LightBlog
Class 10 Geography Model Activity Compilation / Class 10 Model Activity Task Part 8 Geography Marks 50
Type Here to Get Search Results !

Class 10 Geography Model Activity Compilation / Class 10 Model Activity Task Part 8 Geography Marks 50

 ভূগোল

দশম শ্রেণি

পূর্ণমান - ৫০


১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :


১.১ অবরোহণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি একটি ভূমিরূপ হলো -

ক) প্লাবনভূমি

খ) এস্কার

গ) গিরিখাত

ঘ) স্বাভাবিক বাঁধ

উত্তরঃ গ) গিরিখাত


১.২ হিমাবাহ ও পর্বতগাত্রের মধ্যে সৃষ্ট সঙ্কীর্ণ ফাঁক হলো -

ক) ফিয়র্ড

খ) বার্গস্রুন্ড

গ) করি

ঘ) এরিটি

উত্তরঃ খ) বার্গস্রুন্ড


১.৩ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো -

ক) লাদাখ - অঙ্গরাজ্য

খ) পুদুচেরী - কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল

গ) আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ - অঙ্গরাজ্য

ঘ) হরিয়ানা - কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল

উত্তরঃ খ) পুদুচেরী - কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল


১.৪ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো -

ক) শৃঙ্খলিত শৈলশিরা - নদীর সঞ্চয়কাজ

খ) এরিটি - হিমবাহের সঞ্চয়কাজ

গ) অপসারণ গর্ত - বায়ুর সঞ্চয়কাজ

ঘ) বালিয়াড়ি - বায়ুর সঞ্চয়কাজ

উত্তরঃ ঘ) বালিয়াড়ি - বায়ুর সঞ্চয়কাজ


১.৫ ক্রান্তীয় চিরহরিৎ অরণ্যের উদ্ভিদের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো -

ক) নির্দিষ্ট ঋতুতে এদের পাতা ঝরে যায়

খ) পাতায় মোমের প্রলেপ থাকে

গ) উদ্ভিদের ডালপালা একসাথে যুক্ত হয়ে চাঁদোয়া সৃষ্টি করে

ঘ) এদের শ্বাসমূল থাকে

উত্তরঃ গ) উদ্ভিদের ডালপালা একসাথে যুক্ত হয়ে চাঁদোয়া সৃষ্টি করে


১.৬ অতিবিরল জনঘনত্বযুক্ত একটি রাজ্য হলো -

ক) পশ্চিমবঙ্গ

খ) গোয়া

গ) উত্তরপ্রদশ

ঘ) সিকিম

উত্তরঃ ঘ) সিকিম


১.৭ আরোহণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হলো -

ক) গিরিখাত

খ) রসে মতানে

গ) বালিয়াড়ি

ঘ) গৌর

উত্তরঃ গ) বালিয়াড়ি


১.৮ ঠিক জোড়াটি নর্বাচন করো -

ক) উত্তর-পশ্চিম ভারতের প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বত - নীলগিরি

খ) দক্ষিণ ভারতের পূর্ববাহিনী নদী - নর্মদা

গ) আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের চিরহরিৎ বৃক্ষ - মেহগনি

ঘ) উত্তর-পূর্ব ভারত - কৃষ্ণ মৃত্তিকা

উত্তরঃ গ) আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের চিরহরিৎ বৃক্ষ - মেহগনি


১.৯ ভারতের রূঢ় বলা হয় -

ক) জামসেদপুরকে

খ) দুর্গাপুরকে

গ) ভিলাইকে

ঘ) বোকারোকে

উত্তরঃ খ) দুর্গাপুরকে


২. শূণ্যস্থান পূরণ করো :


২.১ বায়ুর __________ প্রক্রিয়ায় বালি ও পলিকণা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অপসারিত হয়।

উত্তরঃ অবনমন বা অপসারণ


২.২ __________ উপত্যকা পীরপাঞ্জাল ও উচ্চ হিমালয় পর্বতশ্রেণি দ্বারা বেষ্টিত।

উত্তরঃ কাশ্মীর


২.৩ __________ মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভারতে শীতকাল প্রায় শুষ্ক প্রকৃতির হয়।

