model activity task class 9 bengali january 2022
Type Here to Get Search Results !

model activity task class 9 bengali january 2022

  2022 Activity Task (January)

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

নবম শ্রেণি

 বাংলা (প্রথম ভাষা)

পূর্ণমান : ২০


Download App For : Model Activity Task 2022


১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :


১.১ 'অম্বিকামঙ্গল গান শ্রী কবিকঙ্গণ। 'অম্বিকা' হলেন -

(ক) দেবী লক্ষ্মী

(খ) দেবী মনসা

(গ) দেবী চন্ডী

(ঘ) দেবী শীতলা

উত্তরঃ (গ) দেবী চন্ডী


১.২ 'সঘনে চিকুর পড়ে বেঙ্গ- তরকা বাজ'। এক্ষেত্রে 'চিকুর' শব্দের অর্থ -

(ক) চুল

(খ) আকাশ

(গ) বিদ্যুৎ

(ঘ) বৃষ্টি

উত্তরঃ (গ) বিদ্যুৎ


১.৩ যাঁর নাম স্মরণ করলে বজ্রপাত বন্ধ হয় বলে মানুষের বিশ্বাস, তিনি হলেন -

(ক) ব্যাসদেব

(খ) জৈমিনি

(গ) দেবী চন্ডী

(ঘ) গজরাজ

উত্তরঃ (খ) জৈমিনি


২. কমবেশী ২০টি শব্দে উত্তর লেখো :


২.১ 'দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার'। - কেন এমন পরিস্থিতি হয়েছিল?

উত্তরঃ চারদিকের আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন হওয়ায় সমগ্র কলিঙ্গদেশ অন্ধকারে ঢাকা পড়ে, ফলে কলিঙ্গবাসী নিজেদের অঙ্গ দেখতে পাচ্ছেন না।


২.২ 'বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়।।' - প্রজারা কোন বিপাকে পড়েছিল?

উত্তরঃ মুষলধারায় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ভয়ংকর ঝড়ের তান্ডবে আসন্ন বিপদের কথা ভেবে প্রজারা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালান।


২.৩ কলিঙ্গদেশে একটানা কদিন বৃষ্টি চলেছিল?

উত্তরঃ কলিঙ্গদেশে একটানা সাতদিন বৃষ্টি চলেছিল।


৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দে উত্তর লেখো :


৩.১ 'চারি মেঘ জল দেয় অষ্ট গজরাজ'। - 'চারি মেঘ' বলতে কী বোঝ? 'অষ্ট গজরাজ'-এর পৌরাণিক অনুষঙ্গটি কী?

উত্তরঃ অষ্ট গজরাজ অর্থাৎ আটটি হাতি। পৌরাণিক মতে অষ্ট গজরাজ আকাশের আট দিকে দাঁড়িয়ে পৃথিবেকে ধরে রেখেছে। এরা হল ঐরাবত, পুন্ডরীক, বামন, কুমুদ, অঞ্জন, পুষ্পদন্ত, সার্বভৌম এবং সুপ্রতীক। এই আটটি দিকরক্ষক হাতি সম্বর্ত, আবর্ত, পুষ্কর এবং দ্রোণ নামক চারপ্রকার প্রবল বর্ষণোকারী মেঘের সাহায্যে কলিঙ্গদেশে বারিবর্ষণ করছে। ফলে সে দেশ বন্যায় ভেসে গিয়ে জলমগ্ন হয়ে পড়ে এবং প্রজারাও আতঙ্কিত হয়ে কলিঙ্গদেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করে।


৩.২ 'ভাদ্রপদ মাসে যেন পড়ে থাকা তাল'। - কোন্‌ প্রসঙ্গে উদ্ধৃতিটির অবতারণা করা হয়েছে?

উত্তরঃ কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত 'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি' কাব্যাংশে কলিঙ্গদেশে যে ভয়াবহ ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল তার বর্ণনা করা হয়েছে। আকাশ কালো-করা বিপুল মেঘরাশির বর্ষণে প্লাবন সৃষ্টি হয় কলিঙ্গে। টানা সাত দিনের অবিরাম বর্ষণের সঙ্গে নিরন্তর শিল পড়তে শুরু করে। ভাদ্র মাসে তাল পেকে যেমন গাছ থেকে পড়ে যায় ঠিক তেমনিভাবে অত্যন্ত বড়ো আকারের শিল ঘরের চাল ভেদ করে মেঝেতে পড়ে প্রজাদের ঘরবাড়ি বিনষ্ট করে দেয়।


৩.৩ 'চন্ডীর আদেশে পান বীর হমুমান'। - চন্ডীর আদেশে বীর হনুমান কী করেছিল?

