Model Activity Task Class 10 Geography 2022 (February) মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দশম শ্রেণি ভূগোল ২০২২ (ফেব্রুয়ারি)
Type Here to Get Search Results !

Model Activity Task Class 10 Geography 2022 (February) মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দশম শ্রেণি ভূগোল ২০২২ (ফেব্রুয়ারি)

 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

দশম শ্রেণি

ভূগোল

পূর্ণমান ঃ ২০


১। বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো ঃ


Download Model Activity Task 2022 Apps


১.১ বায়ুমন্ডলের যে স্তরে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল আবহাওয়া লক্ষ করা যায় সেটি হলো -

(ক) আয়নোস্ফিয়ার

(খ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার

(গ) এক্সোস্ফিয়ার

(ঘ) ট্রপোস্ফিয়ার

উত্তরঃ (ঘ) ট্রপোস্ফিয়ার


১.২ যে বায়ুকে তুষার ভক্ষক বলা হয় তা হলো -

(ক) লু

(খ) আঁধি

(গ) চিনুক

(ঘ) খাসসিন

উত্তরঃ (গ) চিনুক


১.৩ উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় অবস্থান করে -

(ক) ৬০⁰ - ৭০⁰ উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে

(খ) ২৫⁰ - ৩৫⁰ উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে

(গ) ১০⁰ - ২০⁰ উত্তর - দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে

(ঘ) ৭০⁰ - ৮০⁰ উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে

উত্তরঃ (খ) ২৫⁰ - ৩৫⁰ উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে


২.১ বাক্যটি সত্য হলে 'ঠিক' এবং অসত্য হলে 'ভুল' লেখো ঃ


২.১.১ কোনো নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে যে পরিমান জলীয় বাষ্প থাকে তাকে ঐ বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলে।

উত্তরঃ ভুল


২.১.২ দক্ষিণ গোলার্ধে স্থলভাগের বিস্তার বেশি হওয়ার কারণে পশ্চিমা বায়ু অপ্রতিহত গতিতে প্রবাহিত হয়।

উত্তরঃ ভুল


২.১.৩ সমুদ্রবায়ু দিনের বেলায় প্রবাহিত হয়।

উত্তরঃ ঠিক


২.২ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও ঃ


২.২.১ একই উষ্ণতাযুক্ত স্থানগুলিকে মানচিত্রে যে রেখা দ্বারা যুক্ত করা হয় তাকে কী বলে?

উত্তরঃ সমোষ্ণ রেখা


২.২.২ কোন যন্ত্রের সাহায্য বায়ুর চাপ পরিমাপ করা হয়?

উত্তরঃ ব্যারোমিটার


Download Model Activity Task 2022 Apps


৩। নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও ঃ


৩.১ কুয়াশাকে কেন অধঃক্ষেপণ বলা হয় না?

উত্তরঃ অধঃক্ষেপণে জলীয় বাষ্পপূর্ণ ঊর্ধ্বগামী বায়ু অতিরিক্ত শীতলতার কারণে ঘনীভূত হয়ে জলকণা বা তুষারকণায় পরিণত হয়ে ভারী হলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে জল বা তুষার বিন্দুরূপে ভূপৃষ্ঠে নেমে আসে। কিন্তু কুয়াশা কোন প্রকার ঊর্ধ্বগামী বায়ু থেকে সৃষ্টি হয় না। সাধারণত শীতকালের রাতে ভূপৃষ্ঠ তাপ বিকিরণ করে ঠান্ডা হলে ভূপৃষ্ঠে সংলগ্ন বায়ুও ঠান্ডা হয়। তখন ওই বায়ুর তাপমাত্রা শিশিরাঙ্কে পৌঁছালে জলীয় বাষ্প ঘনীভুত হয়ে ভাসমান ধূলিকণাকে আশ্রয় করে ভূমি সংলগ্ন অংশে ভেসে বেড়ায়। সুতরাং কুয়াশা উপর থেকে অধঃক্ষিপ্ত হয় না বলে এটি অধঃক্ষেপণ নয়।


৩.২ বিশ্ব উষ্ণায়নের দুটি প্রভাব উল্লেখ করো।

উতরঃ বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব হল -

(১) মেরু প্রদেশের বরফ গলছে। ফলে উত্তরবাহিনী নদীগুলির বন্যাপ্রবণতা বাড়ছে। তাছাড়া পশ্চিম আন্টার্কটিকার বরফের চাদর প্রতিবছর ৪০০ ফুট করে ডুবছে।

(২) বিগত একশো বছের হিমবাহের গলনে সমুদ্রজলের উচ্চতা প্রায় ১০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে।


৪। নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও ঃ


কীভাবে কোনো একটি স্থানের উচ্চতা সেই অঞ্চলের বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করে?

