পরিবেশ ও ভূগোল
সপ্তম শ্রেণি
পূর্ণমান - ৫০
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
১.১ সূর্যের উত্তরায়নের সময়কাল -
ক) ২১ শে জুন থেকে ২২ শে ডিসেম্বর
খ) ২৩ শে সেপ্টেম্বর থেকে ২১ শে মার্চ
গ) ২২ শে ডিসেম্বর থেকে ২১ শে জুন
ঘ) ২১ শে মার্চ থেকে ২৩ শে সেপ্টেম্বর
উত্তরঃ গ) ২২ শে ডিসেম্বর থেকে ২১ শে জুন
১.২ কোনো মানচিত্রে সমচাপরেখাগুলি খুব কাছাকাছি অবস্থান করলে সেখানে -
ক) বায়ুর চাপ বেশি হয়
খ) বায়ুর চাপের পার্থক্য বেশি হয়
গ) বায়ুর চাপ কম হয়
ঘ) বায়ুর চাপের পার্থক্য কম হয়
উত্তরঃ খ) বায়ুর চাপের পার্থক্য বেশি হয়
১.৩ টোকিও - ইয়োকোহামা শিল্পাঞ্চলের উন্নতির অন্যতম প্রধান কারণ হলো -
ক) খনিজ ও শক্তি সম্পদের সহজলভ্যতা
খ) স্বল্প জনঘনত্ব
গ) উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রম
ঘ) সমুদ্র থেকে দুরবর্তী স্থানে অবস্থান
উত্তরঃ গ) উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রম
১.৪ ভূভাগ ভাজ খেয়ে উপরের দিকে উঠে যে পর্বতের সৃষ্টি করে তার উদাহরণ হল -
ক) সাতপুরা
খ) ভোজ
গ) কিলিমাঞ্জারো
ঘ) হিমালয়
উত্তর : ঘ) হিমালয়
১.৫ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো -
ক) নদীর উচ্চ প্রবাহ - ভূমির ঢাল কম
খ) নদীর উচ্চ প্রবাহ - নদীর প্রধান কাজ ক্ষয়
গ) নদীর নিম্ন প্রবাহ - ভূমির ঢাল বেশি
ঘ) নদীর নিম্ন প্রবাহ - নদীর প্রধান কাজ বহন
উত্তর : খ) নদীর উচ্চ প্রবাহ - নদীর প্রধান কাজ ক্ষয়
১.৬ আফ্রিকা মহাদেশের মাঝ বরাবর পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত কাল্পনিক রেখা টি হল -
ক) কর্কটক্রান্তি রেখা
খ) মকর ক্রান্তি রেখা
গ) মূল মধ্যরেখা
ঘ) বিষুব রেখা
উত্তর : ঘ) বিষুব রেখা
১.৭ ‘পৃথিবীর ছাদ’ যে মালভূমিকে বলা হয় সেটি হলাে -
ক) ছোটোনাগপুর মালভূমি
খ) মালব মালভূমি
গ) পামীর মালভূমি
ঘ) লাদাখ মালভূমি
উত্তরঃ গ) পামীর মালভূমি
১.৮ নদীর উচ্চ প্রবাহে ' আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ হলাে -
ক) ভূমির ঢাল কম থাকা
খ) উপনদীর সংখ্যা বেশি থাকা
গ) নদীর নিম্নক্ষয়ের ক্ষমতা বেশি হওয়া
ঘ) নদীর পার্শ্বক্ষয়ের ক্ষমতা বেশি হওয়া
উত্তরঃ গ) নদীর নিম্নক্ষয়ের ক্ষমতা বেশি হওয়া
১.৯ যে রূপান্তরিত শিলা বিভিন্ন সৌধ নির্মাণে কাজে লাগে তা হলাে -
ক) চুনাপাথর
খ) কাদাপাথর
গ) ব্যাসল্ট
ঘ) মার্বেল
উত্তরঃ ঘ) মার্বেল
২. উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :
২.১ নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে অক্ষরেখার পরিধি ক্রমশ __________ থাকে।
উত্তরঃ কমতে
২.২ বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে গেলে বায়ুর চাপ __________ পায়।
উত্তরঃ বৃদ্ধি
২.৩ এশিয়া মহাদেশের একটি উত্তরবাহিনী নদী হলো _________।
উত্তরঃ লেনা
৩. বাক্যটি সত্য হলে ঠিক এবং অসত্য বলে ভুল লেখ :
৩.১ ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমির একটি উদাহরণ হল ছোটনাগপুর মালভূমি।
উত্তর : ঠিক
৩.২ শীতল ও শুষ্ক জলবায়ুতে মাটি সৃষ্টি হতে বেশি সময় লাগে।
উত্তর : ঠিক
৩.৩ জুলাই মাসে উত্তর আফ্রিকায় যখন গ্রীষ্মকাল দক্ষিণ আফ্রিকায় তখন শীতকাল।
উত্তর : ঠিক
৪. স্তম্ভ মেলাও :
উত্তরঃ
৫. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৫.১ কোন্ তারিখকে কর্কট সংক্রান্তি বলা হয় ও কেন?
