উচ্চ মাধ্যমিক
একাদশ শ্রেণি
দর্শন
দ্বাদশ অধ্যায়
ন্যায় দর্শন
দ্বিতীয় পর্ব
এছাড়াও প্রত্যক্ষ জ্ঞানের স্পষ্টতার তারতম্য অনুসারে প্রত্যক্ষকে আরো দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা - সবিকল্প প্রত্যক্ষ ও নির্বিকল্পক প্রত্যক্ষ। বিকল্প কথার অর্থ হল নাম, গুন, জাতি, প্রকার ইত্যাদি। যে প্রত্যক্ষের ক্ষেত্রে আমরা বস্তুকে জানতে পারি, তার নাম, গুন, জাতি, প্রকার কিছুই জানতে পারেনা তাকে বলে নির্বিকল্পক প্রত্যক্ষ। আবার যে ক্ষেত্রে বস্তুকে জানার সঙ্গে সঙ্গে তার নাম, গুন, জাতি, প্রকার এই গুলোও জানতে পারি তাকে বলে সবিকল্পক প্রত্যক্ষ।
সবিকল্পক ও নির্বিকল্পক প্রত্যক্ষের প্রধান পার্থক্য গুলি নিচে আলোচনা করা হলো -
প্রথমত, ইন্দ্রিয় - বিষয় - সন্নিকর্ষ না হলে নির্বিকল্প প্রত্যক্ষ হয়না, আর নির্বিকল্পক প্রত্যক্ষ না হলে সবিকল্প প্রত্যক্ষ হয়না।
দ্বিতীয়ত, নির্বিকল্পক প্রত্যক্ষ নিষ্প্রকারক জ্ঞান, কিন্তু সবিকল্পক প্রত্যক্ষ সপ্রকারক জ্ঞান।
তৃতীয়ত, নির্বিকল্পক প্রত্যক্ষ সম্বন্ধে বর্জিত জ্ঞান, আমার সবিকল্পক প্রত্যক্ষ সম্বন্ধযুক্ত জ্ঞান।
চতুর্থত, নির্বিকল্পক প্রত্যক্ষ অব্যাপদাশ্য জ্ঞান, আর সবিকল্পক প্রত্যক্ষ ব্যাপদাশ্য জ্ঞান।
পঞ্চমত, নির্বিকল্পক প্রত্যক্ষ কে বচনে প্রকাশ করা যায় না, কিন্তু সবিকল্পক প্রত্যক্ষকে বচনে প্রকাশ করা যায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