বাংলা
অষ্টম শ্রেণি
পূর্ণমান - ৫০
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ '__________ বিষয়ে পৃথিবীতে কোনো জাতিই আরবদিগের তুল্য নহে।'
(ক) যুদ্ধবিগ্রহ
(খ) দয়াপ্রদর্শন
(গ) বৈরবসাধন
(ঘ) আতিথেয়তা
উত্তরঃ (ঘ) আতিথেয়তা
১.২ 'আমার কাছে কীরূপ আচরণ প্রত্যাশা করো?' বক্তা হলেন -
(ক) সেলুকস
(খ) সেকেন্দার
(গ) পুরু
(ঘ) চন্দ্রগুপ্ত
উত্তরঃ (খ) সেকেন্দার
১.৩ 'পশ্চিমে কুঁদরুর তরকারি দিয়ে ঠেকুয়া খায়।' - টেনিদাকে একথা বলেছে -
(ক) হাবুল সেন
(খ) ক্যাবলা
(গ) প্যালা
(ঘ) ভন্টা
উত্তরঃ (খ) ক্যাবলা
১.৪ মাইকেল মধুসূদন দত্ত যেই জাহাজে থেকে তাঁর বন্ধু গৌরদাস বসাককে চিঠি লিখেছিলেন, সেটির নাম
(ক) ভার্সাই
(খ) সীলোন
(গ) মলটা
(ঘ) টাইটানিক
উত্তরঃ (খ) সীলোন
১.৫ কবি মৃদুল দাশগুপ্তের প্রথম কাব্যগ্রন্থ -
(ক) এভাবে কাঁদে না
(খ) সূর্যাস্তে নির্মিত গৃহ
(গ) জলপাই কাঠের এসরাজ
(ঘ) ঝিকিমিকি ঝিরিঝিরি
উত্তরঃ (গ) জলপাই কাঠের এসরাজ
২. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
২.১ মান্ধাতারই আমল থেকে / চলে আসছে এমনি রকম' - কোন্ প্রসঙ্গে কবি একথা বলেছেন।
উত্তরঃ উপরিউক্ত লাইনটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বোঝাপড়া কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
কবি বোঝাতে চেয়েছেন সুপ্রাচীন কাল থেকেই এমন এরকম হয়ে আসছে। এমনই রকম কথার অর্থ হল পৃথিবীর কোন মানুষই সকলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারে না, সকলকে ভালোবাসতে পারে না। সে যেমন অন্যের প্রতারণার শিকার হয়ে ওঠে ঠিক তেমনি অন্য কাউকে প্রতারিত করে। তাই ভালো মন্দ যাই হোক সত্যকে মেনে নিতে হবে সহজে।
২.২ 'আমা অপেক্ষা আপনকার ঘোরতর বিপক্ষ আর নাই।' - বক্তার একথা বলার কারণ কী?
উত্তরঃ উপরিউক্ত লাইনটি ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
এখানে বক্তার আরবসেনাপতি মুরসেনাপতিকে একথা বলার কারণ হলো - গত রাত্রে যখন দুই সেনাপতি পরস্পর পরস্পরের পূর্বপুরুষের বিক্রম বর্ণনা করছিল তখন আরব সেনাপতি জানতে পারেন এই আশ্রয়প্রার্থী মুর সেনাপতি নির্দেশেই তার পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল। ফলে তিনি প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য ইচ্ছা জাগলে ও আশ্রয়প্রার্থী কে তিনি আক্রমণ করতে পারেন না। তাই পরদিন সকালে মুর সেনাপতি কে প্রস্থানের উপযুক্ত ব্যবস্থা করে দিয়ে উপরিউক্ত কথাটি বলেছিলেন।
২.৩ 'আন্টিগোন্স! তোমার এই ঔদ্ধত্যের জন্য তোমায় আমার সাম্রাজ্য থেকে নির্বাসিত করলাম। ' অন্টিগোনস কোন্ ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে?
