LightBlog
আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ | দ্বিতীয় অধ্যায় | একাদশ শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন ২০২৩ | WB Class 11 History Suggestion 2023
Type Here to Get Search Results !

আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ | দ্বিতীয় অধ্যায় | একাদশ শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন ২০২৩ | WB Class 11 History Suggestion 2023

একাদশ শ্রেণী

দ্বিতীয় অধ্যায়

আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ

আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ | দ্বিতীয় অধ্যায় | একাদশ শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন ২০২৩
আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ | দ্বিতীয় অধ্যায় | একাদশ শ্রেণির ইতিহাস সাজেশন ২০২৩


(১) নীচের বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :


১.১ কোন্‌ যুগে কুমোরের চাকা ব্যবহার শুরু হয়? - মধ্য প্রস্তর যুগের


১.২ নব্য প্রস্তর যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল - কৃষিপদ্ধতির আবিষ্কার


১.৩ প্রাচীন ভারতে সর্বপ্রথম কোন্‌ শস্যের চাষ শুরু হয়েছিল? - যব


১.৪ মেহেরগড় সভ্যতার আবিষ্কারের সঙ্গে যুক্ত -  জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজ


১.৫ সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কার হয়েছিল - ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে


১.৬ পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতার নাম কি? - মেসোপটেমিয়া সভ্যতা


১.৭ মেসোপটেমিয়ার মন্দিরগুলিকে বলা হত - জিগুরাত


১.৮ প্রাচীন মিশরে দেবতা ও মানুষের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করত - পুরোহিতরা


১.৯ মানুষ নাঙল চালাতে শিখেছিল - নব্য প্রস্তর যুগে


১.১০ বিবর্তনবাদ রচনা করেন - চার্লস ডারউইন


১.১১ হোমো স্যাপিয়েন্স কথার অর্থ কি - বুদ্ধিমান মানুষ


১.১২ হরপ্পা কোন্‌ নদীর তীরে অবস্থিত - সিন্ধু নদীর তীরে


১.১৩ মহেন-জো-দারো কথার অর্থ হল - মৃতের স্তুপ


১.১৪ সুমের বা সুমেরিয়ার অধিবাসীদের বলা হত - সুমার


১.১৫ খেজুর গাছকে সুমাররা বলত - জীবন বৃক্ষ

See More : WB Class 11 History Full Suggestion 2023 WBCHSE

(৩) নীচের রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :


৩.১ চারটি নদীকেন্দ্রিক সভ্যতার নাম লেখো। এই সভ্যতাগুলি নদীতীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল কেন?

উত্তরঃ 

চারটি নদী কেন্দ্রিক সভ্যতার নামঃ

(১) হরপ্পা সভ্যতা

(২) মেসোপটেমিয়া সভ্যতা

(৩) সিন্ধু সভ্যতা

(৪) মেহেরগড় সভ্যতা


সভ্যতাগুলি নদীকেন্দ্রিক হওয়ায় কারণঃ

প্রাচীন কালে যে কোনো সভ্যতা কোনো না কোনো নদীর তীরে গড়ে উঠতো। যে যে কারণগুলির জন্য প্রাচীনকালের সভ্যতাগুলি নদীকেন্দ্রিক হতো তা নীচে আলোচনা করা হল 

(১) বসবাসের সুবিধাঃ নদীতীরবর্তী সমভূমি অঞল বসবাসের পক্ষে ও ঘরবাড়ি নির্মানের ক্ষেত্রে আদর্শ হওয়ায় ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে জনবসতি যা ক্রমে একটি শহর বা মহানগরে পরিনত হয়।

(২) কৃষিকাজের সুবিধাঃ নদীতীরবর্তী অঞ্চলগুলি প্রতি বছর বন্যায় পলিমাটিতে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। এই পলিমাটি হল কৃষিকাজের পক্ষে খুবই উপযোগী। এছাড়া অঞ্চলগুলিতে খাল কেটে নদী থেকে জল এনে সারাবছর জলসেচ করে চাষাবাত করা হয়।

(৩) পশুপালনের সুবিধাঃ নদীতীরবর্তী অঞ্চলগুলিতে প্রচুর ঘাস জন্মায় যা তৃণভোজী পশুদের প্রধান খাদ্য। সহজেই এই পশুখাদ্য পাওয়ার সুবিধা থাকায় নদীতীর্বতী অঞ্চলে মানুষ বসবাস শুরু করে।