উত্তরঃ উত্তর-পূর্ব


৩. বাক্যটি সত্য হলে 'ঠিক' এবং অসত্য হলে 'ভুল' লেখো :


৩.১ নদীখাতে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট গর্তগুলি হলো মন্থকূপ।

উত্তরঃ ঠিক


৩.২ ভারতের উপকূল অঞ্চলে দিনেরবেলা স্থলবায়ু প্রবাহিত হয়।

উত্তরঃ ভুল


৩.৩ শুষ্ক ও উষ্ণ আবহাওয়া চা চাষের পক্ষে আদর্শ।

উত্তরঃ ভুল


৪. স্তম্ভ মেলাও :


ক-স্তম্ভ

খ-স্তম্ভ

৪.১ বিশুদ্ধ কাঁচামাল

৪.২ মালাবার উপকূল

৪.৩ হিমবাহ

(ক) ক্রেভাস

(খ) তুলো

(গ) কয়াল


উত্তরঃ

ক-স্তম্ভ

খ-স্তম্ভ

৪.১ বিশুদ্ধ কাঁচামাল

৪.২ মালাবার উপকূল

৪.৩ হিমবাহ

(খ) তুলো

(গ) কয়াল

(ক) ক্রেভাস


৫. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :


৫.১ পলল ব্যজনী কেন পর্বতের পাদদেশ সৃষ্টি হয়?

উত্তরঃ পর্বতের পাদদেশে ভূমি ঢালের হঠাৎ পরিবর্তনের ফলে নদীর বহন ক্ষমতা কমে যায় এবং সমস্ত ক্ষয়জাত পদার্থ যেমন নদীবাহিত পলি পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়ে পলল শঙ্কু গঠন করে। অনেকগুলি পলল শঙ্কু জুড়ে গিয়ে বিস্তার লাভ করলে এটি অর্ধগোলাকার হাত পাখার মত দেখতে হয় বলে একে পলল ব্যজনী বলা হয়। উদাহরণ পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে তরাই অঞ্চলে অনেক পলল ব্যজনী দেখা যায়।


৫.২ 'ভারতের পশ্চিমবাহিনী নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠেনি' - ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ  সাতপুরা ও বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণাংশের নদীগোষ্ঠীকে একত্রে দক্ষিণ ভারতের নদী বলা হয়। এই দক্ষিণ ভারতের নদী গুলির মধ্যে মহানদী, গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী প্রভৃতি পূর্ব বাহিনী নদীর মোহনায় বদ্বীপ সৃষ্টি হলেও নর্মদা, তাপ্তি, সবরমতী, মাহি প্রভৃতি পশ্চিম বাহিনী নদীগুলির মোহনায় বদ্বীপ সৃষ্টি হয়নি। এর কারণগুলি হল-

১) দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ পশ্চিম বাহিনী নদীর দৈর্ঘ্য অপেক্ষাকৃত কম। তাই নদীগুলিতে নদীবাহিত পলির পরিমাণও কম, যা বদ্বীপ গঠনের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

২) দক্ষিণ ভারতের পশ্চিম বাহিনী নদীগুলি বিশেষত নর্মদা ও তাপ্তি সংকীর্ণ গ্রস্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে মোহনার কাছেও নদীগুলি বেশ খরস্রোতা। তাই এখানকার নদীগুলির মোহনায় পলি সঞ্চিত হয়ে বদ্বীপ গঠনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয় না।

৩) দক্ষিণ ভারতের পশ্চিম বাহিনী নদীগুলি কঠিন আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলা গঠিত অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে এগুলির ক্ষয়কার্য কম হয়। ফলে নদীতে পলির পরিমাণ কম থাকে। তাই বদ্বীপ সৃষ্টি হতে পারে না।