উত্তরঃ ২১ শে জুনকে 'কর্কট সংক্রান্তি' বলে কারণ এই দিনে কর্কটক্রান্তি রেখার ওপর সুর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে।
৫.২ অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তরঃ অক্ষরেখার প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ
(ক) একই অখাংশ বিশিষ্ট্য রেখাকে অক্ষরেখা বলে।
(খ) প্রতিটি অক্ষরেখা নিরক্ষ রেখার সমান্তরালে অবস্থিত।
দ্রাঘিমারেখার প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ
(ক) একই দ্রাঘিমাংশ বিশিষ্ট্য রেখা কে দ্রাঘিমা রেখা বলে।
(খ) একটি দ্রাঘিমা রেখায় সর্বত্র এক সময়েই সকাল ও সন্ধ্যা হয়।
৫.৩ সুউচ্চ হিমালয় পর্বত কিভাবে আমাদের দেশের জলবায়ু কে প্রভাবিত করে?
উত্তর : ভারতের উত্তর সীমানা বরাবর হিমালয় পর্বত বিস্তৃত রয়েছে। ভারতের জলবায়ুর এক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে এই পর্বত।
(১) জলীয়বাষ্প পূর্ণ দক্ষিণ-পশ্চিমে মৌসুমী বায়ু হিমালয় পর্বতের বাধা পেয়ে আমাদের দেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়।
(২) শীতকালে সাইবেরিয়ার তীব্র ঠান্ডা বাতাস কে বাধা দিয়ে হিমালয় আমাদের দেশে শীতের তীব্রতা কমিয়ে দেয়।
৫.৪ সুউচ্চ হিমালয় পর্বত কিভাবে আমাদের দেশের জলবায়ু কে প্রভাবিত করে?
উত্তরঃ
৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৬.১ মেরু অঞ্চল ও নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর উষ্ণতার তারতম্য কীভাবে দুই অঞ্চলের বায়ুচাপকে নিয়ন্ত্রণ করা তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ পরিবর্তন হলে বায়ুর আয়তন, ঘনত্বের পরিবর্তন হয়। যেমন - বায়ু উত্তপ্ত হলে বায়ুর অণুগুলোর গতিবেগ বৃদ্ধি পায় এবং পরস্পরের থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। এভাবে উষ্ণ বায়ু হলকা হয়ে প্রসারিত হয় এবং ওপরে উঠে যায়। বায়ুর ঘনত্ব কমে যায়। অর্থাৎ নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে অণুর সংখ্যাও কমে যায় এবং বায়ুর চাপও কমে যায়। বায়ু শীতল হলে সংকুচিত হয় এবং বায়ুর ঘনত্ব বেড়ে যায়। তাই বায়ুর চাপও বেড়ে যায়। একারণেই শীতল মেরু অঞ্চলে বায়ুর চাপ বেশি এবং উষ্ণ নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর চাপ কম হয়।
৬.২ মাটির কাদার আকারের ওপর ভিত্তি করে মাটির শ্রেণীবিভাগ করো। প্রতিটি শ্রেণীর একটি করে বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : মাটির দানার আকারের ওপর ভিত্তি করে মাটি কে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- (১) এঁটেল মাটি
(২) বেলে মাটি (৩) দোঁয়াশ মাটি।
প্রতিটি মাটির বৈশিষ্ট্য:-
(১) এঁটেল মাটি: এই মাটির দানা সূক্ষ এবং দানার মধ্যে ফাঁক এতই কম যে, জল ঢাললে জল দাঁড়িয়ে থাকে।
(২) বেলে মাটি: এই মাটির দ্বারা মোটা এবং দানাগুলোর মধ্যে ফাঁক বেশি।
(৩) দোঁয়াশ মাটি: এই মাটিতে বালি আর কাদা সমান সমান থাকে।
৬.৩ নীলনদের উপর কী উদ্দেশ্যে আসােয়ান বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল?