(৪) যোগাযোগের সুবিধাঃ প্রাচীন কালে মানুষ নদীপথের মাধ্যমেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করত। নদীপথে যেহেতু সহজে ও খুব তাড়াতাড়ি যাতায়াত করা যায় তাই অনেকেই নদীর ধারে বসবাস করতে শুরু করেছিল।

উপসংহারঃ উপরের কারণগুলি ছাড়াও আরও নানা কারণে আদিম মানুষেরা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে নিজেদের বসতি স্থাপন করেছিল। সেগুলি হল - ব্যাবসাবাণিজ্যের সুবিধা, পাণীয় জলের সুবিধা, খাদ্যের সুবিধা, উর্বর কৃষিজমি, জলের যোগান, অনুকূল আবহাওয়া ইত্যাদি।


৩.২ সিন্ধু সভ্যতাকে হরপ্পা সভ্যতা বলা হয় কেন? এই সভ্যতার মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনের বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ 

সিন্ধু সভ্যতাকে হরপ্পা সভ্যতা বলার কারণঃ সিন্ধু অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে খননকার্য চালিয়ে যে সমস্ত নিদর্শন পাওয়া গেছে, তার মধ্যে হরপ্পায় প্রাপ্ত নিদর্শনগুলি সর্বাপেক্ষা প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া এই সভ্যতার কেন্দ্রের অধিকাংশ নিদর্শনগুলির সঙ্গে হরপ্পায় পাওয়া নিদর্শনগুলির অদ্ভুত মিল রয়েছে। তাই সিন্ধু সভ্যতাকে হরপ্পা সভ্যতা বলা হয়।


হরপ্পা সভ্যতার সামাজিক জীবনঃ


     সিন্ধু বা হরপ্পা সভ্যতার সমাজ ছিল শ্রেণি বিভক্ত। হরপ্পা সিলমোহরে যে লিপি ব্যবহৃত হয়েছে তার আজও পঠোদ্ধার সম্ভব হয়নি। তাই হরপ্পার সমাজ সর্ম্পকে খুব বেশি তথ্য মেলেনি। তবে যতটুকু তথ্য মিলেছে তা থেকে হরপ্পার সমাজের যে বিষয়গুলি জানা গিয়েছে তা নীচে আলোচনা করা হল -

(১) সামাজিক অবস্থানঃ সিন্ধুর সমাজব্যবস্থায় এক কেন্দ্রীয় শাসকগোষ্ঠীর অবস্থান ছিল। যাদেরকে সাহায্য করার জন্য গড়ে উঠেছিল আমলাতন্ত্র। সমাজে বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে শাসক এবং পুরোহিতদের অবস্থান ছিল সর্বোচ্চ।

(২) সমাজব্যবস্থার প্রকৃতিঃ সিন্ধু উপত্যকায় প্রাপ্ত অসংখ্য নারীমূর্তি দেখে ঐতিহাসিকদের অনুমান এখানে মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। কিন্তু অপর আর একদল ঐতিহাসিক মনে করেন যে হরপ্পার সমাজব্যবস্থা ছিল পিতৃতান্ত্রিক।

(৩) খাদ্যাভ্যাসঃ হরপ্পাবাসীরা গম ও যবের তৈরি খাবার খেত। তবে ধানের চাষও অল্পবিস্তার চালু থাকায় ভাতও তাদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। এছাড়া তারা বিভিন্ন পশুর মাংস, খেজুর, দুধ ইত্যাদি খাবার হিসাবে গ্রহণ করত।

(৪) পোশাক-পরিচ্ছদঃ হরপ্পাবাসীরা সুতি ও পশমের পোশাক পড়ত। তারা সাধারণত দুটি বস্ত্র খন্ড পোশাক হিসেবে ব্যবহার করত। একটি দেহের উপরের অংশে এবং অপরটি দেহের নীচের অংশে ব্যবহার করত।


হরপ্পা সভ্যতার অর্থনৈতিক জীবনঃ


     হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা মূলত কৃষি ও পশুপালন ভিত্তিক অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল ছিল। তবে বিভিন্ন ধরনের শিল্প ও বাণিজ্যও এই সভ্যতার অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছিল।

(১) পশুপালনঃ হরপ্পাবাসীদের অর্থনীতিতে পশুপালনের বিশেষ ভূমিকা ছিল। প্রয়োজনে তারা গৃহপালিত পশুদের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করত। অসংখ্য সিলমোহরে গোরু, মহিষ এবং বৃষের ছবি দেখে অনুমান করা হয় যে হরপ্পাবাসীরা গোসম্পদের ওপর বিশেষ জোর দিত।