৫.৩ 'অক্ষাংশভেদে হিমরেখার উচ্চতা ভিন্ন হয়' - ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠে যে সীমা রেখার উপর সারাবছর তুষার জমে থাকে এবং যে সীমা রেখার নিচে তুষার গলে যায় সেই সীমারেখা হলো হিমরেখা। হিমরেখার উচ্চতা বা অবস্থান নির্ভর করে অক্ষাংশ, উচ্চতা, ভূমির ঢাল, ঋতু পরিবর্তন ও বায়ুর বেগ প্রভৃতির ওপর। অক্ষাংশের মান বাড়ার সাথে সাথে উষ্ণতা কমতে থাকে বলেই নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে হিমরেখার গড় উচ্চতার কমতে থাকে। সুউচ্চ পর্বতে হিমরেখা বরাবর হিমবাহ বলতে শুরু করে বলে নদীর উৎপত্তি ঘটে। তাই হিমবাহ যেখানে শেষ সেখানে শুরু। যেমন গঙ্গা ও যমুনার উৎপত্তিস্থল যথাক্রমে গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী হিমবাহ।


৫.৪ ভারতে জলবিভাজিকা উন্নয়নের দুটি উদ্দেশ্য লেখো।

উত্তরঃ ভারতে জলবিভাজিকা উন্নয়নের দুটি উদ্দেশ্য হল -

(ক) নিষ্কাশনী রেখা বরাবর নির্দিষ্ট অঞ্চলে বৃষ্টির জল সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন কাঠামো নির্মাণ করা যা প্রকল্পএর বিভিন্ন জায়গায় জলের  সম বন্টন ঘটাবে।

(খ) পরিবেশ বান্ধব অবস্থা তৈরির জন্য কর্ষণ যোগ্য জমিতে শষ্য উৎপাদনের ব্যবস্থাপনা এবং অ-কর্ষণ যোগ্য জমিতে উদ্যানফসল চাষ, বনায়ন, সামাজিক বনায়ন, ভূমি ও জল সংরক্ষণের উপযোগী বিভিন্ন গুল্ম, ঘাস, বাঁশ ও শিম্বি গোত্রীয় উদ্ভিদ লাগানোর ব্যবস্থা করা এবং উচ্চতা ভিত্তিক ঢালু জমিতে সবুজ বেড়া ও সবুজ আচ্ছাদন যুক্ত ঢালের আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়ার কাজ করা।


৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :


৬.১ ধাপ চাষ, ফালি চাষ ও সমোন্নতি রেখা বরাবর চাষের মাধ্যমে কীভাবে মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব?

উত্তরঃ ধাপ চাষ ফালি চাষ ও সমোন্নতি রেখা বরাবর চাষের মাধ্যমে মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধ করার উপায় সমূহ নিচে আলোচনা করা হলো - 

পার্বত্য অঞ্চলে ধাপ চাষ :

     পার্বত্য অঞ্চলের ঢালু জমিতে ধাপ গঠন করে প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এভাবে সমগ্র জমিকে ধাপ চাষের কাজে লাগালে ও সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করলে মাঠে হাত থেকে রক্ষা পায় 

ফালি চাষ : ভূমি ঢালের আড়াআড়িভাবে ফালি চাষ করে শস্য রোপণ করলে তা ভূমিক্ষয় প্রতিরোধ করে

সমোন্নতি রেখা বরাবর কৃষিকাজ : সমোন্নতি রেখা বরাবর জমিতে বাদ দিয়ে কৃষি জমি তৈরি করে চাষ করলে প্রবাহমান জলের গতি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং মাটি ক্ষয়ের পরিমাণ হ্রাস পায়।


৬.২ নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ভিত্তিতে নদী উপত্যকা ও হিমবাহ উপত্যকার পার্থক্য নিরূপণ করো -

ক) সৃষ্টির প্রক্রিয়া

খ) উপত্যকার আকৃতি

গ) অবস্থান

উত্তরঃ 

বিষয়

নদী উপত্যকা

হিমবাহ উপত্যকা

সৃষ্টির প্রক্রিয়া

পার্বত্য অঞ্চলে অবঘর্ষ, জলপ্রপাত প্রভৃতি ক্ষয়কার্যের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নদী পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় অধিক হারে করে তাই উপত্যকা প্রথমে ‘I’ ও পরে ‘V’ আকৃতিবিশিষ্ট হয়।

