মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
দশম শ্রেণী
ইতিহাস
১. শূন্যস্থান পূরণ করো:
Download Model Activity Task 2022 Apps
(ক) কলকাতা মাদ্রাসা গড়ে ওঠে_____খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর: ১৭৮১
(খ) স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন_____।
উত্তর: ডেভিড হেয়ার
(গ) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন_____।
উত্তর: স্যার জেমস উইলিয়াম কোলভিন
(ঘ) স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্বধর্ম সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন______খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর: ১৮৯৩
২. স্তম্ভ মেলাও
Download Model Activity Task 2022 Apps
উত্তরঃ
৩. দুই-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও:
(ক) লালন ফকির স্মরণীয় কেন?
উত্তর: উনিশ শতকে বাংলায় সর্বধর্মসমন্বয়ের ক্ষেত্রে যে সমস্ত উদ্যোগ লক্ষ করা গিয়েছিল লালান ফকির সেখানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। লালন ফকির বাউল সাধনার মধ্য দিয়ে প্রায় ২ হাজার গান রচনা করেছিলনে। তিনি কোনো ধর্ম মানতেন না, বিশ্বাস করতেন না কোনো রকম জাতভেদ। তিনি গানের মধ্য দিয়ে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে দিয়েছিলেন মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গী। স্বরচিত গানে তত্ত্বকথার মধ্য দিয়ে তিনি সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মসমন্বয়, সহনশীলতা, সদাচার ও নৈতিকতা প্রচার করে জনমানসে এক বিরাট পরিবর্তন এনেছিলেন।
(খ) পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে বেথুনের ভূমিকা কি?
উত্তর: বাংলা তথা ভারতবর্ষে স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারের ইতিহাসে জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। এ দেশের নারীরা সামাজিক কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে মিশনারিদের স্থাপন করা বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতো না। তাই এ দেশের নারীরা যাতে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ওঠে সেই উদ্দেশ্যে ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে বেথুন সাহেব নেটিভ ফিমেল স্কুল নামে হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে নারী শিক্ষার বিস্তারে গতি প্রদান করেছিলেন।
৪. সাত-আটটি বাক্যে উত্তর দাও:
(ক) ব্রাহ্ম সমাজে কেন বিভাজন দেখা দিয়েছিল?
উত্তর: কেশবচন্দ্র সেন ব্রাহ্ম উপাসনা পদ্ধতি ও ব্রাহ্মধর্মের মূল তত্ত্বগুলিকে সহজসরল করে তোলেন। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বলতেন ব্রাহ্মধর্মর হল হিন্দুধর্মের বিশবদ্ধ রূপ। তিনি মূর্তিপূজো অথবা হিন্দুধর্মের অন্য কোনো সংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পক্ষপাতী ছিলেন না। অপরদিকে কেশবচন্দ্র সেন হিন্দুধর্ম ও সামাজিক কুপ্রথার বিরুদ্ধেও আন্দোলনের পক্ষপাতী ছিলেন। এই মতপার্থক্যের জন্য ব্রাহ্মসমাজ ভেঙে যায়। কেশবচন্দ্র সেন ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
(খ) 'বাংলার নবজাগরণ'-এর সীমাবদ্ধতা আলোচনা করো।
উত্তর: পাশ্চাত্য সভ্যতার সংস্পর্শে এসে উনিশ শতকের মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজে এক যুক্তিবাদী ও মানবতাবাদী আড়োলনের সূচনা হওয়ার ফলে তৎকালীন ধর্ম, সমাজ, শিক্ষা, সাহিত্য, দর্শন, রাজনীতি জীবনের সর্বক্ষেত্রেই ব্যাপক পরিলক্ষিত হয়, যাকে ঐতিহাসিকরা বঙ্গীয় নবজাগরণ বা 'Bengal Renaissance' বলে অভিযোগ করেছেন। বঙ্গীয় নবজাগরণ নিয়ে পণ্ডিত মহলে মতপার্থক্যের শেষ নেই। কারো কারো মতে উনবিংশ শতকে বাংলার নবজাগরনে যোগ দেয়নি। আবার কারো কারো মতে ইউরোপের নবজাগরণ এবং বাংলার নবজাগরণের মধ্যে বিস্তর তফাৎ ছিল।
প্রখ্যাত পন্ডিত আশোক মিত্র বাংলা নবজাগরণকে 'তথাকথিত' নবজাগরণ বলেছেন। তার মতে এই নবজাগরণের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোন যোগ ছিল না, আবার গবেষক সুপ্রকাশ রায় বলেছেন - বাংলার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে আন্দোলনের প্রকৃত ছিল ইউরোপের আন্দোলনের থেকে অনেক ভিন্ন ও বিপরীতমুখী।
অধ্যাপক সুমিত সরকার, বাংলার নবজাগরণকে ইংরেজ নকলনবিশি বলে সমালোচনা করেছেন। বিনয় ঘোষের ধারণায় বাংলায় নবজাগরণ একটি অতিকথা মাত্র। তিনি এই নবজাগরণকে ঐতিহাসিক প্রতারণা বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন যে, বাংলায় নবজাগরণ হয়নি, যা লেখা হয়েছে এখনও লেখা, তা অতিকথন মাত্র। অশোক মিত্র বাংলার উনিশ শতকের জাগরণকে তথাকথিত নবজাগরণ বলে উল্লেখ করেছেন।
অন্যান্য মডেল অ্যাক্টিভিটি পেতে ঃ এইখানে ক্লিক করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