উত্তরঃ বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও কৃষি জমিতে জলসেচ এই দুটি মূল উদ্দেশ্যে নীলনদের ওপর আসোয়ান বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। তবে নদী বাঁধ নির্মাণের আরও অনেক উদ্দেশ্য থাকে। যখন বহু উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে নদীতে বাঁধ তৈরি করা হয় তখন তাকে বলে বহুমুখী নদী পরিকল্পনা।
নীলনদের ওপর এরকম অনেক নদী পরিকল্পনা করা হয়েছে। পর্যটন, জলসেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, জলপরিবহন , মাছ চাষ ইত্যাদি।
আসোয়ান বাঁধ নির্মাণ এর ফলে বন্যার নিয়ন্ত্রণ আরও ভাল হয়ে যায়, সেচের জন্য জল সরবরাহ বৃদ্ধি পায় এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে এটিকে মিশরের পরিকল্পিত শিল্পায়নের জন্য বাঁধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
৭। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৭.১ এশিয়া মহাদেশের নিরক্ষীয় ও উষ্ণ মরু জলবায়ু স্বাভাবিক উদ্ভিদের চরিত্রকে কীভাবে প্রভাবিত করা তা আলোচনা করো।
উত্তরঃ সম্পূর্ণ উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত এশিয়া মহাদেশের উত্তর-দক্ষিণে এবং পূর্ব পশ্চিমে বিস্তার এত বেশি যে পৃথিবীর প্রায় সব ধরনের জলবায়ু এই মহাদেশে দেখা যায়। কোন দেশ বা মহাদেশের জলবায়ু সংকেত স্বাভাবিক উদ্ভিদের একটি নিবিড় সম্পর্ক থাকে। জলবায়ুর উপর নির্ভর করে স্বাভাবিক উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য গুলো নির্ধারিত হয়। নিরক্ষীয় জলবায়ু তে জন্মায় চিরহরিৎ বা চিরসবুজ উদ্ভিদ। আবার মেরু অঞ্চলে জন্মায় কাটা জাতীয় উদ্ভিদ।
নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চল ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ :
নিরক্ষরেখার কাছাকাছি 10 ডিগ্রী উত্তর অক্ষরেখার থেকে 10 ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষরেখা মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি দেশে নিরক্ষীয় জলবায়ু দেখা যায়।
নিরক্ষীয় অঞ্চলে বেশি উষ্ণতা ও বেশি বৃষ্টিপাত এর জন্য ঘন চিরহরিৎ গাছ চিরসবুজ গাছ দেখা যায়। যেমন - মেহগনি, আয়রন উড, সেগুন, আবলুস, রবার, কোকো, সিঙ্কোনা ইত্যাদি।
উষ্ণ মরু জলবায়ু অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ :
আরবের মরুভূমি, ভারত ও পাকিস্তানের থর মরুভূমি, ইরাক-ইরান কুয়েত এইসব দেশ গুলির উষ্ণতা খুব বেশি এবং বৃষ্টিপাত খুব কম তাই এখানে উষ্ণ মরু প্রকৃতির জলবায়ু দেখা যায়। এই মরুভূমি অঞ্চলে সাধারণত কাটা জাতীয় গাছ জন্মায়, যেমন বাবলা, ফনিমনসা, খেজুর ইত্যাদি। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার জন্য গাছগুলির কাটা ও পাতা মম জাতীয় পদার্থ দিয়ে ঢাকা থাকে যাতে প্রস্বেদন প্রক্রিয়া গাছে জল বেরিয়ে না যায়।
৭.২ আফ্রিকা মহাদেশের নিরক্ষীয় অঞ্চল ও ভূমধ্যসাগর সন্নিহিত অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ কিভাবে জল বায়ু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : নিরক্ষীয় অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ:
