেখা গল্পটি পুরোটা না পড়েই স্বামী গর্বে গর্বিতা সে তার মতামত জানায় এবং লেখাটা নিয়ে যায়। তার স্বামীর কাছে। তার জোরাজুরিতেই তার স্বামীর তপনের গল্পটা ছাপানোর ব্যবস্থা করতে রাজি হয়ে যান। তাই সেই গল্প 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছেপে বেরোলে মাসির মুখে আত্মপ্রসাদের আনন্দ দেখা যায়। প্রায় সমবয়সি হলেও তপন ছিল তার বিশেষ স্নেহের পাত্র। তাই তার লেখা গল্প ছাপানোর ব্যাপারে মাসি এত উদ্যোগ নেয়। সে যখন মজা করে তপনের লেখাটা 'টুকলিফাই' কিনা জানতে চায়, তখনও সেই বক্তব্যের মধ্যে অভিযোগ বা সন্দেহের বদলে স্নেহেরই সুর বাজে।
প্রশ্নঃ 'তপন আর পড়তে পারে না।' – তপনের এরকম অবস্থার কারণ বর্ণনা করো।
উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের ইচ্ছে ছিল লেখক হওয়ার। একই সঙ্গে লেখকদের সম্বন্ধে তার ধারণা ছিল, তাঁরা বুঝি আকাশ থেকে পড়া অতিলৌকিক কোনো প্রতিভা। কিন্তু তার ছোটোমাসির বিয়ের পর নতুন মেসোকে দেখে তার সেই ভুল ভাঙে। তার নতুন মেসো অধ্যাপক, বই লেখেন। সেসব বই ছাপাও হয় অথচ প্রান্তিক মাধ্যমিক বাং মেসোর আচার–আচরণের সঙ্গে তার বাবা, ছোটোমামা বা মেজোকাকুর আচার–অচারণের কোনো তফাতই সে খুঁজে পায় না। নতুন মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত তপন একটি আস্ত গল্প লেখে, যেটি তার মাসির হাত ঘুরে মেসোর হাতে গিয়ে পড়ে। মাসির পীড়াপীড়িতে সামান্য কারেকশন করে সেই গল্প 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছাপানোর আশ্বাস দেন নতুন মেসো। বাড়িতেও সে নিয়ে আনন্দের শেষ নেই। অনেকদিনের ইচ্ছে হয়তো এবার পূরণ হতে চলেছে - এই ভেবেই একটু সংশয়কে সঙ্গী করেই তপনের মনও উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। কিন্তু যথাসময়ে 'সন্ধ্যাতারা'য় ছাপা লেখাটি পড়তে গিয়ে তপন টের পায় কারেকশনের নামে লেখক মেসো গল্পের আগাগোড়া বদলে দিয়েছেন। নির্বিচারে কলম চালানোয় নিজের নামে ছাপানো গল্পে সে আর নিজেকেই খুঁজে পায় না। তপনের লেখকমন আহত হয়। নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়ার দুঃখযন্ত্রণা তাকে কুরে কুরে খায়। লজ্জা, অনুশোচনা আর আত্মসম্মানহীনতায় তার বাক্রোধ হয়ে আসে।
Madhyamik Bengali Suggestion 2025
Madhyamik Bengali suggestion 2025 pdf. Madhyamik Bengali suggestion 2025 pdf download. Madhyamik Bengali question 2025. Madhyamik Bengali. Madhyamik Bengali meaning. Madhyamik Bengali syllabus 2025. Madhyamik Bengali syllabus 2025. Madhyamik Bengali syllabus. Madhyamik Bengali question 2025.
জ্ঞানচক্ষু আশাপূর্ণা দেবী মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর
আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন উত্তর. জ্ঞানচক্ষু বলতে কী বোঝো. দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর জ্ঞানচক্ষু. জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর 2025. জ্ঞানচক্ষু গল্পের বিষয়বস্তু. তিনি নাকি বই লেখেন কার কথা বলা হয়েছে. জ্ঞানচক্ষু গল্পের ভূমিকা. জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর mcq. জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর 2025. জ্ঞানচক্ষু গল্পের উৎস. জ্ঞানচক্ষু বলতে কী বোঝো. জ্ঞানচক্ষু গল্পের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো. জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর 2025. জ্ঞানচক্ষু গল্প pdf. জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রকৃতি. জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল্যায়ন.
Madhyamik Suggestion 2025 pdf Free download
মাধ্যমিক সাজেশন 2025 pdf. উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2025. মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2025 PDF. বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন. উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2025. মাধ্যমিক বাংলা কারক. মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন 2025. পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর ও শেষ মুহূর্তের সাজেশন ডাউনলোড. মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। মাধ্যমিক সাজেশন 2025 pdf. মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2025 pdf. মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2025 mcq. মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন 2025. মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর 2025. 2025 এর মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন বাংলা.
জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর pdf
জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর 2025. বহুরূপী গল্পের প্রশ্ন উত্তর 2025. জ্ঞানচক্ষু গল্পের বিষয়বস্তু. দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর জ্ঞানচক্ষু. জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল্যায়ন. জ্ঞানচক্ষু গল্পের উৎস. দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর 2025. জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর 2025. জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর 2025. দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর 2025. জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর pdf. ক্রমশ ও কথাটা ছড়িয়ে পড়ে কোন কথাটি ছড়িয়ে পড়ে. তিনি নাকি বই লেখেন কার কথা বলা হয়েছে. দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর 2025.
মাধ্যমিক সাজেশন 2025 pdf
Madhyamik suggestion 2025 pdf. Madhyamik suggestion 2025 pdf download. Madhyamik suggestion 2025 pdf free download. ক্লাস 10 বাংলা প্রশ্ন উত্তর 2025. ক্লাস টেনের বাংলা সাজেশন. মাধ্যমিক সাজেশন 2025 pdf. মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2025 pdf. মাধ্যমিক পরীক্ষার সাজেশন 2025 বাংলা. উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2025. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2025. মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2025 PDF. বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন.
জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর 2025
গল্প লেখার পর তপনের কী মনে হয়েছিল?. জ্ঞানচক্ষু গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র কে তার চরিত্রের বর্ণনা দাও?. তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গিয়েছিল কেন?. সুবর্ণলতা মায়ের নাম কি?. ২ ১ ১ এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের কোন বিষয়ে সন্দেহ ছিল?. রত্নের মূল্য জহুরীর কাছেই এখানে রত্ন বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে জহুরী কে কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো?. মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা কোন কাজের কথা বলা হয়েছে?. বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের কখন তপনের এমন পরিস্থিতি হয়েছিল?. পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে কোন ঘটনাকে কেন অলৌকিক বলা হয়েছে?
WBBSE Madhyamik bengali suggestion 2025
WBBSE Madhyamik Bengali suggestion 2025 pdf download. Madhyamik Question Paper Bengali. WBBSE Madhyamik Bengali suggestion 2025 pdf download in Bengali. WBBSE Madhyamik Bengali suggestion 2025 download pdf. West Bengal Madhyamik Bengali Suggestion 2025 Download. WBBSE Madhyamik Bengali short question suggestion 2025. Madhyamik Bengali Suggestion 2025 download. WB Madhyamik 2025 Bengali suggestion and important questions. Madhyamik Suggestion 2025 pdf.
পোস্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তরঃ
প্রশ্নঃ মাধ্যমিক বাংলার সম্পূর্ণ সাজেশনটি কোথা থেকে পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ আমাদের প্রকাশিত মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৪ -এর সম্পূর্ণ পার্ট নিচে দেওয়া লিঙ্ক থেকে সম্পূর্ণ ফ্রী-তে ডাউনলোড করে নিতে পারো।
মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৫ অ্যাপ ফ্রী
প্রশ্নঃ এই সাজেশনে কি MCQ বা VSQ আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ।
প্রশ্নঃ এই সাজেশনটির উপর কি বিশ্বাস করা যায়?
উত্তরঃ তোমাদের প্রথমেই বলে রাখি তোমরা সবার আগে টেক্স বইগুলি ভালোভাবে পড়েবে। আর তার পর তোমরা যে কোনো সাজেশন পড়তে পারো।
প্রশ্নঃ এই সাজেশনগুলির কি কোনো PDF পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ অবশ্যই। নিচে দেওয়া লিঙ্ক থেকে তোমরা খুবই সামান্য পেমেন্ট করে ডাউনলোড করে নিতে পারো।
প্রশ্নঃ এই সাজেশন থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় কি কোনো কমন পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ। এই সাজেশনে ছোটো প্রশ্ন থেকে সকল বড়ো প্রশ্ন আমাদের টিমের অভিজ্ঞ শিক্ষিক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তাই আশা করি তোমরা যদি নিজের উপর বিশ্বাস করো তো আমাদের এই সাজেশনগুলিকেও বিশ্বাস করতে পারো।
প্রশ্নঃ এই সাজেশনে কি সকল অধ্যায় সম্পর্কে আলোচনা করা আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ এই সাজেশনগুলিতে সকল বিষয়ের সকল অধ্যায় সম্পর্কে আলোচনা করা আছে।
SHERALI HAQUE
উত্তরমুছুনPIYEL ROY
মুছুনBengali
উত্তরমুছুন3,1
উত্তরমুছুনতপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল”। - তপনের এরকম হওয়ার কারণ প্রসঙ্গ উল্লেখ করো।
উত্তরমুছুনJani na
মুছুনSonali Murmu
উত্তরমুছুনPrase
উত্তরমুছুনEr ki boi ache
উত্তরমুছুনদুঃখের মুহূর্তে তপণের সংকল্প কী
উত্তরমুছুনতপনের বাড়ি কোথায়
উত্তরমুছুনআমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম উক্তিটির বক্তা হলেন ?
উত্তরমুছুন