উত্তরঃ 'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি' শীর্ষক কাব্যাংশের শেষ কয়েক ছত্রে মা চন্ডীর আদেশের উল্লেখ করা হয়েছে। মা চণ্ডীর আদেশে বীর হনুমান কলিঙ্গদেশের সমস্ত দেবালয় এবং বাসগৃহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। মা চন্ডীর আদেশে কলিঙ্গের সমস্ত নদনদীগুলি ফুলে ফেঁপে উত্তাল হয়ে ওঠে এবং তাদের প্রবল ঢেউ-এর ধাক্কায় সব বাড়িঘর ভেসে যায়। মনে হয় বাড়িঘরগুলি যেন ঢেউ-এর মাথায় উঠে টলমল করে ভাসছে।


৪. কম-বেশি ১৫০ শব্দে নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :


'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি' কাব্যাংশে অনুসরণে প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত জনজীবনের ছবি কীভাবে ফুটে উঠেছে, তা আলোচনা করো।

উত্তরঃ 'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি' কাব্যাংশটি কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত 'অভয়ামঙ্গল' নামে পরিচিত চন্ডীমঙ্গলের আখেটিক খন্ডের অন্তর্গত।

     কলিঙ্গদেশে ঘন কালো মেঘরাশিতে আকাশ  ছেয়ে যায়। বিধ্বংসী ঝড়বৃষ্টিতে সৃষ্ট প্লাবনে কলিঙ্গদেশ ভেসে যায়। আশ্রয়ের খোঁজে প্রজারা অন্যত্র পাড়ি দেয়। চন্ডীমঙ্গলের আখেটিক খন্ডে ঝড়বৃষ্টির এই ভয়াল তাণ্ডবেরই বর্ণনা করা হয়েছে। চতুর্দিক মেঘাচ্ছন্ন হয়ে কলিঙ্গ নগর অন্ধকারে ঢেকে যায়। অন্ধকার ভেদ করে কলিঙ্গবাসী নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখতে পায় না। ঈশান কোণে প্রবল মেঘের সমাবেশের সঙ্গে বিদ্যুতের ঝলকালি দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যেই সমগ্র আকাশ কালো মেঘে ঢাকা পড়ে যায় এবং মেঘের গম্ভীর গর্জনের সঙ্গেই প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সমূহ বিপদের আশঙ্কা করে প্রজারা ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। ধূলায় আচ্ছাদিত হয় সবুজ প্রকৃতি। জলে নিমজ্জিত হয়ে কৃষিখেত নষ্ট হওয়ায় প্রজারা আশঙ্কিত হয়ে পড়ে। বিদ্যুতের ঝলকানি, প্রবল বজ্রপাতের সঙ্গেই চলতে থাকে মুষলধারে বর্ষণ। জলমগ্ন পথে দিশা হারায় মানুষ। মেঘের গর্জনে প্রজারা কেউ কারো কথা শুনতে পায় না। অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে দিন ও রাত্রির বিভাজন মুছে যায়, কলিঙ্গবাসী সূর্যের মুখ পর্যন্ত দেখতে পায় না। বিপদ থেকে পরিত্রাণ পেতে তারা ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করে। স্থলভাগ জলপূর্ণ হওয়ায় সাপ জলে ভাসতে থাকে। শস্যক্ষেত্র এবং ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়। ভাদ্র মাসের তালের মতো বড়ো শিল পড়তে থাকে ঘরের চাল ভেদ করে। দেবী চন্ডীর আদেশে বীর হনুমান কলিঙ্গদেশের মঠ, অট্টালিকা ধ্বংস করেন। পর্বততুল্য নদীর ঢেউ-এ ঘরবাড়ির অবস্থা হয় শোচনীয়। শ্রীকবিকঙ্কণ তাঁর অম্বিকামঙ্গল-এ এই ভয়াবহ ঝড়বৃষ্টির আখ্যানই গান আকারে শুনিয়েছেন।


অন্যান্য অ্যাক্টিভিটি পেতে ঃ এইখানে ক্লিক করুন


পিডিএফ পেতে ঃ এইখানে ক্লিক করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

LightBlog

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close