(২) কৃষিঃ হরপ্পার অধিবাসীরা সিন্ধুনদের জলকে কৃষিতে জলসেচের কাজে ব্যবহার করত। হরপ্পাবাসীরা কৃষিকাজে বিভিন্ন ধরনের উপকরণ ব্যবহার করত। উপকরণগুলির মধ্যে প্রধান ছিল নিড়ানি, লাঙল প্রভৃতি। সিন্ধুর উভয় তীরে উর্বর সমভূমিতে প্রথমে গম আর যব চাষ শুরু হয়।

(৩) শিল্পঃ সিন্ধু অঞ্চলে লোহার কোনো চিহ্ন না পাওয়া গেলেও তামা ও ব্রোঞ্জের বর্শা, কুঠার, বড়শি, করাত প্রভৃতি নির্দশন পাওয়া গেছে। সিন্ধু উপত্যকার বসতি এলাকা থেকে পোড়ামাটি ও বিভিন্ন ধরণের বস্তুর মিশ্রণ দিয়ে তৈরি তকলি মিলছে। এই যন্ত্রের সাহায্যে হাত দিয়ে সুতো কাটা হত বলে মনে করা হয়।

(৪) বাণিজ্যঃ সিন্ধু নদী ধরেই দেশের মধ্যেকার দূরবর্তী অঞ্চলগুলিতে বাণিজ্য চলত। স্থানীয় বাণিজ্য পশুতে টানা গাড়ি, ভারবাহী বলদ ও জলযানের সাহায্যে পণ্যসামগ্রীর লেনদেন চলত।


৩.৩ মধ্য প্রস্তর যুগের শিল্প বৈশিষ্ট্যগুলি কি ছিল?

উত্তরঃ 

     পুরাতন পাথরের যুগ ও নতুন পাথরের যুগের অন্তর্বতীকালীন সময়কাল হল মধ্য পাথরের যুগ। এর সময়সীমা খ্রিস্টপূর্ব ১০০০০ অব্দ থেকে শুরু করে আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৮০০০ অব্দ পর্যন্ত।

জীবিকাঃ মানুষ খাদ্যসংগ্রহ এবং শিকার করেই জীবিকা চালাত। তবে এই পর্বে পশুশিকারের তুলনায় বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, শামুক, ঝিনুক, মাছ ইত্যাদি সংগ্রহের ওপর অধিক গুরুত্ব আরোপিত হয়।

বাসস্থানঃ প্রাচীন পাথরের যুগের ন্যায় মধ্য পাথরের যুগেও মানুষ ছিল মূলত গুহাবাসী এবং যাযাবর প্রকৃতির। তবে এই যুগের শেষ ভাগে মানুষ লতাপাতা, গাছের ডাল এবং পশুর চামড়া দিয়ে বাসস্থান তৈরির কৌশল শিখেছিল।

হাতিয়ারঃ পূর্ব প্রচলিত হাতিয়ারগুলি এসময়ে আকারে আরও ছোটো হয়, কিন্তু উন্নত রূপ পায়। পাশাপাশি এসময়ে প্রধান অস্ত্র হিসেবে তিরধনুকের ব্যবহার শুরু হয়।

যানবাহনঃ মধ্য পাথরের যুগে মানুষ যানবাহনের ব্যবহার শেখে। বরফের ওপর চলাচলের জন্য কুকুরে টানা স্লেজ গাড়ি এবং জলপথে চলাচলের জন্য গাছের গুড়ি দিয়ে নৌকা তৈরি করে।

গুহাচিত্রঃ মধ্য পাথরের যুগের মানুষ গুহাচিত্র অঙ্কনে পারদর্শিতা দেখায়। বিভিন্ন ধরণের হাতিয়ার, হরিণের শিং ও মাথা এবং মৎস্য শিকারের দৃশ্য ছিল তাদের গুহাচিত্রের উপজীব্য বিষয়।

মৃৎপাত্রঃ মধ্য প্রস্তর যুগের মানুষের হাতের তৈরি মাটির বাসনপত্র ও মাটির অন্যান্য পাত্র প্রভৃতি তৈরি করতে শুরু করেছিল।

মূল্যায়নঃ মধ্য পাথরের যুগের কালসীমা অন্যান্যদের তুলনায় কম। স্বাভাবিকভাবে এই সম্বন্ধে তেমন ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেনি, আসলে এই সময়টা ছিল প্রাচীন পাথরের যুগ।


৩.৪ প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার শিল্প-সংস্কৃতির মূল্যায়ন করো।