অতি উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাটন ও অবঘর্ষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হিমবাহ পার্শ্ব ও নিম্নক্ষয় সমান হারে করে ফলে উপত্যকা ‘U’ আকৃতিবিশিষ্ট হয়।

উপত্যকার আকৃতি

নদী উপত্যকা প্রধানত ‘I’ বা ‘v’ আকৃতিবিশিষ্ট হয়। সমভূমিতে এটি বিস্তৃত ও চওড়া ‘U’ আকৃতিবিশিষ্ট হতে পারে।

হিমবাহ উপত্যকা সর্বদা ‘U’ আকৃতিবিশিষ্ট হয়।

অবস্থান

উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে যেখানে নদী বা জলধারা কার্য করে সেখানে নদী উপত্যকা গঠিত হয়।

উচ্চ পর্বতের চিরতুষারাবৃত অঞ্চলে যেখানে হিমবাহ ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায় সেখানে হিমবাহ উপত্যকা গঠিত হয়।


৬.৩ হিমালয় পর্বতমালা কীভাবে ভারতীয় জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে?

উত্তরঃ উত্তরে ধনুকাকৃতি হিমালয় পর্বত ভারতের জলবায়ুকে বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন অধিক উষ্ণতার কারণ এই উপক্রান্তীয় অঞ্চলে উপস্থিত হওয়া সত্ত্বেও হিমালয়ের জলবায়ুর হয়েছে শীতল নাতিশীতোষ্ণ প্রকৃতির। কোন কোন অংশের জলবায়ু অত্যন্ত শীতল তুন্দ্রা প্রকৃতির। হিমালয় পর্বত অবস্থানের কারণে শীতকালে মধ্য এশিয়ার অতি শীতল বায়ু ভারতে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে শীতকালে ভারত অধিক শৈত্যের হাত থেকে রক্ষা পায়। হিমালয়ের দক্ষিণ ঢালে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। মৌসুমী বায়ুর উৎপত্তিতেও পরোক্ষভাবে হিমালয়ের প্রভাব যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে।


৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :


৭.১ হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত বিভিন্ন প্রকার গ্রাবরেখার সচিত্র বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ হিমবাহের অবক্ষেপণ বা সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ -

গ্রাবরেখা : হিমবাহ অগ্রসর হওয়ার সময় এর সাথে যেসব পাথরখণ্ড, কাকর, বালি, কাদা প্রভৃতি বাহিত হয়, হিমবাহ গলতে আরম্ভ করলে সেগুলি হিমবাহের প্রবাহপথের আশেপাশে ধীরে ধীরে সঞ্চিত হতে থাকে। এই অসংবদ্ধ মিশ্র পদার্থের সঞয়কে পার্শ্ব গ্রাবরেখা গ্রাবরেখা বা মােরেন বলে। গ্রাবরেখাকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা ভূমি গ্রাবরেখা যায়—

(ক) গ্রাবরেখা হিমবাহের দু-পাশে সঞ্চিত হলে তাকে পার্শ্ব পার্শ্ব গ্রাবরেখা গ্রাবরেখা বলে।

(খ) হিমবাহবাহিত পদার্থসমূহ সামনের দিকে সঞ্চিত হলে তাকে প্রান্ত গ্রাবরেখাবলে।

(গ) দুটি হিমবাহ দু-দিক থেকে এসে একস্থানে মিলিত হলে উভয়ের মাঝখানে বাহিত পদার্থ জমা হয়ে যে সরু গ্রাবরেখা তৈরি হয় তাকে মধ্য গ্রাবরেখা বলে।