আফ্রিকা মহাদেশের নিরক্ষীয় রেখার কাছাকাছি অঞ্চলে সারাবছর গরম থাকে এবং মোট বৃষ্টির পরিমাণ 200-250 সেমি। সরাসরি সূর্যকিরণ আর সারা বছর বৃষ্টিতে এখানে শক্ত কাঠের ঘন জঙ্গল সৃষ্টি হয়েছে। মেহেগুনি, রোজউড, এবনি এই ঘন জঙ্গলের প্রধান গাছ। পাতা ঝরানোর নির্দিষ্ট ঋতু থাকায় গাছগুলো সারাবছর সবুজ দেখায়। তাই এর নাম চিরসবুজ অরণ্য।
ভূমধ্যসাগর সন্নিহিত অঞ্চলে স্বাভাবিক উদ্ভিদ:
আফ্রিকার একেবারে উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিম অংশে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু দেখা যায়। এই জলবায়ু অঞ্চলে শীতকালে বৃষ্টি হয়। সারা বছরে 50 থেকে 100 সেমি বৃষ্টি হয়। গরমকাল দৃষ্টিহীন থাকে। বাষ্পমোচন রোধের জন্য এই অঞ্চলের উদ্ভিদের পাতায় নরম মোম এর আস্তরণ দেখা যায়। জলপাই, ওক, আখরোট, ডুমুর, কর্ক গাছগুলো এখানে জন্মায়। গরমকালে জলের সন্ধানে গাছের মূল গুলো অনেক ভিতরে চলে যায়। কমলালেবু, আঙুর এসব ফলের বাগান খুব চোখে পড়ে।
৭.৩ ‘মানুষের নানাবিধ ক্রিয়াকলাপ নদীর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে'– বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
উত্তরঃ
(ক) শিল্পকারখানা থেকে দূষণ :
পেট্রো-রাসায়নিক শিল্পে, পলিথিন প্লাস্টিক শিল্পে, জ্বালানি শিল্পে খনিজতেল পরিশোধন শিল্পে, বিভিন্নরকম যানবাহন নির্মাণ, ছোটো ও মাঝারি ইলেকট্রিকাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে প্রচুর পরিমাণে দুষিত রাসায়নিক পদার্থ, যেমন অ্যামোনিয়া, ক্লোরিন, ফেনল, সায়ানাইড এবং বিভিন্ন ধাতু, জিঙ্ক, পারদ,সিসা, ক্রোমিয়াম ঘটিত দুষক নালা নর্দমা দিয়ে নদী বা সমুদ্রের জলে মিশেজল দূষিত করছে।
(খ) গৃহস্থালীথেকে জলদূষণ :
গ্রাম এবং শহর এলাকার বিভিন্ন আবর্জনা ও বর্জ্য পদার্থ যেমন গৃহস্থালীর দৈনন্দিন রান্না খাবারের টুকরো, দূষিত বস্তু, শৌচাগারের মল-মূত্র, সাবান, ডিটারজেন্ট, ফিনাইল প্রভৃতি নিকাশি নালার মাধ্যমে ভূগর্ভের জলে, নদীতে,জলাশয়ে পড়ে জলকে দূষিত করে তোলে। এছাড়াও বিভিন্ন খাটাল, পশুশালা,বডড়ো বাজার, হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে উৎপন্ন বর্জ্য জলকে দূষিত করে ।
(গ) কৃষিক্ষেত্ৰথেকে জলদূষণ :
চাষের খেতে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক সার, কীটনাশক, আগাছানাশক ব্যবহার করা হয়। বৃষ্টির জলে ধুয়ে এই সমস্ত বিষাক্ত রাসায়নিক ভূগর্ভের জলে, জলাশযে,নদীতে মিশে জল দূষিত করে। এই সারে থাকা নাইট্রেট এর কারণে ক্যান্সার হতে পারে, শিশুদের মাথায় রক্ত চলাচলে অসুবিধা ঘটায়।
(ঘ) তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে দূষণ :
পারমাণবিক চুল্লি, চিকিৎসাকেন্দ্র বা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলো ব্যবহারের পর সমুদ্রে বা নদীতে ফেলা হয়। পারমাণবিক বিস্ফোরণের পর তেজস্ক্রিয় পদার্থ জলে মিশে জলদূষণ ঘটায়।
(ঙ) খনিজ তেল থেকে দূষণ :
দুর্ঘটনাগ্রস্ত তেলবাহী জাহাজ থেকে অথবা সমুদ্রে অবস্থিত তেলের খনির তেল সমুদ্রে মিশে জলদূষণ ঘটায়।
(চ) বায়ুদূষণের কারণে জলদূষণ :
কলকারখানা এবং যানবাহনের ধোঁয়ার মাধ্যমে বাতাসে সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেনের অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড ইত্যাদি জমা হয়। বৃষ্টির জলের সঙ্গে সালফার ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাই বিক্রিয়া করে। বিভিন্ন জলাশয়ের জলকে আম্লিক করে দেয়।
কুমির ঢাল
উত্তরমুছুন