মাধ্যমিক
দশম শ্রেণি
ভূগোল
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - ৩
১। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :
১.১ বায়ুমন্ডলে অ্যারোসলের গুরুত্ব নিরূপণ করো।
উত্তর : বায়ুমন্ডলে এরোসল এর গুরুত্ব নিচে আলোচনা করা হলো -
প্রথমত, বিকিরিত তাপ শক্তিকে ধূলিকণা শাসন করেন বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত করে।
দ্বিতীয়ত, জলীয় বাষ্প ধূলিকণাকে আশ্রয় করে ভেসে বেড়ায় বলেই মেঘ কুয়াশা-বৃষ্টি প্রভৃতি ঘটাতে পরোক্ষভাবে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
তৃতীয়ত, ঊষা ও গোধুলির সৃষ্টি ধূলিকণার উপস্থিতির কারণেই সম্ভব হয়।
চতুর্থত, ধূলিকণায় বিচ্ছুরিত আলোর প্রভাবে আকাশের রং নীল দেখায়।
১.২ মানুষের ক্রিয়া-কলাপ "পৃথিবীর প্রাকৃতিক সৌরপর্দা" বিনাশের অন্যতম প্রধান কারণ - যুক্তিসহ ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর : বায়ুমণ্ডলের 25 থেকে 35 কিলোমিটারের মধ্যে যে ওজোন স্তর রয়েছে সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীতে থাকা এই জগত এবং জীবনকে রক্ষা করে। তাই এই ওজোন স্তরকে প্রাকৃতিক সৌর পর্দা বলা হয়। বর্তমানে বিভিন্ন কারণ এই ওজোন স্তর ধ্বংসের মুখে। ওজোন স্তর ধ্বংসের যে মনুষ্য সৃষ্টি কারণ সেগুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে -
প্রথমত, রেফ্রিজারেটর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র প্রভৃতি এবং ফোম ও প্লাস্টিক উৎপাদনের সময় নির্গত ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ওজোন গ্যাস কে ধ্বংস করে।
দ্বিতীয়ত, কারখানার চিমনি ও আগনিয়গিরি দিয়ে নির্গত সালফেট কনা ওজোন স্তরকে ধ্বংস করছে।
তৃতীয়ত, ঊর্ধ্বাকাশে অতি দ্রুতগামী জেট বিমান থেকে নির্গত নাইট্রোজেন অক্সাইড এর মাধ্যমে ওজন স্তর ধ্বংস হচ্ছে।
১.৩ ট্রপোস্ফিয়ারের বৈপরীত্য উষ্ণতা সৃষ্টির কারণ গুলি উল্লেখ করো।
উত্তর : বায়ুমণ্ডলের নিচের অংশে ট্রপোস্ফিয়ার স্তরের উচ্চতা বাড়লে উষ্ণতা কমে। কিন্তু কোন কোন সময় উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে উষ্ণতা না কমে বেড়ে যায় একে বলে বৈপরীত্য উষ্ণতা। বায়ুমন্ডলে ট্রপোস্ফিয়ারের এই বৈপরীত্য উষ্ণতা জন্য প্রধান কারণগুলি হল -
(ক) সুদীর্ঘ রাত্রি :
দিন অপেক্ষা রাত বড় হলে ভূপৃষ্ঠ থেকে সঞ্চিত তাপ সম্পূর্ণ বিকৃত হয়ে থাকে ফলে বায়ু অতিরিক্ত শীতল হয়ে যায় ফলে বৈপরীত্য উষ্ণতা সৃষ্টি হয়।
(খ) মেঘমুক্ত আকাশ :
মেঘমুক্ত আকাশ থাকলে ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকৃত তাপ কোন বাধা না পেয়ে সরাসরি মহাশূন্যে চলে যায় ফলে উত্তাপের অভাবে বায়ু শীতল হয়ে বৈপরীত্য উষ্ণতা ঘটায়।
(গ) শুষ্ক বায়ু :
শীতকালে বায়ু শুষ্ক থাকে এবং জলীয়বাষ্প কম থাকার জন্য ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপ বায়ুমণ্ডল শোষণ করতে পারে না এবং তাপ সরাসরি মহাশূন্যে চলে যায়। ফলে বায়ু স্তর শীতল হয়ে বৈপরীত্য উষ্ণতা সৃষ্টি করে।
(ঘ) শান্ত আবহাওয়া :
আবহাওয়া শান্ত থাকলে উপরের এবং নিচের বায়ুস্তরের মিশ্রন কম হয় বলে নিচের বায়ু ভূপৃষ্ঠের সংস্পর্শে শীতল হয়ে বৈপরীত্য উষ্ণতা সৃষ্টি করে।
১.৪ বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের নিয়ন্ত্রক হিসেবে স্থলভাগ ও জলভাগের বন্টন এবং নগরায়ন ও শিল্পায়নের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : ভূপৃষ্ঠের সর্বত্রই বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা সমানভাবে অনুভূত হয় না। বিশেষ কতগুলো কারণে পৃথিবী জুড়ে উষ্ণতার পার্থক্য ঘটে। উষ্ণতার তারতম্যের নিয়ন্ত্রক হিসেবে স্থলভাগ ও জলভাগের বন্টন এবং নগরায়ন ও শিল্পায়নের ভূমিকা নিচে আলোচনা করা হলো -
প্রথমত, জলভাগ অপেক্ষা স্থলভাগ দ্রুত উষ্ণ ও শীতল হয়। একই পরিমাণ সৌরশক্তি নির্দিষ্ট পরিমাণ আগের তুলনায় এই পরিমাণ স্থলভাগ তিন ভাগ বেশি উষ্ণ হয় এইজন্য একই দিনে বেশি উষ্ণ এবং রাতে বেশি শীতল হয় অর্থাৎ চরমভাবাপন্ন এবং উপকূলীয় অঞ্চলে সমভাবাপন্ন।
দ্বিতীয়ত, উপকূল অংশে 24 ঘন্টায় বায়ু প্রবাহের কারণে জলবায়ু সমভাবাপন্ন হয়। উপকূলীয় সামুদ্রিক জল ভরিতে চরমভাবাপন্ন কম।
তৃতীয়ত, উপকূল থেকে ভিতরে জলবায়ু চরমভাবাপন্ন প্রকৃতির তাই মহাদেশীয় জলবায়ু অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে গরম এবং শীতকালে ঠান্ডা উভয়ই খুব বেশি হয়।
Other Model Activity Task : Model Activity Task 2022
So" Beautiful
উত্তরমুছুন