উত্তরঃ উপরিউক্ত নাইনটি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা চন্দ্রগুপ্ত নাটক থেকে নেওয়া হয়েছে।
গ্রীক সম্রাট সেকেনদারের কাছে অ্যান্টিগোনাস যখন গুপ্তচর সন্দেহে চন্দ্রগুপ্ত কে নিয়ে আসে তখন কথোপকথনের মাধ্যমে জানা যায় গ্রিক সেনাপতি সেলুকাস সরল বিশ্বাসে চন্দ্রগুপ্ত কে যুদ্ধকৌশল শিক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু এই নিয়ে সেলুকাস ও অ্যান্টিগোনাসের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। এমনকি অ্যান্টিগোনাস সেলুকাসের উপর তরবারিও নিক্ষেপ করেছিল। আর সব ঘটছিল সম্রাট সেকেন্দারের সামনেই। তাই সেকেন্দার অ্যান্টিক নাসির এই কার্যকলাপকে ঔদ্ধত্য বলে মনে করেছিলেন।
২.৪ 'তোদের মতো উল্লুকের সঙ্গে পিকনিকের আলোচনাও ঝকমারি!' - কোন্ কথা প্রসঙ্গে টেনিদা এমন মন্তব্য করেছিল?
উতরঃ উপরিউক্ত লাইনটি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা বনভোজনের ব্যাপার গল্পটি থেকে নেওয়া হয়েছে।
বনভোজনের জন্য আয়োজিত পিকনিক দলের দলপতি ছিলেন টেনিদা। পিকনিকের মেনু তৈরি করতে গিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছিল পোলাও, ডিমের ডালডা, রুই মাছের কালিয়া, মাংসের কোর্মা, মসলাদার, শামি কাবাব প্রভৃতি সুস্বাদু খাবারের কথা। কিন্তু হঠাৎ করে এই সুস্বাদু মেনুর সঙ্গে কত যোগ দিয়েছিলেন আলুভাজা, সুক্ত বাটি চচ্চড়ি। এতগুলো সুস্বাদু খাবারের মধ্যে হঠাৎ বিষাদ খাবার গুলোর কথা শুনে টেনিদার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল তাই সে প্রশ্নে উল্লেখিত কথাটি বলেছিল।
২.৫ 'কৌতুহলী দুই চোখ মেলে অবাক দৃষ্টিতে দেখে' - চড়ুইপাখির চোখে কৌতুহল কেন?
উত্তরঃ উপরে উল্লেখিত তারাপদ রায়ের লেখা একটি চড়ুই পাখি কবিতার অংশ।
চড়ুই পাখির চোখে কৌতুহল থাকার অন্যতম কারণ হলো কবির বাড়ির নির্জনতা। সাধারণত প্রত্যেক বাড়িতেই একাধিক মানুষ থাকে একজন বাড়ির বাইরে গেলে অপরজনকে বাড়ি দেখাশোনা করেন। কিন্তু কবির বাড়ি! কবি কল্পনা করেন তিনি চলে গেলে চড়ুইটি ভাবে এই বাড়ি জানালা দরজা টেবিল ফুলদানি বই-খাতা সবই তার হয়ে যাবে।
২.৬ 'ছেলের কথা শুনেই বুকুর মা-র মাথায় বজ্রঘাত!' - বুকুর কোন্ কথায় তার মা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পড়লেন?
উত্তরঃ বুকুর মা অতিথিদের সামনে এসে তাদের অভ্যর্থনা করতে শুরু করেছিলেন। আরো যখন মিষ্টি মধুর ও আক্ষেপের কথা চলছিল, তখন বুকু অবাক হয়ে গিয়েছিল। কারণ একটু আগেই তো তার মা এই অতিথিদের অসময়ে আশা নিয়ে রাগ করে বলছিলেন -
'বাবারে, শুনে গা জ্বলে গেল! অসময়ে লোক বেড়াতে আসা। ভালো লাগেনা'-
বকুল এই কথা শুনে তার মাকে অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল।
২.৭ 'রমেশ অবাক হইয়া কহিল, ব্যাপার কী?' - উত্তরে চাষিরা কী বলেছিল?
উত্তরঃ উত্তরে চাষীরা বলেছিল একশ বিঘে জমির ধানের মাঠ জলে ডুবে গেল, জল বার করে না দিলে সমস্ত ধান নষ্ট হয়ে যাবে।গাঁয়ে একটা মানুষও খেতে পাবে না।
২.৮ 'গাছের জীবন মানুষের জীবনের ছায়ামাত্র।' - লেখকের এমন মন্তব্যের কারণ কী?