(ঘ) হিমবাহের নীচে অর্থাৎ ভূমিতে ক্ষয়জাত বা বাহিত পদার্থ সঞ্চিত হয়ে যে গ্রাব - রেখা তৈরি হয় তাকে ভূমি গ্রাবরেখা বলে। উত্তর-পশ্চিম ইউরােপ,পােল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেনের দক্ষিণাংশে এবং কানাডায় যথেষ্ট সংখ্যক গ্রাবরেখা দেখতে পাওয়া যায়।


৭.২  ভারতের কোন্‌ অঞ্চলে অধিকাংশ কফি উৎপাদন করা হয়? এই বাগিচা ফসল অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ ভারতের কফি উৎপাদনে অধিকাংশই দক্ষিণ ভারতের নীলগিরি পার্বত্য অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত। ভারতের কর্ণাটক (প্রথম), কেরল (দ্বিতীয়) ও তামিলনাড়ু (তৃতীয়) এই তিনটি রাজ্যে সর্বাধিক কফি উৎপাদিত হয়। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ ( চতুর্থ ) এর বিশাখাপত্তনমের আরাকুভ্যালি উপত্যকায় কফি উৎপাদিত হয়। কর্ণাটক রাজ্যে দেশের মোট কফি উৎপাদনে তিন-চতুর্থাংশ উৎপাদিত হয়।

কফি বাগিচা ফসল চাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ:

(ক) জলবায়ু কফি চাষের জন্য উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু উপযোগী।

(১) উষ্ণতা : 20-30 °সেন্টিগ্রড উষ্ণতা কফি চাষের পক্ষে আদর্শ। উঁচু জমিতে 20-25° সেন্টিগ্রড উষ্ণতা ও নিচু জমিতে 20 - 32 °সেন্টিগ্রড  উষ্ণতা কফি চাষের জন্য আদর্শ।

(২) বৃষ্টিপাত : 150-250 cm বৃষ্টিপাতের কফি চাষের জন্য প্রয়োজন। গাছের ফল ধরার জন্য নিয়মিত বৃষ্টিপাত প্ৰয়োজন।

(৩) আর্দ্রতা ও কুয়াশা আর্দ্রতা ও কুয়াশা কফি গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । এই জন্য সামুদ্রিক আর্দ্রতায় দক্ষিণ ভারতের কফি চাষ ভালো হয়।

(৪) সূর্যকিরণ : কফি পাকার জন্য এবং সংগ্রহ করার সময় প্রখর সূর্যকিরণ যুক্ত রৌদ্রোজ্বলা আবহাওয়ার প্রয়োজন।

(৫) তুষারপাত ও ঝড় ঝড় ও তুষারপাত কফিগাছের ক্ষতি করে তাই ঝড় ও তুষারপাত মুক্ত আবহাওয়ার

প্রয়োজন।

(খ) মৃত্তিকা : মৃদু অম্লধর্মী, হিউমাস সমৃদ্ধ ও লৌহ পটাশ যুক্ত ঊর্ধর লাল দোআঁশ মৃত্তিকা কফি চাষের জন্য আদর্শ।

(গ) জমির প্রকৃতি : গাছের গোড়ায় জল দাঁড়ালে কফির ক্ষতি হয়। তাই পাহাড়ি ঢালু জমি কফি চাষের জন্য উপযোগী। দক্ষিণ ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলে এই জন্য কফি চাষ ভালো হয়।

(ঘ) ছায়া প্রদানকারী বৃক্ষ : প্রত্যক্ষ সূর্যকিরণ কফি গাছের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই কফি বাগান গুলিতে কলা ভুট্টা প্রভৃতি ছায়া প্রদানকারী বৃক্ষ লাগানো হয় ।


৭.৩ ভারতীয় জনজীবনে নগরায়ণের নেতিবাচক প্রভাবগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ভারতীয় জনজীবনে নগরায়নের নেতিবাচক প্রভাব গুলি নিচে আলোচনা করা হয়েছে -

(১) অপরিকল্পিত নগরায়ন : শহরগুলি কেমন অপরিকল্পিতভাবে বিস্তৃত হয়েছে তেমনি জনসংখ্যা বেড়েছে অপরিকল্পিতভাবে। এটি নগরায়ন এর মূল সমস্যা। অতিরিক্ত জনসংখ্যা শহরের অর্থনীতিকে দুর্বল করেছে এবং শহরের পরিবেশ নষ্ট করেছে। শহর ক্রমশ বাড়তে থাকার কারণেই শহরতলীর কৃষি জমি ধ্বংস হয়েছে।

