মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
বিষয় - বাংলা
ষষ্ঠ শ্রেণি
পর্ব ৫
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১. 'ধানকাটার পর একেবারে আলাদা দৃশ্য।' - 'মরশুমের দিনে' গদ্যাংশ অনুসরণে সেই দৃশ্য বর্ণনা করো।
উত্তরঃ ধান কাটার পাওয়ার মাঠের যতদূর দৃষ্টি যায়, চোখে পড়ে রুক্ষ মাটির শুকনো ও কঙ্কালসার চেহারা। আলগুলি বুকের পাঁজরের মত। রোদের দিকে তাকানো যায়না। গরুর গাড়ির চাকায়, মানুষের পায়ে মাটির ডেলা গুঁড়ো হয়ে রাস্তায় হয়েছে আর সেই গুলো কখনো ঘূর্ণিঝড়ে বা দমকা হাওয়ায় উড়ে এসে চোখে মুখে ভরে যায়। বেলা বাড়তেই মাটি গরম হয়ে ওঠে। যারা মাঠে যায়, তারা তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরে। পুকুর, নদী, খাল, বিল শুকিয়ে যায়। রাখালেরা ছড়ি-পাঁচন হাতে বট-অশ্বখ, আম-কাঁঠালের ছায়ায় ঘোরে, যেখানে হাতের কাছে একটু জল পাওয়া যায়।
২. দিন ও রাতের পটভূমিতে হাটের চিত্র 'হাট' কবিতায় কীভাবে বিবৃত হয়েছে তা আলোচনা করো।
উত্তরঃ কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের 'হাট' কবিতায় হাটের দিন ও রাতের চিত্র তুলে ধরেছেন। হাট বসার আগে সেখানে কোনো লোকজন থাকে না। সকালে সেখানে ঝাঁটও দেয় না। দিনের বেলায় সেখানে চেনা-অচেনা কত মানুষের ভিড়। জিনিসপত্র পছন্দ করা, দরদাম করা, কানা কড়ি নিয়ে কত টানাটানি। অবশেষে বিকেল বেলায় অবিক্রিত পসরা অল্প দামে বিক্রি হয়ে যায়। তারপর কেউ লাভ করে ঘরে ফেরে কেউ বা লোকসান করে খালি হাতে ঘরে ফিরে আসে। হাত ভাঙ্গার পর সবাই একে একে ঘরে ফেরে। সন্ধ্যা সময় ওখানে কেউ প্রদীপ জ্বালাই না। হাটখানি অন্ধকারে পড়ে থাকে। একটি কাকের কা-কা ডাকে নির্জন হাটের বুকে রাত্রি নামে। রাত্রিতে সেখানে নীরবতা।
৩. 'মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র' রচনায় সাঁওতালি দেয়ালচিত্রের বিশিষ্টতা কীভাবে ফুটে উঠেছে?
উত্তরঃ মূলত আদিবাসী সমাজের চিত্র অঙ্কনের চল আছে। দেওয়াল চিত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি নিম্নরূপ-
(১) মেয়েরা এই চিত্র অঙ্কন করে। (২) বিষয়বস্তু নির্বাচন ও উপাদান সংগ্রহ তারাই করে। (৩) দেওয়াল চিত্র গুলি অস্থায়ী। (৪) আশ্বিনের দুর্গাপূজা ও কার্তিকের অমাবস্যায় উপলক্ষ করে দেয়াল চিত্র আঁকা হয়।(৫) লালচে গিরিমাটি বা কখনো দুধে মাটি উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। (৬) বিচিত্র বর্ণের সমাবেশ লক্ষ্য করা যায়।(৭) সচিত্র সর্বদা প্রকাশ্য স্থানে অঙ্কন করা হয়। (৮) লতাপাতা, ফুল, পাখি এসব দেয়ালচিত্রে উপস্থাপিত হয়।
৪. 'পিঁপড়ে' কবিতায় পতঙ্গটির প্রতি কবির গভীর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে। - আলোচনা করো।
উত্তরঃ 'পিঁপড়ে' কবিতায় পিঁপড়ের প্রতি কবির গভীর ভালবাসার প্রকাশ ঘটেছে। সারিবদ্ধ ছোট পিঁপড়ের চলাফেরার কবি গভীর আন্তরিকতার সঙ্গে লক্ষ্য করেছেন। আমাদের পরিবেশের চারিদিকে জাতীয় পিঁপড়ের সারি দেখা যায়। কবি তাদের লক্ষ্য করলেও তাদের চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করতে চাননি। কারণ তাদের কাউকে বিচ্ছিন্ন করে দিলে তারা কষ্ট পাবে। তাদের চলাফেরার মধ্যে কবির প্রাণের সদাচঞ্চল স্পন্দন অনুভব করেছেন। অল ভেবেছেন বড় বড় পশু পাখির মতো একটি প্রিয় মাত্র দুদিনের জন্য এই পৃথিবীকে ভালোবেসে, ভালোবাসা দিয়ে তাদের ভুবন গড়ে তোল।
৫. 'ফাঁকি' গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র একটি নিরীহ, নিরপরাধ আমগাছ।' - উদ্ধৃতিটি কতদূর সমর্থনযোগ্য?