উত্তরঃ লেখক জগদীশচন্দ্র বসু গাছকে নিবিড়ভাবে ভালােবেসে তাদের জীবনের বিভিন্ন দিকগুলিকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। এর থেকে তাঁর মনে হয়েছে, গাছের বৈশিষ্ট্যগুলি মানুষের মধ্যেকার নানান স্বভাব বৈশিষ্ট্যের অনুরূপ। মানুষের মতাে এদের জীবনেও অভাব-অনটন এবং দুঃখকষ্ট আছে তাই কবি বলেছেন ‘গাছের জীবন মানুষের জীবনের ছায়ামাত্র।’
২.৯ 'তবু নেই, সে তো নেই, নেই রে' - কী না থাকার যন্ত্রণা পঙক্তিটিতে মর্মরিত হয়ে উঠেছে?
উত্তরঃ বুদ্ধদেব বসুর লেখা ‘হাওয়ার গান’ কবিতায় হাওয়াদের কোনাে স্থায়ী ঠিকানা নেই অর্থাৎ, তাদের কোন বাড়ি নেই। হাওয়াদের বাড়ি না-থাকায় তারা পৃথিবীর সমস্ত জলাশয়, সমুদ্র তীর, গম্ভীর পাহাড়, অসংখ্য বন্দর, শহরের জনবহুল অঞল, বনজঙ্গল, খােলা মাঠ বা তেপান্তর সর্বত্রই ঘুরে বেড়ায়। তাই কবি প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্যটি ব্যাবহার করেছেন।
২.১০ 'ছন্দহীন বুনো চালতার' - 'বুনো চালতা'কে ছন্দহীন বলা হয়েছে কেন?
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি জীবনানন্দ দাশ রচিত “পাড়াগাঁর দু পহর ভালোবাসি" কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
বুনো চালতাকে ছন্দহীন বলা হয়েছে কারন-বুনো চালতার শাখাগুলো অনেকদিন ধরে জলে নুয়ে পড়ে আছে।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৩.১ 'পরবাসী' কবিতায় শেষ চারটি পঙক্তিতে কবির প্রশ্নবাচক বাক্য ব্যবহার করার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ কবি পরবাসী কবিতায় সুন্দর বন, জঙ্গল প্রাকৃতিক পরিবেশের অসাধারণ বর্ণনা করেছেন ঠিক তেমনি শেষের চারটি লাইনে তিনি নিজের মন থেকে একাধিক প্রশ্ন করেছেন। তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রকৃতিকে নিয়ে মানুষের এমন ব্যবহারের জন্য। তিনি প্রশ্ন করেছেন বন-জঙ্গল প্রকৃতি ধ্বংসের বিরুদ্ধে মানুষ রেখে দাঁড়াচ্ছে না কেন? মানুষ কেন চুপ রয়েছে? গাছপালা প্রকৃতির কি কোন মূল্য নেই? তাদের কেন এত নগণ্য মনে করা হয়? মানুষ বাসস্থান নির্মাণের জন্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ধ্বংস করে কিন্তু নিজের বাসভূমি নিজের ঘর করতে পারছে না। তাই কবি এমন প্রশ্ন বাচক বাক্য ব্যবহার করেছেন।
৩.২ 'আজ সকালে মনে পড়ল একটি গল্প' - গল্পটি বিবৃত করো।
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি কবি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নাটরের কথা গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। গল্পটি হল, নাটোরে অনুষ্ঠিত প্রভিনশিয়াল কনফারেন্সে বাংলা ভাষার প্রচলন। লেখক-শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তাঁর কাকা রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্যদের সঙ্গে গিয়েছিলেন বড় নাটোরে। সে এক হৈ হৈ রৈ রৈ ব্যাপার। প্রথমে স্পেশাল ট্রেন ও পরে স্টিমারে করে পদ্মা পেরিয়ে নাটোর।