উত্তরঃ সূর্য থেকে বিকিরণ পদ্ধতিতে আগত তাপশক্তি বায়ুমন্ডলের মধ্য দিয়ে এলেও বায়ুমন্ডোলকে সরাসরিভাবে উত্তপ্ত না করে প্রথমে কঠিন ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে। পরে ওই উত্তপ্ত বায়ু ভূপৃষ্ঠের সংস্পর্শে আসলে ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুস্তর উত্তপ্ত হয় এবং ওই তাপ ধীরে ধীরে ওপরের বায়ুস্তরে সঞ্চারিত হয়। তাই নীচের বায়ুস্তরের তাপমাত্রা বেশি হয় এবং যত উপরে ওঠা যায় বায়ুর তাপমাত্রা ততই কমতে থাকে। সাধারনত প্রতি এক কিলোমিটার উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য ৬.৪⁰ সেলসিয়াস হারে বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা কমতে থাকে, একে উষ্ণতা হ্রাসের গড় বা Lapse rate of temperrature বলে। এই কারণেই একই অক্ষাংশে অবস্থিত হলেও উচ্চস্থান অপেক্ষাকৃত শীতল হয়।

যেমন - বেশি উচ্চতার জন্যই প্রায় নিরক্ষরেখা বরাবর অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও কেনিয়ার মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো পর্বতের ওপর সারাবছর বরফ জমে থাকে। এই কারণেই শিলিগুড়ি অপেক্ষা দার্জিলিং এবং দিল্লি অপেক্ষা সিমলার তাপমাত্রা সারাবছর কম।


৫। নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও ঃ


চিত্রসহ উষ্ণতার তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন স্তরের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

উত্তরঃ 

উষ্ণতা হ্রাস বৃদ্ধির ভিত্তিতে বায়ুমন্ডলের স্তরবিন্যাস -

উষ্ণতার হ্রাসবৃদ্ধির উপর ভিত্তি করে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলকে নিম্নলিখিত ৬টি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা - 

ট্রাপোস্ফিয়ার ঃ এটি বায়ুমন্ডলের নিম্নস্তর। ভূপৃষ্ঠ থেকে ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চতা নিরক্ষীয় প্রদেশে ১৮ কিমি এবং দুই মেরুতে ৮ কিমি হয়। ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে প্রায় ৩ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত উষ্ণতার হ্রাস বা বৃদ্ধি না ঘটা স্তরটিকে ট্রপোপজ বলে।

স্ট্যাটস্ফিয়ার ঃ ট্রপোপজের ঊর্ধ্বে ৫০ কিমি উষ্ণতা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলকে স্ট্যাটোস্ফিয়ার বলে। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধিতে উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। ট্রপোপজের -৮০⁰ সেলিসিয়াস উষ্ণতা বেড়ে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ঊর্ধ্বে ৪⁰ সেলসিয়াস হয়। এই স্তরে বায়ুপ্রবাহ জলীয় বাষ্প, মেঘ না থাকায় এই স্তরকে শান্তমন্ডল বলে। দ্রুতগামী জেট বিমান এই স্তরে চলাচল করে।

মেসোস্ফিয়ার ঃ স্ট্রাটোপজের ঊর্ধ্বে ৮০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত অংশকে মেসোস্ফিয়ার বলে। উচ্চতা বৃদ্ধিতে উষ্ণতা হ্রাস পায়। ৮০ কিমি উচ্চতায় এই স্তরে বায়ুমন্ডোলের সর্বনিম্ন উষ্ণতা হয় -১০০⁰সে। মেসোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বাংশে কিছুদুর পর্যন্ত স্থির উষ্ণতাযুক্ত স্তরকে মেসোপজ বলে।

থার্মোস্ফিয়ার বা আয়নোস্ফিয়ার ঃ মেসোপজের ঊর্ধ্বে ৫০০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলকে থার্মোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরের নীচের অংশের বায়ু আয়নিত অবস্থায় থাকায় একে আয়নোস্ফিয়ার বলে। এখানে বায়ুর ঘনত্ব অত্যন্ত কম। উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে উষ্ণতা দ্রুত হারে বাড়ে ৩৫০ কিমি উচ্চতায় উষ্ণতা বেড়ে দাঁড়ায় ১২০০⁰সে।

এক্সোস্ফিয়ার ঃ আয়নোস্ফিয়ারের উর্ধ্বে ৫০০ থেকে ৭৫০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত স্তরকে এক্সোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরের আণবিক অক্সিজেন, হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায়। এই স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে উষ্ণতা ১২০০ থেকে ১৬০০⁰ সে পর্যন্ত হয় যদিও বাতাসের ঘনত্ব কম থাকায় এই উষ্ণতা অনুভব করা যায় না।

ম্যাগনেটস্ফিয়ার ঃ এক্সোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বাংশকে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার বলে। এটিই বায়ুমন্ডলের উর্ধতম স্তর তথা পৃথিবীর শেষ সীমা। সৌর বায়ু থেকে নির্গত ইলেকট্রন ও প্রোটন দ্বারা গঠিত চৌম্বকক্ষেতর বায়ুমন্ডলকে বেষ্টন করে আছে বলে এই স্তরকে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরের নীচে পারমাণবিক অক্সিজেন, মাঝে হিলিয়াম এবং উর্ধ্বে হাইড্রোজেন গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায়। নিরক্ষীয় অঞ্চলের সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০০ কিমি এবং ১৬০০০ কিমি উচ্চতার দুটি ঘন বলয়যুক্ত ম্যাগনেটোপজকে ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় বলে।


অন্যান্য মডেল অ্যাক্টিভিটি পেতে ঃ এইখানে ক্লিক করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

LightBlog

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close