(২) নিকাশি সমস্যা : ভারতে এমন কোন শহর খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে জল নিকাশের সমস্যা নেই। অপরিকল্পিতভাবে শহর গড়ে ওঠার এর মূল কারণ। বর্ষাকালে লিখেছি সমস্যা আরো প্রকট হয়। বর্ষা ঋতুতে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে মুম্বাই কলকাতা এবং দিল্লি ইত্যাদি শহরে দুর্ভোগ চরম আকার নেয়। বর্ষার জল জমে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে।

(৩) মানুষের শহরমুখী প্রবণতা : ভারতীয় গ্রামের অর্থনীতির ভিত দুর্বল বলেই ভালো কাজের সুযোগের আশায় মানুষ গ্রাম থেকে শহরে আসে। এটি হলো প্রবচনের বিকর্ষণ কারণ। বিকর্ষণ জনিত কারণ এই গ্রাম থেকে মানুষ ছোট শহরে ছোট শহর থেকে বড় শহরে আসে। এতে শহরে জনসংখ্যা মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায়। এই মানুষদের বেশিরভাগটা অদক্ষ বলে শহরে বেকারত্বের সৃষ্টি হয়।

(৪) বিদ্যুৎ শক্তি : অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণ এই শহরে প্রায়শই বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা যায়। যার ফলে সাধারণ মানুষের জনজীবন ব্যাহত হয়। কেননা বর্তমান প্রজন্মের বিদ্যুৎ শক্তি হল এমন এক শক্তি যা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অন্যতম একটি।

(৫) বসতির সমস্যা : অধিক জনসংখ্যার কারণেই শহরে বসবাসের সমস্যা খুব বেশি। স্বল্পপরিসর বাড়ি বা ছোট ছোট ঘরে ঠাসাঠাসি ভাবে অনেক মানুষকে একসঙ্গে থাকতে হয়। কাজের সুযোগ সেখানে কম বিশেষ করে বস্তি অঞ্চলে যেখানে সেই সমস্যা খুব বেশি।

(৬) শিক্ষা : শহরের অতিরিক্ত জনসংখ্যার বৃদ্ধির কারণে সকলের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যবস্থা সম্ভব হয় না। সাধারণভাবে তাই শহরেও নিরক্ষর মানুষের সংখ্যাও কম নয়।

(৭) বস্তি সমস্যা : বড় শহর গুলি বস্তির সমস্যা গভীর। দেখা গেছে বড় শহর গুলির প্রায় কুড়ি থেকে 30 ভাগ মানুষ বস্তিবাসী। স্বল্প পরিসরে জায়গায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ পানীয় জলের সমস্যা পয় প্রণালী সমস্যা বিভিন্ন রোগের প্রাদূর্ভাব বস্তিগুলোর নিত্যদিনের সমস্যা।

(৮) স্বাস্থ্য : এমনিতেই বস্তি অঞ্চল গুলির পরিবেশ মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। অন্যদিকে কলকারখানা ও অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে শহরের দূষণের মাত্রা অনেক বেশি। ফলে শহরবাসী বিশেষ করে বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা বেশি দেখা যায়।

(৯) পরিবহন : প্রায় সব শহরেই যাতায়াত একটি বড় সমস্যা। শহরগুলি আয়তনের তুলনায় রাস্তার দৈর্ঘ্য অনেক কম। ফুটপাতের অভাব সংকীর্ণ রাস্তার কারণে যানবাহন এর গতি অনেক ধীর।

(১০) শহর অঞ্চলে বিকাশে বাধা : প্রয়োজনের অতিরিক্ত জনসংখ্যা থাকায় শহর অঞ্চলগুলিতে সাধারণত বিকাশের গতি সাধারণত খুব কম হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close