উত্তরঃ 

     নীলনদের তীরে গড়ে উঠেছিল সুপ্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা। স্বাভাবিক ভাবে মরুভূমিপ্রধান পরিবেশে উন্নত সভ্যতার বিকাশ সম্ভব হয়েছিল নীলনদের কারণেই। তাই নীলনদ ছাড়া প্রাচীন মিশরের আলোচনা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। 


প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার শিল্প-সংস্কৃতির মূল্যায়নঃ


(১) স্থাপত্য-ভাস্কর্যঃ মিশরীয় স্থাপত্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হল অসংখ্য পিরামিড। পিরামিডগুলি ছিল সুন্দর এবং আকারে সুবিশাল। দেবতা আমন-এর উপাসনার উদ্দেশ্যে নির্মিত মন্দির মিশরের উল্লেগযোগ্য স্থাপত্যকীর্তি।

(২) চিত্রকলাঃ চিত্রশিল্পে প্রাচীন মিশরে যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটেছিল। বিভিন্ন মন্দির ও অন্যান্য সুবিশাল বাড়ির দেয়ালে নানান ধরনের রঙিন ছবি আঁকা হত। এসব চিত্রের বিষয়বস্তু ছিল রাজা, রাজপরিবার, কর্মরত কারিগর, কৃষক, উৎসবের নাচগান প্রভৃতি দৃশ্য।

(৩) লিপিঃ প্রাচীন মিশরের মানুষ বিভিন্ন চিত্রযুক্ত অক্ষরের সাহায্যে নিজেদের মনের কথা লিখে রাখত। এই চিত্রলিপি হায়রোগ্লিফিক লিপি নামে পরিচিত। তারা এই লিপির সাহায্যে নলখাগড়ার কলম দিয়ে প্যাপিরাস গাছের পাতায় বা পাথরে লিখত।

(৪) শিক্ষাঃ প্রাচীন মিশরে বিনা অর্থে বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুযোগ ছিল। তবে মিশরে মূলত উচ্চশ্রেণির মানুষের মধ্যে বিদ্যাচর্চার প্রচলন ছিল। সাধারণ পরিবারের খুব কম সংখ্যক ছেলেরাই বিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ পেতো।

(৫) সাহিত্যচর্চাঃ প্রাচীন মিশরে গদ্যসাহিত্য ও কাব্যচর্চার যথেষ্ট প্রচলন ছিল। লিপিগুলি মিশরীয় সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। মিশরীয়দের ধর্মীয় সাহিত্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল 'মৃতদের পুস্তক।

(৬) বিজ্ঞানচর্চাঃ প্রাচীন মিশরে গণিতশাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা প্রভৃতি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অগ্রগতি ঘটেছিল। মিশরের জ্যোতিষীরাই সর্বপ্রথম ১ বছরকে ৩৬৫ দিনে, ১ মাসকে ৩০ দিনে এবং ১ দিনকে ২৪ ঘণ্টায় ভাগ করেছিলেন। তারা যোগ, বিয়োগ ও ভাগ করার পদ্ধতি, দশমিকের ব্যবহার, ক্ষেত্রফল ও ঘনফল নির্ণয়ের পদ্ধতি প্রভৃতি জানত। তাছাড়া মিশরীয়রা নাড়ির স্পন্দন ও হৃৎপিণ্ডের তাৎপর্য, চক্ষু, দন্ত, পাকস্থলী ও অন্ত্রের চিকিৎসায় যে পারদর্শী ছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায়।

(৭) ধর্মীয় জীবনঃ মিশরীয়রা বহু দেবতার আরাধনা করত এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি ও জীবজন্তুর পুজো করত। প্রথমদিকে সূর্যদেবতা ছিল তাদের প্রধান দেবতা। কিন্তু পরবর্তীকালে বাস্তুদেবতা 'আমন' মিশরের প্রধান দেবতার আসন লাভ করেন।

(৮) মমিঃ প্রাচীন মিশরীয়রা বিশ্বাস করত যে, মৃত্যুতেই জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে না, মৃত্যুর পরও এক জীবন থাকে এবং মৃতদেহের মধ্যেই তার আত্মা বেঁচে থাকে। তাই মিশরীয়রা জীবদ্দশায় তাদের কবরের স্থান, কবরের পদ্ধতি প্রভৃতির পরিকল্পনা করে মৃতদেহটিকে মমি করা হত।

মূল্যায়ণঃ প্রাচীন মিশরের উৎকৃষ্ট শিল্প-সংস্কৃতি‌ পরবর্তীকালে প্রতিবেশী দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেই সব দেশের শিল্প-সংস্কৃতিকে যথেষ্ট প্রভাবিত করে।

See More : WB Class 11 History Full Suggestion 2023 WBCHSE

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close