একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত সাজেশন 2022
**পদ্য**
মেঘদূতম্
প্রশ্নঃ- "মেঘদূতম্" কবিতার বিষয়বস্তু আলোচনা কর।
উত্তরঃ-
মহাকবি কালিদাস সংস্কৃত সাহিত্যাকাশের উজ্জ্বলতম জ্যোতিষ্ক।তার রচিত
গীতিকাব্যদ্বয়ের মধ্যে মেঘদূত প্রেমমূলক গীতিকাব্যের উজ্জ্বলতম
উদাহরণ।মন্দাক্রান্তা ছন্দে রচিত সমগ্র গীতিকাব্যটি পূর্বমেঘ ও উত্তরমেঘ- এই দুটি
অংশে বিভক্ত।
আমাদের পাঠ্য পূর্বমেঘ এর
প্রথম দশটি শ্লোক যেখানে প্রিয়াহীন যক্ষের গভীর অন্তর্বেদনা ও চেতনাচেতনের
সীমারেখা ভুলে মেঘের কাছে যক্ষের সবিনয় কাতরোক্তির বর্ণনা।তাছাড়াও মেঘের জন্ম ও
বংশপরিচয় আমরা এখানে পেয়েছি।
বাবা মহেশ্বরের পূজার্চনা
হেতু ধনপতি কুবের মহারাজ প্রত্যহ মানস সরোবর থেকে স্বর্নপদ্ম আহরণ করতেন।সেই
স্বর্ণপদ্ম রক্ষণাবেক্ষণ হেতি তিনি এক যক্ষকে নিযুক্ত করলেন।কিন্তু তার নবোঢ়া
প্রিয়তমার সান্নিধ্যের অত্যাসক্তিতে আপন কর্তব্য পালনে শৈথিল্য প্রকাশ করায় তাকে
সকল দেবত্ব ত্যাগ পূর্বক রামগিরি আশ্রমে এক বৎসরকাল যাবৎ পত্নীকে ছেড়ে নির্বাসনে
থাকার অভিশাপ দন্ড প্রদান করলে কুবের মহারাজ।সেখানে তার দেহ অবস্থান করলেও মন পড়ে
রইল অলকাপুরীতে যেখানে তার বিরহে তার প্রাণপ্রিয়া নয়নাশ্রু বর্ষণ করে কালযাপন
করছে।অত্যন্ত মানসিক কষ্টের সুতীক্ষ্ণ দংশনে গুরু বিরহভার অন্তরে বহন পূর্বক গভীর
মনস্তাপে যক্ষের দিন কোনক্রমে অতিবাহিত হচ্ছিল।প্রিয়ার জন্য ভেবে ভেবে তার শরীর
শীর্ণকায় হওয়ায় হাতের কনকবলয় তার অজান্তেই মণিবন্ধ থেকে খসে পড়ছিল।প্রতি মুহূর্তে
পত্নীবিরহবিধূর যক্ষ রাম-সীতার একত্রে মিলনানন্দে অরণ্যবাসের কথা স্মরণ করে
রামগিরিতে সে অধিকতর ব্যাকুল হয়ে উঠছিল।
নিবিড়ঘন ছায়াতরু ঘেরা রামগিরি
আশ্রম পার্বত্যকুঞ্জ হলেও তা তাকে সুখ দিতে অসমর্থ ছিল।গৃহে প্রত্যাবর্তনের পর তার
প্রাণপ্রিয়াকে সে জীবন্ত দেখতে পাবে কিনা ভেবে দুশ্চিন্তার শেষ ছিলনা তার।স্ত্রীর
অঙ্গস্পর্শ লাভের আশার বৃথা বাতাসকে অলিঙ্গন করে সে,কখনও বা প্রস্তরময় ভূমিতে অঙ্কন করে প্রিয়তমার চিত্র।সে এখন
তার কুশলবার্তা ও শাপান্তের সংবাদ জানিয়ে প্রত্যাবর্তনের সংবাদ দিতে চায়
অলকাপুরীতে।কিন্তু এমন দুর্গম পথে কাকে পাঠাবে তা বুঝতে পারে না সে।
এমন সময় পূর্বাকাশে আষাঢ়ের প্রথম ঘনঘটা দেখা দিলে আষাঢ়ের প্রথম দিবসে মেঘকে আকাশে সঞ্চারিত হতে দেখে যক্ষ চেতনাচেতনের সীমারেখা ভুলে গিয়ে মেঘকেই তার বার্তাবাহক হিসাবে অলকাপুরীতে যাবার জন্য অনুরোধ জানায়।মেঘকে কামরূপ নামে অবিহিত করে তাকে ইন্দ্রের প্রকৃতিপুরুষ বলে সম্বোধন করে সে।কুটজকুসুমের অর্ঘ্য সাজিয়ে মেঘকে সুদূর অলকাপুরীতে যাবার জন্য সনির্বন্ধ অনুরোধ জানায় সে।সে এখন প্রমোন্মত্ত,মিলনের জন্য অধীট আত্মহারা।তার পত্নীকে মেঘের ভাতৃজায়ার আসন প্রদান করে সদর্থক বার্তার ইঙ্গিত প্রদান করে সে।বৃন্তে প্রস্ফুটিত পুষ্প কোমল,পেলব ও ভঙ্গুর হলেও যেমন বৃন্ত তাকে ধরে রাখে ঠিক তেমনই তাদের পুনর্মিলনের আশা পুষ্প বৃন্তের মতই তার প্রাণপ্রিয়াকে অবশ্যই বাঁচিয়ে রাখবে।
Class 11 Sanskrit Full Suggestion 2022 | See More… |
Class All Suggestion 2022 PDF | See More… |
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