উত্তরঃ লেখক রাজকিশোর পট্টনায়কের লেখা 'ফাঁকি' গল্পের কেন্দ্রবিন্দু এটি আম গাছ। গোপালের বাবার তৈরি একটি কমলে আম গাছের চারা গাছ বসানোর পর ধীরে ধীরে নিজের চেষ্টায় তা বেড়ে উঠেছিল এবং বিশাল জায়গা জুড়ে তার আভিজাত্য বিস্তার করেছিল। বাড়ির লোকজন যেমন প্রতি মুহূর্তে তার দেখাশোনা করত যেমন পাড়ার লোক বা ছেলেরাও তার নিচে খেলাধুলা, বই পড়া, গল্প করা, দোল খাওয়া আরম্ভ করেছিল। গাছের পাতা, ডান বৃত্তকার কাজের জিনিস হয়ে উঠেছিল। এইভাবে বিরাট আকারের এই গাছটি গোপালের বাড়ি নিশানায় পরিণত হয়। বাড়ির হাঁদা ছেলেকে যেমন সবাই আদর করে গায়ে হাত বোলায়, কেমন হয় গাছটির ফল ও গাছের পাতায় হাত বুলিয়ে বাড়ির অন্যরা যেন তার সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছিল।
একদিন আষাঢ়ের ঝরে গাছটি মারা গেলে শুধু গোপাল ভাঁড় বাড়ির লোকই নয়, পাড়ার সব লোক দুঃখ প্রকাশ করে পরে সবাই অবাক বিস্ময়ে দেখে গাছের একধার উইয়ে খেয়ে নিয়েছিল। গাছ এত করা সত্বেও তার একধার উইয়ে খেয়ে নিয়েছিল তার কারো নজরে পড়েনি যদি পরতো তাহলে গাছটি এই ভাবে মারা যেত না আমগাছটিকে নিরীহ, নিরপরাধ সমর্থনযোগ্য।
৬. 'পৃথিবী সবারই হোক।' - এই আশীর্বাদ 'আশীর্বাদ' গল্পে কীভাবে ধ্বনিত হয়েছে?
উত্তরঃ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের লেখা আশীর্বাদ গল্পে বক্তা হলো গাছের পাতা। গল্পে অনুযায়ী দিনের শেষে পিঁপড়েকে মাটির নিচে আশ্রয় নিতে হয় বলে উপরে বলেছিল সে মাটি শুধু তাদের কিন্তু পাপীকে বুঝিয়ে দিয়েছিল যে মাটি শুধু তার নয় সবার জন্যই। পাতার এই কথার মধ্যে দিয়ে এই পৃথিবীতে জীব জগতের প্রতিটি প্রাণীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই পৃথিবীর আলো-বাতাস, জল, মাটির ভোগ করার অধিকার সবার সমান।
৭. 'ছোট্ট গাড়ির মধ্যে যতটা আরাম করে বসা যায় বসেছি।' - এর পরবর্তী ঘটনাক্রম 'এক ভুতুড়ে কান্ড' গল্প অনুসরণে লেখো।
উত্তরঃ এক ভুতুড়ে কান্ড গল্পে আমরা দেখতে পাই যে নির্জন জায়গায় সাইকেলের টায়ার ফেঁসে লেখক চরম বিপদে পড়েন। প্রথমে একটি লরি আসে কিন্তু সেটি লেখককে উদ্ধার করে না। তারপর একটি ধীরে গতির বেবি অস্টিন মোটরগাড়ি আসে। লেখক মরিয়া হয়ে চলন্ত গাড়িতে উঠে পড়েন। গাড়িতে উঠে তিনি দেখেন যে, গাড়ি চলছে কিন্তু তার ড্রাইভার নেই। ইঞ্জিন চালু নেই। লেখক প্রথমে ভূতের ভয়ে চমকে ওঠেন। ভুলে টুলে সংবিৎ ফেরে তার গাড়ির সিটে আরাম লেখকের আলসাকে জড়িয়ে দেয়। তাই প্রথমে চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসে চাইলেও, শার্টের কলার গলার ভিতরে চেপে বসলেও শেষ পর্যন্ত আলস্যই জয়ী হয়। প্রথমে লেখক এর জিভ টাকারায় আটকে গেলে পরে তিনি বাকশক্তি ফিরে পান। লেখক ভুতুরে গাড়ি থেকে নামলেন না আর ড্রাইভারহীন গাড়ি যেমন চলছিল তেমনি চলতে লাগলো।
৮. 'এক যে ছিল ছোট্ট হলুদ বাঘ' - 'বাঘ' কবিতা অনুসরণে তার কীর্তিকলাপের পরিচয় দাও।
উত্তরঃ নবীনতা দেবসেনের লেখা 'বাঘ' কবিতায় একটি ছোট বাঘের রাগ, দুঃখ এবং নানান কর্মকাণ্ডের পরিচয় পাওয়া যায়। ফ্রেন্ড ছোট বাপিও থাকতে তার বাবা-মায়ের সাথে পাখিরালয়ে। সেখানে শুধুই পাখি। ছাগল, ভেড়া, হরিণ কিছুই নেই, খাবে কি?
একজন খিদের চোটে তার রাগ জমে ওঠে। খিদের জ্বালায় সে পাখি ধরতে লাভ দেয় কিন্তু পাখিরা উড়ে পালায়। তাতে সে আরো প্রচন্ড রেগে যায়। এরপর খিদে মেটানোর জন্য সে যায় নদীর ধারে কাঁকড়া ধরতে। বাপ্পা না গর্তে ঠাপাতে কাঁকড়া দাঁড়া দিয়ে চিমটে ধরে। যন্ত্রনায় কেঁদে ওঠে। তারপর তার বাবা এসে তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে। আলোচ্য গল্পে খিদের জ্বালায় এসব কীর্তিকলাপের পরিচয় পাওয়া যায়।
অন্যান্য অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পেতে ঃ এইখানে ক্লিক করুন
Other Model Activity Task : Model Activity Task 2022
পদ পরিবর্তন করো গাছ এর উত্তর
উত্তরমুছুন