ষষ্ঠ শ্রেণি
ভূগোল
দ্বিতীয় পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য
পঞ্চম অধ্যায়
জল-স্থল-বাতাস
পূর্ণমানঃ সময়ঃ
(১) নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
১.১ বায়ুমন্ডল কাকে বলে?
উত্তরঃ পৃথিবীর গায়ে চাদরের মতো লেগে থাকা বায়ুস্তরই হলো বায়ুমন্ডল।
১.২ বায়ুমন্ডলের শ্রেণিবিভাগ করো।
উত্তরঃ বায়ুমন্ডলের প্রেণিবিভাগঃ বায়ুমন্ডল নীচে শ্রেণীবিভাগ করা হল -
(১) ট্রপোস্ফিয়ার
(২) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
(৩) মেসোস্ফিয়ার
(৪) থার্মোস্ফিয়ার
(৫) এক্সোস্ফিয়ার
১.৩ বায়ুমন্ডল না থাকলে কী হতো?
উত্তরঃ (১) পৃথিবীকে ঘিরে বায়ুর স্তর না থাকলে অন্যান্য গ্রহের মতোই পৃথিবীও প্রাণহীন হয়ে যেত।
(২) দিনের বেলা সূর্যের তাপে পৃথিবী উত্তপ্ত হয় আর রাতের বেলা ঐ তাপ ধীরে ধীরে বেরিয়ে যায়। বায়ুমন্ডল না থাকলে সূর্যাস্তের পর হঠাৎ ভীষণ ঠান্ডা আর সূর্যোদয়ের পর হঠাৎ প্রবল গরম হয়ে যেত পৃথিবী।
(৩) প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার কোটি ছোটো ছোটো উল্কা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে। কিন্তু বায়ুমন্ডলের সংগে ঘষা লেগে জ্বলে ছাই হয়ে যায়। তাই পৃথিবীর কোনো ক্ষতি হয় না।
১.৪ শিলামন্ডল কাকে বলে?
উত্তরঃ ভূ-ত্বকের চারভাগের একভাগ মাত্র স্থল। স্থলভাগ মূলত শিলা আর মাটি দিয়ে তৈরি। তাই একে শিলামন্ডল।
১.৫ বারিমন্ডল কাকে বলে?
উত্তরঃ সৃষ্টির বহু কোটি বছর পর পৃথিবীর বাইরেটা বেশ ঠান্ডা হয়ে আসে। তখন আকাশের রাশি রাশি জলীয়বাষ্প ঠান্ডা হয়ে অবিশ্রান্ত বৃষ্টির মতো পৃথিবীতে নেমে আসে। হাজার হাজার বছর ধরে সেই প্রবল বৃষ্টির জলে পৃথিবীর নীচু জায়গাগুলো ভরাট হয়ে সাগর মহাসাগর তৈরি হয়। পৃথিবীর এই বিশাল জলভান্ডারের নাম রাবিমন্ডল।
১.৬ পৃথিবীকে নীল গ্রহ কাকে বলে?
উত্তরঃ পৃথিবীর চারভাগের তিনভাগই জল। তাই মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে ঝলমলে নীল গোলকের মতো দেখায়। সৌরজগতের আর কোনো গ্রহে এত বিশাল পরিমাণ জল পাওয়া যায় না। তাই পৃথিবীকে নীলগ্রহ বলা হয়।
১.৭ জলচক্র বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ জল কখনও মেঘ, কখনও বৃষ্টি আবার কখনও কঠিন বরফে, তুষার রূপে আকাশ আর পৃথিবীর মধ্যে ক্রমাগত আবর্তিত হয়ে চলেছে। জলের এই চক্রাকার আবর্তন হলো জলচক্র।
১.৮ প্যানজিয়া কী?
উত্তরঃ প্রায় ২২.৫ কোটি বছর আগে পৃথিবীর মানচিত্রটা এখনকার মতো ছিল না। একটাই বিরাট অখন্ড স্থলভাগ বা মহা-মহাদেশ ছিল, যার নাম প্যানজিয়া।
১.৯ পৃথিবীর সাতটি মহাদেশের নাম লেখো।
উত্তরঃ (১) এশিয়া (২) ইউরোপ (৩) উত্তর আমেরিকা (৪) দক্ষিণ আমেরিকা (৫) আফ্রিকা (৬) ওশিয়ানিয়া (৭) আন্টার্কটিকা
১.১০ পৃথিবীর পাঁচটি মহাসাগরের নাম লেখো।
উত্তরঃ (১) প্রশান্ত মহাসাগর (২) ভারত মহাসাগর (৩) আটলান্টিক মহাসাগর (৪) সুমেরু মহাসাগর (৫) কুমেরু মহাসাগর
১.১১ পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশের নাম কী?
উত্তরঃ এশিয়া
১.১২ পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগরের নাম লেখো।
উত্তরঃ প্রশান্ত মহাসাগর
১.১৩ বিশ্ব উষ্ণায়ন বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ যানবাহন এবং শিল্প - কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস বাতাসে মিশছে। এই গ্যাসগুলো পৃথিবীর চারিদিকে এমন এক আবরণ তৈরি করে যাতে পৃথিবী থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফিরে যাওয়া তাপ আটকে পড়ে। দিনের পর দিন এই তাপ পৃথিবীর উষ্ণতাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। একে বিশ্ব উষ্ণায়ন।
১.১৪ জলের অপর নাম কী এবং কেন?
উত্তরঃ জলের অপর নাম জীবন। জল ছাড়া পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। নদী, সমুদ্র, জলাশয় মাছ ও অন্যান্য জীবের আবাসস্থল। সমুদ্রের জলে কিছু দরকারি খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। সমুদ্র পৃথিবীর সমস্ত মহাদেশগুলোকে জলপথে যুক্ত করেছে। জলচক্র পৃথিবীর তাপমাত্রাকে জীবনধারণের অনুকূলে রাখে।
১.১৫ পৃথিবীর বিবর্তনের বিবরণ দাও।
উত্তরঃ মহাবিশ্বে অসংখ্য গ্রহ তারার মধ্যে সুজলা সুফলা শস্য-শ্যামলা এই পৃথিবীই আমাদের বাসভূমি। পৃথিবী কিন্তু চিরকাল এখনকার মতো ছিল না। প্রায় ৪৬০ কোটি বছর আগে সৃষ্টির সময়ে পৃথিবী ছিল একটা জ্বলন্ত গ্যাসীয় পিন্ড।
জল, স্থল, বায়ুমন্ডল - কিছুই ছিল না। ক্রমে কোটি কোটি বছর ধরে তাপ বিকিরণ করে পৃথিবী ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে শুরু করে। এইসময় কিছু গ্যাস আর জলীয়বাষ্প পৃথিবীর আকর্ষনে পৃথিবীর চারিদিকে ভাসতে থাকে। পৃথিবীর বাইরের অংশ জমাট বেঁধে একটা কঠিন আস্তরণ তৈরি করে। কিন্তু ভিতরের অংশ, উত্তপ্ত অবস্থাতেই থেকে যায়।
Thanks for your support and help sir
উত্তরমুছুন