LightBlog
পরীক্ষার হলে যে ৫টি ভুল কখনই করা উচিৎ নয়
Type Here to Get Search Results !

পরীক্ষার হলে যে ৫টি ভুল কখনই করা উচিৎ নয়

পরীক্ষার হলে যে ৫টি ভুল কখনই করা উচিৎ নয়

পরীক্ষার হলে যে ৫টি ভুল কখনই করা উচিৎ নয়


     মাঝে মাঝেই দেখা যায় যে, আমরা অনেক ভাল প্রস্তুতি নেয়ার পরও পরীক্ষা আশানুরূপ হয় না। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে পরীক্ষার হলে করা কিছু ছোট ছোট ভুল। আমরা সবাই যেকোনো পরীক্ষাতে অবশ্যই আমাদের সেরাটা দিতে চাই কিন্তু কিছু ভুলের কারণে সেরাটা দিয়েও সেরা ফলাফলটা পেতে পারি না। তো আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হল এমনই পাচঁটি সাধারন ভূল যেগুলি আমরা পরীক্ষার হলে করে থাকি। 

(১) প্রশ্নপত্র ঠিকমত না পড়া : মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় সাধারনত ৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়। এমনিতে পরীক্ষার জন্য ৩ ঘন্টা দেওয়া হয়। আর বাকি ১৫ মিনিট শুধুমাত্র প্রশ্নপত্রটি ভালোভাবে পড়ার জন্য। প্রশ্নপত্র পড়ার সময় প্রত্যেকটা প্রশ্নের সঠিক প্রসঙ্গটা বুঝে নিতে হবে, আর লেখার সময় ঠিক সেই মতো লিখতে হবে। এছাড়াও অনেক সময় পরীক্ষার্থীদের বিচলিত করার জন্যও কনফিউজিং প্রশ্ন করা হয়। সেক্ষেত্রেও শুধুমাত্র তারাই ঠিকমত উত্তর করতে পারে, যারা প্রশ্নটা ঠিকমত পড়ে।

(২) অন্যদের অতিরিক্ত পৃষ্ঠা নিতে দেখে বিব্রতবোধ করা : আমাদের মাঝে একটা ভুল ধারণা আছে যে, শিক্ষকরা পৃষ্ঠা গুণে নম্বর দেন কিন্তু আসলে এমনটা নয়। কোনো শিক্ষকই প্রয়োজনের অতিরিক্ত লেখা পছন্দ করেন না। আর বেশিরভাগ শিক্ষক প্রশ্নের উত্তরটা পরিপূর্ণভাবে সংক্ষিপ্ত আকারে পেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যপবোধ করেন। তাই কাউকে বেশি লিখতে দেখে বিব্রতবোধ না করে বরং আত্মবিশ্বাসী হতে হবে এই ভেবে যে, আমি যতটুকু লিখেছি তাই যথেষ্ট।

  (৩) সবচেয়ে কঠিন প্রশ্ন দিয়ে শুরু করা : আমরা অনেক সময় মনে করি যে, পরীক্ষার একদম শেষে যখন সময় কম থাকবে, তখন তারাতাড়ি করে সহজ প্রশ্নের উত্তর দিব। এখন কঠিনটা দিয়ে শুরু করি। যা করা একেবারেই ঠিক না কারন পরীক্ষার সময় সবসময় অনেক রিল্যাক্সড মুডে থাকতে হয়। সেখানে, শুরুটাই যদি ব্রেইনস্টার্মিং এর মাঝে দিয়ে যায় তাহলে তা বাকি উত্তরগুলোর উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে আর কঠিন প্রশ্নের উত্তর ঠিকভাবে উপস্থাপন না করতে পারলে তো আর কথাই নেই।



(৪) বুঝে উঠতে না পারা কোথায় শেষ করতে হবে : আমাদের অনেক বিষয়েরই কিছু কিছু টপিক অনেক প্রিয় থাকে যে টপিকের উত্তর গেলে আর শেষ্করতেই ইচ্ছা করে না। মনে রাখতে হবে যে, ১০ নম্বরের উত্তরে কখনো ১৫ দেয়া হয় না বরং ১০ নম্বরের প্রশ্নে ১৫ নম্বরের উত্তর দিলে, বাকি উত্তরগুলোর নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। আরো মনে রাখতে হবে যে, শিক্ষক আসলে আমরা উত্তরটা জানি কি না তা দেখতে চায়, আমাদের সাহিত্যের প্রতিভা না।

(৫) আগে আগে হল থেকে বেরিয়া যাওয়া : আমাদের অনেকেরই পরীক্ষার সময় আগে আগে হল থেকে বেরিয়ে যাওয়া অভ্যাস আছে। কারো তাড়া থাকলে ঠিক আছে। না হলে শেষ মিনিট পর্যন্ত সবারই উচিত, পরীক্ষার উত্তরপত্রটা নিখুঁতভাবে বারবার দেখা কারণ অনেক ভুল একবারে চোখ পড়ে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close