এই সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি নাটোর-মহারাজ জগদিন্দ্রনাথ। তাঁর ব্যবস্থাপনায় এক রাজকীয় আয়োজন। যেমন- খাওয়াদাওয়া, তেমনই অন্যান্য সব ব্যবস্থা। তারপর যথারীতি শুরু হয় গোলটেবিল বৈঠক এবং বক্তৃতা। ইংরেজিতে যেই বক্তৃতা শুরু হয়, সঙ্গে সঙ্গে ‘বাংলা, বাংলা' বলে অবনীন্দ্রনাথ ও তাঁর সঙ্গীরা প্রতিবাদ শুরু করেন। এরপর কেউ আর ইংরেজিতে বক্তৃতা করতে পারেননি। এমনকি ইংরেজি দুরস্ত লালমোহন ঘোষও শেষপর্যন্ত বাংলায় বলতে বাধ্য হন। এটি লেখকের মনে রাখার মতোই ঘটনা। এভাবেই কনফারেন্সে বাংলা ভাষা চালু হয়। এ সম্পর্কে লেখক জানান, সেই প্রথম আমরা বাংলা ভাষার জন্য লড়লুম।
৪. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
৪.১ দল বিশ্লেষণ করে দল চিহ্নিত করো :
ইস্টিশান, বাগুইআটি, দর্শনমাত্র, ক্ষিপ্রহস্ত, অদ্ভুতরকম
উত্তরঃ ইস-টি-শন (রুদ্ধ দল - মুক্ত দল - রুদ্ধ দল)
বা - গুই - আ - টি (সবগুলি মুক্ত দল)
দর - শন - মাত - র (রুদ্ধ দল, রুদ্ধ দল, রুদ্ধ দল, মুক্ত দল)
ক্ষিপ - রো - হস - ত (রুদ্ধ দল, মুক্ত দল, রুদ্ধ দল, মুক্ত দল)
৪.২ উদাহরণ দাও :
মধ্যস্বরাগম, স্বরভক্তি, অন্তঃস্থ ইয়-শ্রুতি, অন্ত্যস্বরলোপ, অন্যোন্য স্বরসংগতি
উত্তরঃ মধ্যস্বরাগম - রত্ন >রতন
স্বরভক্তি - ধর্ম > ধরম
অন্তঃস্থ য়-শ্রুতি - চা - এর > চায়ের
অন্ত্যস্বরলোপ - আজি > আজ
অন্যোন্য স্বরসংগতি - রামু > রেমো
৫. বন্যার প্রকোপে গ্রামের বহু কৃষিজমি নদীর গ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে - নদীর পাড়গুলির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। এ বিষয়ে সংবাদপত্রের সম্পাদকের কাছে একটি চিঠি লেখো।
উত্তরঃ মাননীয় সম্পাদক মহাশয়:
পোস্ট ____________
জেলাঃ _____________
সবিনয় নিবেদন,
________(নিজেদের জেলার নাম) জেলার _________(নিজেদের থানার নাম) থানার অন্তর্গত ________(নিজেদের গ্রামের নাম) একটি জনবহুল গ্রাম। প্রতিবারের মতাে এবারও এই গ্রামটি সর্বনাশা বন্যার মরণ ছােবল থেকে রক্ষা পায়নি। এবারের বন্যা স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। আমাদের গ্রামের পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি সুবিশাল নদী রয়েছে। নদীটির নাম। প্রতিবছর বর্ষাকালে প্রবল বর্ষণের কারণে এই নদী বিশাল ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। নদীর দুই পাড় কাঁচা মাটির নির্মিত।
এই কারণে প্রবল জলােচ্ছাসে নদীর জল পাড় ভেঙে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি বন্যার জলের তােড়ে ডুবে গেছে, ভেসে গেছে অসহায় মানুষ, গরু-বাছুর।বন্যার পরবর্তীকালে গ্রামের কৃষিজমিগুলিতে পলি, বালি, কাদা, নুড়ি পাথর জমে কৃষিজমিগুলিকে চাষের অযােগ্য করে তােলে।
অতএব, অত্র গ্রামের জনজীবনের বিপর্যস্তের অবস্থা বিবেচনা করে পাকা কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের জন্য আপনার কাছে সহযােগিতা কামনা করছি। আপনার কাছে বিনীত অনুরােধ উক্ত বিষয়টির জন্য মাননীয় সেচ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অনেক উপকার হবে।
ধন্যবাদ,
___________(নিজের নাম লিখবে)
[একটা তারিখ দেবে ডান দিকে]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